মেহেরগড় সভ্যতার অবস্থান ও কালসীমা (Location and Chronology of the Mehrgarh Civilization)
থার্মোস্ফিয়ার
মেসোপজের ওপরে প্রায় ৫০০ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুমণ্ডলীয় স্তরে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উষ্ণতা অত্যন্ত দ্রুতহারে বৃদ্ধি পায়৷ এই স্তরকে থার্মোস্ফিয়ার বলে। এই স্তরের ঊর্ধ্বসীমায় উষ্ণতা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ১২০০° সেন্টিগ্রেড। এই স্তরের প্রধান উপাদান হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম। উপাদানগুলি মহাজাগতিক রশ্মির প্রভাবে আয়নিত অবস্থায় থাকে এবং স্তরটি তড়িৎ সুপরিবাহী হয়। আয়নিত কণার প্রাধান্য থাকায় এই স্তরকে আয়নস্তরও বলা হয়।
এই স্তরটি বেতার তরঙ্গ প্রতিফলকের কাজ করে বলে, পৃথিবীব্যাপী বেতার যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্ভব হয়েছে। তড়িতাহত অণুর চৌম্বক বিক্ষেপের ফলে সুমেরু ও কুমেরু অঞ্চলে একরকম উজ্জ্বল আলোকবিচ্ছুরণ দেখা যায়, একে ‘মেরুজ্যোতি বা মেরুপ্রভা’ বলে। ভূপৃষ্ঠের বেতার তরঙ্গগুলো আয়নোস্ফিয়ার স্তর ভেদ করে আরও ওপরে যেতে পারে না বলে এই স্তর থেকে বেতার তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসে, তাই বিভিন্ন রেডিও স্টেশন থেকে প্রচারিত গান, বাজনা, নাটক, কবিতা, সংবাদ প্রভৃতি আমরা রেডিও মারফত বাড়ি বসে শুনতে পাই।
এই স্তরের দুটি উপস্তর হল কেনেলি-হেভিসাইড স্তর এবং অ্যাপলটন স্তর। এই দুই স্তর যথাক্রমে সূর্যালোকের উপস্থিতি ও অনুপস্থিতিতে বেতারতরঙ্গ প্রতিফলকের কাজ করে। এই স্তরের বিস্তৃতি বেশি হলেও বায়ুর ঘনত্ব কম হওয়ায়, বায়ুমণ্ডলের মোট ভরের মাত্র ১/২০০ ভাগ এই স্তরে বর্তমান।
Comments
Post a Comment