Skip to main content

সাম্প্রতিক পোস্ট

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।   অথবা,  একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।  অথবা,  নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও।             উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়।  এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়।  নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা:       পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...

জীববিজ্ঞানের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর-মানব শারীরবিদ্যা, সেট-৩৫

মানব শারীরবিদ্যা


প্রশ্ন:১
প্রশ্বাস কী ?

উত্তর: 
মধ্যচ্ছদা ও বহিস্থ আন্তর পঞ্জরাস্থি পেশিগুলি একই সঙ্গে সংকুচিত হলে বক্ষগহ্বর সবদিকে বেড়ে যায়। এর ফলে ফুসফুস প্রসারিত হয় এবং অন্তঃফুসফুসীয় চাপ (intrapulmonary pressure) বায়ুমণ্ডলীয় চাপ অপেক্ষা 4 mmHg থেকে 6 mmHg পর্যন্ত হ্রাস পায়। চাপের এই বৈষম্যের জন্য বিশুদ্ধ বায়ু ফুসফুসে প্রবেশ করে। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় প্রশ্বাস।


প্রশ্ন:২
শারীরবৃত্তীয় নিষ্ক্রিয় স্থানের গুরুত্ব কী ?

উত্তর: 
সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে শারীরবৃত্তীয় নিষ্ক্রিয় স্থানে বায়ু পরিমাণ প্রায় একই থাকে। তবে ফুসফুসের কোনাে কোনাে রােগে এর মান 1 থেকে 2 লিটার পর্যন্ত হয় যাকে ফুসফুসের কর্মক্ষমতা হাসের সূচক হিসাবে ধরা যায়।


প্রশ্ন:৩
শারীরস্থানিক নিষ্ক্রিয় স্থান বলতে কী বােঝায় ?

উত্তর: 
প্রশ্বাসের সময় গৃহীত বায়ুর কিছু অংশ নাসাগলবিল, শ্বাসনালি, উপক্লোমশাখা ইত্যাদি অংশে আবদ্ধ থাকে। বাকি অংশ ফুসফুসের বায়ুথলিতে প্রবেশ করে এবং গ্যাসীয় বিনিময়ে অংশহণ করে। অ্যালভিওলাই ব্যতীত উপরােক্ত বায়ুপথকে শারীরস্থানিক নিষ্ক্রিয় স্থান বলে।


প্রশ্ন:৪
বলপূর্বক নিশ্বাসে সহায়ককারী শ্বাসপেশিগুলি কী কী ? এদের কার্যকারিতা উল্লেখ করাে।

উত্তর: 
বলপূর্বক নিশ্বাস প্রক্রিয়ায় (forced inspiration) দু-ধরনের নিশ্বাস পেশি (inspiratory muscles) অংশগ্রহণ করে।
(i) উদর পেশি (Abdominal muscle)— এই পেশির সংকোচনে উদরের অঙ্গগুলি ওপরের দিকে উঠে আসে, এর ফলে মধ্যচ্ছদায় চাপ সৃষ্টি হয় এবং মধ্যচ্ছদা অধিকতর উত্তল আকার ধারণ করে। তাই বক্ষগহ্বরের আয়তন সম্মুখ-পশ্চাতে হ্রাস পায়।
(ii) অন্তঃ আন্তর পঞ্জরাস্থি পেশি (Internal intercostal muscle)— এই পেশি সংখ্যায় 11 জোড়া এবং পাঁজরের মাঝে থাকে। এই পেশির সংকোচনে পাঁজর পশ্চাতে, নীচে এবং ভিতরের দিকে সরে যায়। এর ফলে বক্ষগহ্বরের আয়তন উর্ধ্ব, নিম্ন ও পাশাপাশি হ্রাস পায়। বক্ষগহ্বরের আয়তন হ্রাস পাওয়ায় ফুসফুস সংকুচিত হয় এবং প্রায় 500 মিলি বায়ু ফুসফুস থেকে নির্গত হয়। একে বলা হয় নিশ্বাস।


প্রশ্ন:৫
শ্বসন চলন কাকে বলে ?

উত্তর: 
শ্বাসকার্যের সময় বক্ষগহ্বরের পর্যায়ক্রমিক সংকোচন ও প্রসারণকে শ্বসন চলন বলে।


প্রশ্ন:৬
সক্রিয় ও নিষ্ক্রিয় ধূমপান কাকে বলে ?

