দশম শ্রেণী - জীবনবিজ্ঞান - জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় - উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা এবং সাড়াপ্রদান - বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন বিভাগ ১: চলনের প্রাথমিক ধারণা ও জগদীশচন্দ্র বসু প্রশ্নঃ১. উদ্দীপকের প্রভাবে জীবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালনকে কী বলে? (ক) গমন (খ) চলন (গ) রেচন (ঘ) পুষ্টি উত্তর: (খ) চলন প্রশ্নঃ২. যে প্রক্রিয়ায় জীব স্বেচ্ছায় সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন করে তাকে কী বলে? (ক) চলন (খ) বিচলন (গ) গমন (ঘ) উদ্দীপনা উত্তর: (গ) গমন
গ্রাবরেখা
ভূবিজ্ঞানী স্ট্রলারের মতে, “Morains are ridge like depositional features of glacial tills"। প্রকৃতি ও অবস্থান অনুযায়ী গ্রাবরেখাকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়। যথা—
(১) পার্শ্ব-গ্রাবরেখা— হিমবাহের দু'পাশে শিলাস্তূপ প্রাচীরের মতো সঞ্চিত হলে তাকে পার্শ্ব গ্রাবরেখা বলে।
(২) প্রান্ত-গ্রাবরেখা— হিমবাহের শেষপ্রান্তে বা সামনে শিলাস্তূপ সঞ্চিত হলে তাকে প্রান্ত-গ্রাবরেখা বলে।
(৩) মধ্য-গ্রাবরেখা— দুটি হিমবাহ, দুদিক থেকে এসে একসঙ্গে মিলিত হলে উভয়ের মধ্যবর্তী অংশে আর একটি গ্রাবরেখার সৃষ্টি হয়, একে মধ্য-গ্রাবরেখা বলে। দুই-এর বেশি হিমবাহ মিলিত হলে একাধিক মধ্য-গ্রাবরেখার সৃষ্টি হতে পারে।
(৪) তলদেশ-গ্রাবরেখা— শিলাচূর্ণ ফাটল পথে নীচে গিয়ে হিমবাহের তলদেশে সঞ্চিত হয়ে তলদেশ-গ্রাবরেখা সৃষ্টি করে।
(৫) আবদ্ধ গ্রাবরেখা— শিলাচূর্ণ ফাটল পথে নীচে গিয়ে হিমবাহের মধ্যে আটকে পড়ে আবদ্ধ-গ্রাবরেখা সৃষ্টি করে।
(৬) কেম— অনেক সময় হিমবাহের শেষপ্রান্তে কাদা, বালি, কাঁকর ইত্যাদি পদার্থ ত্রিকোণাকারে সঞ্চিত হয়ে যে প্রান্ত-গ্রাবরেখা সৃষ্টি হয় তাকে কেম বলে।
এ ছাড়া অন্যান্য গ্রাবরেখাগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল—হিমাদ্ধ গ্রাবরেখা, হিমতল গ্রাবরেখা, অবিন্যস্ত গ্রাবরেখা, রোজেন গ্রাবরেখা প্রভৃতি। তিস্তা নদীর উচ্চ-অববাহিকায় লাচুং ও লাচেন নামক স্থানে বিভিন্ন প্রকার গ্রাবরেখা লক্ষ করা যায়।
Comments
Post a Comment