প্রাচীন ভারত ও ভৌগোলিক প্রেক্ষাপট (Ancient India and Geographical Context) - প্রশ্নোত্তর ১। ভারতবর্ষকে কে নৃতত্ত্বের যাদুঘর আখ্যা দিয়েছেন? উঃ। ভিনসেন্ট স্মিথ ভারতবর্ষকে 'নৃতত্ত্বের যাদুঘর' বলে আখ্যা দিয়েছেন। ২। দ্রাবিড় সভ্যতা ভারতের কোথায় প্রথম গড়ে ওঠে? উঃ। দ্রাবিড় সভ্যতা প্রথম গড়ে ওঠে দক্ষিণ ভারতে। ৩। 'নাডিক' নামে কারা পরিচিত? উঃ। আর্যরা 'নার্ডিক' নামে পরিচিত। ৪। ভারতের প্রচীনতম লিপি কোনটি? উঃ। ভারতের প্রাচীনতম লিপি হল সিন্ধু লিপি।
জীবের জনন
প্রশ্ন:১
জননের দুটি গুরুত্ব লেখাে।
উত্তর: গুরুত্ব—
(i) জননের ফলে জীবের মৃত্যুজনিত সংখ্যার হ্রাস পূরণ হয়, যার ফলে পৃথিবীতে জীবজগতের ভারসাম্য বজায় থাকে।
(ii) জনন জীবের মধ্যে ভেদ বা প্রকরণের সূচনা করে। প্রয়ােজনীয় প্রকরণ জীবের অভিযােজন ও অভিব্যক্তির জন্য আবশ্যক।
প্রশ্ন:২
অযৌন জননের তিনটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করাে।
উত্তর: বৈশিষ্ট্য—
(i) একটি মাত্র জনিতৃ জীব জননে অংশগ্রহণ করে;
(ii) গ্যামেট সৃষ্টি হয় না; নিষেক সম্পন্ন হয় না;
(iii) কেবলমাত্র মাইটোসিস কোশ বিভাজন ঘটে সেক্ষেত্রে অপত্য জীব মাতৃজীবের সদৃশ হয়।
প্রশ্ন:৩
জননের মূল বৈশিষ্ট্য সংক্ষেপে লেখাে।
উত্তর:
বৈশিষ্ট্য–
(i) জনন কোশের সৃষ্টি;
(ii) জনন কোশ থেকে নতুন অপত্য জীবের সৃষ্টি;
(iii) কোশের বিভাজন ও বৃদ্ধি এবং
(iv) DNA-র প্রতিলিপিকরণ।
প্রশ্ন:৪
অনুদৈর্ঘ্য বিভাজন কী ?
উত্তর:
যে প্রকার বিভাজন অনুদৈঘ্য অক্ষ বরাবর হয়। প্রথমে ফ্লাজেলামের বিভাজন ঘটে এবং পরে দেহের বিভাজন ঘটে। প্রথমে মাতৃ নিউক্লিয়াসটি দুটি অপত্য নিউক্লিয়াস গঠন করে, পরে সাইটোপ্লাজম অনুদৈর্ঘ্যভাবে বিভাজিত হয়ে দুটি অপত্য প্রাণী গঠন করে।
প্রশ্ন:৫
নিম্নলিখিত উদ্ভিদ ও প্রাণীর গ্যামেটে ও মিয়ােসাইটে ক্রোমােজোম সংখ্যা কত ? কুকুর; পেঁয়াজ; মাছি।
উত্তর:
গ্যামেটে ক্রোমোেজাম সংখ্যা— কুকুর–78; পেঁয়াজ–16; মাছি–12।
মিয়ােসাইটে ক্রোমােজোম সংখ্যা— কুকুর–39; পেঁয়াজ–8; মাছি–6।
প্রশ্ন:৬
দ্বি-বিভাজন কাকে বলে ?
উত্তর:
যে অযৌন জনন প্রক্রিয়ায় একটি জনিতৃ জীব থেকে মাইটোসিস কোশ বিভাজন প্রক্রিয়ায় দু-ভাগে বিভক্ত হয়ে মাতৃজীবের অনুরূপ দুটি স্বাধীন অপত্য জীব সৃষ্টি হয়। অপত্য জীবগুলি জিনগতভাবে মাতৃজীবের সমতুল্য হয়।
প্রশ্ন:৭
জনন বা রিপ্রােডাকশন কাকে বলে ?
উত্তর:
যে জৈবিক পদ্ধতিতে জীব নিজ সত্ত্বা ও আকৃতিবিশিষ্ট অপত্য জীব সৃষ্টি করে এবং সংখ্যা বৃদ্ধির দ্বারা নিজস্ব বংশধারাকে অক্ষুন্ন রাখে, তাকে জনন বলা হয়।
প্রশ্ন:৮
সােমাটোজেনিক জনন কাকে বলে ?
উত্তর:
যে অযৌন জনন প্রক্রিয়ায় দেহকোশ অ্যামাইটোসিস বা মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়ে অপত্য কোশের সৃষ্টি হয়, তাকেই সােমাটোজেনিক বা ব্লাস্টোজেনিক জনন বলে।
প্রশ্ন:৯
অযৌন জনন কাকে বলে ?
উত্তর:
যে জনন পদ্ধতিতে গ্যামেট উৎপাদন ছাড়াই জনিতৃ জীবের দেহকোশ বিভাজিত হয়ে অথবা রেণু তৈরির মাধ্যমে অপত্য জীবের সৃষ্টি হয়, তাকে অযৌন জনন বলে।
প্রশ্ন:১০
জীবের জীবনকালের পর্যায়গুলি কী কী ?
উত্তর:
জীবের জীবনকালের চারটি পর্যায় লক্ষ করা যায়—
(i) কৈশাের কাল,
(ii) পরিণতি পর্যায়,
(iii) বয়ঃপ্রাপ্তি ও বার্ধক্য ও
(iv) মৃত্যু।

Comments
Post a Comment