বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য ভারত-ইতিহাসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য এক মহাদেশের সারাংশ (Epitome of the World) ভারতবর্ষ শুধুমাত্র একটি দেশ নয়, এটি একটি উপ-মহাদেশের সমতুল্য। প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য, নৃতাত্ত্বিক ভিন্নতা এবং সাংস্কৃতিক বিপুলতা সত্ত্বেও এই ভূখণ্ডের হাজার বছরের ইতিহাসে যে "অন্তর্নিহিত মৌলিক ঐক্য" ( Fundamental Unity ) বারবার প্রকাশিত হয়েছে, তা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। ঐতিহাসিক ভিনসেন্ট স্মিথ এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যকে যথার্থই " India offers unity in diversity " বা "বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য" বলে আখ্যা দিয়েছেন। যুগে যুগে বিভিন্ন জাতি, ধর্ম ও ভাষাভাষী মানুষের মিলনকেন্দ্র হওয়ায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতবর্ষকে "মহামানবের সাগরতীর" নামে অভিহিত করেছেন। ভারতবর্ষের বৈচিত্র্যের স্বরূপ (The Nature of Diversity) ভারতের বৈচিত্র্যকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়: ক) প্রাকৃতিক বা ভৌগোলিক বৈচিত্র্য: ভূ-প্রকৃতি: উত্...
রাসায়নিক আবহবিকার
যে আবহবিকারের মাধ্যমে শিলা গঠনকারী বিভিন্ন খনিজ পদার্থগুলোর ওপর বায়ুমণ্ডলের প্রধান উপাদানসমূহ—বিশেষ করে অক্সিজেন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড, জলীয় বাষ্প প্রভৃতির বিক্রিয়ার ফলে কঠিন শিলা বিয়োজিত হয় এবং মূল খনিজ পদার্থগুলো নতুন গৌণ খনিজে পরিণত হয়ে মূল শিলা শিথিল হয়ে পড়ে, তাকে রাসায়নিক আবহবিকার বলে।
রাসায়নিক আবহবিকার সংঘটনে জল ও জলীয়বাষ্পের ভূমিকা খুব বেশি। তাই উষ্ণ-আর্দ্র নিরক্ষীয় ও ক্রান্তীয় অঞ্চলে রাসায়নিক আবহবিকার বেশি সক্রিয়।
রাসায়নিক আবহবিকারকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা—
(গ) জলযোজন বা হাইড্রেশন,
(ঘ) আর্দ্রবিশ্লেষণ বা হাইড্রোলিসিস এবং
(ঙ) দ্রবণ বা সলিউশন।
রাসায়নিক আবহবিকার অপেক্ষাকৃত দ্রুত ও নিঃশব্দে ঘটে। এই প্রকার আবহবিকারের ফলে বক্সাইট, লৌহ-আকরিক, ম্যাঙ্গানিজ, নিকেল, কেওলিন, জিপসাম প্রভৃতি খনিজপদার্থের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন::
Comments
Post a Comment