Skip to main content

সাম্প্রতিক পোস্ট

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১০০টি বিখ্যাত লাইন

 বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১০০টি বিখ্যাত লাইন  ১. "অরণ্য এক বিশাল, স্থির, অতলস্পর্শী নির্জনতা।"  ২. "এই নিস্তব্ধতা বড় গভীর, বড় মধুর।"  ৩. "প্রকৃতির রূপ ও রসের ভান্ডার অফুরান।" ৪. "আকাশের মেঘগুলি যেন উদাস দুপুরে কার কথা ভাবিতেছে।"  ৫. "মানুষের জীবনের সকল আনন্দ ও শান্তিতে প্রকৃতির ছায়া পড়ে।" 

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১০০টি বিখ্যাত লাইন

 বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১০০টি বিখ্যাত লাইন 



১. "অরণ্য এক বিশাল, স্থির, অতলস্পর্শী নির্জনতা।" 

২. "এই নিস্তব্ধতা বড় গভীর, বড় মধুর।" 

৩. "প্রকৃতির রূপ ও রসের ভান্ডার অফুরান।"

৪. "আকাশের মেঘগুলি যেন উদাস দুপুরে কার কথা ভাবিতেছে।" 

৫. "মানুষের জীবনের সকল আনন্দ ও শান্তিতে প্রকৃতির ছায়া পড়ে।" 

৬. "নক্ষত্রগুলি যেন দূর স্বর্গের পথ দেখাইতেছে।" 

৭. "পৃথিবীতে আর কোথাও এমন নিস্তব্ধ, রহস্যময় দুপুর দেখেছি কিনা সন্দেহ।"

৮. "বনানীর মধ্যে সে এক অপূর্ব সৌন্দর্য দেখিতে পাইল, যাহা মানব-লোকের বাহিরে।"

৯. "পৃথিবী যে কত সুন্দর, কত রহস্যময়, এখানে না আসিলে তা জানা যাইত না।"

১০. "আলো-ছায়ার এই খেলা, আর এই বিরাট নিঃশব্দতা... মনে হয় যেন এক চিরকালের স্বপ্নপুরী।"

১১. "মানুষের জীবনে দুঃখ আসে বটে, কিন্তু সে দুঃখের মধ্যেই জীবনের একটা গভীর আনন্দ লুকিয়ে থাকে।" 

১২. "জীবন বড় মধুময়, শুধু এইজন্য যে, এই মাধুর্যের অনেকটাই স্বপ্ন ও কল্পনা দিয়ে গড়া।" 

১৩. "মৃত্যু তো জীবনেরই অঙ্গ, তাহাকে ভয় কেন?"

১৪. "ক্ষুদ্র জীবনের ক্ষুদ্র তুচ্ছতা ছাড়াইয়া উঠিতে না পারিলে মহৎ জীবন লাভ করা যায় না।" 

১৫. "মানুষের জীবনে এমন সব অদ্ভুত ঘটনা ঘটে যা উপন্যাসে ঘটাতে গেলে পাঠকরা বিশ্বাস করতে চাইবে না।" 

১৬. "জীবন কেবল চলার নাম, থামিয়া গেলেই সব শেষ।" 

১৭. "বড় হয়ে উঠা মানে জীবনের জটিলতার সঙ্গে পরিচিত হওয়া।" 

১৮. "অজানাকে জানবার কৌতূহল মানুষের চিরন্তন।" 

১৯. "সবচেয়ে বড় ধর্ম হল, মানুষ হওয়া।" 

২০. "আমরা কি শুধু বেঁচে থাকার জন্য বাঁচি? এর মধ্যে কোনো রহস্যময়তা নেই?"

