🗿 হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীদের সামাজিক জীবনের বিস্তারিত পরিচয় হরপ্পা সভ্যতা বা সিন্ধু সভ্যতার অধিবাসীদের সামাজিক জীবন সম্পর্কে জানার প্রধান উৎস হলো প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যের ফলে প্রাপ্ত নগর পরিকল্পনা, সমাধিক্ষেত্র, মৃৎপাত্র, মূর্তি, অলংকার এবং অন্যান্য নিদর্শনসমূহ। এই নিদর্শনের ভিত্তিতে সমাজবিজ্ঞানীরা হরপ্পা সমাজের নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি তুলে ধরেছেন:
স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার
ট্রপোস্ফিয়ার স্তরের পরবর্তী স্তর অর্থাৎ, ভূপৃষ্ঠের ওপরে ১৮ কিমি থেকে প্রায় ৫০ কিমি পর্যন্ত বায়ুমণ্ডলীয় স্তরকে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার বা শান্তমণ্ডল বলা হয়। এই স্তরে বায়ুর ঘনত্ব বেশ কম হওয়ায় একে ‘সূক্ষ্মমণ্ডল’ ও বলা হয়। এই স্তরের নিম্নাংশে বায়ুর উষ্ণতা অপরিবর্তিত থাকলেও, ক্রমশ উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে উষ্ণতাও বাড়তে থাকে। এই স্তরে বায়ুপ্রবাহের গতি খুব ধীর।
বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরেই উচ্চতা অনুযায়ী বায়ুচাপের বিশেষ তারতম্য ঘটে না বলে, এখানে কোনো বায়ুপ্রবাহ, মেঘ বা বিদ্যুৎ দেখা যায় না ঝড়-বৃষ্টি হয় না। এই কারণে এই স্তরকে ‘শান্তমণ্ডল’ বলে। স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে বায়ুপ্রবাহ, ঝড়বৃষ্টি না থাকায় শান্ত পরিবেশে নিরাপদে বিনা বাধায় জেট-বিমানগুলি চলাচল করতে পারে। জেট বিমানগুলি চলাচলের সময় আকাশে সাদা দাগ রেখে যায়৷ এখানকার বায়ুতে জলীয় বাষ্প ও ধূলিকণার পরিমাণ খুব কম থাকে। এই স্তরের ঊর্ধ্বসীমায় উষ্ণতা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ০° সেলসিয়াস। স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরের ঊর্ধ্বসীমায় ২-৩ কিমি পুরু পরিবর্তনহীন স্তরকে স্ট্র্যাটোপজ বলে। স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরে অক্সিজেন কম থাকায় শ্বাসপ্রশ্বাসে অসুবিধা হয়।
Comments
Post a Comment