বালিয়াড়ি
বায়ু গতিপথে বাধাপ্রাপ্ত (প্রস্তরখণ্ড, ঝোপঝাড় প্রভৃতি) হলে মরু অঞ্চলে যে উঁচু, স্তূপাকার ভূমিরূপের সৃষ্টি হয় তাকে বালিয়াড়ি বলে। বালিয়াড়ি প্রকৃতপক্ষে বালির পাহাড়, তবে বালিয়াড়ির উৎপত্তি সম্পর্কে ভূবিজ্ঞানীদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। ভূবিজ্ঞানী ব্যাগনল্ডের মতে, প্রকৃত বালিয়াড়ি হল একটি গতিশীল বালিয়াড়ি যার সৃষ্টির জন্য কোনো প্রতিবন্ধকতার প্রয়োজন হয় না। মরুভূমি ছাড়া সমুদ্রোপকূলেও বালিয়াড়ি দেখা যায় (যেমন–দিঘা বালিয়াড়ি)। তবে সমুদ্রোপকূলের বালিয়াড়ি সাধারণত আকারে ছোট হয়।
যেভাবেই বালিয়াড়ির সৃষ্টি হোক না কেন, অবস্থান অনুযায়ী বালিয়াড়িকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা—
(i) মস্তক বালিয়াড়ি, (ii) পুচ্ছ বালিয়াড়ি, (iii) পার্শ্বস্থ বালিয়াড়ি, (iv) অগ্রবর্তী বালিয়াড়ি, (v) চলমান বালিয়াড়ি।
আকৃতি অনুসারে বালিয়াড়ি প্রধানত দু'ধরনের হয় যেমন—
(১) তির্যক বালিয়াড়ি (বায়ুর গতির সঙ্গে আড়াআড়িভাবে এই বালিয়াড়ি গঠিত হয়)। এবং
(২) অনুদীর্ঘ বালিয়াড়ি (এই ধরনের বালিয়াড়ি বায়ুর গতিপ্রবাহের সঙ্গে সমান্তরালভাবে গড়ে ওঠে)। তির্যক বালিয়াড়ি তিন ধরনের হয়, যথা— (i) বার্খান, (ii) আকলে, (iii) রোর্ডস।
Comments
Post a Comment