Skip to main content

সাম্প্রতিক পোস্ট

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নির্বাচিত উক্তি

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নির্বাচিত উক্তি  ১. "সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালবাসিলাম।"  ২. "আপনার জীবন পাতার ডগায় শিশিরের মতো সময়ের প্রান্তে হালকাভাবে নাচতে দিন।"  ৩. "আমরা পৃথিবীতে বাস করি যখন আমরা এটি ভালবাসি।"  ৪. "মেঘ আমার জীবনে ভেসে আসে, আর বৃষ্টি বা ঝড় বয়ে আনতে নয়, আমার সূর্যাস্তের আকাশে রঙ যোগ করতে।"  ৫. "যা তুমি দিতে পারো না, তা চাইতে এসো না।"  ৬. "জীবনকে গভীর থেকে উপলব্ধি করো, তার সৌন্দর্য ও রহস্য উন্মোচন হবে।" 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নির্বাচিত উক্তি

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নির্বাচিত উক্তি 



১. "সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালবাসিলাম।" 

২. "আপনার জীবন পাতার ডগায় শিশিরের মতো সময়ের প্রান্তে হালকাভাবে নাচতে দিন।" 

৩. "আমরা পৃথিবীতে বাস করি যখন আমরা এটি ভালবাসি।" 

৪. "মেঘ আমার জীবনে ভেসে আসে, আর বৃষ্টি বা ঝড় বয়ে আনতে নয়, আমার সূর্যাস্তের আকাশে রঙ যোগ করতে।" 

৫. "যা তুমি দিতে পারো না, তা চাইতে এসো না।" 

৬. "জীবনকে গভীর থেকে উপলব্ধি করো, তার সৌন্দর্য ও রহস্য উন্মোচন হবে।" 

৭. "আলো যখন নিভে যায়, তখন তারাগুলো জ্বলে ওঠে।" 

৮. "আমার শেষ খেয়া পারের সাথী আমি নিজে।" 

৯. "ফুল যদি ঝরে যায়, তবে তার বীজ থেকেই আবার নতুন জীবনের শুরু।" 

১০. "যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে।"

১১. "বন্ধুত্বের গভীরতা পরিচয়ের দৈর্ঘ্যের উপর নির্ভর করে না।" 

১২. "সোহাগের সঙ্গে রাগ না মিশিলে ভালবাসার স্বাদ থাকে না - তরকারীতে লঙ্কামরিচের মত।" 

১৩. "প্রেম আর বন্ধুত্ব দুটিই হৃদয়ের গভীরতম অনুভূতি।" 

১৪. "যখন তুমি ছোট, তখন তোমাকে আদর করা হয়; যখন তুমি বড় হও, তখন তোমাকে বিচার করা হয়।" 

১৫. "ভালোবাসা হল দুটি মানব হৃদয়ের মিলন উৎসব।" 

১৬. "যে প্রেমের বাঁধন মানে না, তার জন্য কোনো মুক্তি নেই।" 

১৭. "প্রেমিকারাই জানে যে ভালোবাসা পাওয়ার অধিকারের চেয়ে ভালোবাসা দেওয়ার আনন্দ অনেক বেশি।" 

১৮. "কাউকে সম্পূর্ণ জানতে হলে তাকে ভালোবাসতে হয়।" 

১৯. "তুমি আমার কাছে সেই অন্ধকারে তারার মতো।" 

২০. "হৃদয়ের গভীরতম সত্যটি হলো ভালোবাসা।"

২১. "অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে, তব ঘৃণা তারে যেন তৃণসম দহে।" 

২২. "এ জগতে, হায়, সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি - রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি।" 

২৩. "যে মানুষ দেশের চেয়ে কিছুতেই বড় নয়, সে কেমন করে দেশ শাসন করবে?" 

২৪. "মানুষের ওপর বিশ্বাস হারানো পাপ।" 

২৫. "সত্যকে যারা খুব সহজে প্রকাশ করে, তারা বিপদকে ভয় পায় না।" 

২৬. "মুক্তি পেতে হলে তোমাকে সাহস নিয়ে বাঁচতে হবে।" 

২৭. "যে জাতি নিত্য নব সৃষ্টি করে না, সে মৃত।" 

২৮. "যেখানে মনের ভয় নেই এবং মাথা উঁচু থাকে, সেটাই মুক্তির স্বর্গ।" 

২৯. "মানুষের ধর্মই হলো মানুষের প্রতি সহানুভূতি।" 