২১. "করুণা ভালোবাসার সবচেয়ে মূল্যবান মশলা, তার গাঁথুনি বড় পাকা হয়।"

২২. "একশত বৎসর একসঙ্গে থাকিলেও কেহ হয়তো আমার হৃদয়ের বাহিরে থাকিয়া যায়, যদি না কোনো বিশেষ ঘটনায় সে আমার হৃদয়ের কবাট খুলিতে পারে।" 

২৩. "ভালোবাসা কোনো নিয়ম মানে না, সে তার নিজস্ব পথে চলে।"

২৪. "দরিদ্রের মনের আনন্দ পৃথিবীর কোনো ধনী জানে না।" 

২৫. "মানুষের মন বড়ই অদ্ভুত, সামান্য জিনিসেও সে কত আনন্দ পায়!"

২৬. "মানবের প্রেম ও প্রকৃতির সৌন্দর্য একই জিনিসের দুইটি ধারা।" 

২৭. "মানুষের মনকে বোঝা সহজ নয়, তার ভিতরে কত অন্ধকার আর কত আলো লুকিয়ে থাকে।" 

২৮. "পৃথিবীর ভালোবাসাই অমৃত।"

২৯. "দুঃখ জীবনের বড় সম্পদ, দৈন্য বড় সম্পদ, শোক, দারিদ্র্য, ব্যর্থতা বড় সম্পদ।" 

৩০. "সংসারে সকল দুঃখের ঔষধ একমাত্র প্রেম।"

৩১. মানুষের মন তো এই; সে যা পায় না তার দিকেই ছোটে। 

৩২. আলো যেমন অন্ধকারকে ভালোবাসে, সুখ তেমনি দুঃখকে চায়। 

৩৩. পৃথিবী বড় রহস্যময় স্থান, এর প্রত্যেকটি ধূলিকণায় কত না কথা লেখা আছে! 

৩৪. জীবনের পথে চলতে চলতে কত কিছুই তো হারায়। 

৩৫. ভয়কে জয় করাই জীবনের প্রথম কাজ। 

৩৬. সত্যের রূপ বড় কঠিন, তাহাকে গ্রহণ করিতে সাহস চাই। 

৩৭. যে জিনিস যত দুষ্প্রাপ্য, মানুষের মনের কাছে তাহার মূল্য তত বেশি।

৩৮. কল্পনা জীবনকে সুন্দর করে তোলে। 

৩৯. সময় দ্রুত চলে যায়, শুধু স্মৃতিগুলি পড়িয়া থাকে। 

৪০. জীবনে উন্নতি করা মানে আনন্দকে হারানো নয়। 

৪১. শুধু পয়সা থাকলেই সুখ হয় না, সুখ অন্য জিনিস। 

৪২. প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকিলেই মন শান্ত থাকে। 

৪৩. জীবনের পথে কোনো কিছুই স্থির নয়, সব কিছুই পরিবর্তনশীল। 

৪৪. যা কিছু সুন্দর, তা চিরন্তন। 

৪৫. আমরা কেন এত স্বার্থপর হই? 

