🗿 হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীদের সামাজিক জীবনের বিস্তারিত পরিচয় হরপ্পা সভ্যতা বা সিন্ধু সভ্যতার অধিবাসীদের সামাজিক জীবন সম্পর্কে জানার প্রধান উৎস হলো প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যের ফলে প্রাপ্ত নগর পরিকল্পনা, সমাধিক্ষেত্র, মৃৎপাত্র, মূর্তি, অলংকার এবং অন্যান্য নিদর্শনসমূহ। এই নিদর্শনের ভিত্তিতে সমাজবিজ্ঞানীরা হরপ্পা সমাজের নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি তুলে ধরেছেন:
হোমোস্ফিয়ার
‘হোমো’ শব্দের অর্থ ‘সমবৈশিষ্ট্যপূর্ণ’। ভূপৃষ্ঠ থেকে ওপরের দিকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত অংশে, বায়ুমণ্ডলের রাসায়নিক গঠন বা রাসায়নিক সংযুক্তি অর্থাৎ , বিভিন্ন গ্যাসের মিশ্রণের অনুপাত প্রায় একই রকম থাকে। এই কারণে সমবৈশিষ্ট্যপূর্ণ এই বায়ুমণ্ডলীয় স্তরকে হোমোস্ফিয়ার বা সমমণ্ডল বলা হয়। এই স্তরেই বায়ুমণ্ডলের স্থায়ী উপাদান (বিভিন্ন গ্যাসীয় উপাদান) গুলির সঙ্গে অস্থায়ী উপাদান (বিভিন্ন কঠিন কণিকা ও জলীয়বাষ্প) বা পরিবর্তনশীল উপাদানগুলি অবস্থান করে। হোমোস্ফিয়ার প্রধানত বিভিন্ন গ্যাসের মিশ্রণ [নাইট্রোজেন (৭৮.১%) , অক্সিজেন (২০.৯%) এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড, আর্গন, নিওন, হিলিয়াম, ক্রিপটন, জেনন, হাইড্রোজেন, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড, ওজোন প্রভৃতি গ্যাসের মিশ্রণ (১%)], জলীয় বাষ্প এবং জৈব ও অজৈব কণিকা (যেমন–অতি ক্ষুদ্র খনিজ, লবণ, সমুদ্রতীরের বালুকণা, কয়লার গুঁড়ো বা ধোঁয়া প্রভৃতি) দিয়ে গঠিত।
হোমোস্ফিয়ারের উষ্ণতা ও উচ্চতা অনুসারে তিনটি উপস্তরে বিভক্ত করা যায়। যথা—
(১) ক্ষুব্ধমণ্ডল বা ট্রপোস্ফিয়ার—
হোমোস্ফিয়ারের প্রথম স্তরটি হল ট্রপোস্ফিয়ার, যা ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত। বায়ুমণ্ডলের প্রায় ৯০% জলীয়বাষ্প, ধূলিকণা, ধোঁয়া প্রভৃতি পদার্থ এই স্তরে অবস্থান করে। বায়ুমণ্ডলের এই স্তরেই বায়ুপ্রবাহ, মেঘ, বিদ্যুৎ প্রভৃতি আবহাওয়ার বিভিন্ন প্রক্রিয়া ঘটতে দেখা যায়।
(২) শান্তমণ্ডল বা স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার—
ট্রপোস্ফিয়ারের ওপরে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৮–৮০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত হোমোস্ফিয়ারের দ্বিতীয় স্তরটিকে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার বলে। এই স্তরে ধুলো বা ধোঁয়া না থাকলেও খুব সামান্য জলীয়বাষ্প ও ওজোন গ্যাসের স্তর থাকে যা ভেদ করে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ভূপৃষ্ঠে পৌঁছতে পারে না।
(৩) মেসোস্ফিয়ার—
স্ট্র্যাটোপজের ওপর থেকে বায়ুমণ্ডলের যতদূর উচ্চতা পর্যন্ত উষ্ণতা কমতে থাকে, সেই অংশটিকে মেসোস্ফিয়ার বলে।
আরও পড়ুন::
Comments
Post a Comment