Skip to main content

সাম্প্রতিক পোস্ট

প্রাচীন ভারত ও ভৌগোলিক প্রেক্ষাপট (Ancient India and Geographical Context) - প্রশ্নোত্তর

প্রাচীন ভারত ও ভৌগোলিক প্রেক্ষাপট (Ancient India and Geographical Context) - প্রশ্নোত্তর ১। ভারতবর্ষকে কে নৃতত্ত্বের যাদুঘর আখ্যা দিয়েছেন? উঃ। ভিনসেন্ট স্মিথ ভারতবর্ষকে 'নৃতত্ত্বের যাদুঘর' বলে আখ্যা দিয়েছেন। ২। দ্রাবিড় সভ্যতা ভারতের কোথায় প্রথম গড়ে ওঠে? উঃ। দ্রাবিড় সভ্যতা প্রথম গড়ে ওঠে দক্ষিণ ভারতে। ৩। 'নাডিক' নামে কারা পরিচিত? উঃ। আর্যরা 'নার্ডিক' নামে পরিচিত। ৪। ভারতের প্রচীনতম লিপি কোনটি? উঃ। ভারতের প্রাচীনতম লিপি হল সিন্ধু লিপি।

প্রাচীন ভারত ও ভৌগোলিক প্রেক্ষাপট (Ancient India and Geographical Context) - প্রশ্নোত্তর

প্রাচীন ভারত ও ভৌগোলিক প্রেক্ষাপট (Ancient India and Geographical Context) - প্রশ্নোত্তর



১। ভারতবর্ষকে কে নৃতত্ত্বের যাদুঘর আখ্যা দিয়েছেন?

উঃ। ভিনসেন্ট স্মিথ ভারতবর্ষকে 'নৃতত্ত্বের যাদুঘর' বলে আখ্যা দিয়েছেন।

২। দ্রাবিড় সভ্যতা ভারতের কোথায় প্রথম গড়ে ওঠে?

উঃ। দ্রাবিড় সভ্যতা প্রথম গড়ে ওঠে দক্ষিণ ভারতে।

৩। 'নাডিক' নামে কারা পরিচিত?

উঃ। আর্যরা 'নার্ডিক' নামে পরিচিত।

৪। ভারতের প্রচীনতম লিপি কোনটি?

উঃ। ভারতের প্রাচীনতম লিপি হল সিন্ধু লিপি।

৫। কে. কবে অশোকের শিলালিপির পাঠোদ্ধার করেন?

উঃ। স্যার জেমস প্রিন্সেপ ১৮৩৭ খ্রিস্টাব্দে অশোকের শিলালিপির পাঠোদ্ধার করেন।

৬। কোন প্রশস্তিতে গৌতমীপুত্র সাতকর্ণীর কাহিনি বর্ণিত হয়েছে?

উঃ। 'নাসিক প্রশস্তি'তে গৌতমীপুত্র সাতকর্ণীর কাহিনি বর্ণিত হয়েছে।

৭। 'এলাহাবাদ প্রশস্তি'তে কার কীর্তি বর্ণিত হয়েছে?

উঃ। 'এলাহাবাদ প্রশস্তিতে সমুদ্রগুপ্তের কীর্তি বর্ণিত হয়েছে।

৮। 'আইহোল প্রশস্তিটি কে খোদাই করেন?

উঃ। চালুক্যরাজ দ্বিতীয় পুলকেশির সভাকবি রবিকীর্তি আইহোল প্রশস্তিটি খোদাই করেন।

৯। মেগাস্থিনিস কে ছিলেন?

উঃ। মেগাস্থিনিস হলেন 'ইন্ডিকা' গ্রন্থের রচয়িতা।

১০। 'মৃচ্ছকটিকম্' কে লিখেছেন?

উঃ। 'শূদ্রক' মৃচ্ছকটিকম্ লিখেছেন।

১১। ফা-হিয়েনের বিবরণীটির নাম কী?

উঃ। ফা-হিয়েনের বিবরণীটির নাম 'ফো-কিয়ো-কি'।

১২। 'হর্ষচরিত' কার লেখা?

