বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য ভারত-ইতিহাসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য এক মহাদেশের সারাংশ (Epitome of the World) ভারতবর্ষ শুধুমাত্র একটি দেশ নয়, এটি একটি উপ-মহাদেশের সমতুল্য। প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য, নৃতাত্ত্বিক ভিন্নতা এবং সাংস্কৃতিক বিপুলতা সত্ত্বেও এই ভূখণ্ডের হাজার বছরের ইতিহাসে যে "অন্তর্নিহিত মৌলিক ঐক্য" ( Fundamental Unity ) বারবার প্রকাশিত হয়েছে, তা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। ঐতিহাসিক ভিনসেন্ট স্মিথ এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যকে যথার্থই " India offers unity in diversity " বা "বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য" বলে আখ্যা দিয়েছেন। যুগে যুগে বিভিন্ন জাতি, ধর্ম ও ভাষাভাষী মানুষের মিলনকেন্দ্র হওয়ায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতবর্ষকে "মহামানবের সাগরতীর" নামে অভিহিত করেছেন। ভারতবর্ষের বৈচিত্র্যের স্বরূপ (The Nature of Diversity) ভারতের বৈচিত্র্যকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়: ক) প্রাকৃতিক বা ভৌগোলিক বৈচিত্র্য: ভূ-প্রকৃতি: উত্...
জারণ বা অক্সিডেশন
শিলা গঠনকারী খনিজের সঙ্গে অক্সিজেনের সংযোজনের ফলে শিলার যে আবহবিকার ঘটে, তাকে জারণ বা অক্সিডেশন বলে। যেসব শিলায় লোহার পরিমাণ বেশি সেখানে এই ধরনের আবহবিকার বেশি সংঘটিত হয়।
সাধারণভাবে লোহা যখন ‘ফেরাস অক্সাইড’ হিসাবে অবস্থান করে তা সহজে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না, কিন্তু লোহার সঙ্গে বাতাসের অক্সিজেন যুক্ত হলে লোহার উপরিভাগে হলুদ বা বাদামি রঙের একটি নতুন যৌগ পদার্থ তৈরি হয় এবং লোহা খুব সহজেই ক্ষয় পায়। যা লোহাকে ক্রমশ ক্ষয় করে দুর্বল করে তোলে।সেইজন্য যেসব শিলায় লোহার পরিমাণ বেশি থাকে জারণের ফলে সেইসব শিলা দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। জারণ প্রক্রিয়ায় ম্যাগনেটাইট জারিত হয়ে লিমোনাইট ও সাধারণ লোহা জারিত হয়ে আয়রন অক্সাইড বা হেমাটাইটে পরিণত হয়। জারণের ফলে মূল খনিজ ‘ফেরাস অক্সাইড’ ফেরিক অক্সাইডে পরিণত হয়ে ‘লিমোনাইট’-এর সৃষ্টি করে, যা সহজেই ভেঙে যায়। একই কারণে লোহার জিনিসে মরচে ধরলে তা সহজেই নষ্ট হয়ে যায়।
যথা–
4FeO(লোহা)+2H2O (জল)+O2 (অক্সিজেন)=2Fe2O33H2O (লিমোনাইট)
আরও পড়ুন::
Comments
Post a Comment