মেহেরগড় সভ্যতার অবস্থান ও কালসীমা (Location and Chronology of the Mehrgarh Civilization)
ট্রপোস্ফিয়ার
ভূপৃষ্ঠসংলগ্ন বায়ুমণ্ডলীয় স্তরে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উষ্ণতা হ্রাস পেতে থাকে। পরিবর্তনশীল এই স্তরকে ট্রপোস্ফিয়ার বলে। নিরক্ষীয় অঞ্চলে এর বিস্তৃতি প্রায় ১৮ কিমি এবং মেরু অঞ্চলে প্রায় ৮ কিমি। সাধারণভাবে এই স্তরে প্রতি ১০০০ মিটার উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে উষ্ণতা হ্রাস পায় ৬.৪° সেলসিয়াস হারে। এই স্তরে বায়ুর গড় ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। বায়ুমণ্ডলের মোট ভরের প্রায় ৭৫ ভাগ এই স্তরে অবস্থান করায় এই স্তরটিকে ‘ঘনমণ্ডল’ বলে।
উষ্ণতার তারতম্যের জন্য এই স্তরে বায়ুর চাপের পার্থক্য ও বায়ুপ্রবাহের সৃষ্টি হয়। জলীয়বাষ্প ও ধূলিকণার উপস্থিতির জন্য ট্রপোস্ফিয়ার স্তরেই মেঘ দেখা যায়—এটি মেঘের রাজ্য, এখানেই বায়ুপ্রবাহ সৃষ্টি হয়। এছাড়া বায়ুমণ্ডলের এই স্তরেই প্রায় ৯০% জলীয় বাষ্প, মেঘ, ধূলিকণা, ধোঁয়া প্রভৃতি আবহাওয়াঘটিত উপাদান বর্তমান থাকায় এখানে বজ্রপাত, ঝড়বৃষ্টি, তুষারপাত, শিলাবৃষ্টি প্রভৃতি ঘটনা ঘটতে দেখা যায়—এই জন্য ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ুমণ্ডল তথা ট্রপোস্ফিয়ারকে ‘ক্ষুব্ধ মণ্ডল’ বলা হয়। দৈনন্দিন আবহাওয়ায় আমরা যেরকম বিভিন্ন পরিবর্তন অনুভব করি, এই বায়ুস্তরেও সে ধরনের পরিবর্তন দেখা যায়।
এই স্তরের সর্বোচ্চ সীমায় উষ্ণতা প্রায়–৬০° সেলসিয়াস। পৃথিবীতে দৈনন্দিন আবহাওয়ার বেশিরভাগ প্রক্রিয়াই এই স্তরে ঘটে বলে জীবজগতের অস্তিত্বও এই স্তরে সীমাবদ্ধ। তাই ট্রপোস্ফিয়ারকে বায়ুমণ্ডলের ‘অন্দরমহল’ বলা হয়। ট্রপোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বসীমায়, প্রায় ২-৩ কিমি পুরু স্তরে উত্তাপের কোনো পরিবর্তন হয় না। ওই অংশকে ট্রপোপজ বলে।
Comments
Post a Comment