দশম শ্রেণী - জীবনবিজ্ঞান - জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় - উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা এবং সাড়াপ্রদান - 'সদৃশ জোড়' (Analogous Pair) 'সদৃশ জোড়' (Analogous Pair) বা প্রথম জোড়ার সম্পর্ক বুঝে দ্বিতীয় জোড়াটি পূরণ : ১. জগদীশচন্দ্র বসু : ক্রেস্কোগ্রাফ :: উদ্ভিদের কাণ্ডের আলোকবৃত্তি : ❓ অক্সিন ২. তীব্র আলোক : ফটোন্যাস্টিক :: আলোক উৎসের গতিপথ : ❓ ফটোট্রপিক ৩. সিসমোন্যাস্টিক : লজ্জাবতী :: প্রকরণ চলন : ❓ বনচাঁড়াল ৪. অনুকূল জিওট্রপিক : উদ্ভিদের মূল :: প্রতিকূল জিওট্রপিক : ❓ সুন্দরী গাছের শ্বাসমূল ৫. সূর্যমুখী : ফটোন্যাস্টিক :: টিউলিপ : ❓ থার্মোন্যাস্টিক
জৈবিক আবহবিকার
যান্ত্রিক ও রাসায়নিক আবহবিকার বা বিচূর্ণীভবন ছাড়াও উদ্ভিদ ও প্রাণীরা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে শিলাখণ্ডকে চূর্ণবিচূর্ণ করে বিচূর্ণীভবন করে থাকে, একে জৈবিক আবহবিকার বলে। এখানে মনে রাখা দরকার যে, জৈবিক আবহবিকার হল যান্ত্রিক আবহবিকারেরই একটি বিশেষ রূপ।
জৈবিক আবহবিকারকে প্রধানত দু-ভাগে ভাগ করা হয়। যথা–
(ক) জৈব-যান্ত্রিক আবহবিকার এবং
(খ) জৈব রাসায়নিক আবহবিকার
(ক) জৈব-যান্ত্রিক আবহবিকার–
উদ্ভিদ ও প্রাণীর দ্বারা সংঘটিত হয়। শিলাস্তরের মধ্যে উদ্ভিদের শিকড় প্রবেশ করলে তা শিলাস্তরের মধ্যে প্রচণ্ড চাপের সৃষ্টি করে এবং শিলাসমূহ আস্তেআস্তে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। আবার কিছু প্রাণী রয়েছে যেমন—ইঁদুর, ছুঁচো, কেঁচো, খরগোশ প্রভৃতি শিলার মধ্যে গর্ত খুঁড়ে থাকে। এতে শিলাস্তর দুর্বল ও আলগা হয়ে আবহবিকার প্রাপ্ত হয়।
(খ) জৈব-রাসায়নিক আবহবিকার–
এই আবহবিকারে শিলাসমূহ রাসায়নিকভাবে বিয়োজিত হয়ে থাকে। যেমন—মস, লিচেন, শৈবাল প্রভৃতি ছোটোছোটো উদ্ভিদ শিলার উপরিভাগে জন্মে থাকলে তা বৃষ্টির জলে পচে গিয়ে হিউমাসের সৃষ্টি করে। এই হিউমাস আবার বৃষ্টির জলে হিউমিক অ্যাসিডে রূপান্তরিত হয়। শিলার মধ্যে অবস্থিত খনিজ এই অ্যাসিডের সংস্পর্শে এলে বিয়োজিত হয় এবং শিলা আবহবিকার প্রাপ্ত হয়।
আরও পড়ুন::
Comments
Post a Comment