ভারতীয় সভ্যতার বিবর্তন - সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ( Evolution of Indian Civilization - Short Questions and Answers ) ১। প্রস্তরযুগ বলতে কী বোঝো? প্রস্তরযুগকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী? যে যুগে মানুষ পাথরের হাতিয়ার ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করত, সেই যুগকে প্রস্তরযুগ বলা হয়। প্রস্তরযুগকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যথা- (১) প্রাচীন প্রস্তরযুগ, (২) মধ্য প্রস্তরযুগ, (৩) নব্য প্রস্তরযুগ। ২। প্রাচীন প্রস্তরযুগ, মধ্য প্রস্তরযুগ ও নব্য প্রস্তরযুগের একটা করে বৈশিষ্ট্য দাও। প্রাচীন প্রস্তরযুগ: প্রাচীন প্রস্তরযুগে মানুষ ছিল খাদ্য-সংগ্রাহক। বলা যেতে পারে-Age of Food-gathering Man. মধ্য প্রস্তরযুগ: মধ্য প্রস্তরযুগে মানুষ খাদ্য-উৎপাদকে পরিণত হয়। এসময়কে বলা হয়-Age of Food-producing Man. নব্য প্রস্তরযুগ: এসময় মানুষ নগর সভ্যতার সাথে পরিচিত হয়। ধাতুর যুগ শুরু হয়। ঐতিহাসিক গর্ডন চাইল্ড এসময়কে বলেছেন-Age of Urban Culture.
জুইগেন
কখনো কখনো দেখা যায় যে, কোনো কোনো শিলাস্তূপের কঠিন ও কোমল শিলাস্তরগুলো ওপর-নিচে পরস্পরের সমান্তরালভাবে অবস্থান করে। প্রচণ্ড সূর্যতাপে এইসব উচ্চভূমিতে ফাটল সৃষ্টি হলে বায়ুর অবঘর্ষণের ফলে কঠিন শিলাস্তরগুলো অতি অল্প ক্ষয় পেয়ে টিলার মতো দাঁড়িয়ে থাকে এবং কোমল শিলাস্তরগুলো বেশি ক্ষয় পেয়ে ফাটল বরাবর লম্বা খাত বা গহ্বরের সৃষ্টি করে। এই রকম দুটো খাতের মধ্যে চ্যাপ্টা মাথা টিলার মতো যে ভূমিরূপের সৃষ্টি হয় তাকে জুগ্যান বা জুইগেন বলে।
মরু অঞ্চলে ওপরে কঠিন শিলাস্তর ও নীচে কোমল শিলাস্তর যদি ভূপৃষ্ঠের সঙ্গে অনুভূমিকভাবে পর্যায়ক্রমে অবস্থান করে তাহলে উপরিভাগের শিলাস্তরে যান্ত্রিক আবহবিকারের ফলে ফাটলের সৃষ্টি হয়। এইসব ফাটলের মধ্যে দিয়ে বায়ু প্রবেশ করে সহজেই নীচের শিলাস্তরকে দ্রুত ক্ষয় করে। এর ফলে কঠিন শিলাস্তর দ্বারা গঠিত উপরের অংশ চওড়া ও কোমল শিলাস্তর দ্বারা গঠিত নিম্নাংশ সরু হয়ে যায়। এরা সাধারণত ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩ মিটার থেকে ৩০ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সোনেরান মরুভূমি ও অ্যারিজোনায় জুইগেন দেখা যায়।
Comments
Post a Comment