প্রাচীন ভারত ও ভৌগোলিক প্রেক্ষাপট (Ancient India and Geographical Context) - প্রশ্নোত্তর ১। ভারতবর্ষকে কে নৃতত্ত্বের যাদুঘর আখ্যা দিয়েছেন? উঃ। ভিনসেন্ট স্মিথ ভারতবর্ষকে 'নৃতত্ত্বের যাদুঘর' বলে আখ্যা দিয়েছেন। ২। দ্রাবিড় সভ্যতা ভারতের কোথায় প্রথম গড়ে ওঠে? উঃ। দ্রাবিড় সভ্যতা প্রথম গড়ে ওঠে দক্ষিণ ভারতে। ৩। 'নাডিক' নামে কারা পরিচিত? উঃ। আর্যরা 'নার্ডিক' নামে পরিচিত। ৪। ভারতের প্রচীনতম লিপি কোনটি? উঃ। ভারতের প্রাচীনতম লিপি হল সিন্ধু লিপি।
মানব শারীরবিদ্যা
প্রশ্ন:১
হেমারেজ ও হিমােলাইসিসের মধ্যে পার্থক্য কী ?
উত্তর:
কেটে যাওয়া বা ক্ষতস্থান থেকে রক্তক্ষরণ হওয়াকে হেমারেজ বলে।
অপরপক্ষে, লােহিত রক্তকণিকা ভেঙে গিয়ে প্লাজমাতে হিমােগ্লোবিন ছড়িয়ে পড়াকে হিমােলাইসিস বলে।
প্রশ্ন:২
ধমনি রক্ত অপেক্ষা শিরা রক্তের লােহিত রক্তকণিকা আকারে বড় হয় কেন ?
উত্তর:
শিরা রক্তের ক্লোরাইড শিফটের জন্য লােহিত রক্তকণিকার অভ্যন্তরস্থ অভিস্রবণ চাপ বৃদ্ধি পায়। ফলে লােহিত রক্তকণিকার মধ্যে ক্লোরাইড ও জল প্রবেশ করায় লােহিত রক্তকণিকাগুলি আকারে বড়াে হয়ে যায়।
প্রশ্ন:৩
লােহিত অস্থিমজ্জা এবং শ্বেত অস্থিমজ্জার পার্থক্য কী ?
উত্তর:
(i) লােহিত অস্থিমজ্জা রক্তকোশ উৎপন্ন করতে পারে, শ্বেত অস্থিমজ্জা পারে না।
(ii) লােহিত অস্থিমজ্জায় অ্যাডিপােস কলা কম থাকে বা থাকে না, শ্বেতমজ্জায় অ্যাডিপােস কলা বেশি থাকে।
(iii) লােহিত মজা স্পঞ্জি অস্থিতে থাকে, শ্বেত মজ্জা দীর্ঘকায় অস্থিগহ্বরে থাকে।
প্রশ্ন:৪
পুঞ্জীভূত কোশায়তন (packed cell volume) কী ?
উত্তর:
হেপারিনযুক্ত রক্তকে উইনট্রোব টিউবে রেখে কেন্দ্রাতিগ যন্ত্রে ঘােরালে রক্ত দুটি অংশে ভাগ হয়ে যায়। ওপরের 55% তরল অংশ হল প্লাজমা এবং নীচের 45% লাল গাঢ় অংশ হল পুঞ্জীভূত কোশায়তন। প্লাজমা ও রক্তকণিকার আপেক্ষিক আয়তন জানার জন্য এটি নির্ণয় করা হয়।
প্রশ্ন:৫
অসংগত রক্তদানে রােগীর দেহে কী কী অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে পারে ?
উত্তর:
রােগীর দেহে নির্দিষ্ট শ্রেণীর রক্ত প্রবেশ না করালে যেসব অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়, সেগুলি হল—
(i) হিমােলাইসিস অর্থাৎ লােহিত রক্তকণিকা ভেঙে হিমােগ্লোবিন নির্গত হওয়া,
(ii) জন্ডিস রােগ প্রকাশ,
(iii) মূত্রে হিমােগ্লোবিনের নির্গমন,
(iv) বৃক্কের স্বাভাবিক সক্রিয়তা নষ্ট হওয়া ইত্যাদি।
প্রশ্ন:৬
ESR কী ?
উত্তর:
হেপারিন বা সাইট্রেটযুক্ত রক্তকে উইনট্রোব টিউবে উল্লম্ব ও স্থিরভাবে রাখলে লােহিত রক্তকণিকাগুলি স্বভারে নীচের দিকে নেমে আসে। লােহিত রক্তকণিকায় এরূপ থিতানাের হারকে এরিথ্রোসাইট সেডিমেনটেশন রেট বা ESR বলে। আধঘণ্টা, একঘণ্টা বা তিনঘণ্টা বাদে পাঠ নিতে হয়। পুরুষদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক ESR ঘণ্টায় 0.0-6.5 mm; স্ত্রীলােকদের 0.0-15 mm এবং শিশুদের 0.0-5 mm।
প্রশ্ন:৭
হিমােলাইসিস কী ?
উত্তর:
যে প্রক্রিয়ায় লােহিত রক্তকণিকা ভেঙে গিয়ে হিমােগ্লোবিন বেরিয়ে আসে তাকে হিমােলাইসিস বলে। লােহিত রক্তকণিকা লঘুসারক দ্রবণে রাখলে লােহিত রক্তকণিকা ফুলে-ফেঁপে ওঠে। ফলে হিমােগ্লোবিন নির্গত হয়ে যায়।
প্রশ্ন:৮
লােহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে সহায়ক উপাদানগুলি কী ?
উত্তর:
লােহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে সহায়ককারী উপাদানগুলি হল— প্রােটিন, ভিটামিন (B12, ফোলিক অ্যাসিড, C), খনিজ পদার্থ (Fe, Cu, Mn, Ca), পিত্তলবণ, পিত্তরঞ্জক এবং থাইরয়েড ও অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির সক্রিয়তা।
প্রশ্ন:৯
হিমােগ্লোবিন প্লাজমাতে না থেকে লােহিত রক্তকণিকায় থাকে কেন ?
উত্তর:
হিমােগ্লোবিন লােহিত রক্তকণিকায় না থেকে প্লাজমায় থাকলে যেসব পরিবর্তন দেখা দেবে, সেগুলি হল—
(i) রক্তের সান্দ্রতা বৃদ্ধি পাবে।
(ii) প্লাজমায় অভিস্রবণ চাপ বৃদ্ধি পাবে।
(iii) হিমােগ্লোবিন মূত্রে নির্গত হওয়ার ফলে রক্তে অক্সিজেন পরিবাহিতা হ্রাস পাবে,
(iv) পিত্তরঞ্জক বেশি উৎপন্ন হবে, ফলে যকৃতের ক্রিয়ার চাপ বেড়ে যাবে,
(v) বৃক্কের মধ্য দিয়ে নিঃসৃত হিমােগ্লোবিন অম্লমূত্রে অধঃক্ষিপ্ত হবে এবং বৃক্কনালিতে অবরােধ সৃষ্টি করবে।
প্রশ্ন:১০
মানুষের রক্তের শ্রেণিগুলি কী ?
উত্তর:
মানুষের রক্তে ‘ABO’, ‘Rh’, ‘MN’, ‘P লুইস গ্রুপ’ প্রভৃতি শ্রেণি দেখা যায়। ‘ABO’ আবার চারটি শ্রেণিতে বিভক্ত । যথা— A, B, AB এবং O।

Comments
Post a Comment