নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও। অথবা, একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। অথবা, নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও। উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়। এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়। নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা: পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...
ইলবার্ট বিল
প্রবর্তন:
১৮৭৩ খ্রি.,–এর ফৌজদারি আইন অনুসারে মফস্সলের ভারতীয় দায়রা বিচারকগণ কোনো শ্বেতাঙ্গ ইউরোপীয়র বিচার করতে পারতেন না। লর্ড রিপনের পরামর্শে আইন সচিব মি. ইলবার্ট এই বৈষম্যমূলক আইনের পরিবর্তে যে খসড়া আইন প্রস্তুত করেন (১৮৮৩ খ্রি.) তা ইলবার্ট বিল নামে পরিচিত হয়।
এই খসড়া বিলে জেলা দায়রা আদালতের ভারতীয় বিচারকদের শ্বেতাঙ্গ আসামির বিচারের অধিকার দেওয়া হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল ইউরোপীয় ও ভারতীয় বিচারকদের সমমর্যাদার অধিকারী করা।
ইলবার্ট বিল সংশোধন:
খসড়া আইনটি প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইংরেজ ও অ্যাংলো ইন্ডিয়ানরা ইলবার্ট বিলের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিবাদ জানায়। ইউরোপীয়দের প্রতিবাদের চাপে সরকার বিলটি সংশোধন করতে বাধ্য হয় এবং স্থির হয়, ভারতীয় বিচারক কর্তৃক শ্বেতাঙ্গদের বিচার নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে শ্বেতাঙ্গ–জুরির মতামত গ্রহণ বাধ্যতামূলক হবে।
আন্দোলন:
সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ভারতসভা সভা–সমাবেশের মাধ্যমে সংশোধিত ইলবার্ট বিলের বিপক্ষে প্রচার চালায়। ধীরে ধীরে ইলবার্ট বিলকে কেন্দ্র করে আন্দোলন গড়ে ওঠে।
গুরুত্ব:
ইলবার্ট বিল আন্দোলন শিক্ষিত ভারতবাসীর উপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলে।
(১) জাতীয় মর্যাদা সম্পর্কে ভারতীয়দের সচেতনতা বৃদ্ধি পায়।
(২) ভারতবাসী উপলব্ধি করতে পারে যে, ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সংঘবদ্ধ আন্দোলনের গুরুত্ব কত বেশি।
(৩) ব্রিটিশ শাসনের প্রতি বেশিরভাগ ভারতীয়ের মোহভঙ্গ ঘটে। ইংরেজ ও ভারতীয়দের মধ্যে জাতিগত বিদ্বেষ তীব্র আকার ধারণ করে।
(৪) ইলবার্ট বিল বিতর্ক থেকে ভারতীয়রা শিক্ষা নেয় যে একমাত্র স্বাধীনতা অর্জন করতে পারলেই ভারতবাসী প্রকৃত মর্যাদা ও নিরাপত্তা পাবে।
🔗🔗🔗
Read More ::
Comments
Post a Comment