উঃ। 'হর্ষচরিত' বাণভট্টের লেখা।

১৩। 'রামচরিত' কার লেখা?

উঃ। 'রামচরিত' সন্ধ্যাকর নন্দী-র লেখা।

১৪। 'গৌড়বাহ' কার রচনা?

উঃ। বাকপতিরাজ 'গৌড়বাহ' রচনা করেন।

১৫। 'এলাহাবাদ প্রশস্তি' কার রচনা?

উঃ। সমুদ্রগুপ্তের সভাকবি হরিষেণ 'এলাহাবাদ প্রশস্তি' রচনা করেন।

১৬। 'রাজতরঙ্গিণী' গ্রন্থের রচয়িতা কে? তাতে কোথাকার ইতিহাস পাওয়া যায়?

উঃ। কলহন রাজতরঙ্গিণী গ্রন্থটি রচনা করেন। এই গ্রন্থ থেকে কাশ্মীরের রাজবংশের ধারাবাহিক ইতিহাস পাওয়া যায়।

১৭। 'নাসিক প্রশস্তিতে' কোন্ রাজার কীর্তি বর্ণিত হয়েছে এবং কে রচনা করেন? 

উঃ। 'নাসিক প্রশস্তিতে' গৌতমীপুত্র সাতকণীর কীর্তি বর্ণিত হয়েছে। এটি তাঁর মা গৌতমী বলশ্রী রচনা করেন।

১৮। 'বিক্রমাঙ্কদেবচরিত' কে রচনা করেন?

উঃ। বিলহন 'বিক্রমাঙ্কদেবচরিত' রচনা করেন।

১৯। 'অর্থশাস্ত্র' কে রচনা করেন?

উঃ। কৌটিল্য 'অর্থশাস্ত্র' রচনা করেন।।

২০। 'বুদ্ধচরিত' কার রচনা?

উঃ। অশ্বঘোষ 'বুদ্ধচরিত' রচনা করেন।

২১। 'তহকি-ই-হিন্দ' কে রচনা করেন?

উঃ। অলবেরুনি 'তহকিক্-ই-হিন্দ' রচনা করেন। এটি তাঁর ভারতভ্রমণের বিবরণীবিশেষ।

২২। 'মুদ্রারাক্ষস' কার লেখা?

উঃ। বিশাখদত্ত 'মুদ্রারাক্ষস' লিখেছেন।

২৩। 'দায়ভাগ' কার লেখা?

উঃ। জীমূতবাহন 'দায়ভাগ' লিখেছেন।

২৪। 'গীতগোবিন্দ' কার লেখা?

উঃ। জয়দেব 'গীতগোবিন্দ' লিখেছেন।

২৫। 'দানসাগর' ও 'অদ্ভুতসাগর' কার লেখা?

উঃ। বল্লাল সেন 'দানসাগর' ও 'অদ্ভুতসাগর' রচনা করেছেন।

২৬। 'কথাসরিৎসাগর কথামালা' কার লেখা?

উঃ। সোমদেব ভট্ট 'কথাসরিৎসাগর কথামালা' রচনা করেছেন।

২৭। 'কুমারপালচরিত' কার লেখা?

উঃ। হেমচন্দ্র 'কুমারপালচরিত' রচনা করেছেন।

২৮। 'গৌড়বহ' কে রচনা করেন?

উঃ। বাষ্পতিরাজ 'গৌড়বহ' রচনা করেন।

২৯। 'পেরিপ্লাস অফ দি ইরিথ্রিয়ান সি' কার রচনা?

উঃ। জনৈক অজ্ঞাতনামা গ্রিক লেখক এটি রচনা করেন।

৩০। হিউয়েন সাঙ-এর লেখা গ্রন্থের নাম কী?

উঃ। হিউয়েন সাঙ্-এর লেখা গ্রন্থের নাম সিইউ-কি।

৩১। মহাভাষ্য কে রচনা করেন?

উঃ। পতঞ্জলি 'মহাভাষ্য' রচনা করেন।

৩২। 'নানঘাট শিলালিপি' কে রচনা করেন?

