ভারতীয় সভ্যতার বিবর্তন - সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ( Evolution of Indian Civilization - Short Questions and Answers ) ১। প্রস্তরযুগ বলতে কী বোঝো? প্রস্তরযুগকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী? যে যুগে মানুষ পাথরের হাতিয়ার ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করত, সেই যুগকে প্রস্তরযুগ বলা হয়। প্রস্তরযুগকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যথা- (১) প্রাচীন প্রস্তরযুগ, (২) মধ্য প্রস্তরযুগ, (৩) নব্য প্রস্তরযুগ। ২। প্রাচীন প্রস্তরযুগ, মধ্য প্রস্তরযুগ ও নব্য প্রস্তরযুগের একটা করে বৈশিষ্ট্য দাও। প্রাচীন প্রস্তরযুগ: প্রাচীন প্রস্তরযুগে মানুষ ছিল খাদ্য-সংগ্রাহক। বলা যেতে পারে-Age of Food-gathering Man. মধ্য প্রস্তরযুগ: মধ্য প্রস্তরযুগে মানুষ খাদ্য-উৎপাদকে পরিণত হয়। এসময়কে বলা হয়-Age of Food-producing Man. নব্য প্রস্তরযুগ: এসময় মানুষ নগর সভ্যতার সাথে পরিচিত হয়। ধাতুর যুগ শুরু হয়। ঐতিহাসিক গর্ডন চাইল্ড এসময়কে বলেছেন-Age of Urban Culture.
মানব শারীরবিদ্যা
প্রশ্ন:১
উভাবতল প্রকৃতির জন্য একটি পরিণত লােহিত রক্তকণিকা কী কী সুবিধা পায় ?
উভাবতল প্রকৃতির জন্য একটি পরিণত লােহিত রক্তকণিকা কী কী সুবিধা পায় ?
উত্তর:
লােহিতকণিকার উভাবতল আকৃতির জন্য তলীয় আয়তন অনেকটাই বেড়ে যায়, ফলে অল্প সময়ে O2 যুক্ত বা বিযুক্ত হতে পারে এবং গ্যাসীয় আদানপ্রদানে সুবিধা হয়।
প্রশ্ন:২
কেন রক্ত রক্তবাহের মধ্যে জমাট বাঁধে না ?
প্রশ্ন:২
কেন রক্ত রক্তবাহের মধ্যে জমাট বাঁধে না ?
উত্তর:
তঞ্চকবিরােধী পদার্থ হেপারিন (heparin)-এর উপস্থিতির জন্য রক্ত জমাট বাঁধে না। এটি প্রােথ্রম্বিনকে সক্রিয় হতে দেয় না। রক্তে অ্যান্টিথ্রম্বিনও থাকে যা দুর্ঘটনাজনিত কারণে গঠিত থ্রম্বিনকে বাধা দেয়।
প্রশ্ন:৩
যদি একটি পায়ের লসিকাবাহ অবরুদ্ধ হয় তাহলে কী হবে ?
প্রশ্ন:৩
যদি একটি পায়ের লসিকাবাহ অবরুদ্ধ হয় তাহলে কী হবে ?
উত্তর:
পায়ের লসিকাবাহ অবরুদ্ধ হলে লসিকা শিরাতন্ত্রে আসতে পারবে না ফলে লসিকা জমে স্থানটি ফুলে উঠবে বা ইডিমা রােগলক্ষণ প্রকাশিত হবে।
প্রশ্ন:৪
নেফ্রাইটিস কাকে বলে ? এটি কত প্রকারের ?
প্রশ্ন:৪
নেফ্রাইটিস কাকে বলে ? এটি কত প্রকারের ?
উত্তর:
নেফ্রনের প্রদাহকে নেফ্রাইটিস বলে। এটি দুপ্রকারের যথা—পলিনেফ্রাইটিস এবং গ্লোমেরিউলাে নেফ্রাইটিস।
প্রশ্ন:৫
থ্রম্বােসাইটের কাজগুলি কী ?
প্রশ্ন:৫
থ্রম্বােসাইটের কাজগুলি কী ?
