বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য ভারত-ইতিহাসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য এক মহাদেশের সারাংশ (Epitome of the World) ভারতবর্ষ শুধুমাত্র একটি দেশ নয়, এটি একটি উপ-মহাদেশের সমতুল্য। প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য, নৃতাত্ত্বিক ভিন্নতা এবং সাংস্কৃতিক বিপুলতা সত্ত্বেও এই ভূখণ্ডের হাজার বছরের ইতিহাসে যে "অন্তর্নিহিত মৌলিক ঐক্য" ( Fundamental Unity ) বারবার প্রকাশিত হয়েছে, তা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। ঐতিহাসিক ভিনসেন্ট স্মিথ এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যকে যথার্থই " India offers unity in diversity " বা "বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য" বলে আখ্যা দিয়েছেন। যুগে যুগে বিভিন্ন জাতি, ধর্ম ও ভাষাভাষী মানুষের মিলনকেন্দ্র হওয়ায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতবর্ষকে "মহামানবের সাগরতীর" নামে অভিহিত করেছেন। ভারতবর্ষের বৈচিত্র্যের স্বরূপ (The Nature of Diversity) ভারতের বৈচিত্র্যকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়: ক) প্রাকৃতিক বা ভৌগোলিক বৈচিত্র্য: ভূ-প্রকৃতি: উত্...
স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার
ট্রপোস্ফিয়ার স্তরের পরবর্তী স্তর অর্থাৎ, ভূপৃষ্ঠের ওপরে ১৮ কিমি থেকে প্রায় ৫০ কিমি পর্যন্ত বায়ুমণ্ডলীয় স্তরকে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার বা শান্তমণ্ডল বলা হয়। এই স্তরে বায়ুর ঘনত্ব বেশ কম হওয়ায় একে ‘সূক্ষ্মমণ্ডল’ ও বলা হয়। এই স্তরের নিম্নাংশে বায়ুর উষ্ণতা অপরিবর্তিত থাকলেও, ক্রমশ উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে উষ্ণতাও বাড়তে থাকে। এই স্তরে বায়ুপ্রবাহের গতি খুব ধীর।
বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরেই উচ্চতা অনুযায়ী বায়ুচাপের বিশেষ তারতম্য ঘটে না বলে, এখানে কোনো বায়ুপ্রবাহ, মেঘ বা বিদ্যুৎ দেখা যায় না ঝড়-বৃষ্টি হয় না। এই কারণে এই স্তরকে ‘শান্তমণ্ডল’ বলে। স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে বায়ুপ্রবাহ, ঝড়বৃষ্টি না থাকায় শান্ত পরিবেশে নিরাপদে বিনা বাধায় জেট-বিমানগুলি চলাচল করতে পারে। জেট বিমানগুলি চলাচলের সময় আকাশে সাদা দাগ রেখে যায়৷ এখানকার বায়ুতে জলীয় বাষ্প ও ধূলিকণার পরিমাণ খুব কম থাকে। এই স্তরের ঊর্ধ্বসীমায় উষ্ণতা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ০° সেলসিয়াস। স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরের ঊর্ধ্বসীমায় ২-৩ কিমি পুরু পরিবর্তনহীন স্তরকে স্ট্র্যাটোপজ বলে। স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরে অক্সিজেন কম থাকায় শ্বাসপ্রশ্বাসে অসুবিধা হয়।
Comments
Post a Comment