উঃ। প্রথম সাতকর্ণীর মা নয়নিকা বা নাগনিকা 'নানঘাট শিলালিপি' রচনা করেন।

৩৩। 'গোয়ালিয়র লিপি' কে খোদাই করেন?

উঃ। প্রতিহাররাজ প্রথম ভোজরাজ 'গোয়ালিয়র লিপি' খোদাই করেন।

৩৪। 'কলিঙ্গলিপি' কে খোদাই করেন?

উঃ। সম্রাট অশোক 'কলিঙ্গলিপি' খোদাই করেন।

৩৫। 'অষ্টাধ্যায়ী' কে রচনা করেন?

উঃ। পাণিনি 'অষ্টাধ্যায়ী' রচনা করেন।

৩৬। 'খালিমপুর তাম্রলিপি' কে রচনা করেন?

উঃ। পালরাজা ধর্মপাল 'খালিমপুর তাম্রলিপি' রচনা করেন।

৩৭। 'গঞ্চামলিপি' কে খোদাই করেন?

উঃ। গৌড়রাজ শশাঙ্ক 'গঞ্জামলিপি' খোদাই করেন।

৩৮। 'এরাণ শিলালিপি' কে খোদাই করেন?

উঃ। দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত 'এরাণ শিলালিপি' খোদাই করেন।

৩৯। 'দেওপাড়া প্রশস্তি' কে খোদাই করেন?

উঃ। বিজয় সেনের সভাকবি উমাপতি ধর 'দেওপাড়া প্রশস্তি' রচনা করেন।

৪০। 'হাতিগুম্ফালিপি' কোন্ সময়ের?

উঃ। কলিঙ্গরাজ খারবেল-এর সময়কার।

৪১। হর্ষবর্ধনের রাজত্বকালে কোন্ পর্যটক ভারতে আসেন?

উঃ। হর্ষবর্ধনের রাজত্বকালে হিউয়েন সাঙ ভারতে আসেন।

৪২। অলবেরুণি কখন ভারতে আসেন?

উঃ। সুলতান মামুদের ভারত আক্রমণকালে অলবেরুণি ভারতে আসেন।

৪৩। 'ইতিহাসের জনক' কাকে বলা হয়?

উঃ। হেরোডোটাস-কে 'ইতিহাসের জনক' বলা হয়।

৪৪। কোন্ পর্বত ভারতবর্ষকে দুটি খণ্ডে বিভক্ত করেছে?

উঃ। বিন্ধ্যপর্বত ভারতবর্ষকে দুটি ভাগে বিভক্ত করেছে।

৪৫। পুরাণের সংখ্যা কয়টি?

উঃ। পুরাণের সংখ্যা ১৮টি।

৪৬। সিংহলের দুটি বৌদ্ধগ্রন্থের নাম লেখো।

উঃ। সিংহলের দুটি বৌদ্ধগ্রন্থের নাম হল- (ক) দীপবংশ, (খ) মহাবংশ।

৪৭। প্রাচীনকালের দু-জন রোমান লেখকের নাম লেখো।

উঃ। প্রাচীনকালের দু-জন রোমান লেখক হলেন- (ক) প্লুটার্ক, (খ) প্লিনি।

৪৮। 'জিওগ্রাফি' কে রচনা করেন?

উঃ। টলেমি (Ptolemy) 'জিওগ্রাফি' রচনা করেন।

৪৯। 'ন্যাচারালিস হিস্টোরিয়া' কে রচনা করেন?

উঃ। রোমান ঐতিহাসিক প্লিনি 'ন্যাচারালিস হিস্টোরিয়া' রচনা করেন।

৫০। 'দশকুমার চরিত' কার রচনা?

উঃ। দন্ডিন 'দশকুমার চরিত' রচনা করেন।

৫১। 'ন্যায়কন্দলী' গ্রন্থের রচয়িতা কে?

উঃ। শ্রীধর ভট্ট 'ন্যায়কন্দলী' রচনা করেন।

৫২। 'তাবাকাৎ-ই-নাসিরি' কার রচনা?

উঃ। মিনহাজ-উস-সিরাজ 'তাবাকাৎ-ই-নাসিরি' রচনা করেছেন।

৫৩। 'সিয়েন-হান-সু' কার রচনা?