৩০. "সর্বত্রই আলো জ্বালাবার আগে নিজের ঘরে আলো জ্বালাও।"

৩১. "একটি শিশুকে আপনার নিজের শিক্ষার মধ্যে সীমাবদ্ধ করবেন না, কারণ সে অন্য সময়ে জন্মগ্রহণ করেছে।" 

৩২. "মনুষ্যত্বের শিক্ষাটাই চরম শিক্ষা আর সমস্তই তার অধীন।" 

৩৩. "শিক্ষা হলো আলোকের পথ যা অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায় না।" 

৩৪. "জ্ঞান হলো সেই পাখা, যা মানুষকে উড়তে সাহায্য করে।" 

৩৫. "সবচেয়ে বড়ো শিক্ষক হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি আমাদের জীবনের পথ দেখান।" 

৩৬. "আমরা জানার জন্য বাঁচি না, বাঁচার জন্যই জানি।" 

৩৭. "চিন্তা করা একধরনের নীরব আলাপ।" 

৩৮. "তুমি যা হতে চাও, সেদিকেই তোমার মনকে পরিচালিত করো।" 

৩৯. "বই হলো অতীতের বর্তমান এবং বর্তমানের ভবিষ্যৎ।" 

৪০. "সত্যকে জানার জন্য প্রশ্ন করা অপরিহার্য।"

৪১. "আমাকে বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রার্থনা করি না, বরং তাদের মোকাবেলায় নির্ভীক হতে চাই। আমার বেদনাকে স্তব্ধ করার জন্য আমি ভিক্ষা করি না, কিন্তু হৃদয়কে জয় করতে চাই।" 

৪২. "বিশ্বাস হল সেই পাখি যে ভোরের অন্ধকারে আলো অনুভব করে।" 

৪৩. "আগুনকে যে ভয় পায়, সে আগুনকে ব্যবহার করতে পারে না।" 

৪৪. "আশা এমন এক জিনিস, যা পৃথিবীর সব বিষাদের মধ্যেও বেঁচে থাকে।" 

৪৫. "সাহস হলো সন্দেহের অনুপস্থিতি নয়, বরং তাকে জয় করার ইচ্ছা।" 

৪৬. "যদি তুমি তোমার স্বপ্ন দেখতে পারো, তবে তুমি সেটিকে পূরণও করতে পারো।" 

৪৭. "মানুষের আত্মবিশ্বাস তার সবচেয়ে বড়ো সম্পদ।" 

৪৮. "যে কষ্টকে বরণ করতে পারে, সে জীবনে সফল হয়।" 

৪৯. "যখন তোমার হৃদয় কান্নায় পূর্ণ, তখন তোমার দৃষ্টি উঁচুতে রাখো।" 

৫০. "তোমাকে শক্তি খুঁজতে হবে নিজের ভেতরেই।"

৫১. "ওরে নতুন যুগের ভোরে আলোর রথে এসো।" 

৫২. "আকাশ ভরা সূর্য-তারা, বিশ্বভরা প্রাণ।" 

৫৩. "সৌন্দর্য হলো প্রেমের প্রতীক যা মনকে আনন্দ দেয়।" 

৫৪. "ফুল তার সৌন্দর্যে কথা বলে।" 

৫৫. "শিল্প হলো মানুষের মনের আনন্দময় প্রকাশ।" 

৫৬. "যেখানে প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের মিলন ঘটে, সেখানেই শান্তি।" 

৫৭. "সূর্যাস্ত আমাকে মনে করিয়ে দেয় যে শেষও সুন্দর হতে পারে।" 

৫৮. "পৃথিবী তার কবিদের কাছ থেকে গান শুনতে চায়।" 

৫৯. "আমার কবিতা হলো আমার জীবনের চিত্র।" 

৬০. "প্রকৃতির নীরবতা নিজেই এক বিশাল কথা।"

৬১. "আনন্দকে ভাগ করে নিলে তবেই তা পূর্ণতা পায়।" 

৬২. "সময় কারও জন্য অপেক্ষা করে না।" 

৬৩. "অন্ধকারে আলো জ্বেলে দাও, কারণ সেটাই মুক্তির পথ।" 

৬৪. "আঘাত করলে তোমাকে আরও শক্ত হতে হবে।" 

৬৫. "মানুষের কর্মই তার পরিচয়।" 

৬৬. "তোমার নিয়তি তোমার হাতে।" 

৬৭. "অহংকার মানুষকে একাকী করে দেয়।" 