৪৬. দুঃখের দিনেও হাসিতে শিখিতে হয়। 

৪৭. নিজের জীবনকে সুন্দর করাই শ্রেষ্ঠ শিল্প। 

৪৮. বড় হওয়ার স্বপ্ন না দেখলে কেউ বড় হতে পারে না। 

৪৯. সকল মানুষের মনেই একটি শিশু লুকানো থাকে। 

৫০. সরলতা জীবনের শ্রেষ্ঠ অলঙ্কার।

৫১. মহৎ জীবন লাভ করার জন্য ক্ষুদ্রতাকে অতিক্রম করতে হয়। 

৫২. আকাশ ও মাটি যেখানে মেশে, সেখানেই মুক্তির পথ। 

৫৩. আশা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। 

৫৪. সব পাওয়ার চেয়ে চাওয়ার আনন্দ বেশি। 

৫৫. যেখানে প্রেম নেই, সেখানে শান্তিও নেই। 

৫৬. মানুষের ধর্মই হল কৌতূহল। 

৫৭. অতীতকে ভুলে থাকা কঠিন। 

৫৮. বর্তমানই একমাত্র সত্য। 

৫৯. প্রত্যেকটি মানুষের নিজস্ব জগৎ আছে। 

৬০. বই আমাদের শ্রেষ্ঠ বন্ধু। 

৬১. অন্ধকারেও আলো খোঁজার চেষ্টা করো। 

৬২. জীবন বড় নিষ্ঠুর, আবার বড় দয়ালুও। 

৬৩. যে লোক কোনোদিন স্বপ্ন দেখেনি, সে কিছুই পায়নি। 

৬৪. প্রকৃতির কাছে কোনো ভেদাভেদ নেই। 

৬৫. আমাদের জীবনে যা ঘটে তার সবকিছুই একসময় স্মৃতি হয়ে যায়। 

৬৬. সাহসীরাই পৃথিবী শাসন করে। 

৬৭. নিঃসঙ্গতা অনেক সময়ই আনন্দের কারণ হয়। 

৬৮. মানুষ যা চায় তা সবসময় পায় না। 

৬৯. জীবন নদীর মতো বহমান। 

৭০. জ্ঞানের শেষ নেই। 

৭১. সামান্যতেই খুশি হওয়া শেখো। 

৭২. সময়ের মূল্য দেওয়া উচিত। 

৭৩. অন্যের সমালোচনা করার আগে নিজেকে দেখো। 

৭৪. সত্য সর্বদা জয়ী হয়। 

৭৫. ভালোবাসার কোনো সংজ্ঞা হয় না।

৭৬. ভয় পেয়ে লুকিয়ে থাকা কাপুরুষতা। 

৭৭. সকল কাজ মন দিয়ে করা উচিত। 

৭৮. সরল জীবনই সুখী জীবন। 

৭৯. অন্যের জন্য বাঁচাটাই আসল বাঁচা। 

৮০. মিথ্যা দিয়ে কোনো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা যায় না। 

৮১. ধৈর্যই সাফল্যের চাবিকাঠি। 

৮২. ভুল করা মানুষের স্বভাব। 

৮৩. কিন্তু ভুল শুধরে নেওয়া মহত্ত্ব। 

৮৪. নিজের ওপর বিশ্বাস রাখো। 

৮৫. জীবনে নতুন কিছু শেখার আগ্রহ থাকা চাই। 

৮৬. ছোট ছোট আনন্দই জীবনকে পূর্ণ করে তোলে। 

৮৭. প্রকৃতির ভাষা বুঝতে শেখো। 

৮৮. নীরবতা কখনও কখনও সবচেয়ে বড় উত্তর। 

৮৯. আলো এবং অন্ধকার একে অপরের পরিপূরক। 

৯০. পৃথিবী এক বিশাল নাট্যশালা।

৯১. যা তুমি ভালোবাসো, তা নিয়ে বাঁচো। 

৯২. অন্যের ভালো দেখতে শেখো। 

৯৩. ক্ষমা করা মহত্ত্বের লক্ষণ। 

৯৪. মানুষের মন আকাশের মতো অসীম। 

৯৫. নিজের ভেতরের সৌন্দর্যকে জাগিয়ে তোলো। 

৯৬. আশা ছাড়লে জীবন থেমে যায়। 

৯৭. ভালো কাজ কখনও বৃথা যায় না। 

৯৮. সব সমস্যারই সমাধান আছে। 

৯৯. মানুষের শেষ আশ্রয় হলো শান্তি। 

১০০. "কোথাও সূর্য্যের আলো নেই, সব সময়ই যেন গোধূলি।"


