Skip to main content

প্রস্তুতি শুরু করা যাক [খুব তাড়াতাড়ি আসছে]

WBSSC WBPSC WBPRB WBCS

সাম্প্রতিক পোস্ট

দশম শ্রেণী - জীবনবিজ্ঞান - জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় - উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা এবং সাড়াপ্রদান - 'সদৃশ জোড়' (Analogous Pair)

দশম শ্রেণী - জীবনবিজ্ঞান - জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় - উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা এবং সাড়াপ্রদান - 'সদৃশ জোড়' (Analogous Pair) 'সদৃশ জোড়' (Analogous Pair) বা প্রথম জোড়ার সম্পর্ক বুঝে দ্বিতীয় জোড়াটি পূরণ : ১. জগদীশচন্দ্র বসু : ক্রেস্কোগ্রাফ :: উদ্ভিদের কাণ্ডের আলোকবৃত্তি : ❓ অক্সিন ২. তীব্র আলোক : ফটোন্যাস্টিক :: আলোক উৎসের গতিপথ : ❓ ফটোট্রপিক ৩. সিসমোন্যাস্টিক : লজ্জাবতী :: প্রকরণ চলন : ❓ বনচাঁড়াল ৪. অনুকূল জিওট্রপিক : উদ্ভিদের মূল :: প্রতিকূল জিওট্রপিক : ❓ সুন্দরী গাছের শ্বাসমূল ৫. সূর্যমুখী : ফটোন্যাস্টিক :: টিউলিপ : ❓ থার্মোন্যাস্টিক

পশ্চিমবঙ্গের প্রধান শিক্ষা বোর্ডসমূহ [খুব তাড়াতাড়ি আসছে]

WBBPE WBBSE WBCHSE WBMSC

জীববিজ্ঞানের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর-মানব শারীরবিদ্যা, সেট-৪২

মানব শারীরবিদ্যা


প্রশ্ন:১
অক্সিটোসিন-এর উৎস কাজ লেখাে।

উত্তর: 
অক্সিটোসিন হাইপােথ্যালামাসের প্যারাভেন্ট্রিকুলার নিউক্লিয়াসে সংশ্লেষিত হয়ে হাইপােথ্যালামিক হাইপােফাইসিয়াল স্নায়ুপথে পশ্চাৎ পিটুইটারিতে পৌঁছােয় এবং সেখান থেকে ক্ষরিত হয়।


প্রশ্ন:২
বৃদ্ধ বয়সে বৃদ্ধি হরমােনের স্বল্পতায় কী কী লক্ষণ প্রকাশ পায় ?

উত্তর: 
অধিক বয়সের ছাপ পরিলক্ষিত হয়, অর্থাৎ 50 বছরের কোনাে ব্যক্তিকে দেখলে মনে হয় যেন তার বয়স 65। 
অন্যান্য দৈহিক ও শারীরবৃত্তীয় প্রভাবগুলি হল— 
(i) চামড়া কুঁচকে যায়, 
(ii) বিভিন্ন অঙ্গের কর্মক্ষমতা হ্রাস পায় এবং 
(iii) পেশির পরিমাণ ও ক্ষমতা কমে যায়।


প্রশ্ন:৩
হরমােন কী ? হরমােনকে রাসায়নিক দূত বলে কেন ?

উত্তর: 
বিশেষ ধরনের কোশসমষ্টি (উদ্ভিদদেহে) বা অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি (প্রাণীদেহে) থেকে নিঃসৃত যেসব জৈব-রাসায়নিক পদার্থ দেহতরলের মাধ্যমে দূরবর্তী স্থানে বাহিত হয়ে দেহের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কার্য অর্থাৎ বৃদ্ধি, পরিস্ফুরণ, জনন ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে; যাদের প্রভাব ক্রমান্বয়িক, সুদূরপ্রসারী এবং ক্রিয়ার পর ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় তাদের হরমােন বলে। হরমােন উৎসস্থল থেকে দূরবর্তী স্থানে রাসায়নিক বার্তা বহন করে নিয়ে যায়। তাই হরমােনকে রাসায়নিক দূত বা কেমিক্যাল ম্যাসেঞ্জার বলে।


প্রশ্ন:৪
অতিকায়ত্ব বা জাইগ্যানটিজম কী ?