৬৮. "সরলতাই সৌন্দর্যের শ্রেষ্ঠ রূপ।" 

৬৯. "মানুষের মনের ভেতরের আলো সবচেয়ে মূল্যবান।" 

৭০. "বিপদ আসে বলেই আমরা সাবধান হই।" 

৭১. "যে পরিবর্তন করতে ভয় পায়, সে জীবনকে উপভোগ করতে পারে না।" 

৭২. "আমরা যা দেখি, তার চেয়েও বড় কিছু লুকিয়ে থাকে।" 

৭৩. "তুমি যা দাও, তাই ফিরে আসে।" 

৭৪. "দুঃখকে জয় করার শক্তি তোমার ভেতরেই আছে।" 

৭৫. "শান্তি আসে কেবল ভালোবাসা থেকে।" 

৭৬. "সফলতা হলো ধৈর্য ও পরিশ্রমের ফল।" 

৭৭. "ভবিষ্যৎ হলো সেই ক্যানভাস যেখানে তুমি তোমার স্বপ্ন আঁকো।" 

৭৮. "জীবনে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হলো কোনো ঝুঁকি না নেওয়া।" 

৭৯. "আমাদের সবচেয়ে বড় ভুল হলো ভুল স্বীকার না করা।" 

৮০. "মানুষের হৃদয়ে যে ক্ষমা আছে, সেটাই তার শ্রেষ্ঠ সম্পদ।" 

৮১. "প্রত্যেক ভোরের আগমনই নতুন আশার বার্তা নিয়ে আসে।" 

৮২. "যে অন্ধকারেও চলতে পারে, সে আলোর মূল্য জানে।" 

৮৩. "মানুষকে তার কাজের ফল অবশ্যই ভোগ করতে হয়।" 

৮৪. "তোমার ভেতরের শিশুটি যেন কখনোই হারিয়ে না যায়।" 

৮৫. "যে আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, সে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।" 

৮৬. "ভালো কাজের জন্য সময় কখনও বেশি হয় না।" 

৮৭. "আমাদের সকলের মধ্যেই ঈশ্বর বাস করেন।" 

৮৮. "কথা কম বলে কাজ বেশি করো।" 

৮৯. "জীবনের সবথেকে বড় উপহার হলো অভিজ্ঞতা।" 

৯০. "যে নিজেকে চেনে, সে পৃথিবীকে চেনে।" 

৯১. "মানুষের স্বপ্ন তাকে বাঁচিয়ে রাখে।" 

৯২. "হতাশা হলো অস্থায়ী, কিন্তু আশা চিরস্থায়ী।" 

৯৩. "আমাদের ছোট্ট ভুলগুলো বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।" 

৯৪. "যা তোমার নয়, তা ছেড়ে দাও।" 

৯৫. "যে সংগ্রাম করে, সেই জয়ী হয়।" 

৯৬. "বিনয় হলো জ্ঞানের অলংকার।" 

৯৭. "তোমার নিজের পথ খুঁজে নাও।" 

৯৮. "ভয়কে জয় করার মধ্য দিয়েই জীবনের পূর্ণতা।" 

৯৯. "প্রতিটি মুহূর্তই মূল্যবান।" 

১০০. "মানুষের সবথেকে বড় সম্পদ তার বিবেক।"


Comments

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য

  ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য Sl. No. ঘূর্ণবাত প্রতীপ ঘূর্ণবাত 1 ঘূর্ণবাতের নিম্নচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর উচ্চচাপ বলয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের উচ্চচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর নিম্নচাপ বলয়। 2 নিম্নচাপ কেন্দ্রে বায়ু উষ্ণ, হালকা ও ঊর্ধ্বগামী হয়। উচ্চচাপ কেন্দ্রে বায়ু শীতল, ভারী ও নিম্নগামী হয়। 3 ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে, ফলে বিস্তীর্ণ অঞ্চল অল্প সময়ে প্রভাবিত হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে না। 4 ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে এবং বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘমুক্ত থাকে। বৃষ্টিপাত ও ঝড়-ঝঞ্ঝা ঘটে না। মাঝেমাঝে তুষারপাত ও কুয়াশার সৃষ্টি হয়৷ 5 ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে নিম্নচাপ বিরাজ করে। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে উচ্চচাপ বিরাজ করে। 6 চারিদিক থেকে ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রের দিকে বায়ু ছুটে আসে অর্থাৎ বায়ুপ্রবাহ কেন্দ্রমুখী। প্রতীপ ঘূর্ণবাতে কেন...

