Skip to main content

সাম্প্রতিক পোস্ট

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।   অথবা,  একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।  অথবা,  নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও।             উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়।  এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়।  নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা:       পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...

জীববিজ্ঞানের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর-মানব শারীরবিদ্যা, সেট-২২

মানব শারীরবিদ্যা


প্রশ্ন:১
কৃত্রিম পেসমেকার কেন বসানাে হয় ?

উত্তর: 
এস.এ.নােড বিকল হলে এটি স্পন্দনপ্রবাহ উৎপন্ন করতে ব্যর্থ হয় এবং তখন হৃৎস্পন্দন অনিয়মিত হয়। এই অবস্থায় রােগীর বুকে শল্যচিকিৎসার দ্বারা কৃত্রিম পেসমেকার বসানাে হয় যা হৃৎপিণ্ডকে নিয়মিত ব্যবধানে উদ্দীপিত করে। এর ফলে হৃৎপিণ্ড তার ছন্দময়তা ফিরে পায়।


প্রশ্ন:২
হৃৎচক্র কাকে বলে ? তুচক্রের প্রথম ঘটনাটি কী ?

উত্তর: 
হৃৎপিণ্ডের একটি স্পন্দনে যেসব পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তন সংঘটিত হয়, পরবর্তী স্পন্দনেও সেসব পরিবর্তনের অনুরূপভাবে পুনরাবৃত্তি ঘটে। হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন থেকে স্পন্দনে এই চক্রাকার পরিবর্তনসমূহকে হৃৎচক্র বা কার্ডিয়াক সাইকেল বলে। হৎচক্রের প্রথম ঘটনাটি হল অলিন্দদ্বয়ের সংকোচন।


প্রশ্ন:৩
ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রামের তাৎপর্য কী ?

উত্তর: 
হৃৎপিণ্ডের বিভিন্ন রােগে ECG-এর গুরুত্ব অপরিসীম। ECG-এর বিভিন্ন তরঙ্গের আকৃতি-প্রকৃতি, স্থিতিকাল এবং অনুপস্থিতি হৃৎপিণ্ড স্বাভাবিক না অস্বাভাবিক এবং অস্বাভাবিক থাকলে তার সঠিক অবস্থান কোথায় সেটি বােঝা যায়। তা ছাড়া দেহে পেসমেকার লাগানাে আছে এমন ব্যক্তির ECG পর্যবেক্ষণ করে পেসমেকার-এর স্থায়িত্ব বােঝা যায়। তা ছাড়া ECG থেকে হৃৎস্পন্দন হার (rate of heart beat) জানা যায়।


প্রশ্ন:৪
হৃদসংকেত (Cardiac index) কাকে বলে ?

উত্তর: 
প্রতি মিনিটে প্রতি বর্গমিটার দেহতলে হার্দ-উৎপাদকে বলা হয় হৃদসংকেত।


প্রশ্ন:৫
হৃদ্-অবরােধ বা হার্ট ব্লক কী ?

উত্তর: 
এস.এ.নােডে স্পন্দনপ্রবাহের সৃষ্টি যদি ত্রুটিপূর্ণ হয় অথবা উৎপন্ন স্পন্দনপ্রবাহের পরিবহণ সঠিক না হয় তবে হৃৎপিণ্ডের ছান্দিক সংকোচন-প্রসারণ বিঘ্নিত হয়। একে বলা হয় হৃদ্-অবরােধ বা হার্ট ব্লক।


প্রশ্ন:৬
দ্বিতীয় হৃদধ্বনি সৃষ্টির কারণ ও গুরুত্ব লেখাে।

উত্তর: 
নিলয় প্রসারণে অন্তঃনিলয় চাপ হ্রাস পাওয়ায় মহাধমনি ও ফুসফুসীয় ধমনিস্থিত রক্তের বিপরীতমুখী প্রবাহে অর্ধচন্দ্রাকার কপাটিকা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে দ্বিতীয় হৃদধ্বনির সৃষ্টি হয়।
গুরুত্ব—
(i) দ্বিতীয় হৃদধ্বনি হৎপিণ্ডের সংকোচনের সমাপ্তি এবং প্রসারণের সূচনা নির্দেশ করে।
(ii) দ্বিতীয় হৃদধ্বনির স্পষ্টতা নির্দেশ করে যে অর্ধচন্দ্রাকার কপাটিকা সঠিকভাবে বন্ধ হচ্ছে এবং কোনাে বিপরীতমুখী রক্তপ্রবাহ নেই।


প্রশ্ন:৭
এ.ভি.নােডকে সংরক্ষী ছন্দ-নিয়ামক (Reserve Pacemaker) বলে কেন ?