উত্তর: 
পিটুইটারির অগ্রখণ্ডের বৃদ্ধি হরমােন নিঃসরণকারী অ্যাসিডােফিল কোশগুলির সক্রিয়তা যদি বয়ঃসন্ধিকালের (adolescence) পূর্বে বেড়ে যায় এবং এর ফলে অতিরিক্ত বৃদ্ধি হরমােন ক্ষরিত হয় তবে দৈহিক বৃদ্ধি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায় এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উচ্চতা 8 ফুট পর্যন্ত হয়। এই অবস্থাকে বলা হয় অতিকায়ত্ব বা জাইগ্যানটিজম (Gigantism)।


প্রশ্ন:৫
নেগেটিভ ফিডব্যাক (negative feed back) কী ?

উত্তর: 
কোনাে গ্রন্থির ক্ষরিত পদার্থ যখন ওর উচ্চতর কেন্দ্রের ক্ষরণে বাধা সৃষ্টি করে সেই পদ্ধতিকে নেগেটিভ ফিড ব্যাক বলে। যেমন—পিটুইটারি গ্রন্থির অগ্রখণ্ড থেকে নিঃসৃত থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমােন (TSH) থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে থাইরক্সিন হরমােন ক্ষরণ ঘটায়। আবার রক্তে থাইরক্সিনের অধিক মাত্রা পিটুইটারি থেকে TSH-এর ক্ষরণ হ্রাসের মাধ্যমে থাইরয়েড থেকে থাইরক্সিনের ক্ষরণ হ্রাস করে। এই ধরনের নিয়ন্ত্রণকে নেগেটিভ ফিডব্যাক (negative feedback) বলে।


প্রশ্ন:৬
পিটুইটারির পশ্চাদখণ্ডের স্বল্পক্ষরণজনিত লক্ষণগুলি কী কী ?

উত্তর: 
(1) ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস (Diabetes Insipidus)—পশ্চাৎ পিটুইটারি থেকে ADH-এর ক্ষরণ কম হওয়ায় বৃক্কের দূরবর্তী নালিকা দ্বারা জলের পুনঃশোষণ উল্লেখযােগ্যভাবে কমে যায়। এর ফলে অধিক পরিমাণে (প্রতিদিন 15 লিটার বা তার বেশি) পাতলা মূত্র উৎপন্ন হয় এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বারবার মূত্র ত্যাগ করে, এই অবস্থাকে বলা হয় বহুমূত্র বা ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস। 
(2) অক্সিটোসিনের স্বল্পতাজনিত ফল—অক্সিটোসিনের স্বল্পতায় প্রসবকালীন অবস্থায় জরায়ুর সংকোচনের তীব্রতা উল্লেখযােগ্যভাবে হ্রাস পায়। ফলে স্বাভাবিক প্রসবক্রিয়া বিঘ্নিত হয়। তা ছাড়া স্তনগ্রন্থির বৃদ্ধি ও দুগ্ধ নিঃসরণ কমে যায়।


প্রশ্ন:৭
হাইপােথ্যালামাস দ্বারা পশ্চাৎ পিটুইটারির হরমােন ক্ষরণ কীভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় ?

উত্তর: 
পিটুইটারি পশ্চাদখণ্ড ও হাইপােথ্যালামাসের সম্পর্ক খুবই নিবিড়। পশ্চাদখণ্ডের দুটি হরমােন—ADH ও অক্সিটোসিন হাইপােথ্যালামাসের সুপ্রাঅপটিক (Supraoptic) ও প্যারাভেন্ট্রিকুলার (Paraventricular) নিউক্লিয়াসে সংশ্লেষিত হয় এবং হাইপােথ্যালামিক হাইপােফাইসিয়াল স্নায়ুপথে পশ্চাৎ পিটুইটারিতে পৌঁছোয়। হাইপােথ্যালামাস থেকে আগত স্নায়ু উদ্দীপনায় উদ্দীপিত হলে পশ্চাৎ পিটুইটারি থেকে হরমােন ক্ষরিত হয়। অর্থাৎ পশ্চাৎ পিটুইটারি হরমােন নিঃসরণ সম্পূর্ণভাবে হাইপােথ্যালামাস নিয়ন্ত্রণ করে।


প্রশ্ন:৮
হরমােনের দ্বৈত নিয়ন্ত্রণ (double control) বলতে কী বােঝায় ?

