ভারতীয় সভ্যতার বিবর্তন - সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ( Evolution of Indian Civilization - Short Questions and Answers ) ১। প্রস্তরযুগ বলতে কী বোঝো? প্রস্তরযুগকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী? যে যুগে মানুষ পাথরের হাতিয়ার ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করত, সেই যুগকে প্রস্তরযুগ বলা হয়। প্রস্তরযুগকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যথা- (১) প্রাচীন প্রস্তরযুগ, (২) মধ্য প্রস্তরযুগ, (৩) নব্য প্রস্তরযুগ। ২। প্রাচীন প্রস্তরযুগ, মধ্য প্রস্তরযুগ ও নব্য প্রস্তরযুগের একটা করে বৈশিষ্ট্য দাও। প্রাচীন প্রস্তরযুগ: প্রাচীন প্রস্তরযুগে মানুষ ছিল খাদ্য-সংগ্রাহক। বলা যেতে পারে-Age of Food-gathering Man. মধ্য প্রস্তরযুগ: মধ্য প্রস্তরযুগে মানুষ খাদ্য-উৎপাদকে পরিণত হয়। এসময়কে বলা হয়-Age of Food-producing Man. নব্য প্রস্তরযুগ: এসময় মানুষ নগর সভ্যতার সাথে পরিচিত হয়। ধাতুর যুগ শুরু হয়। ঐতিহাসিক গর্ডন চাইল্ড এসময়কে বলেছেন-Age of Urban Culture.
থার্মোস্ফিয়ার
মেসোপজের ওপরে প্রায় ৫০০ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুমণ্ডলীয় স্তরে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উষ্ণতা অত্যন্ত দ্রুতহারে বৃদ্ধি পায়৷ এই স্তরকে থার্মোস্ফিয়ার বলে। এই স্তরের ঊর্ধ্বসীমায় উষ্ণতা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ১২০০° সেন্টিগ্রেড। এই স্তরের প্রধান উপাদান হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম। উপাদানগুলি মহাজাগতিক রশ্মির প্রভাবে আয়নিত অবস্থায় থাকে এবং স্তরটি তড়িৎ সুপরিবাহী হয়। আয়নিত কণার প্রাধান্য থাকায় এই স্তরকে আয়নস্তরও বলা হয়।
এই স্তরটি বেতার তরঙ্গ প্রতিফলকের কাজ করে বলে, পৃথিবীব্যাপী বেতার যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্ভব হয়েছে। তড়িতাহত অণুর চৌম্বক বিক্ষেপের ফলে সুমেরু ও কুমেরু অঞ্চলে একরকম উজ্জ্বল আলোকবিচ্ছুরণ দেখা যায়, একে ‘মেরুজ্যোতি বা মেরুপ্রভা’ বলে। ভূপৃষ্ঠের বেতার তরঙ্গগুলো আয়নোস্ফিয়ার স্তর ভেদ করে আরও ওপরে যেতে পারে না বলে এই স্তর থেকে বেতার তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসে, তাই বিভিন্ন রেডিও স্টেশন থেকে প্রচারিত গান, বাজনা, নাটক, কবিতা, সংবাদ প্রভৃতি আমরা রেডিও মারফত বাড়ি বসে শুনতে পাই।
এই স্তরের দুটি উপস্তর হল কেনেলি-হেভিসাইড স্তর এবং অ্যাপলটন স্তর। এই দুই স্তর যথাক্রমে সূর্যালোকের উপস্থিতি ও অনুপস্থিতিতে বেতারতরঙ্গ প্রতিফলকের কাজ করে। এই স্তরের বিস্তৃতি বেশি হলেও বায়ুর ঘনত্ব কম হওয়ায়, বায়ুমণ্ডলের মোট ভরের মাত্র ১/২০০ ভাগ এই স্তরে বর্তমান।
Comments
Post a Comment