প্রাচীন ভারত ও ভৌগোলিক প্রেক্ষাপট (Ancient India and Geographical Context) - প্রশ্নোত্তর ১। ভারতবর্ষকে কে নৃতত্ত্বের যাদুঘর আখ্যা দিয়েছেন? উঃ। ভিনসেন্ট স্মিথ ভারতবর্ষকে 'নৃতত্ত্বের যাদুঘর' বলে আখ্যা দিয়েছেন। ২। দ্রাবিড় সভ্যতা ভারতের কোথায় প্রথম গড়ে ওঠে? উঃ। দ্রাবিড় সভ্যতা প্রথম গড়ে ওঠে দক্ষিণ ভারতে। ৩। 'নাডিক' নামে কারা পরিচিত? উঃ। আর্যরা 'নার্ডিক' নামে পরিচিত। ৪। ভারতের প্রচীনতম লিপি কোনটি? উঃ। ভারতের প্রাচীনতম লিপি হল সিন্ধু লিপি।
যান্ত্রিক আবহবিকার
বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তি (নদী, বায়ু, হিমবাহ, সমুদ্রতরঙ্গ প্রভৃতি) বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন উপাদান (উষ্ণতা, আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাত, তুষারপাত প্রভৃতি) ও জৈবশক্তির দ্বারা শিলারাশি যখন যান্ত্রিকভাবে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে মূল শিলাস্তরের ওপরেই অবস্থান করে তখন তাকে যান্ত্রিক আবহবিকার বলে।
যান্ত্রিক আবহবিকারের ফলে শিলাসমূহ চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে মূল শিলার ওপরেই ছোটোছোটো খণ্ডে অবস্থান করে। এক্ষেত্রে শিলার শুধু ভৌত পরিবর্তন বা আকৃতিগত পরিবর্তন ঘটে, কোনো রাসায়নিক পরিবর্তন বা শিলার মধ্যের খনিজের আণবিক সজ্জার কোনো পরিবর্তন ঘটে না।
আর্দ্রতার অভাবে মরু অঞ্চলে রাসায়নিক আবহবিকার ঘটে না।
মরুভূমি অঞ্চলে যান্ত্রিক আবহবিকার সর্বাধিক হয়, কারণ–
(১) শিলা তাপের সুপারিবাহী না হওয়ায় উষ্ণ অঞ্চলে উষ্ণতার তারতম্যের ফলে শিলাস্তরের ক্রমাগত প্রসারণ ও সংকোচন ঘটে। দীর্ঘদিন ধরে প্রসারণ ও সংকোচনের ফলে শিলাস্তর ফেটে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে ছোটো ছোটো অংশে বিভক্ত হয়।
(২) অনেক সময় প্রখর সূর্যকিরণে উত্তপ্ত শিলা নীচের স্তরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পেঁয়াজের খোসার মতো হয়ে যায়, একে শল্কমোচন বলে।
(৩) মরুভূমি অঞ্চলে সূর্যের প্রচণ্ড তাপে মোটা দানাযুক্ত শিলা ভীষণ শব্দ করে ফেটে যায়, একে ক্ষুদ্রকণা বিশরণ বলে। এ সবই যান্ত্রিক আবহবিকারের উদাহরণ।
প্রধানত শীতল ও উষ্ণ মরু ও মরুপ্রায় অঞ্চলে যেখানে দৈনিক উষ্ণতার প্রসর বেশি সেখানে যান্ত্রিক আবহবিকার বেশি সংঘটিত হয়।
আরও পড়ুন::
Comments
Post a Comment