ইতিহাসের উপাদান বলতে কী বোঝো? প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান কী? প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় লিপির গুরুত্ব আলোচনা করো। ১. ইতিহাসের উপাদান (Definition of Historical Sources) অতীতের কোনো ঘটনা বা বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য বা প্রমাণ যেসব উৎস থেকে পাওয়া যায়, তাদের ইতিহাসের উপাদান বলা হয়। ঐতিহাসিকরা যেসব সাক্ষ্য-প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে এবং যুক্তিনিষ্ঠ বিচার-বিশ্লেষণ করে ইতিহাস রচনা করেন, সেই ভিত্তিগুলিই হলো উপাদান। ২. প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান (Archaeological Sources) প্রাচীন মানুষের ব্যবহৃত দ্রব্যাদি, ধ্বংসাবশেষ বা মাটির নিচে চাপা পড়ে থাকা যেসব নিদর্শনের বিজ্ঞানসম্মত খননকার্যের ফলে প্রাপ্ত তথ্যাদি ইতিহাস রচনায় সাহায্য করে, তাদের প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান বলা হয়। উদাহরণ: (ক) লিপি বা লেখ, (খ) মুদ্রা, (গ) স্থাপত্য ও ভাস্কর্য, (ঘ) ধ্বংসাবশেষ (যেমন—হরপ্পা, মহেঞ্জোদারো)। ৩. প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় লিপির গুরুত্ব প্রাচীন ভারতের ইতিহাস পুনর্গঠনে প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানগুলির মধ্যে লিপি বা লেখ (Inscriptions) হলো...
কর্তিত স্পার
হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপগুলির মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য নিদর্শন হল কর্তিত স্পার।
পার্বত্য উপত্যকা দিয়ে অগ্রসর হওয়ার সময় গতিপথে যেসব পর্বতের অভিক্ষিপ্তাংশ বা স্পারগুলি আড়াআড়িভাবে অবস্থান করে হিমবাহের পথরোধ করে থাকে, হিমবাহ আঁকাবাঁকা পথে প্রবাহিত হতে না পেরে এই অভিক্ষিপ্তাংশগুলিকে কেটে বা ক্ষয় করে সোজা পথে অগ্রসর হয় এবং খাড়া ঢালের সৃষ্টি করে। এর ফলে পর্বতশিরার অবতল ও উত্তল ঢালটি হঠাৎ খাড়াভাবে হিমবাহ উপত্যকায় নেমে আসে। এইভাবে হিমবাহ দ্বারা ক্ষয়প্রাপ্ত এবং ত্রিভুজের মতো দেখতে শৈলশিরাগুলোকে কর্তিত স্পার বা পল কাটা স্পার বলে।
প্রসঙ্গত বলা যায়, যে-কোনো নদীর পার্বত্য গতিপথে এই ধরনের বাধা থাকলে নদীটি এঁকেবেঁকে প্রবাহিত হয়, যার ফলে অন্তর্বদ্ধ শৈলশিরার অভিক্ষিপ্তাংশের সৃষ্টি হয়।
Comments
Post a Comment