🗿 হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীদের সামাজিক জীবনের বিস্তারিত পরিচয় হরপ্পা সভ্যতা বা সিন্ধু সভ্যতার অধিবাসীদের সামাজিক জীবন সম্পর্কে জানার প্রধান উৎস হলো প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যের ফলে প্রাপ্ত নগর পরিকল্পনা, সমাধিক্ষেত্র, মৃৎপাত্র, মূর্তি, অলংকার এবং অন্যান্য নিদর্শনসমূহ। এই নিদর্শনের ভিত্তিতে সমাজবিজ্ঞানীরা হরপ্পা সমাজের নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি তুলে ধরেছেন:
পিণ্ডবিশরণ বা চৌকাকার বিচূর্ণীভবন
উষ্ণতার পার্থক্যে যান্ত্রিক আবহবিকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া হল পিণ্ডবিশরণ।
শিলা তাপের সুপরিবাহী নয়। এইজন্য মরু অঞ্চলের গাছপালাহীন উন্মুক্ত প্রান্তরে দিনের বেলা সূর্যের উত্তাপে শিলার বাইরের অংশ যতটা উষ্ণ হয়, ভিতরের অংশ ততটা উষ্ণ হয় না। আবার রাত্রিবেলা শিলার ওপরের অংশ যত তাড়াতাড়ি ঠাণ্ডা হয়, ভিতরের অংশ ততটা ঠাণ্ডা হয় না, ফলে দিনে বা রাত্রে শিলার ভিতরের ও বাইরের অংশের উষ্ণতার মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য ঘটে। উষ্ণতার এই তারতম্যের ফলে শিলাস্তরে ক্রমাগত প্রসারণ ও সংকোচন হয়।
শিলাস্তর যেহেতু তাপের কুপরিবাহী সেহেতু মরু অঞ্চলে দিনের বেলায় শিলাস্তরের উপরিভাগ উত্তপ্ত হয়ে যতটা প্রসারিত হয় অভ্যন্তরভাগের শিলাস্তর অতটা উত্তপ্ত হয়ে প্রসারিত হয় না। ফলে শিলাস্তরের মধ্যে পীড়নের সৃষ্টি হয়। পীড়নের সীমা মাত্রা অতিক্রম করলে শিলায় কতকগুলি অনুভূমিক ও উল্লম্ব ফাটলের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীকালে এই ফাটল-রেখা বরাবর উপরের শিলা স্তরটি নিম্ন শিলাস্তর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। উপরের বিচ্ছিন্ন হওয়া শিলাস্তরটি দেখতে অনেকগুলি বর্গক্ষেত্র বা আয়তক্ষেত্রের মতো হয় বলে আবহবিকারের এই বিশেষ প্রক্রিয়াটিকে প্রস্তরখণ্ড বিশরণ বা চৌকাকার বিচূর্ণীভবন অথবা পিণ্ডবিশরণ বা ‘ফাটল দ্বারা প্রস্তর চাঁই-এ বিচ্ছিন্নকরণ’ বলে। ব্যাসল্ট শিলাগঠিত অঞ্চলে এরূপ আবহবিকার ঘটে।
আরও পড়ুন::
Comments
Post a Comment