উত্তর: 
ধূমপানের সময় বিড়ি বা সিগারেট থেকে নির্গত ধোঁয়া সরাসরি গ্রহণ করলে তাকে সক্রিয় ধূমপান (active smoking) বলে।
অপরপক্ষে, বিড়ি বা সিগারেটের যে ধোঁয়া বায়ুতে মিশে যায় এবং পার্শ্ববর্তী লােকজনের দেহে প্রবেশ করে তাকে নিষ্ক্রিয় ধূমপান (passive smoking) বলে।


প্রশ্ন:৭
প্রশ্বাসে সহায়ককারী শ্বাসপেশিগুলি কী কী ? এদের কার্যকারিতা উল্লেখ করাে।

উত্তর: 
প্রধানত দু-ধরনের পেশির সংকোচনে প্রশ্বাসের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়, যথা– 
(i) মধ্যচ্ছদা এবং (ii) বহিস্থ আন্তর পঞ্জরাস্থির পেশি।
মধ্যচ্ছদা (Diaphragm): এটি বক্ষগহ্বর ও উদরগহ্বরের মাঝখানে অবস্থিত। এই পেশি সংকুচিত হলে নীচের দিকে নেমে যায়, ফলে বক্ষগহ্বর দৈর্ঘ্যে প্রসারিত হয়।
বহিস্ব আন্তর পঞ্জরাস্থি পেশি (External intercostal muscle) : এই পেশি সংখ্যায় 11 জোড়া এবং 12 জোড়া পঞ্জরাস্থির মধ্যে অবস্থান করে। এই পেশির সংকোচনে পঞ্জরাস্থি সম্মুখ এবং ওপর দিকে প্রসারিত হয়। তাই বক্ষগহ্বর ঊর্ধ্ব, নিম্ন এবং পাশের দিকে বেড়ে যায় ।


প্রশ্ন:৮
বায়ুধারকত্ব কাকে বলে ? কোন্ কোন্ রােগে বায়ুধারকত্ব হ্রাস পায় ?

উত্তর: 
সর্বোচ্চ প্রশ্বাস ক্রিয়ার পর যে পরিমাণ বায়ু বলপূর্বক নিশ্বাসের দ্বারা ফুসফুস থেকে বের করে দেওয়া সম্ভব হয়, তাকে ফুসফুসের বায়ুধারকত্ব বলা হয়। হৃদরােগ, নিউমােনিয়া, যক্ষ্মা, ফুসফুসীয় রক্তাধিক্য, অক্ষিগােলক বহিঃস্ফীতি, গলগণ্ড প্রভৃতি রােগে বায়ুধারকত্ব হ্রাস পায়।


প্রশ্ন:৯
শারীরবৃত্তীয় নিষ্ক্রিয় স্থান কী ?

উত্তর: 
স্বাভাবিক অবস্থায় ফুসফুসের শীর্ষ বায়ুথলিগুলি বায়ু দ্বারা পূর্ণ হয়। কিন্তু তাদের রক্ত সরবরাহ কম থাকায় অধিকাংশ বায়ু রক্তে প্রবেশ করতে পারে না, অর্থাৎ নিষ্ক্রিয় থেকে যায়। উপরােক্ত বায়ুথলিগুলি শারীরবৃত্তীয় নিষ্ক্রিয় স্থান গঠন করে।


প্রশ্ন:১০
বায়ুথলীয় বায়ু বলতে কী বােঝায় ? বায়ুথলীয় বায়ুর উপাদান লেখাে।

উত্তর: 
বায়ুথলীয় বায়ু বলতে বােঝায় যে পরিমাণ বায়ু ফুসফুসের শ্বসন অংশে অবস্থান করে এবং ফুসফুসস্থিত রক্তজালকের সঙ্গে গ্যাসীয় আদানপ্রদানে অংশগ্রহণ করে। বায়ুথলীয় বায়ুতে O2, CO2, N2 ও জলীয় বাষ্প থাকে যথাক্রমে শতকরা 14.2, 5.5, 80.3 এবং 6.2 ভাগ।