Comments

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য

  ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য Sl. No. ঘূর্ণবাত প্রতীপ ঘূর্ণবাত 1 ঘূর্ণবাতের নিম্নচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর উচ্চচাপ বলয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের উচ্চচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর নিম্নচাপ বলয়। 2 নিম্নচাপ কেন্দ্রে বায়ু উষ্ণ, হালকা ও ঊর্ধ্বগামী হয়। উচ্চচাপ কেন্দ্রে বায়ু শীতল, ভারী ও নিম্নগামী হয়। 3 ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে, ফলে বিস্তীর্ণ অঞ্চল অল্প সময়ে প্রভাবিত হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে না। 4 ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে এবং বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘমুক্ত থাকে। বৃষ্টিপাত ও ঝড়-ঝঞ্ঝা ঘটে না। মাঝেমাঝে তুষারপাত ও কুয়াশার সৃষ্টি হয়৷ 5 ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে নিম্নচাপ বিরাজ করে। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে উচ্চচাপ বিরাজ করে। 6 চারিদিক থেকে ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রের দিকে বায়ু ছুটে আসে অর্থাৎ বায়ুপ্রবাহ কেন্দ্রমুখী। প্রতীপ ঘূর্ণবাতে কেন...

ভরা কোটাল ও মরা কোটালের পার্থক্য

  ভরা কোটাল ও মরা কোটালের পার্থক্য Sl. No. ভরা কোটাল মরা কোটাল 1 চাঁদ, পৃথিবী ও সূর্য একই সরল রেখায় অবস্থান করলে চাঁদ ও সূর্যের মিলিত আকর্ষণ পৃথিবীর একই স্থানের উপর কার্যকরী হয়, ফলে ভরা কোটালের সৃষ্টি হয়। চাঁদ, পৃথিবী ও সূর্য সমকোণী অবস্থানে থাকলে পৃথিবীর উপর চাঁদ ও সূর্যের আকর্ষণ পরস্পর বিপরীত ও বিরোধী হয়, ফলে মরা কোটালের সৃষ্টি হয়। 2 মানবজীবনের উপর ভরা কোটালে (নদী-মোহানা, নৌ-চলাচল, মাছ আহরণ ইত্যাদি)-র প্রভাব বেশি। মানবজীবনের উপর মরা কোটালের প্রভাব কম। 3 ভরা কোটাল হয় অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে। মরা কোটাল হয় শুক্ল ও কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে। 4 ভরা কোটালের ক্ষেত্রে সাগর-মহাসাগরের জলতল সবচেয়ে বেশী স্ফীত হয়। মরা কোটালের ক্ষেত্রে সাগর-মহাসাগরের জলতলের স্ফীতি সবচেয়ে কম হয়। 5 অমাবস্যা তিথিতে পৃথিবীর একই পাশে একই সরলরেখায় চাঁদ ও সূর্য অবস্থান করে। পূর্ণিমা তিথিতে সূর্য ও চাঁদের মাঝে পৃথিবী একই সরলরেখায় অবস্থান করে। কৃষ্ণ ও শুক্ল পক্ষের অষ্টমীত...

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।   অথবা,  একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।  অথবা,  নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও।             উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়।  এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়।  নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা:       পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...

জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যগুলি কী ছিল ?

জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যগুলি কী ছিল      ভারতীয় জাতীয় রাজনীতিতে জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল মূলত ভারতবাসীর আশা–আকাঙ্ক্ষা পূরণ ও ব্রিটিশবিরোধী ক্ষোভের হাত থেকে ব্রিটিশ শাসনকে রক্ষা করার জন্যই।  জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য (১) কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশন— উদ্দেশ্য ঘোষণা—বোম্বাইয়ের গোকুলদাস তেজপাল সংস্কৃত কলেজ হল জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে (১৮৮৫ খ্রি., ২৮ ডিসেম্বর) সভাপতির ভাষণে উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে চারটি মূল উদ্দেশ্যের কথা ঘোষণা করেছিলেন। এগুলি হল—   (i) ভাষাগত ও ধর্মীয় বৈচিত্রে ভরা ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের দেশপ্রেমীদের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও একাত্মতা গড়ে তোলা, (ii) সম্প্রীতির দ্বারা জাতি, ধর্ম, প্রাদেশিকতার তুচ্ছ সংকীর্ণতা দূর করে জাতীয় সংহতির পথ প্রশস্ত করা, (iii) শিক্ষিতদের সুচিন্তিত মতামত গ্রহণ করে সামাজিক ও অন্যান্য সমস্যা সমাধানের উপায় নির্ণয় করা, (iv) ভারতের রাজনৈতিক অগ্রগতির জন্য ভবিষ্যৎ কর্মসূচি গ্রহণ করা।

