প্রাচীন ভারত ও ভৌগোলিক প্রেক্ষাপট (Ancient India and Geographical Context) - প্রশ্নোত্তর ১। ভারতবর্ষকে কে নৃতত্ত্বের যাদুঘর আখ্যা দিয়েছেন? উঃ। ভিনসেন্ট স্মিথ ভারতবর্ষকে 'নৃতত্ত্বের যাদুঘর' বলে আখ্যা দিয়েছেন। ২। দ্রাবিড় সভ্যতা ভারতের কোথায় প্রথম গড়ে ওঠে? উঃ। দ্রাবিড় সভ্যতা প্রথম গড়ে ওঠে দক্ষিণ ভারতে। ৩। 'নাডিক' নামে কারা পরিচিত? উঃ। আর্যরা 'নার্ডিক' নামে পরিচিত। ৪। ভারতের প্রচীনতম লিপি কোনটি? উঃ। ভারতের প্রাচীনতম লিপি হল সিন্ধু লিপি।
বার্খান
বায়ুর সঞ্চয়কাজের ফলে যেসব ভূমিরূপ গড়ে ওঠে তাদের মধ্যে বালিয়াড়ি বিশেষ উল্লেখযোগ্য।বালিয়াড়ির অন্যতম একটি বিশেষ শ্রেণি হল বাৰ্খান বা তির্যক বালিয়াড়ি। ‘বাৰ্খান’একটি তুর্কি শব্দ, এর অর্থ হল ‘কিরঘিজ স্টেপস্’ অঞ্চলের বালিয়াড়ি। উষ্ণ মরুভূমি অঞ্চলে বায়ুপ্রবাহের পথে আড়াআড়িভাবে গঠিত বালির স্তূপ বা বালিয়াড়িকে বাৰ্খান বলা হয়।
বার্খানের বায়ুপ্রবাহের দিকটি (প্রতিবাত ঢাল) উত্তল এবং পিছনের অংশ (অনুবাত ঢাল) অবতল আকৃতির হয়। বার্খানের দু-প্রান্তে শিং-এর মতো দুটি শিরা অবস্থান করে। যেসব মরু অঞ্চলে বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দিক থেকে বায়ু প্রবাহিত হয়, সেখানে বার্খানের সৃষ্টি হয়ে থাকে। প্রকৃত বাৰ্খান কখনোই স্থায়ী হয় না। সর্বদা গতিশীল বার্খানের উচ্চতা ১৫ মিটার থেকে ৩০ মিটার পর্যন্ত হয় এবং ৫ বর্গমিটার থেকে ৩০০ বর্গমিটার স্থান জুড়ে অবস্থান করে। ভূবিজ্ঞানী ব্যাগনল্ডের মতে, বার্খানগুলি ক্রমশ ভেঙে সিফ্ বালিয়াড়িতে পরিণত হয়। বার্খানের প্রতিবাত দিক মৃদু ও অনুবাত দিক খাড়া ঢালযুক্ত হয়। অনেকসময় একাধিক বার্খান পাশাপাশি অবস্থান করে। একে ‘বার্খান শৃঙ্খল’ বা ’বাৰ্খান কলোনি’ বলে ।
Comments
Post a Comment