উঃ। প্যান-কু 'সিয়েন-হান-সু' রচনা করেছেন।

৫৪। 'হৌ-হান-সু' গ্রন্থটি থেকে কোন্ রাজবংশের ইতিহাস জানা যায়? গ্রন্থটি কে রচনা করেন?

উঃ। 'হৌ-হান-সু' গ্রন্থটি থেকে কুষাণদের সম্পর্কে কিছু তথ্য পাওয়া যায়। ফ্যান-ই এই গ্রন্থটি রচনা করেন।

৫৫। 'মুন্তাখাব-উল-লুবাব' কে লিখেছিলেন?

উঃ। কাফি খাঁ 'মুন্তাখাব-উল-লুবাব' রচনা করেন।

৫৬। জুনাগড় স্তম্ভলিপি কে খোদাই করেন?

উঃ। শক রাজা রুদ্রদামন এই স্তম্ভলিপিটি খোদাই করেন।

৫৭। 'আকবরনামা' কে রচনা করেন?

উঃ। 'আকবরনামা'-আবুল ফজল রচনা করেন।

৫৮। 'আইন-ই-আকবরি' গ্রন্থটি কার লেখা?

উঃ। আবুল ফজল-আইন-ই-আকবরি গ্রন্থটি লিখেছেন।

৫৯। 'হুমায়ূননামা' কার রচনা?

উঃ। সম্রাট হুমায়ুনের ভগ্নী গুলবদন বেগম এই গ্রন্থটি রচনা করেন। 

Comments

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য

  ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য Sl. No. ঘূর্ণবাত প্রতীপ ঘূর্ণবাত 1 ঘূর্ণবাতের নিম্নচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর উচ্চচাপ বলয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের উচ্চচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর নিম্নচাপ বলয়। 2 নিম্নচাপ কেন্দ্রে বায়ু উষ্ণ, হালকা ও ঊর্ধ্বগামী হয়। উচ্চচাপ কেন্দ্রে বায়ু শীতল, ভারী ও নিম্নগামী হয়। 3 ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে, ফলে বিস্তীর্ণ অঞ্চল অল্প সময়ে প্রভাবিত হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে না। 4 ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে এবং বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘমুক্ত থাকে। বৃষ্টিপাত ও ঝড়-ঝঞ্ঝা ঘটে না। মাঝেমাঝে তুষারপাত ও কুয়াশার সৃষ্টি হয়৷ 5 ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে নিম্নচাপ বিরাজ করে। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে উচ্চচাপ বিরাজ করে। 6 চারিদিক থেকে ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রের দিকে বায়ু ছুটে আসে অর্থাৎ বায়ুপ্রবাহ কেন্দ্রমুখী। প্রতীপ ঘূর্ণবাতে কেন...

ভরা কোটাল ও মরা কোটালের পার্থক্য

  ভরা কোটাল ও মরা কোটালের পার্থক্য Sl. No. ভরা কোটাল মরা কোটাল 1 চাঁদ, পৃথিবী ও সূর্য একই সরল রেখায় অবস্থান করলে চাঁদ ও সূর্যের মিলিত আকর্ষণ পৃথিবীর একই স্থানের উপর কার্যকরী হয়, ফলে ভরা কোটালের সৃষ্টি হয়। চাঁদ, পৃথিবী ও সূর্য সমকোণী অবস্থানে থাকলে পৃথিবীর উপর চাঁদ ও সূর্যের আকর্ষণ পরস্পর বিপরীত ও বিরোধী হয়, ফলে মরা কোটালের সৃষ্টি হয়। 2 মানবজীবনের উপর ভরা কোটালে (নদী-মোহানা, নৌ-চলাচল, মাছ আহরণ ইত্যাদি)-র প্রভাব বেশি। মানবজীবনের উপর মরা কোটালের প্রভাব কম। 3 ভরা কোটাল হয় অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে। মরা কোটাল হয় শুক্ল ও কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে। 4 ভরা কোটালের ক্ষেত্রে সাগর-মহাসাগরের জলতল সবচেয়ে বেশী স্ফীত হয়। মরা কোটালের ক্ষেত্রে সাগর-মহাসাগরের জলতলের স্ফীতি সবচেয়ে কম হয়। 5 অমাবস্যা তিথিতে পৃথিবীর একই পাশে একই সরলরেখায় চাঁদ ও সূর্য অবস্থান করে। পূর্ণিমা তিথিতে সূর্য ও চাঁদের মাঝে পৃথিবী একই সরলরেখায় অবস্থান করে। কৃষ্ণ ও শুক্ল পক্ষের অষ্টমীত...