Comments

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য

  ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য Sl. No. ঘূর্ণবাত প্রতীপ ঘূর্ণবাত 1 ঘূর্ণবাতের নিম্নচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর উচ্চচাপ বলয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের উচ্চচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর নিম্নচাপ বলয়। 2 নিম্নচাপ কেন্দ্রে বায়ু উষ্ণ, হালকা ও ঊর্ধ্বগামী হয়। উচ্চচাপ কেন্দ্রে বায়ু শীতল, ভারী ও নিম্নগামী হয়। 3 ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে, ফলে বিস্তীর্ণ অঞ্চল অল্প সময়ে প্রভাবিত হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে না। 4 ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে এবং বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘমুক্ত থাকে। বৃষ্টিপাত ও ঝড়-ঝঞ্ঝা ঘটে না। মাঝেমাঝে তুষারপাত ও কুয়াশার সৃষ্টি হয়৷ 5 ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে নিম্নচাপ বিরাজ করে। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে উচ্চচাপ বিরাজ করে। 6 চারিদিক থেকে ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রের দিকে বায়ু ছুটে আসে অর্থাৎ বায়ুপ্রবাহ কেন্দ্রমুখী। প্রতীপ ঘূর্ণবাতে কেন...

মানব জীবনের ওপর পর্বতের প্রভাব উল্লেখ করো।

মানব জীবনের ওপর পর্বতের প্রভাব উল্লেখ করো। সমুদ্র সমতল থেকে অন্তত ১০০০ মিটারের বেশি উঁচু ও বহুদূর বিস্তৃত শিলাময় স্তূপ যার ভূপ্রকৃতি অত্যন্ত বন্ধুর, ভূমির ঢাল বেশ খাড়া এবং গিরিশৃঙ্গ ও উপত্যকা বর্তমান তাকে পর্বত বলে৷ খাড়াভাবে দাঁড়িয়ে থাকা এই পর্বত মানুষের জীবনকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। মানবজীবনে পর্বতের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবগুলি হল—

জাতীয়তাবাদের বিকাশে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান কী ?

          বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮–৯৪ খ্রি.) ছিলেন ঊনবিংশ শতকের অগ্রণী ঔপন্যাসিক ও প্রবন্ধকার। বঙ্কিমচন্দ্রের অধিকাংশ উপন্যাসের বিষয়বস্তু ছিল স্বদেশ ও দেশপ্রেম। বঙ্কিমচন্দ্রের সৃষ্টি ভারতীয় জাতীয়তাবোধের বিকাশে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিল। তাঁর ‘বন্দেমাতরম্’–মন্ত্র ছিল বিপ্লবীদের বীজমন্ত্র। অরবিন্দ ঘোষ তাই বঙ্কিমকে ‘জাতীয়তাবোধের ঋত্বিক’ বলেছেন।

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।   অথবা,  একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।  অথবা,  নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও।             উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়।  এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়।  নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা:       পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (১৮৭৮ খ্রি.)

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন প্রবর্তন সাম্রাজ্যবাদী গভর্নর–জেনারেল লর্ড লিটন দেশীয় পত্রপত্রিকার কণ্ঠরোধ করার সিদ্ধান্ত নেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (Vernacular Press Act, 1878) জারি করেন। পটভূমি ঊনবিংশ শতকে দেশীয় সংবাদপত্রগুলিতে সরকারি কর্মচারীদের অন্যায় আচরণ, অর্থনৈতিক শোষণ, দেশীয় সম্পদের বহির্গমন, দেশীয় শিল্পের অবক্ষয় ইত্যাদি নানা বিষয় তুলে ধরা হয়। ইতিহাসবিদ এ.আর.দেশাইয়ের মতে, “ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিকাশে সংবাদপত্র হল এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম”।

মানব জীবনের ওপর মালভূমির প্রভাব আলোচনা করো

মানুষের জীবনধারণ ও জীবিকা অর্জনের ক্ষেত্রে মালভূমি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন—  (১) মালভূমি সাধারণত স্বাভাবিক উদ্ভিদে সমৃদ্ধ হয়। যেমন—ছোটোনাগপুর মালভূমিতে প্রচুর শাল ও সেগুন গাছ জন্মে থাকে। (২) কোনোকোনো মালভূমির কঠিন শিলার ওপর উর্বর মৃত্তিকার আবরণ থাকলে সেই অঞ্চল কৃষিকার্যে উন্নতি লাভ করে। যেমন—ভারতের কৃষ্ণমৃত্তিকা অঞ্চল। (৩) মালভূমি অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি বন্ধুর এবং ভূভাগ কঠিন শিলা দ্বারা গঠিত বলে চাষ-আবাদ, রাস্তাঘাট ও শিল্পস্থাপনে প্রতিকূল পরিবেশের সৃষ্টি করে।

নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন

নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন আইন প্রবর্তনের কারণ ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে জাতীয়তাবাদী নাটক রচনা করে ব্রিটিশের শোষণ ও অপশাসনের বিরুদ্ধে জনমত সংগঠিত করার কাজ শুরু হয়। অমৃতলাল বসুর ‘চা–কর দর্পণ’, দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ নাটকে অত্যাচারী শ্বেতাঙ্গ সাহেবদের মুখোশ খুলে দেওয়া হয়। অমৃতলাল বসু ও উপেন্দ্রনাথ দাস ‘হনুমান চরিত’ নামক প্রহসন নাটকে ইংরেজের প্রতি ব্যঙ্গবিদ্রুপ প্রকাশ করেন। গ্রামেগঞ্জে ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাব সৃষ্টির কাজে নাটকগুলি সাফল্য পায়। সরকার দমনমূলক আইন জারি করে দেশাত্মবোধক নাটকের প্রচার বন্ধ করে দিতে উদ্যত হয়।

[MCQ]Environment।।Man & Environment।।মানুষ ও পরিবেশ।।সেট ১

মানুষ ও পরিবেশ ➤ প্রশ্ন:১ W.T.O. সম্পূর্ণ নাম হলাে— (a) World Transport Organization. (b) World Tobacco Organization. (c) World Trade Organization.

স্থলবায়ু ও সমুদ্রবায়ুর মধ্যে পার্থক্য

  স্থলবায়ু ও সমুদ্রবায়ুর মধ্যে পার্থক্য Sl. No. স্থলবায়ু সমুদ্রবায়ু 1 স্থলবায়ু মূলত শীতল ও শুষ্ক প্রকৃতির হয়। সমুদ্রবায়ু মূলত উষ্ণ ও আর্দ্র প্রকৃতির হয়। 2 স্থলবায়ু প্রধানত রাত্রিবেলায় প্রবাহিত হয়। সমুদ্রবায়ু প্রধানত দিনেরবেলায় প্রবাহিত হয়। 3 সূর্যাস্তের পরবর্তী সময়ে এই বায়ুর প্রবাহ শুরু হয় ও রাত্রির শেষদিকে বায়ুপ্রবাহের বেগ বৃদ্ধি পায়। সূর্যোদয়ের পরবর্তী সময়ে এই বায়ুরপ্রবাহ শুরু হয় ও অপরাহ্নে বায়ুপ্রবাহে বেগ বৃদ্ধি পায়। 4 স্থলবায়ু উচ্চচাযুক্ত স্থলভাগ থেকে নিম্নচাপযুক্ত জলভাগের দিকে প্রবাহিত হয়। এই কারণে স্থলবায়ুকে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর সঙ্গে তুলনা করা হয়। সমুদ্রবায়ু উচ্চচাপযুক্ত সমুদ্র থেকে নিম্নচাপযুক্ত স্থলভাগের দিকে প্রবাহিত হয়। এই কারণে সমুদ্রবায়ুকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সঙ্গে তুলনা করা হয়। 5 স্থলভাগের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হবার দরুন বেগ তুলনামূলক কম হয়ে থাকে। উন্মুক্ত সমুদ্রের ওপর দিয়ে দীর্ঘপথ প্রবাহিত হ...

মহীখাত

মহীখাত        জে.হল, জে.ডি.ডানা ও কোবার প্রথম মহীখাত বা Geosyncline ধারণার অবতারণা করেন। তাঁদের মতে, পৃথিবীর আদি ভূভাগ দ্বারা বেষ্টিত ভূপৃষ্ঠের সংকীর্ণ, অবনমিত ও অগভীর সমুদ্রখাত হল মহীখাত। অর্থাৎ, ভূতাত্ত্বিকদের মতে, এখন যেসব জায়গায় ভঙ্গিল পর্বতগুলো অবস্থান করছে, অতি প্রাচীনকালে সেখানে ছিল বিস্তীর্ণ অবনত অঞ্চল— ভূতাত্ত্বিকগণের ভাষায় যার নাম মহীখাত বা অগভীর সমুদ্র।