ভারতীয় সভ্যতার বিবর্তন - সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ( Evolution of Indian Civilization - Short Questions and Answers ) ১। প্রস্তরযুগ বলতে কী বোঝো? প্রস্তরযুগকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী? যে যুগে মানুষ পাথরের হাতিয়ার ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করত, সেই যুগকে প্রস্তরযুগ বলা হয়। প্রস্তরযুগকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যথা- (১) প্রাচীন প্রস্তরযুগ, (২) মধ্য প্রস্তরযুগ, (৩) নব্য প্রস্তরযুগ। ২। প্রাচীন প্রস্তরযুগ, মধ্য প্রস্তরযুগ ও নব্য প্রস্তরযুগের একটা করে বৈশিষ্ট্য দাও। প্রাচীন প্রস্তরযুগ: প্রাচীন প্রস্তরযুগে মানুষ ছিল খাদ্য-সংগ্রাহক। বলা যেতে পারে-Age of Food-gathering Man. মধ্য প্রস্তরযুগ: মধ্য প্রস্তরযুগে মানুষ খাদ্য-উৎপাদকে পরিণত হয়। এসময়কে বলা হয়-Age of Food-producing Man. নব্য প্রস্তরযুগ: এসময় মানুষ নগর সভ্যতার সাথে পরিচিত হয়। ধাতুর যুগ শুরু হয়। ঐতিহাসিক গর্ডন চাইল্ড এসময়কে বলেছেন-Age of Urban Culture.
জৈবিক আবহবিকার
যান্ত্রিক ও রাসায়নিক আবহবিকার বা বিচূর্ণীভবন ছাড়াও উদ্ভিদ ও প্রাণীরা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে শিলাখণ্ডকে চূর্ণবিচূর্ণ করে বিচূর্ণীভবন করে থাকে, একে জৈবিক আবহবিকার বলে। এখানে মনে রাখা দরকার যে, জৈবিক আবহবিকার হল যান্ত্রিক আবহবিকারেরই একটি বিশেষ রূপ।
জৈবিক আবহবিকারকে প্রধানত দু-ভাগে ভাগ করা হয়। যথা–
(ক) জৈব-যান্ত্রিক আবহবিকার এবং
(খ) জৈব রাসায়নিক আবহবিকার
(ক) জৈব-যান্ত্রিক আবহবিকার–
উদ্ভিদ ও প্রাণীর দ্বারা সংঘটিত হয়। শিলাস্তরের মধ্যে উদ্ভিদের শিকড় প্রবেশ করলে তা শিলাস্তরের মধ্যে প্রচণ্ড চাপের সৃষ্টি করে এবং শিলাসমূহ আস্তেআস্তে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। আবার কিছু প্রাণী রয়েছে যেমন—ইঁদুর, ছুঁচো, কেঁচো, খরগোশ প্রভৃতি শিলার মধ্যে গর্ত খুঁড়ে থাকে। এতে শিলাস্তর দুর্বল ও আলগা হয়ে আবহবিকার প্রাপ্ত হয়।
(খ) জৈব-রাসায়নিক আবহবিকার–
এই আবহবিকারে শিলাসমূহ রাসায়নিকভাবে বিয়োজিত হয়ে থাকে। যেমন—মস, লিচেন, শৈবাল প্রভৃতি ছোটোছোটো উদ্ভিদ শিলার উপরিভাগে জন্মে থাকলে তা বৃষ্টির জলে পচে গিয়ে হিউমাসের সৃষ্টি করে। এই হিউমাস আবার বৃষ্টির জলে হিউমিক অ্যাসিডে রূপান্তরিত হয়। শিলার মধ্যে অবস্থিত খনিজ এই অ্যাসিডের সংস্পর্শে এলে বিয়োজিত হয় এবং শিলা আবহবিকার প্রাপ্ত হয়।
আরও পড়ুন::
Comments
Post a Comment