উত্তর: 
কোনাে কোনাে শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় একাধিক হরমােন অংশগ্রহণ করে। সেখানে একটি হরমােন প্রক্রিয়াটিকে সহায়তা করে এবং অন্য হরমােন প্রক্রিয়াটিতে বাধা সৃষ্টি করে। যেমন—ইনসুলিন রক্তশর্করার পরিমাণ হ্রাস করে কিন্তু গ্লুকাগন রক্তশর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি করে। একে হরমােনের দ্বৈত নিয়ন্ত্রণ বলে।


প্রশ্ন:৯
অক্সিটোসিন-এর শারীরবৃত্তীয় কাজ উল্লেখ করো।

উত্তর: 
অক্সিটোসিন-এর শারীরবৃত্তীয় কাজ—অক্সিটোসিন গর্ভাবস্থার শেষের দিকে জরায়ুর শক্তিশালী সংকোচন ঘটায়। জরায়ুর এই শক্তিশালী সংকোচনের জন্যই প্রসবকালীন ব্যথা (labor pain) অনুভূত হয়। এইভাবে এটি শিশুপ্রসবে সাহায্য করে। এটি স্তনগ্রন্থির মায়ােএপিথেলিয়াল কোশের সংকোচনের দ্বারা দুগ্ধ নিঃসরণ ত্বরান্বিত করে।


প্রশ্ন:১০
ADH-এর উৎস ও শারীরবৃত্তীয় কাজ উল্লেখ করাে।

উত্তর: 
ADH হাইপােথ্যালামাসের সুপ্রাঅপটিক নিউক্লিয়াসে সংশ্লেষিত হয় এবং পিটুইটারি গ্রন্থির পশ্চাদখণ্ড থেকে ক্ষরিত হয়।
ADH-এর শারীরবৃত্তীয় কাজ—সূক্ষ্মমাত্রায় ADH বৃক্কীয় নালিকার ভেদ্যতা (permeability) বৃদ্ধি করে। ফলে গ্লোমেরুলাস দ্বারা পরিস্রুত তরল থেকে বেশিরভাগ জল পুনঃশােষিত হয়ে রক্তে ফিরে যায়। এইভাবে ADH দ্বারা দেহের জল সংরক্ষণ হয়। তা ছাড়া ADH-এর উচ্চ ঘনত্ব সারাদেহে ধমনিকাগুলির সংকোচন ঘটিয়ে রক্তচাপ বৃদ্ধি করে। তাই ADH-এর অপর নাম ভেসােপ্রেসিন।

Comments

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (১৮৭৮ খ্রি.)

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন প্রবর্তন সাম্রাজ্যবাদী গভর্নর–জেনারেল লর্ড লিটন দেশীয় পত্রপত্রিকার কণ্ঠরোধ করার সিদ্ধান্ত নেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (Vernacular Press Act, 1878) জারি করেন। পটভূমি ঊনবিংশ শতকে দেশীয় সংবাদপত্রগুলিতে সরকারি কর্মচারীদের অন্যায় আচরণ, অর্থনৈতিক শোষণ, দেশীয় সম্পদের বহির্গমন, দেশীয় শিল্পের অবক্ষয় ইত্যাদি নানা বিষয় তুলে ধরা হয়। ইতিহাসবিদ এ.আর.দেশাইয়ের মতে, “ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিকাশে সংবাদপত্র হল এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম”।

ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য

  ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য Sl. No. ঘূর্ণবাত প্রতীপ ঘূর্ণবাত 1 ঘূর্ণবাতের নিম্নচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর উচ্চচাপ বলয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের উচ্চচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর নিম্নচাপ বলয়। 2 নিম্নচাপ কেন্দ্রে বায়ু উষ্ণ, হালকা ও ঊর্ধ্বগামী হয়। উচ্চচাপ কেন্দ্রে বায়ু শীতল, ভারী ও নিম্নগামী হয়। 3 ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে, ফলে বিস্তীর্ণ অঞ্চল অল্প সময়ে প্রভাবিত হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে না। 4 ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে এবং বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘমুক্ত থাকে। বৃষ্টিপাত ও ঝড়-ঝঞ্ঝা ঘটে না। মাঝেমাঝে তুষারপাত ও কুয়াশার সৃষ্টি হয়৷ 5 ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে নিম্নচাপ বিরাজ করে। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে উচ্চচাপ বিরাজ করে। 6 চারিদিক থেকে ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রের দিকে বায়ু ছুটে আসে অর্থাৎ বায়ুপ্রবাহ কেন্দ্রমুখী। প্রতীপ ঘূর্ণবাতে কেন...