মানব জীবনের ওপর পর্বতের প্রভাব উল্লেখ করো।

মানব জীবনের ওপর পর্বতের প্রভাব উল্লেখ করো। সমুদ্র সমতল থেকে অন্তত ১০০০ মিটারের বেশি উঁচু ও বহুদূর বিস্তৃত শিলাময় স্তূপ যার ভূপ্রকৃতি অত্যন্ত বন্ধুর, ভূমির ঢাল বেশ খাড়া এবং গিরিশৃঙ্গ ও উপত্যকা বর্তমান তাকে পর্বত বলে৷ খাড়াভাবে দাঁড়িয়ে থাকা এই পর্বত মানুষের জীবনকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। মানবজীবনে পর্বতের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবগুলি হল—

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।   অথবা,  একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।  অথবা,  নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও।             উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়।  এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়।  নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা:       পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...

ষাঁড়াষাঁড়ি বান

ষাঁড়াষাঁড়ি বান              বর্ষাকালে স্বাভাবিক কারণেই নদীতে জলের পরিমাণ ও বেগ বেশি থাকে। এই সময় জোয়ারের জল নদীর    মোহানায় প্রবেশ করলে জোয়ার ও নদীস্রোত—এই বিপরীতমুখী দুই স্রোতের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এর ফলে নদীর জল প্রবল শব্দ সহকারে প্রচণ্ড স্ফীত হয়ে ওঠে।  

স্থলবায়ু ও সমুদ্রবায়ুর মধ্যে পার্থক্য

  স্থলবায়ু ও সমুদ্রবায়ুর মধ্যে পার্থক্য Sl. No. স্থলবায়ু সমুদ্রবায়ু 1 স্থলবায়ু মূলত শীতল ও শুষ্ক প্রকৃতির হয়। সমুদ্রবায়ু মূলত উষ্ণ ও আর্দ্র প্রকৃতির হয়। 2 স্থলবায়ু প্রধানত রাত্রিবেলায় প্রবাহিত হয়। সমুদ্রবায়ু প্রধানত দিনেরবেলায় প্রবাহিত হয়। 3 সূর্যাস্তের পরবর্তী সময়ে এই বায়ুর প্রবাহ শুরু হয় ও রাত্রির শেষদিকে বায়ুপ্রবাহের বেগ বৃদ্ধি পায়। সূর্যোদয়ের পরবর্তী সময়ে এই বায়ুরপ্রবাহ শুরু হয় ও অপরাহ্নে বায়ুপ্রবাহে বেগ বৃদ্ধি পায়। 4 স্থলবায়ু উচ্চচাযুক্ত স্থলভাগ থেকে নিম্নচাপযুক্ত জলভাগের দিকে প্রবাহিত হয়। এই কারণে স্থলবায়ুকে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর সঙ্গে তুলনা করা হয়। সমুদ্রবায়ু উচ্চচাপযুক্ত সমুদ্র থেকে নিম্নচাপযুক্ত স্থলভাগের দিকে প্রবাহিত হয়। এই কারণে সমুদ্রবায়ুকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সঙ্গে তুলনা করা হয়। 5 স্থলভাগের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হবার দরুন বেগ তুলনামূলক কম হয়ে থাকে। উন্মুক্ত সমুদ্রের ওপর দিয়ে দীর্ঘপথ প্রবাহিত হ...