ভরা কোটাল ও মরা কোটালের পার্থক্য

  ভরা কোটাল ও মরা কোটালের পার্থক্য Sl. No. ভরা কোটাল মরা কোটাল 1 চাঁদ, পৃথিবী ও সূর্য একই সরল রেখায় অবস্থান করলে চাঁদ ও সূর্যের মিলিত আকর্ষণ পৃথিবীর একই স্থানের উপর কার্যকরী হয়, ফলে ভরা কোটালের সৃষ্টি হয়। চাঁদ, পৃথিবী ও সূর্য সমকোণী অবস্থানে থাকলে পৃথিবীর উপর চাঁদ ও সূর্যের আকর্ষণ পরস্পর বিপরীত ও বিরোধী হয়, ফলে মরা কোটালের সৃষ্টি হয়। 2 মানবজীবনের উপর ভরা কোটালে (নদী-মোহানা, নৌ-চলাচল, মাছ আহরণ ইত্যাদি)-র প্রভাব বেশি। মানবজীবনের উপর মরা কোটালের প্রভাব কম। 3 ভরা কোটাল হয় অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে। মরা কোটাল হয় শুক্ল ও কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে। 4 ভরা কোটালের ক্ষেত্রে সাগর-মহাসাগরের জলতল সবচেয়ে বেশী স্ফীত হয়। মরা কোটালের ক্ষেত্রে সাগর-মহাসাগরের জলতলের স্ফীতি সবচেয়ে কম হয়। 5 অমাবস্যা তিথিতে পৃথিবীর একই পাশে একই সরলরেখায় চাঁদ ও সূর্য অবস্থান করে। পূর্ণিমা তিথিতে সূর্য ও চাঁদের মাঝে পৃথিবী একই সরলরেখায় অবস্থান করে। কৃষ্ণ ও শুক্ল পক্ষের অষ্টমীত...

নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন

নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন আইন প্রবর্তনের কারণ ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে জাতীয়তাবাদী নাটক রচনা করে ব্রিটিশের শোষণ ও অপশাসনের বিরুদ্ধে জনমত সংগঠিত করার কাজ শুরু হয়। অমৃতলাল বসুর ‘চা–কর দর্পণ’, দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ নাটকে অত্যাচারী শ্বেতাঙ্গ সাহেবদের মুখোশ খুলে দেওয়া হয়। অমৃতলাল বসু ও উপেন্দ্রনাথ দাস ‘হনুমান চরিত’ নামক প্রহসন নাটকে ইংরেজের প্রতি ব্যঙ্গবিদ্রুপ প্রকাশ করেন। গ্রামেগঞ্জে ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাব সৃষ্টির কাজে নাটকগুলি সাফল্য পায়। সরকার দমনমূলক আইন জারি করে দেশাত্মবোধক নাটকের প্রচার বন্ধ করে দিতে উদ্যত হয়।

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (১৮৭৮ খ্রি.)

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন প্রবর্তন সাম্রাজ্যবাদী গভর্নর–জেনারেল লর্ড লিটন দেশীয় পত্রপত্রিকার কণ্ঠরোধ করার সিদ্ধান্ত নেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (Vernacular Press Act, 1878) জারি করেন। পটভূমি ঊনবিংশ শতকে দেশীয় সংবাদপত্রগুলিতে সরকারি কর্মচারীদের অন্যায় আচরণ, অর্থনৈতিক শোষণ, দেশীয় সম্পদের বহির্গমন, দেশীয় শিল্পের অবক্ষয় ইত্যাদি নানা বিষয় তুলে ধরা হয়। ইতিহাসবিদ এ.আর.দেশাইয়ের মতে, “ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিকাশে সংবাদপত্র হল এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম”।

গ্রস্ত উপত্যকা

গ্রস্ত উপত্যকা দুটি চ্যুতির মধ্যবর্তী অংশ বসে গেলে যে অবনমিত অঞ্চলের সৃষ্টি হয়, তাকে গ্রস্ত উপত্যকা বলে। এছাড়া, মহীভাবক আলোড়নের ফলে ভূপৃষ্ঠে সংকোচন ও প্রসারণ বলের সৃষ্টি হয়। যার ফলে ভূপৃষ্ঠের কঠিন শিলায় ফাটলের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীকালে পুনরায় ভূ-আন্দোলন ঘটলে বা ভূ-আলোড়নের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে ফাটল রেখা বরাবর শিলার একটি অংশ অপর অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, একে চ্যুতি বলে। সংনমন বল বৃদ্ধি পেলে দুটি চ্যুতির মাঝের অংশ খাড়াভাবে নীচে বসে যায়। অবনমিত, ওই অংশকে বলে গ্রস্ত উপত্যকা। 

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।   অথবা,  একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।  অথবা,  নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও।             উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়।  এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়।  নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা:       পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...