উত্তর: 
এ.ভি.নােড প্রতি মিনিটে 40-60টি স্পন্দনপ্রবাহ উৎপন্ন করতে পারে। এস.এ.নোড কোনাে কারণে বিনষ্ট হলে হৃৎপিণ্ড এ.ভি.নােডের ছন্দে সংকুচিত হয়। তাই এ.ভি.নােডকে সংরক্ষী ছন্দ-নিয়ামক বলে।


প্রশ্ন:৮
প্রথম হৃদধ্বনি (First heart sound) সৃষ্টির কারণ কী ? এই ধ্বনির গুরুত্ব লেখাে।

উত্তর: 
নিলয়ের সংকোচনে উভয় নিলয়ের মধ্যে রক্তচাপ বাড়তে থাকে এবং প্রতি নিলয়ের রক্তচাপ সেদিকের অলিন্দের রক্তচাপের অধিক হলে উভয় অলিন্দ-নিলয় কপাটিকা সশব্দে বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে প্রথম হৃদধ্বনি সৃষ্টি হয়।
গুরুত্ব—প্রথম হৃদধ্বনির স্থিতিকাল ও তীব্রতা থেকে মায়ােকার্ডিয়ামের অবস্থা জানা যায়। এই ধ্বনির স্পষ্টতা থেকে বােঝা যায় যে, অলিন্দ-নিলয় কপাটিকা সঠিকভাবে বন্ধ হচ্ছে এবং এর মধ্যে কোনো অনুপযুক্ততা (incompetence) নেই।


প্রশ্ন:৯
ধমনি ও শিরার কলাস্থানিক গঠনে কী পার্থক্য লক্ষ করা যায় ?

উত্তর: 
ধমনি ও শিরা উভয় রক্তবাহই বহিঃস্তর, মধ্যস্তর ও অন্তঃস্তর এই তিনটি স্তর নিয়ে গঠিত। তবে ধমনিতে বহিঃস্তর ও মধ্যস্তর দুটি সবচেয়ে বেশি থাকে এবং বহিঃস্তরে প্রধানত সাদা তন্তুময় যােগকলা থাকে এবং এই স্তরটি তুলনামূলকভাবে অস্থিতিস্থাপক।
অপরপক্ষে, শিরার অন্তঃস্তর এবং মধ্যস্তর দুটি ধমনির তুলনায় পাতলা। শিরার প্রাচীরে পেশি এবং স্থিতিস্থাপক বস্তু কম থাকে। শিরার প্রাচীর পাতলা এবং অপেক্ষাকৃত কম অনৈচ্ছিক পেশি থাকে।


প্রশ্ন:১০
ইলেকট্রোকার্ডিয়ােগ্রাম বা ECG কী ?

উত্তর: 
মানুষের দেহ-আয়তন পরিবাহী (volume conductor) হওয়ায় এস.এ.নােডে উৎপন্ন তড়িৎ উদ্দীপনা হৃৎপিণ্ডের চতুঃপার্শ্বস্থ কলাকোশ থেকে সমগ্র দেহে প্রবাহিত হয়। এইজন্য হৃৎপিণ্ডের বিপরীত দেহাংশে যথােপযুক্ত তড়িদ্বার (electrode) যােগ করলে হৃৎপিণ্ডের তড়িৎ বিভবের পরিবর্তন ধরা পড়ে। তড়িৎ বিভবের পরিবর্তনকে বিশেষ যান্ত্রিক ব্যবস্থার দ্বারা লিপিবদ্ধ করলে যে লেখচিত্র (graph) পাওয়া যায় তাকে ইলেকট্রোকার্ডিয়ােগ্রাম বা ECG বলে।

Comments

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

ভরা কোটাল ও মরা কোটালের পার্থক্য

  ভরা কোটাল ও মরা কোটালের পার্থক্য Sl. No. ভরা কোটাল মরা কোটাল 1 চাঁদ, পৃথিবী ও সূর্য একই সরল রেখায় অবস্থান করলে চাঁদ ও সূর্যের মিলিত আকর্ষণ পৃথিবীর একই স্থানের উপর কার্যকরী হয়, ফলে ভরা কোটালের সৃষ্টি হয়। চাঁদ, পৃথিবী ও সূর্য সমকোণী অবস্থানে থাকলে পৃথিবীর উপর চাঁদ ও সূর্যের আকর্ষণ পরস্পর বিপরীত ও বিরোধী হয়, ফলে মরা কোটালের সৃষ্টি হয়। 2 মানবজীবনের উপর ভরা কোটালে (নদী-মোহানা, নৌ-চলাচল, মাছ আহরণ ইত্যাদি)-র প্রভাব বেশি। মানবজীবনের উপর মরা কোটালের প্রভাব কম। 3 ভরা কোটাল হয় অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে। মরা কোটাল হয় শুক্ল ও কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে। 4 ভরা কোটালের ক্ষেত্রে সাগর-মহাসাগরের জলতল সবচেয়ে বেশী স্ফীত হয়। মরা কোটালের ক্ষেত্রে সাগর-মহাসাগরের জলতলের স্ফীতি সবচেয়ে কম হয়। 5 অমাবস্যা তিথিতে পৃথিবীর একই পাশে একই সরলরেখায় চাঁদ ও সূর্য অবস্থান করে। পূর্ণিমা তিথিতে সূর্য ও চাঁদের মাঝে পৃথিবী একই সরলরেখায় অবস্থান করে। কৃষ্ণ ও শুক্ল পক্ষের অষ্টমীত...