প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা

প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা ‘মেখলা’ শব্দের মানে হল ‘কোমর বন্ধনী’। অসংখ্য আগ্নেয়গিরি মেখলা বা কোমর বন্ধনীর আকারে কোনো বিস্তীর্ণ অঞ্চলে যখন অবস্থান করে, তখন তাকে ‘আগ্নেয় মেখলা’ বলা হয়। ভূবিজ্ঞানীর মতে, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশীয় পাতের সঙ্গে ও এশীয় মহাদেশীয় পাতের সঙ্গে প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাতের ক্রমাগত সংঘর্ষের ফলে পাত সীমায় ফাটল বরাবর অগ্ন্যুৎপাত ঘটে থাকে এবং আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি হয়। 

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (১৮৭৮ খ্রি.)

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন প্রবর্তন সাম্রাজ্যবাদী গভর্নর–জেনারেল লর্ড লিটন দেশীয় পত্রপত্রিকার কণ্ঠরোধ করার সিদ্ধান্ত নেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (Vernacular Press Act, 1878) জারি করেন। পটভূমি ঊনবিংশ শতকে দেশীয় সংবাদপত্রগুলিতে সরকারি কর্মচারীদের অন্যায় আচরণ, অর্থনৈতিক শোষণ, দেশীয় সম্পদের বহির্গমন, দেশীয় শিল্পের অবক্ষয় ইত্যাদি নানা বিষয় তুলে ধরা হয়। ইতিহাসবিদ এ.আর.দেশাইয়ের মতে, “ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিকাশে সংবাদপত্র হল এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম”।

নদী উপত্যকা এবং হিমবাহ উপত্যকার মধ্যে পার্থক্য

  নদী উপত্যকা এবং হিমবাহ উপত্যকার মধ্যে পার্থক্য Sl. No. নদী উপত্যকা হিমবাহ উপত্যকা 1 মেরু প্রদেশের বরফাবৃত অঞ্চল এবং উষ্ণ ও শুষ্ক মরুভূমি অঞ্চল ছাড়া অন্যান্য অঞ্চলে নদী উপত্যকার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। কেবলমাত্র বরফে ঢাকা উঁচু পার্বত্য অঞ্চল এবং হিমশীতল মেরু অঞ্চলেই হিমবাহ উপত্যকার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। 2 পার্বত্য অঞ্চলে নদী উপত্যকা প্রধানত ইংরেজি ‘V’ অক্ষরের মতো হয়। হিমবাহ উপত্যকা ইংরেজি ‘U’ অক্ষরের মতো হয়। 3 পার্বত্য ও উচ্চ সমভূমি অঞ্চলে নদী স্রোতের গতিবেগ প্রবল হয়, নিম্নভূমিতে নদী স্রোতের গতি ধীরে ধীরে কমে আসে। বেশিরভাগ সময়েই হিমবাহ অত্যন্ত ধীরগতিতে প্রবাহিত হয়। 4 নদী উপত্যকা আঁকাবাঁকা পথে অগ্রসর হয়। হিমবাহ উপত্যকা সোজা পথে অগ্রসর হয়। 5 সাধারণত নদী উপত্যকার মোট দৈর্ঘ্য বেশি হয়। হিমবাহ উপত্যকার মোট দৈর্ঘ্য কম হয়। 6 নদীর সঞ্চয় কাজের ফলে নদী উপত্যকায় প্লাবনভূমি, স্বাভাবিক বাঁধ, বদ্বীপ প্রভৃতি ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়। ...

জাতীয়তাবাদের বিকাশে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান কী ?

          বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮–৯৪ খ্রি.) ছিলেন ঊনবিংশ শতকের অগ্রণী ঔপন্যাসিক ও প্রবন্ধকার। বঙ্কিমচন্দ্রের অধিকাংশ উপন্যাসের বিষয়বস্তু ছিল স্বদেশ ও দেশপ্রেম। বঙ্কিমচন্দ্রের সৃষ্টি ভারতীয় জাতীয়তাবোধের বিকাশে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিল। তাঁর ‘বন্দেমাতরম্’–মন্ত্র ছিল বিপ্লবীদের বীজমন্ত্র। অরবিন্দ ঘোষ তাই বঙ্কিমকে ‘জাতীয়তাবোধের ঋত্বিক’ বলেছেন।