বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন। প্রতিটি প্রশ্নের চারটি করে বিকল্প উত্তর দেওয়া আছে। যেটি ঠিক সেটি লেখো: (প্রতিটি প্রশ্নের মান-1) UNIT 1. পরিবেশের জন্য ভাবনা 1.1 ভৌতবিজ্ঞান ও পরিবেশ Q1. গ্রিনহাউস গ্যাস হিসেবে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য কোন্ গ্যাসটির অবদান সবচেয়ে বেশি? (মাধ্যমিক ২০১৮) (a) N₂O (নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড) (b) CH4 (মিথেন) (c) CO₂ (কার্বন ডাই অক্সাইড) (d) H₂O বাম্প। Q 2. প্রদত্ত কোনটি ওজোন স্তরকে ক্ষয় করে না? (মাধ্যমিক ২০২০) (a) NO (নাইট্রোজেন মনোক্সাইড) (b) N₂O (নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড) (c) CO₂ (কার্বন ডাই অক্সাইড) (d) CFC (ক্লোরোফ্লুরোকার্বন)
ইলবার্ট বিল
প্রবর্তন:
১৮৭৩ খ্রি.,–এর ফৌজদারি আইন অনুসারে মফস্সলের ভারতীয় দায়রা বিচারকগণ কোনো শ্বেতাঙ্গ ইউরোপীয়র বিচার করতে পারতেন না। লর্ড রিপনের পরামর্শে আইন সচিব মি. ইলবার্ট এই বৈষম্যমূলক আইনের পরিবর্তে যে খসড়া আইন প্রস্তুত করেন (১৮৮৩ খ্রি.) তা ইলবার্ট বিল নামে পরিচিত হয়।
এই খসড়া বিলে জেলা দায়রা আদালতের ভারতীয় বিচারকদের শ্বেতাঙ্গ আসামির বিচারের অধিকার দেওয়া হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল ইউরোপীয় ও ভারতীয় বিচারকদের সমমর্যাদার অধিকারী করা।
ইলবার্ট বিল সংশোধন:
খসড়া আইনটি প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইংরেজ ও অ্যাংলো ইন্ডিয়ানরা ইলবার্ট বিলের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিবাদ জানায়। ইউরোপীয়দের প্রতিবাদের চাপে সরকার বিলটি সংশোধন করতে বাধ্য হয় এবং স্থির হয়, ভারতীয় বিচারক কর্তৃক শ্বেতাঙ্গদের বিচার নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে শ্বেতাঙ্গ–জুরির মতামত গ্রহণ বাধ্যতামূলক হবে।
আন্দোলন:
সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ভারতসভা সভা–সমাবেশের মাধ্যমে সংশোধিত ইলবার্ট বিলের বিপক্ষে প্রচার চালায়। ধীরে ধীরে ইলবার্ট বিলকে কেন্দ্র করে আন্দোলন গড়ে ওঠে।
গুরুত্ব:
ইলবার্ট বিল আন্দোলন শিক্ষিত ভারতবাসীর উপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলে।
(১) জাতীয় মর্যাদা সম্পর্কে ভারতীয়দের সচেতনতা বৃদ্ধি পায়।
(২) ভারতবাসী উপলব্ধি করতে পারে যে, ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সংঘবদ্ধ আন্দোলনের গুরুত্ব কত বেশি।
(৩) ব্রিটিশ শাসনের প্রতি বেশিরভাগ ভারতীয়ের মোহভঙ্গ ঘটে। ইংরেজ ও ভারতীয়দের মধ্যে জাতিগত বিদ্বেষ তীব্র আকার ধারণ করে।
(৪) ইলবার্ট বিল বিতর্ক থেকে ভারতীয়রা শিক্ষা নেয় যে একমাত্র স্বাধীনতা অর্জন করতে পারলেই ভারতবাসী প্রকৃত মর্যাদা ও নিরাপত্তা পাবে।
🔗🔗🔗
Read More ::

Comments
Post a Comment