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (১৮৭৮ খ্রি.)

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন প্রবর্তন সাম্রাজ্যবাদী গভর্নর–জেনারেল লর্ড লিটন দেশীয় পত্রপত্রিকার কণ্ঠরোধ করার সিদ্ধান্ত নেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (Vernacular Press Act, 1878) জারি করেন। পটভূমি ঊনবিংশ শতকে দেশীয় সংবাদপত্রগুলিতে সরকারি কর্মচারীদের অন্যায় আচরণ, অর্থনৈতিক শোষণ, দেশীয় সম্পদের বহির্গমন, দেশীয় শিল্পের অবক্ষয় ইত্যাদি নানা বিষয় তুলে ধরা হয়। ইতিহাসবিদ এ.আর.দেশাইয়ের মতে, “ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিকাশে সংবাদপত্র হল এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম”।

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।   অথবা,  একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।  অথবা,  নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও।             উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়।  এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়।  নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা:       পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...

ষাঁড়াষাঁড়ি বান

ষাঁড়াষাঁড়ি বান              বর্ষাকালে স্বাভাবিক কারণেই নদীতে জলের পরিমাণ ও বেগ বেশি থাকে। এই সময় জোয়ারের জল নদীর    মোহানায় প্রবেশ করলে জোয়ার ও নদীস্রোত—এই বিপরীতমুখী দুই স্রোতের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এর ফলে নদীর জল প্রবল শব্দ সহকারে প্রচণ্ড স্ফীত হয়ে ওঠে।  

পলল ব্যজনী বা পলল শঙ্কু

পলল ব্যজনী বা পলল শঙ্কু                     পর্বত্য অঞ্চল থেকে সমভূমিতে প্রবেশ করলে নদীর গতিপথের ঢাল হ্রাস পায়। ফলে নদীর ক্ষমতাও কমে যায়। উচ্চপ্রবাহের ক্ষয়িত পদার্থসমূহ (শিলাখণ্ড, নুড়ি, কাঁকর, বালি) সমভূমিতে প্রবেশের মুখে পর্বতের পাদদেশে সঞ্চিত হয়ে শঙ্কু আকৃতির ভূমিরূপ গঠন করে। একে পলিশঙ্কু বলে। দেখতে হাত পাখার মতো হয় বলে একে পলল পাখা বা পলল ব্যজনীও বলে। 

গ্রস্ত উপত্যকা

গ্রস্ত উপত্যকা দুটি চ্যুতির মধ্যবর্তী অংশ বসে গেলে যে অবনমিত অঞ্চলের সৃষ্টি হয়, তাকে গ্রস্ত উপত্যকা বলে। এছাড়া, মহীভাবক আলোড়নের ফলে ভূপৃষ্ঠে সংকোচন ও প্রসারণ বলের সৃষ্টি হয়। যার ফলে ভূপৃষ্ঠের কঠিন শিলায় ফাটলের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীকালে পুনরায় ভূ-আন্দোলন ঘটলে বা ভূ-আলোড়নের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে ফাটল রেখা বরাবর শিলার একটি অংশ অপর অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, একে চ্যুতি বলে। সংনমন বল বৃদ্ধি পেলে দুটি চ্যুতির মাঝের অংশ খাড়াভাবে নীচে বসে যায়। অবনমিত, ওই অংশকে বলে গ্রস্ত উপত্যকা। 

স্প্রিং তুলা ও সাধারণ তুলার মধ্যে পার্থক্য কী ?