নদী উপত্যকা এবং হিমবাহ উপত্যকার মধ্যে পার্থক্য

  নদী উপত্যকা এবং হিমবাহ উপত্যকার মধ্যে পার্থক্য Sl. No. নদী উপত্যকা হিমবাহ উপত্যকা 1 মেরু প্রদেশের বরফাবৃত অঞ্চল এবং উষ্ণ ও শুষ্ক মরুভূমি অঞ্চল ছাড়া অন্যান্য অঞ্চলে নদী উপত্যকার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। কেবলমাত্র বরফে ঢাকা উঁচু পার্বত্য অঞ্চল এবং হিমশীতল মেরু অঞ্চলেই হিমবাহ উপত্যকার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। 2 পার্বত্য অঞ্চলে নদী উপত্যকা প্রধানত ইংরেজি ‘V’ অক্ষরের মতো হয়। হিমবাহ উপত্যকা ইংরেজি ‘U’ অক্ষরের মতো হয়। 3 পার্বত্য ও উচ্চ সমভূমি অঞ্চলে নদী স্রোতের গতিবেগ প্রবল হয়, নিম্নভূমিতে নদী স্রোতের গতি ধীরে ধীরে কমে আসে। বেশিরভাগ সময়েই হিমবাহ অত্যন্ত ধীরগতিতে প্রবাহিত হয়। 4 নদী উপত্যকা আঁকাবাঁকা পথে অগ্রসর হয়। হিমবাহ উপত্যকা সোজা পথে অগ্রসর হয়। 5 সাধারণত নদী উপত্যকার মোট দৈর্ঘ্য বেশি হয়। হিমবাহ উপত্যকার মোট দৈর্ঘ্য কম হয়। 6 নদীর সঞ্চয় কাজের ফলে নদী উপত্যকায় প্লাবনভূমি, স্বাভাবিক বাঁধ, বদ্বীপ প্রভৃতি ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়। ...

জাতীয়তাবাদের বিকাশে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান কী ?

          বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮–৯৪ খ্রি.) ছিলেন ঊনবিংশ শতকের অগ্রণী ঔপন্যাসিক ও প্রবন্ধকার। বঙ্কিমচন্দ্রের অধিকাংশ উপন্যাসের বিষয়বস্তু ছিল স্বদেশ ও দেশপ্রেম। বঙ্কিমচন্দ্রের সৃষ্টি ভারতীয় জাতীয়তাবোধের বিকাশে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিল। তাঁর ‘বন্দেমাতরম্’–মন্ত্র ছিল বিপ্লবীদের বীজমন্ত্র। অরবিন্দ ঘোষ তাই বঙ্কিমকে ‘জাতীয়তাবোধের ঋত্বিক’ বলেছেন।

দশম শ্রেণী - জীবনবিজ্ঞান - জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় - উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা এবং সাড়াপ্রদান - বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন

  দশম শ্রেণী - জীবনবিজ্ঞান - জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় - উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা এবং সাড়াপ্রদান - বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন বিভাগ ১: চলনের প্রাথমিক ধারণা ও জগদীশচন্দ্র বসু প্রশ্নঃ১. উদ্দীপকের প্রভাবে জীবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালনকে কী বলে?  (ক) গমন (খ) চলন (গ) রেচন (ঘ) পুষ্টি  উত্তর: (খ) চলন প্রশ্নঃ২. যে প্রক্রিয়ায় জীব স্বেচ্ছায় সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন করে তাকে কী বলে?  (ক) চলন (খ) বিচলন (গ) গমন (ঘ) উদ্দীপনা  উত্তর: (গ) গমন

দশম শ্রেণী - জীবনবিজ্ঞান - জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় - উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা এবং সাড়াপ্রদান - গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

 দশম শ্রেণী - জীবনবিজ্ঞান - জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় - উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা এবং সাড়াপ্রদান - গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ১. উদ্ভিদের চলন (Plant Movement)           উদ্ভিদ সাধারণত এক জায়গায় স্থির থাকে, তবে উদ্দীপকের প্রভাবে বা জৈবিক প্রয়োজনে তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালিত হয়। একেই চলন বলে। চলন ও গমন: চলনে প্রাণীর মতো সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন হয় না (ব্যতিক্রম: ক্ল্যামাইডোমোনাস, ভলবক্স)। গমনে সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন হয়। আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর অবদান: তিনি প্রমাণ করেন উদ্ভিদের প্রাণ আছে এবং তারা উদ্দীপনায় সাড়া দেয়। তার আবিষ্কৃত যন্ত্র হলো— ক্রেসকোগ্রাফ (Crescograph) ।

জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যগুলি কী ছিল ?

জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যগুলি কী ছিল      ভারতীয় জাতীয় রাজনীতিতে জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল মূলত ভারতবাসীর আশা–আকাঙ্ক্ষা পূরণ ও ব্রিটিশবিরোধী ক্ষোভের হাত থেকে ব্রিটিশ শাসনকে রক্ষা করার জন্যই।  জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য (১) কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশন— উদ্দেশ্য ঘোষণা—বোম্বাইয়ের গোকুলদাস তেজপাল সংস্কৃত কলেজ হল জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে (১৮৮৫ খ্রি., ২৮ ডিসেম্বর) সভাপতির ভাষণে উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে চারটি মূল উদ্দেশ্যের কথা ঘোষণা করেছিলেন। এগুলি হল—   (i) ভাষাগত ও ধর্মীয় বৈচিত্রে ভরা ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের দেশপ্রেমীদের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও একাত্মতা গড়ে তোলা, (ii) সম্প্রীতির দ্বারা জাতি, ধর্ম, প্রাদেশিকতার তুচ্ছ সংকীর্ণতা দূর করে জাতীয় সংহতির পথ প্রশস্ত করা, (iii) শিক্ষিতদের সুচিন্তিত মতামত গ্রহণ করে সামাজিক ও অন্যান্য সমস্যা সমাধানের উপায় নির্ণয় করা, (iv) ভারতের রাজনৈতিক অগ্রগতির জন্য ভবিষ্যৎ কর্মসূচি গ্রহণ করা।

নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন

নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন আইন প্রবর্তনের কারণ ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে জাতীয়তাবাদী নাটক রচনা করে ব্রিটিশের শোষণ ও অপশাসনের বিরুদ্ধে জনমত সংগঠিত করার কাজ শুরু হয়। অমৃতলাল বসুর ‘চা–কর দর্পণ’, দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ নাটকে অত্যাচারী শ্বেতাঙ্গ সাহেবদের মুখোশ খুলে দেওয়া হয়। অমৃতলাল বসু ও উপেন্দ্রনাথ দাস ‘হনুমান চরিত’ নামক প্রহসন নাটকে ইংরেজের প্রতি ব্যঙ্গবিদ্রুপ প্রকাশ করেন। গ্রামেগঞ্জে ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাব সৃষ্টির কাজে নাটকগুলি সাফল্য পায়। সরকার দমনমূলক আইন জারি করে দেশাত্মবোধক নাটকের প্রচার বন্ধ করে দিতে উদ্যত হয়।

আবহবিকার ও ক্ষয়ীভবন মধ্যে পার্থক্য

  আবহবিকার ও ক্ষয়ীভবন মধ্যে পার্থক্য Sl. No. আবহবিকার ক্ষয়ীভবন 1 আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান যেমন—উষ্ণতা, বৃষ্টিপাত, জলীয় বাষ্প, তুষারপাত ও বিভিন্ন গ্যাসীয় উপাদান দ্বার শিলাসমূহের চূর্ণবিচূর্ণ হওয়া বা বিয়োজনকে আবহবিকার বলে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তি, যেমন—নদী, বায়ু, হিমবাহ, ইত্যাদি দ্বারা আবহবিকারপ্রাপ্ত চূর্ণবিচূর্ণ শিলাসমূহের অপসারণকে ক্ষয়ীভবন বলে। 2 আবহবিকারের ফলে মূল শিলার বৈশিষ্ট্যের (গঠন, আকৃতি, খনিজের আণবিক সজ্জা প্রভৃতি) পরিবর্তন ঘটে । ক্ষয়ীভবনের ফলে ভূমিরূপের পরিবর্তন সাধিত হয়। কিন্তু মূল শিলার বৈশিষ্ট্যের কোনো পরিবর্তন সাধন হয় না। 3 আবহবিকার কোনোভাবে ক্ষয়ীভবনের ওপর নির্ভরশীল নয়। ক্ষয়ীভবন সম্পূর্ণরূপে আবহবিকারের ওপর নির্ভরশীল। আবহবিকার প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হলে ক্ষয়ীভবন প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে না। 4 আবহবিকারের ফলে চূর্ণবিচূর্ণ শিলাসমূহ শিলাস্তর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মূল শিলাস্তরের ওপরেই অবস্থান করে। ক্ষয়ীভবনের ফলে আবহবিকার প্রাপ্ত শিলাচূর্ণ স্থানান্তরি...

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের চিরস্মরণীয় কিছু উক্তি

          বিংশ শতাব্দীর বাংলা মননে কাজী নজরুল ইসলামের মর্যাদা ও গুরুত্ব অপরিসীম। অগ্নিবীণা হাতে তার প্রবেশ, ধূমকেতুর মতো তার প্রকাশ। যেমন লেখাতে বিদ্রোহী, তেমনই জীবনে – কাজেই "বিদ্রোহী কবি"