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (১৮৭৮ খ্রি.)

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন প্রবর্তন সাম্রাজ্যবাদী গভর্নর–জেনারেল লর্ড লিটন দেশীয় পত্রপত্রিকার কণ্ঠরোধ করার সিদ্ধান্ত নেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (Vernacular Press Act, 1878) জারি করেন। পটভূমি ঊনবিংশ শতকে দেশীয় সংবাদপত্রগুলিতে সরকারি কর্মচারীদের অন্যায় আচরণ, অর্থনৈতিক শোষণ, দেশীয় সম্পদের বহির্গমন, দেশীয় শিল্পের অবক্ষয় ইত্যাদি নানা বিষয় তুলে ধরা হয়। ইতিহাসবিদ এ.আর.দেশাইয়ের মতে, “ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিকাশে সংবাদপত্র হল এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম”।

স্থলবায়ু ও সমুদ্রবায়ুর মধ্যে পার্থক্য

  স্থলবায়ু ও সমুদ্রবায়ুর মধ্যে পার্থক্য Sl. No. স্থলবায়ু সমুদ্রবায়ু 1 স্থলবায়ু মূলত শীতল ও শুষ্ক প্রকৃতির হয়। সমুদ্রবায়ু মূলত উষ্ণ ও আর্দ্র প্রকৃতির হয়। 2 স্থলবায়ু প্রধানত রাত্রিবেলায় প্রবাহিত হয়। সমুদ্রবায়ু প্রধানত দিনেরবেলায় প্রবাহিত হয়। 3 সূর্যাস্তের পরবর্তী সময়ে এই বায়ুর প্রবাহ শুরু হয় ও রাত্রির শেষদিকে বায়ুপ্রবাহের বেগ বৃদ্ধি পায়। সূর্যোদয়ের পরবর্তী সময়ে এই বায়ুরপ্রবাহ শুরু হয় ও অপরাহ্নে বায়ুপ্রবাহে বেগ বৃদ্ধি পায়। 4 স্থলবায়ু উচ্চচাযুক্ত স্থলভাগ থেকে নিম্নচাপযুক্ত জলভাগের দিকে প্রবাহিত হয়। এই কারণে স্থলবায়ুকে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর সঙ্গে তুলনা করা হয়। সমুদ্রবায়ু উচ্চচাপযুক্ত সমুদ্র থেকে নিম্নচাপযুক্ত স্থলভাগের দিকে প্রবাহিত হয়। এই কারণে সমুদ্রবায়ুকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সঙ্গে তুলনা করা হয়। 5 স্থলভাগের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হবার দরুন বেগ তুলনামূলক কম হয়ে থাকে। উন্মুক্ত সমুদ্রের ওপর দিয়ে দীর্ঘপথ প্রবাহিত হ...