স্প্রিং তুলা ও সাধারণ তুলার মধ্যে পার্থক্য - স্প্রিং তুলা সাধারণ তুলা 1. স্প্রিং তুলা দিয়ে বস্তুর ভার বা ওজন মাপা হয়। 1. সাধারণ তুলায় বস্তুর ভর মাপা হয়। 2. খুব ভারী বস্তুর ওজন মাপা যায় না। 2. ভারী বস্তুর ভর মাপা যায়। 3. স্প্রিং তুলায় একটি বস্তুর ওজনের পাঠ বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন হয়। 3. সাধারণ তুলায় একটি বস্তুর ভরের ক্ষেত্রে সব স্থানে একই পাঠ পাওয়া যায়। 4. স্প্রিং তুলা যে স্থানে অংশাঙ্কিত হয় শুধু সেই স্থানে সঠিক পাঠ দেয়। 4. সাধারণ তুলা সব স্থানে সঠিক পাঠ দেয়। 5. স্প্রিং তুলার কার্যনীতি পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের জন্য স্প্রিং-এর দৈর্ঘ্য বৃদ্ধির ওপর নির্ভরশীল। 5. সাধারণ তুলা প্রথম শ্রেণির লিভারের নীতি অনুযায়ী কাজ করে।

নদী উপত্যকা এবং হিমবাহ উপত্যকার মধ্যে পার্থক্য

  নদী উপত্যকা এবং হিমবাহ উপত্যকার মধ্যে পার্থক্য Sl. No. নদী উপত্যকা হিমবাহ উপত্যকা 1 মেরু প্রদেশের বরফাবৃত অঞ্চল এবং উষ্ণ ও শুষ্ক মরুভূমি অঞ্চল ছাড়া অন্যান্য অঞ্চলে নদী উপত্যকার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। কেবলমাত্র বরফে ঢাকা উঁচু পার্বত্য অঞ্চল এবং হিমশীতল মেরু অঞ্চলেই হিমবাহ উপত্যকার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। 2 পার্বত্য অঞ্চলে নদী উপত্যকা প্রধানত ইংরেজি ‘V’ অক্ষরের মতো হয়। হিমবাহ উপত্যকা ইংরেজি ‘U’ অক্ষরের মতো হয়। 3 পার্বত্য ও উচ্চ সমভূমি অঞ্চলে নদী স্রোতের গতিবেগ প্রবল হয়, নিম্নভূমিতে নদী স্রোতের গতি ধীরে ধীরে কমে আসে। বেশিরভাগ সময়েই হিমবাহ অত্যন্ত ধীরগতিতে প্রবাহিত হয়। 4 নদী উপত্যকা আঁকাবাঁকা পথে অগ্রসর হয়। হিমবাহ উপত্যকা সোজা পথে অগ্রসর হয়। 5 সাধারণত নদী উপত্যকার মোট দৈর্ঘ্য বেশি হয়। হিমবাহ উপত্যকার মোট দৈর্ঘ্য কম হয়। 6 নদীর সঞ্চয় কাজের ফলে নদী উপত্যকায় প্লাবনভূমি, স্বাভাবিক বাঁধ, বদ্বীপ প্রভৃতি ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়। ...

মানব জীবনের ওপর পর্বতের প্রভাব উল্লেখ করো।

মানব জীবনের ওপর পর্বতের প্রভাব উল্লেখ করো। সমুদ্র সমতল থেকে অন্তত ১০০০ মিটারের বেশি উঁচু ও বহুদূর বিস্তৃত শিলাময় স্তূপ যার ভূপ্রকৃতি অত্যন্ত বন্ধুর, ভূমির ঢাল বেশ খাড়া এবং গিরিশৃঙ্গ ও উপত্যকা বর্তমান তাকে পর্বত বলে৷ খাড়াভাবে দাঁড়িয়ে থাকা এই পর্বত মানুষের জীবনকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। মানবজীবনে পর্বতের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবগুলি হল—

ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য

  ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য Sl. No. ঘূর্ণবাত প্রতীপ ঘূর্ণবাত 1 ঘূর্ণবাতের নিম্নচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর উচ্চচাপ বলয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের উচ্চচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর নিম্নচাপ বলয়। 2 নিম্নচাপ কেন্দ্রে বায়ু উষ্ণ, হালকা ও ঊর্ধ্বগামী হয়। উচ্চচাপ কেন্দ্রে বায়ু শীতল, ভারী ও নিম্নগামী হয়। 3 ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে, ফলে বিস্তীর্ণ অঞ্চল অল্প সময়ে প্রভাবিত হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে না। 4 ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে এবং বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘমুক্ত থাকে। বৃষ্টিপাত ও ঝড়-ঝঞ্ঝা ঘটে না। মাঝেমাঝে তুষারপাত ও কুয়াশার সৃষ্টি হয়৷ 5 ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে নিম্নচাপ বিরাজ করে। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে উচ্চচাপ বিরাজ করে। 6 চারিদিক থেকে ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রের দিকে বায়ু ছুটে আসে অর্থাৎ বায়ুপ্রবাহ কেন্দ্রমুখী। প্রতীপ ঘূর্ণবাতে কেন...