উত্তর:
(i) রক্ততঞ্চনে সাহায্য করা এদের প্রধান কাজ। রক্তক্ষরণের সময় অণুচক্রিকা বিনষ্ট হয়ে থ্রম্বােপ্লাস্টিন মুক্ত করে। এই পদার্থ প্রােথ্রম্বিনকে থ্রম্বিনে রূপান্তর করে।
(ii) অণুচক্রিকা রক্তজালিকার ক্ষতিগ্রস্ত অন্তঃআবরণীর গায়ে এঁটে গিয়ে মেরামতির কাজকে দ্রুততর করে।
(iii) বিনষ্ট অণুচক্রিকা থেকে হিস্টামিন এবং 5-হাইড্রক্সিট্রিপটামিন জাতীয় পদার্থ মুক্ত হয়। এরা রক্তনালির সংকোচন ঘটায় এবং রক্তের স্থিতিশীল প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে।
(iii) বিনষ্ট অণুচক্রিকা থেকে হিস্টামিন এবং 5-হাইড্রক্সিট্রিপটামিন জাতীয় পদার্থ মুক্ত হয়। এরা রক্তনালির সংকোচন ঘটায় এবং রক্তের স্থিতিশীল প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে।
প্রশ্ন:৬
গ্লোমেরুলিতে রক্তচাপ কত ? বৃক্কের কোন্ অংশে গ্লোমেরুলি থাকে না ?
উত্তর:
গ্লোমেরুলিতে রক্তচাপ 75 mmHg।
বৃক্কের মেডালায় কোনাে গ্লোমেরুলি থাকে না।
প্রশ্ন:৭
অণুচক্রিকার উৎপত্তি কীভাবে হয় ?
বৃক্কের মেডালায় কোনাে গ্লোমেরুলি থাকে না।
প্রশ্ন:৭
অণুচক্রিকার উৎপত্তি কীভাবে হয় ?
উত্তর:
লাল অস্থিমজ্জায় মেক্যারিওসাইট কোশগুলি বড়ো আকৃতির হয়। এদের ক্ষণপদ অস্থিমজ্জায় সাইনুসয়েডের প্রাচীরের মধ্যে প্রবেশ করলে ক্ষণপদগুলির অগ্রভাগ খণ্ডকে ভেঙে যায়। খণ্ডকগুলির প্রত্যেকটি একক পর্দাবেষ্টিত হয়ে রক্তস্রোতে প্রবেশ করে। এইগুলিকে অণুচক্রিকা বলে।
প্রশ্ন:৮
TC ও DC বলতে কী বােঝাে ?
প্রশ্ন:৮
TC ও DC বলতে কী বােঝাে ?
উত্তর:
প্রতি ঘন মিলিমিটার রক্তে উপস্থিত নির্দিষ্ট রক্তকণিকার সংখ্যা নির্ণয়কে মােট সংখ্যা বা টোটাল কাউন্ট (TC) এবং রক্তস্থিত প্রতি একশত শ্বেত রক্তকণিকার মধ্যে বিভিন্ন প্রকার শ্বেত রক্তকণিকার উপস্থিতির শতকরা সংখ্যা নির্ণয়কে পার্থক্যমূলক সংখ্যা বা ডিফারেনশিয়াল কাউন্ট (DC) বলে।
প্রশ্ন:৯
কীভাবে হেপারিন এবং অক্সালেটসমূহ রক্ততঞ্চন রােধ করে ?
উত্তর:
হেপারিন প্রােথ্রম্বিন থেকে থ্রম্বিন উৎপাদনে বাধা দিয়ে রক্ততঞন রােধ করে। ক্যালশিয়াম অক্সালেট ক্যালশিয়াম আয়নের সঙ্গে বিক্রিয়া করে অদ্রবণীয় ক্যালশিয়াম অক্সালেট উৎপন্ন করে, ক্যালশিয়াম আয়নের অভাবে রক্ততঞ্চন ঘটে না।
প্রশ্ন:১০
প্লাজমায় কী ধরনের প্রােটিন পাওয়া যায় ?
প্রশ্ন:১০
প্লাজমায় কী ধরনের প্রােটিন পাওয়া যায় ?
উত্তর:
প্লাজমায় চার রকমের প্রােটিন পাওয়া যায়, যথা— সিরাম অ্যালবুমিন, সিরাম গ্লোবিউলিন, প্রােথ্রম্বিন ও ফাইব্রিনােজেন।

Comments
Post a Comment