পলল ব্যজনী বা পলল শঙ্কু

পলল ব্যজনী বা পলল শঙ্কু                     পর্বত্য অঞ্চল থেকে সমভূমিতে প্রবেশ করলে নদীর গতিপথের ঢাল হ্রাস পায়। ফলে নদীর ক্ষমতাও কমে যায়। উচ্চপ্রবাহের ক্ষয়িত পদার্থসমূহ (শিলাখণ্ড, নুড়ি, কাঁকর, বালি) সমভূমিতে প্রবেশের মুখে পর্বতের পাদদেশে সঞ্চিত হয়ে শঙ্কু আকৃতির ভূমিরূপ গঠন করে। একে পলিশঙ্কু বলে। দেখতে হাত পাখার মতো হয় বলে একে পলল পাখা বা পলল ব্যজনীও বলে। 

মানব জীবনের ওপর পর্বতের প্রভাব উল্লেখ করো।

মানব জীবনের ওপর পর্বতের প্রভাব উল্লেখ করো। সমুদ্র সমতল থেকে অন্তত ১০০০ মিটারের বেশি উঁচু ও বহুদূর বিস্তৃত শিলাময় স্তূপ যার ভূপ্রকৃতি অত্যন্ত বন্ধুর, ভূমির ঢাল বেশ খাড়া এবং গিরিশৃঙ্গ ও উপত্যকা বর্তমান তাকে পর্বত বলে৷ খাড়াভাবে দাঁড়িয়ে থাকা এই পর্বত মানুষের জীবনকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। মানবজীবনে পর্বতের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবগুলি হল—

হিমানী সম্প্ৰপাত

হিমানী সম্প্ৰপাত           পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে পার্বত্য অঞ্চলে তুষারক্ষেত্রের জমাট বাঁধা বরফ অত্যন্ত ধীরগতিতে পর্বতের ঢাল বেয়ে নীচের দিকে নেমে আসতে থাকে। সময় সময় পাহাড়ের ঢালে চলমান এইরকম হিমবাহ থেকে বিশাল বরফের স্তূপ ভেঙে বিপুলবেগে নীচের দিকে পড়তে দেখা যায়, একে হিমানী সম্প্রপাত বলে।  

রামমোহন রায়কে কেন ‘ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ’ মনে করা হয় ?

ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ রাজা রামমোহন রায়ই প্রথম আধুনিক যুক্তিবাদী মনন ও ধর্মনিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কুসংস্কারমুক্ত সমাজ গঠন ও সংস্কারমুক্ত ধর্মপ্রচারের কথা বলেন। এ ছাড়া পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রতি তাঁর সমর্থন ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে তাঁর রাজনৈতিক বিচার–বিশ্লেষণ তাঁকে ‘প্রথম আধুনিক মানুষ’ অভিধায় ভূষিত করেছে। এ প্রসঙ্গে রামমোহন রায়ের মৃত্যুশতবর্ষে (১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দের ১৮ ফেব্রুয়ারি), রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এক ইংরেজি প্রবন্ধে লিখেছিলেন, “রামমোহন তাঁর আমলের বিশ্বের সমস্ত মানুষের মধ্যে ছিলেন একমাত্র ব্যক্তি, যিনি সম্পূর্ণরূপে আধুনিক যুগের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরেছিলেন”।  রামমোহন রায়–ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ    (১) সমাজসংস্কারের প্রথম উদ্যোগের জন্য—  ‘সতীদাহ’ প্রথা রোধের লক্ষ্যে রামমোহন রায় সমাজের বিশিষ্ট নাগরিকদের স্বাক্ষর সংবলিত এক আবেদনপত্র বড়োলাট উইলিয়াম বেন্টিঙ্কের কাছে পাঠান। বেন্টিঙ্ক রামমোহনের আবেদনে সাড়া দিয়ে ১৭ নং রেগুলেশন (Regulation–XVII) জারি করে সতীদাহ প্রথা রদ করেন। এ ছাড়াও তিনি বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, কৌলীন্য প্রথা, জাতিভেদ প্রথা, কন্যাপণ, গঙ্গাসাগ...