বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য ভারত-ইতিহাসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য এক মহাদেশের সারাংশ (Epitome of the World) ভারতবর্ষ শুধুমাত্র একটি দেশ নয়, এটি একটি উপ-মহাদেশের সমতুল্য। প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য, নৃতাত্ত্বিক ভিন্নতা এবং সাংস্কৃতিক বিপুলতা সত্ত্বেও এই ভূখণ্ডের হাজার বছরের ইতিহাসে যে "অন্তর্নিহিত মৌলিক ঐক্য" ( Fundamental Unity ) বারবার প্রকাশিত হয়েছে, তা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। ঐতিহাসিক ভিনসেন্ট স্মিথ এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যকে যথার্থই " India offers unity in diversity " বা "বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য" বলে আখ্যা দিয়েছেন। যুগে যুগে বিভিন্ন জাতি, ধর্ম ও ভাষাভাষী মানুষের মিলনকেন্দ্র হওয়ায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতবর্ষকে "মহামানবের সাগরতীর" নামে অভিহিত করেছেন। ভারতবর্ষের বৈচিত্র্যের স্বরূপ (The Nature of Diversity) ভারতের বৈচিত্র্যকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়: ক) প্রাকৃতিক বা ভৌগোলিক বৈচিত্র্য: ভূ-প্রকৃতি: উত্...
মানব শারীরবিদ্যা
প্রশ্ন:১
লসিকা লসিকাবাহ থেকে কোন্ শিরার মাধ্যমে রক্তপ্রবাহে মেশে ?
উত্তর:
সাবক্লেভিয়ান শিরার মাধ্যমে।
প্রশ্ন:২
তঞ্চনকাল বা ক্লটিং টাইম (CT) এবং রক্তমােক্ষণকাল বা ব্লিডিং টাইম (BT) কাকে বলে ?
উত্তর:
রক্তক্ষরণের শুরু থেকে রক্ত তঞ্চিত হওয়ার সময়কালকে তঞ্চনকাল (CT) বলে।
অপরপক্ষে, রক্তক্ষরণ শুরু হওয়া থেকে রক্তক্ষরণ বন্ধ হওয়ার সময়কালকে রক্তমােক্ষণকাল (BT) বলে। CT—2-4 মিনিট; BT—2-5 মিনিট।
প্রশ্ন:৩
অ্যান্টিজেন বলতে কী বােঝাে ?
উত্তর:
বিজাতীয় জীবাণু বা অধিবিষ (toxin) দেহে প্রবেশ না করলে অর্জিত অনাক্রম্যতা আসে না। প্রতিটি অধিবিষ বা জীবাণুতে এক বা একাধিক নির্দিষ্ট রাসায়নিক পদার্থ থাকে। এগুলি হল প্রােটিন, পলিস্যাকারাইড, লাইপােপ্রােটিন ইত্যাদি। এইসব রাসায়নিক পদার্থগুলিকে অ্যান্টিজেন বলে।
প্রশ্ন:৪
থ্রম্বােসাইট বা অণুচক্রিকা কাকে বলে ?
উত্তর:
রক্ততঞ্চনে সহায়ককারী ক্ষুদ্র, নিউক্লিয়াসবিহীন রক্তকণিকাকে অণুচক্রিকা বা প্লেটলেট বা থ্রম্বােসাইট বলে।
প্রশ্ন:৫
রক্তদানের প্রয়ােজনীয়তা কী ?
উত্তর:
যেসব কারণে দেহে রক্তের পরিমাণ হ্রাস পায় তাদের মধ্যে প্রধান হল রক্তপাত, আঘাত, দুর্ঘটনা, শল্যচিকিৎসা, কার্বন মনােক্সাইড ও কোল গ্যাস দ্বারা রক্ত দূষিত হয়ে পড়া, সাপে কাটা ইত্যাদি। এসব ক্ষেত্রে রােগীকে তার নিজ বিভাগের রক্ত দেওয়া প্রয়ােজন হয়।
প্রশ্ন:৬
কয়েকটি অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্টের (তঞ্চনবিরােধী) উদাহরণ দাও।
উত্তর:
অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট—হেপারিন, হিরুডিন (জোঁকের দেহে অবস্থিত), কোমারিন, সাইট্রেট, অক্সালেট ইত্যাদি তঞ্চনরােধক পদার্থ।
মানবরক্তে অবস্থিত অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট—হেপারিন, অ্যান্টিথ্রন্বিন-III, ম্যাক্রোগ্লোবিউলিন।
বাইরের অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট—সােডিয়াম অক্সালেট, পটাশিয়াম অক্সালেট, সােডিয়াম সাইট্রেট।
প্রশ্ন:৭
লসিকার কাজ কী ?
উত্তর:
লসিকার প্রধান কাজগুলি হল—
(i) লসিকা কোশে কোশে পুষ্টিরস এবং অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং বিপাকজাত দূষিত পদার্থগুলিকে কোশ থেকে রক্তস্রোতে প্রেরণ করে।
(ii) লসিকা-মধ্যস্থ শ্বেত রক্তকণিকা জীবাণু ধ্বংস করে।
(iii) লসিকা অন্ত্র থেকে ফ্যাট শােষণ করে।
প্রশ্ন:৮
রক্ততঞ্চনের উপাদানগুলি কী ?
উত্তর:
রক্ততঞ্চনের প্রধান উপাদানগুলি হল—প্রােথ্রম্বিন, ফাইব্রিনােজেন, ক্যালশিয়াম আয়ন এবং থ্রম্বােপ্লাস্টিন। এদের মধ্যে প্রথম তিনটি রক্তে থাকে এবং শেষােক্তটি অণুচক্রিকা বিনষ্ট হলে নির্গত হয়।
প্রশ্ন:৯
অ্যান্টিবডি কাকে বলে ?
উত্তর:
অধিবিষ বা জীবাণুগত অ্যান্টিজেনের বিরুদ্ধে দেহের মধ্যে যেসব প্রােটিনের আবির্ভাব ঘটে, যারা জীবাণু বা তাদের থেকে নিঃসৃত অধিবিষকে বিনষ্ট করে, তাদের অ্যান্টিবডি বলে।
প্রশ্ন:১০
লসিকা বা লিম্ফ কী ? লসিকা কীভাবে সৃষ্টি হয় ?
উত্তর:
লসিকা একপ্রকারের হালকা হলুদ বর্ণের স্বচ্ছ, জলীয় তরল যােগকলা। এটি একপ্রকারের পরিবর্তিত কলারস।
রক্তস্রোত থেকেই লসিকার উৎপত্তি হয়। রক্তজালকের পাতলা প্রাচীর ভেদ করে রক্তের তরল অংশ কোশ মধ্যবর্তী অংশে সঞ্চিত হয় এবং লসিকায় পরিণত হয়।

Comments
Post a Comment