ভারতবর্ষের নামকরণ-সংক্রান্ত বিতর্ক আমাদের দেশ 'ভারতবর্ষ' নামে পরিচিত হলেও এই নামকরণের উৎস নিয়ে ঐতিহাসিক ও পণ্ডিতদের মধ্যে যথেষ্ট মতপার্থক্য বা বিতর্ক রয়েছে। প্রধানত পৌরাণিক কাহিনি, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং ঐতিহাসিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ বিষয়ে একাধিক মত প্রচলিত আছে।
শুধুমাত্র একটি বিষয়ে তাঁর পান্ডিত্য পরিলক্ষিত হয়নি ; তাঁর কাজ ইঞ্জিনিয়ারিং , গণিত ,পরিসংখান , পদার্থবিজ্ঞান , জ্যোতিবিজ্ঞান এবং দর্শন এর বিকাশে সাহায্য করেছিল। এছাড়াও ১৮১৬ সালে বাতাসে শব্দের গতিবেগের ওপরে একটি তত্ত্ব নিয়ে আসেন; তাতে দেখানো হয় বাতাসে শব্দের বেগ 'Heat Capacity Ratio' র ওপরে নির্ভর করে।
ইঞ্জিনিয়ারিং` গণিতে তাঁর বেশ প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। যেমন - লাপ্লাস সমীকরণ , লাপ্লাস ট্রান্সফর্ম , লাপ্লাস ডিস্ট্রিবিউশন , লাপ্লাস নম্বর ,লাপ্লাস লিমিট , লাপ্লাস ফোর্স , লাপ্লাস মোশন ইত্যাদি.......
এই মহান বিজ্ঞানীকে সর্বকালের অন্যতম বিজ্ঞানী হিসেবে স্মরণ করা হয় , কখনো কখনো তিনি আবার ফ্রান্সের নিউটন বা ফরাসী নিউটন নামেও অভিহিত হন।
হ্যাঁ ইনি হলেন আমাদের সকলের সুপরিচিত মহান বিজ্ঞানী Pierre Simon Laplace.
Pierre Simon Laplace ছিলেন এ একজন ফরাসি পণ্ডিত। ২৩ মার্চ ১৭৪৯ সালে Pont I ' Eveque এর চার মাইল পশ্চিমে Beaumont -on - Auge ; Normandy নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এই মহান বিজ্ঞানী। তাঁর বাবার নাম Pierre de Laplace এবং মাতার নাম Marie Anne Sochon .
ইনি এক কৃষক পরিবার থেকে উঠে আসলেও পড়াশোনার প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা এবং অসাধারণ মেধা তাকে সাফল্যের শিখরে নিয়ে যায়।
এই মহান বিজ্ঞানী তাঁর জীবনে বহু সন্মান অর্জন করেছিলেন -
তার মধ্যে কয়েকটি হলো:-
১. গ্রহাণু ৪৬২৮ এর নামকরণ Laplace এর নামে করা হয়েছে।
২. আইফেল টাওয়ার এ যে ৭২ টি নাম লেখা আছে তাদের মধ্যে তাঁর নাম ও আছে।
এছাড়াও তাঁর সম্মানার্থে বিভিন্ন স্থানের নামকরণ তাঁর নাম এ নামকরণ করা হয়েছে।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই মহান মনীষীর অবদান সত্যিই অপরিসীম। পরবর্তীতে আমরা ধাপে ধাপে এনার কর্মজীবন এবং আবিষ্কারের সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেবো , মাতৃভাষায় সেগুলি জেনে সত্যি আমাদের খুব ভালো লাগবে ।

Comments
Post a Comment