ইতিহাসের উপাদান বলতে কী বোঝো? ইতিহাসের উপাদানগুলির শ্রেণিবিভাগ করো। প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় মুদ্রার গুরুত্ব বিস্তারিত আলোচনা করো। ১. ইতিহাসের উপাদান ইতিহাস হলো মানব সভ্যতার অগ্রগতির ধারাবাহিক বিবরণ। কিন্তু এই বিবরণ কল্পনাপ্রসূত নয়; এটি নির্ভর করে সুনির্দিষ্ট তথ্য ও প্রমাণের ওপর। যে সমস্ত উৎস, সাক্ষ্য বা প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে ঐতিহাসিকরা অতীত দিনের ঘটনাবলী পুনর্গঠন করেন, তাকেই 'ইতিহাসের উপাদান' (Sources of History) বলা হয়। উপাদান ছাড়া ইতিহাস রচনা করা অন্ধকারে ঢিল ছোঁড়ার শামিল। ঐতিহাসিক ভিনসেন্ট স্মিথ বা আর. সি. মজুমদার সকলেই একমত যে, প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের ক্ষেত্রে উপাদানের গুরুত্ব অপরিসীম। ২. ইতিহাসের উপাদানের শ্রেণিবিভাগ (Classification of Historical Sources) ইতিহাসের উপাদানগুলিকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়— (ক) সাহিত্যিক উপাদান এবং (খ) প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান। তবে আধুনিক যুগে এর সাথে আরও কিছু বিষয় যুক্ত হয়েছে। নিচে এর বিস্তারিত দেওয়া হলো: ক) সাহিত্যিক উপাদান (Literary Sources):...
রেগোলিথ কী?
রেগোলিথ হল মৃত্তিকাময় এক ধরনের শিথিল শিলাচূর্ণ। আবহবিকারের ফলে উৎপন্ন বিভিন্ন আকার ও আয়তনের শিলাচূর্ণ প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা অন্যত্র অপসারিত না হয়ে মূল শিলাস্তরের ওপর সঞ্চিত হতে থাকে। ক্রমাগত সঞ্চয়ের ফলে শিলাচূর্ণের পুরু আস্তরণ সৃষ্টি হয়। একেই রেগোলিথ বলে। কালক্রমে রেগোলিথের সঙ্গে ব্যাকটেরিয়া ও হিউমাস যুক্ত হয়ে মাটি তৈরি হয়।
রেগোলিথকেই মাটি সৃষ্টির প্রাথমিক অবস্থা বলা যেতে পারে। কালক্রমে বিভিন্ন ধরনের জৈবিক, রাসায়নিক এবং জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রেগোলিথের প্রাথমিক উপাদানগুলি বিশ্লিষ্ট ও স্তরীভূত হয়ে মাটির সৃষ্টি করে। সাধারণত গ্রানাইট শিলায় আবহবিকারের ফলে ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু অঞ্চলের শিলা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে সুড়কির মতো এক ধরনের মৃত্তিকাময় ও লাল রঙের শিথিল শিলাচূর্ণ বা রেগোলিথের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন::
Comments
Post a Comment