বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য ভারত-ইতিহাসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য এক মহাদেশের সারাংশ (Epitome of the World) ভারতবর্ষ শুধুমাত্র একটি দেশ নয়, এটি একটি উপ-মহাদেশের সমতুল্য। প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য, নৃতাত্ত্বিক ভিন্নতা এবং সাংস্কৃতিক বিপুলতা সত্ত্বেও এই ভূখণ্ডের হাজার বছরের ইতিহাসে যে "অন্তর্নিহিত মৌলিক ঐক্য" ( Fundamental Unity ) বারবার প্রকাশিত হয়েছে, তা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। ঐতিহাসিক ভিনসেন্ট স্মিথ এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যকে যথার্থই " India offers unity in diversity " বা "বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য" বলে আখ্যা দিয়েছেন। যুগে যুগে বিভিন্ন জাতি, ধর্ম ও ভাষাভাষী মানুষের মিলনকেন্দ্র হওয়ায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতবর্ষকে "মহামানবের সাগরতীর" নামে অভিহিত করেছেন। ভারতবর্ষের বৈচিত্র্যের স্বরূপ (The Nature of Diversity) ভারতের বৈচিত্র্যকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়: ক) প্রাকৃতিক বা ভৌগোলিক বৈচিত্র্য: ভূ-প্রকৃতি: উত্...
স্বাভাবিক বাঁধ
অর্থাৎ, স্বাভাবিক বাঁধের একপাশে নদী প্রবাহিত হয় ও অপর পাশে প্লাবন সমভূমি গঠিত হয়। স্বাভাবিক বাঁধের নদীর দিকের অংশ খাড়া এবং প্লাবনভূমির দিকটি ক্রমশ ঢালু হয়। স্বাভাবিক বাঁধ সর্বদা নদীর গতিপথের সমান্তরালে অবস্থান করে। এগুলি গড়ে দেড় থেকে দু-কিমি পর্যন্ত চওড়া ও উচ্চতায় ৩-৪ মিটার পর্যন্ত বা তার থেকে উঁচুও হয়। যেমন, মিসিসিপি নদীর নিম্ন অববাহিকায় স্বাভাবিক বাঁধের উচ্চতা ৬ মিটার থেকে ৭.৬ মিটার পর্যন্ত হয়েছে। অনেক সময় স্বাভাবিক বাঁধ অবস্থানের ফলে তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের (প্লাবনভূমি) বৃষ্টির জল সহজে নিষ্কাশিত হতে না পেরে স্বাভাবিক বাঁধের পশ্চাতে জলাভূমির সৃষ্টি করে। একে ‘পশ্চাৎ জলাভূমি' বলে। ভাগীরথী নদীর পশ্চিমপাড়ে এইরূপ স্বাভাবিক বাঁধে পশ্চাৎ জলাভূমি দেখা যায়। অনেকসময় বন্যার ফলে স্বাভাবিক বাঁধ ভেঙে যায়। একে প্লাবন ফাটল বলে।
আরও পড়ুন::
Comments
Post a Comment