গ্রস্ত উপত্যকা

গ্রস্ত উপত্যকা দুটি চ্যুতির মধ্যবর্তী অংশ বসে গেলে যে অবনমিত অঞ্চলের সৃষ্টি হয়, তাকে গ্রস্ত উপত্যকা বলে। এছাড়া, মহীভাবক আলোড়নের ফলে ভূপৃষ্ঠে সংকোচন ও প্রসারণ বলের সৃষ্টি হয়। যার ফলে ভূপৃষ্ঠের কঠিন শিলায় ফাটলের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীকালে পুনরায় ভূ-আন্দোলন ঘটলে বা ভূ-আলোড়নের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে ফাটল রেখা বরাবর শিলার একটি অংশ অপর অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, একে চ্যুতি বলে। সংনমন বল বৃদ্ধি পেলে দুটি চ্যুতির মাঝের অংশ খাড়াভাবে নীচে বসে যায়। অবনমিত, ওই অংশকে বলে গ্রস্ত উপত্যকা। 

মানব জীবনের ওপর পর্বতের প্রভাব উল্লেখ করো।

মানব জীবনের ওপর পর্বতের প্রভাব উল্লেখ করো। সমুদ্র সমতল থেকে অন্তত ১০০০ মিটারের বেশি উঁচু ও বহুদূর বিস্তৃত শিলাময় স্তূপ যার ভূপ্রকৃতি অত্যন্ত বন্ধুর, ভূমির ঢাল বেশ খাড়া এবং গিরিশৃঙ্গ ও উপত্যকা বর্তমান তাকে পর্বত বলে৷ খাড়াভাবে দাঁড়িয়ে থাকা এই পর্বত মানুষের জীবনকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। মানবজীবনে পর্বতের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবগুলি হল—

প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা

প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা ‘মেখলা’ শব্দের মানে হল ‘কোমর বন্ধনী’। অসংখ্য আগ্নেয়গিরি মেখলা বা কোমর বন্ধনীর আকারে কোনো বিস্তীর্ণ অঞ্চলে যখন অবস্থান করে, তখন তাকে ‘আগ্নেয় মেখলা’ বলা হয়। ভূবিজ্ঞানীর মতে, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশীয় পাতের সঙ্গে ও এশীয় মহাদেশীয় পাতের সঙ্গে প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাতের ক্রমাগত সংঘর্ষের ফলে পাত সীমায় ফাটল বরাবর অগ্ন্যুৎপাত ঘটে থাকে এবং আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি হয়। 

আবহবিকার ও ক্ষয়ীভবন মধ্যে পার্থক্য

  আবহবিকার ও ক্ষয়ীভবন মধ্যে পার্থক্য Sl. No. আবহবিকার ক্ষয়ীভবন 1 আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান যেমন—উষ্ণতা, বৃষ্টিপাত, জলীয় বাষ্প, তুষারপাত ও বিভিন্ন গ্যাসীয় উপাদান দ্বার শিলাসমূহের চূর্ণবিচূর্ণ হওয়া বা বিয়োজনকে আবহবিকার বলে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তি, যেমন—নদী, বায়ু, হিমবাহ, ইত্যাদি দ্বারা আবহবিকারপ্রাপ্ত চূর্ণবিচূর্ণ শিলাসমূহের অপসারণকে ক্ষয়ীভবন বলে। 2 আবহবিকারের ফলে মূল শিলার বৈশিষ্ট্যের (গঠন, আকৃতি, খনিজের আণবিক সজ্জা প্রভৃতি) পরিবর্তন ঘটে । ক্ষয়ীভবনের ফলে ভূমিরূপের পরিবর্তন সাধিত হয়। কিন্তু মূল শিলার বৈশিষ্ট্যের কোনো পরিবর্তন সাধন হয় না। 3 আবহবিকার কোনোভাবে ক্ষয়ীভবনের ওপর নির্ভরশীল নয়। ক্ষয়ীভবন সম্পূর্ণরূপে আবহবিকারের ওপর নির্ভরশীল। আবহবিকার প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হলে ক্ষয়ীভবন প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে না। 4 আবহবিকারের ফলে চূর্ণবিচূর্ণ শিলাসমূহ শিলাস্তর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মূল শিলাস্তরের ওপরেই অবস্থান করে। ক্ষয়ীভবনের ফলে আবহবিকার প্রাপ্ত শিলাচূর্ণ স্থানান্তরি...