ভারতীয় সভ্যতার বিবর্তন - সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ( Evolution of Indian Civilization - Short Questions and Answers ) ১। প্রস্তরযুগ বলতে কী বোঝো? প্রস্তরযুগকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী? যে যুগে মানুষ পাথরের হাতিয়ার ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করত, সেই যুগকে প্রস্তরযুগ বলা হয়। প্রস্তরযুগকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যথা- (১) প্রাচীন প্রস্তরযুগ, (২) মধ্য প্রস্তরযুগ, (৩) নব্য প্রস্তরযুগ। ২। প্রাচীন প্রস্তরযুগ, মধ্য প্রস্তরযুগ ও নব্য প্রস্তরযুগের একটা করে বৈশিষ্ট্য দাও। প্রাচীন প্রস্তরযুগ: প্রাচীন প্রস্তরযুগে মানুষ ছিল খাদ্য-সংগ্রাহক। বলা যেতে পারে-Age of Food-gathering Man. মধ্য প্রস্তরযুগ: মধ্য প্রস্তরযুগে মানুষ খাদ্য-উৎপাদকে পরিণত হয়। এসময়কে বলা হয়-Age of Food-producing Man. নব্য প্রস্তরযুগ: এসময় মানুষ নগর সভ্যতার সাথে পরিচিত হয়। ধাতুর যুগ শুরু হয়। ঐতিহাসিক গর্ডন চাইল্ড এসময়কে বলেছেন-Age of Urban Culture.
মানব শারীরবিদ্যা
প্রশ্ন:১
ধূসর বস্তু ও শ্বেত বস্তুর মধ্যে একটি পার্থক্য লেখো।
উত্তর:
ধূসর বস্তু— এটি প্রধানত নিউরােনের কোশদেহ, নিউরােগ্লিয়া নিয়ে গঠিত এবং এটি মায়েলিনবিহীন।
শ্বেত বস্তু—এটি প্রধানত নিউরােনের অ্যাক্সন, নিউরােগ্লিয়া ও মায়েলিনযুক্ত স্নায়ুতন্তু দিয়ে গঠিত।
প্রশ্ন:২
ব্যথা, স্পর্শ ও তীব্র আলােকে গ্রাহকগুলির নাম কী ?
উত্তর:
ব্যথা–মুক্ত স্নায়ুপ্রান্ত।
স্পর্শ–মেইজনার কণিকা।
তীব্র আলাে–রেটিনায় কোন্ কোশ।
প্রশ্ন:৩
মেনিনজেস কী ? মেনিনজেস গঠনকারী তিনটি আবরক কী কী ?
উত্তর:
সমগ্র মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ড তিনটি তন্তুময় আবরক দিয়ে গঠিত ঝিল্লি দ্বারা আবৃত থাকে। এই ঝিলিকে বলা হয় মেনিনজেস।
মেনিনজেস গঠনকারী তিনটি আবরক হল—
(i) বহিস্থ দৃঢ় আবরক বা ডুরা ম্যাটার,
(ii) মধ্যস্থ আবরক বা অ্যারাকনয়েড ম্যাটার,
(iii) অন্তঃস্থ আবরক বা পায়া ম্যাটার।
প্রশ্ন:৪
ঘ্রাণসহিষ্ণুতা বলতে কী বােঝায় ?
উত্তর:
বারবার বা বেশ কিছু সময় ধরে কোনাে গন্ধযুক্ত পদার্থের ঘ্রাণ গ্রহণ করলে ঘ্রাণগ্রাহক কোশ সেই গন্ধের প্রতি অনেকটা অসংবেদী হয়ে ওঠে। এই অবস্থাকে ঘ্রাণসহিষ্ণুতা বলে। যেমন—লেবুর গন্ধকে যদি 5-10 মিনিট নাকের কাছে ধরে রাখা হয় তাহলে এরপর আর এই গন্ধের উপলদ্ধি থাকে না।
প্রশ্ন:৫
করপাস ক্যালােসাম ও ভারমিস কী ?
উত্তর:
করপাস ক্যালােসাম হল গুরুমস্তিষ্কের গােলার্ধদ্বয়ের স্নায়ুযােজক এবং ভারমিস হল লঘুমস্তিষ্কের গােলার্ধদ্বয়ের স্নায়ুযােজক।
প্রশ্ন:৬
শতমূলক ও নিঃশর্ত প্রতিবর্ত ক্রিয়া কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।
উত্তর:
যেসব প্রতিবর্ত জন্মগত নয়, বারবার অনুশীলনের মাধ্যমে অর্জিত হয় তাকে শৰ্তমূলক বা সাপেক্ষ প্রতিবর্ত বলে। যেমন—শিশুর কথা বলতে শেখা, সাইকেল চালানাে ইত্যাদি।
যেসব প্রতিবর্ত জন্মগত এবং কোনাে শর্তের অধীন নয়, তাদের সহজাত বা নিঃশর্ত প্রতিবর্ত বলে। যেমন—জিহ্বায় খাদ্যবস্তুর সংস্পর্শে মুখে লালাক্ষরণ হওয়া।
প্রশ্ন:৭
ধূসর বস্তু ও শ্বেত বস্তু কী ?
উত্তর:
মস্তিস্ক এবং সুষুম্নাকাণ্ডের স্নায়ুকোশগুলি কোশদেহ ও নিউরােগ্লিয়া কোশ একত্রিত হয়ে যে ঈষৎ কালচে রঙের অংশ গঠন করে তাকে ধূসর বস্তু বলে। অপরপক্ষে, স্নায়ুকোশের অ্যাক্সনগুলি একত্রিত হয়ে যে বর্ণহীন অংশ গঠন করে তাকে শ্বেত বস্তু বলে।
গুরুমস্তিষ্কে ধূসর বস্তু পরিধির দিকে এবং শ্বেত বস্তু কেন্দ্রের দিকে থাকে। অপরপক্ষে, সুষুম্নাকাণ্ডে কেন্দ্রের দিকে ধূসর বস্তু এবং পরিধির দিকে শ্বেত বস্তু থাকে।
প্রশ্ন:৮
সালকাস ও জাইরাস কী ?
উত্তর:
মস্তিষ্কের বহির্ভাগ অসংখ্য ভাঁজ ও খাঁজবিশিষ্ট। বহির্ভাগের এই ভাঁজগুলিকে জাইরাস এবং খাঁজগুলিকে সালকাস বলে।
প্রশ্ন:৯
প্রান্তফলকীয় বিভব কাকে বলে ?
উত্তর:
চেষ্টীয় স্নায়ু উদ্দীপনা পেশির প্রান্তফলকে পৌঁছালে অর্থাৎ নিউরােনের স্ফীত প্রান্ত থেকে প্রান্তফলকে স্থানান্তরিত হলে নিউরােহিউমার সংযুক্ত গ্রাহকগুলির ভেদ্যতার পরিবর্তন হয়। ফলে Na+ ভিতরে প্রবেশ করে এবং K+ বাইরে আসে। এই বিভব পরিবর্তনকে প্রান্তফলকীয় বিভব বা এন্ড-প্লেট পােটেনশিয়াল বলে।
প্রশ্ন:১০
CSF কী ?
উত্তর:
সাবডুরাল স্পেস, সাব-অ্যারাকনয়েড স্পেস এবং কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের গহ্বরে যে তরল থাকে তাকে CSF বা সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড বলে।

Comments
Post a Comment