Skip to main content

প্রস্তুতি শুরু করা যাক [খুব তাড়াতাড়ি আসছে]

WBSSC WBPSC WBPRB WBCS

সাম্প্রতিক পোস্ট

দশম শ্রেণী - জীবনবিজ্ঞান - জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় - উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা এবং সাড়াপ্রদান - 'সদৃশ জোড়' (Analogous Pair)

দশম শ্রেণী - জীবনবিজ্ঞান - জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় - উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা এবং সাড়াপ্রদান - 'সদৃশ জোড়' (Analogous Pair) 'সদৃশ জোড়' (Analogous Pair) বা প্রথম জোড়ার সম্পর্ক বুঝে দ্বিতীয় জোড়াটি পূরণ : ১. জগদীশচন্দ্র বসু : ক্রেস্কোগ্রাফ :: উদ্ভিদের কাণ্ডের আলোকবৃত্তি : ❓ অক্সিন ২. তীব্র আলোক : ফটোন্যাস্টিক :: আলোক উৎসের গতিপথ : ❓ ফটোট্রপিক ৩. সিসমোন্যাস্টিক : লজ্জাবতী :: প্রকরণ চলন : ❓ বনচাঁড়াল ৪. অনুকূল জিওট্রপিক : উদ্ভিদের মূল :: প্রতিকূল জিওট্রপিক : ❓ সুন্দরী গাছের শ্বাসমূল ৫. সূর্যমুখী : ফটোন্যাস্টিক :: টিউলিপ : ❓ থার্মোন্যাস্টিক

পশ্চিমবঙ্গের প্রধান শিক্ষা বোর্ডসমূহ [খুব তাড়াতাড়ি আসছে]

WBBPE WBBSE WBCHSE WBMSC

জীববিজ্ঞানের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর-মানব শারীরবিদ্যা, সেট-৯

মানব শারীরবিদ্যা

প্রশ্ন:১
হাঁপানির কারণ ও লক্ষণ উল্লেখ করাে।

উত্তর: 
হাঁপানির কারণ— হাঁপানির প্রধান কারণ ক্লোমশাখার শাখাপ্রশাখার অতিক্রিয়াশীলতা। তা ছাড়া ক্লোমশাখার অনৈচ্ছিক পেশির খিঁচুনি, ক্লোমশাখার মিউকাসের শোথ এবং ক্লোমশাখার গহ্বরে মিউকাসের উপস্থিতি প্রভৃতি বিষয়গুলিকেও হাঁপানি রােগের কারণ হিসেবে ধরা হয়। কারণ উপরিউক্ত বিষয়গুলি ক্লোমশাখার শাখাপ্রশাখার বায়ুপথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।

হাঁপানির লক্ষণ— 
(i) শ্বাসক্রিয়ার অসুবিধা, 
(ii) ত্বকে লাল ফোলা দাগ, 
(iii) সাহায্যকারী শ্বসন পেশি, যথা— অ্যালিন্যাসাই ও আন্তর পঞ্জরাস্থি পেশির কম্পন, 
(iv) শ্বাসক্রিয়ার হার বৃদ্ধি, 
(v) শ্বাসক্রিয়ার সময় সাঁ সাঁ শব্দের সৃষ্টি।


প্রশ্ন:২
কী কী কারণে ফুসফুসের ক্যানসার হয় ?

উত্তর: 
ফুসফুসের ক্যানসারের কারণ—বিভিন্ন কারণে ফুসফুসের ক্যানসার হয়। এদের মধ্যে উল্লেখযােগ্য হল ধূমপান, আয়নীয় বিকিরণ, ফুসফুসের পুরােনাে ক্ষত, দীর্ঘকাল স্থায়ী ফুসফুসীয় প্রতিবন্ধকতামূলক রােগ ইত্যাদি। তা ছাড়া তেজস্ক্রিয় আকরিক উত্তোলনকারী, নিকেল শােধনকারী এবং ক্রোমেট ও কোল গ্যাস উৎপাদনে নিয়ােজিত শ্রমিকেরা ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে থাকে।


প্রশ্ন:৩
যক্ষ্মা রােগের কারণ ও লক্ষণগুলি উল্লেখ করাে।

উত্তর: 
যক্ষার কারণ—
(i) ক্রমিক অপুষ্টি, 
(ii) মধুমেহ, 
(iii) HIV সংক্রমণ, 
(iv) দারিদ্রপীড়িত অবস্থা এবং নিম্নমানের পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা সমন্বিত ঘিঞ্জি এলাকায় বসবাস, 
(v) জিনঘটিত কারণে রােগ-প্রতিরােধ ক্ষমতার হ্রাস, 
(vi) মাদকদ্রব্য, অ্যালকোহল ইত্যাদিতে আসক্তি।

যক্ষার লক্ষণ—
(i) দীর্ঘস্থায়ী কাশি (এক থেকে দুই সপ্তাহ), 
(ii) দেহউষ্ণতা বৃদ্ধি (100-103° F), 
(iii) কাশির সঙ্গে রক্ত নির্গমন, 
(iv) বুকে ব্যথা।


প্রশ্ন:৪
কী কী অবস্থায় ক্লেশদায়ক শ্বসন পরিলক্ষিত হয় ?

উত্তর: 
নিম্নলিখিত অস্বাভাবিক অবস্থাগুলিতে ক্লেশদায়ক শ্বসন পরিলক্ষিত হয়—
(i) ফুসফুসের প্রদাহ, 
(ii) হাঁপানি রােগ, 
(iii) স্বরযন্ত্র ও ক্লোমশাখার প্রতিবন্ধকতা, 
(iv) মধ্যচ্ছদা ও আন্তর পঞ্জরাস্থি পেশির পক্ষাঘাত, 
(v) কার্বন মনােক্সাইডের বিষক্রিয়া, 
(vi) রক্তাল্পতা, 
vii) রক্তাধিক্যজনিত হৃদরােগ, 
(viii) রক্তে অম্লাধিক্য, 
(ix) মস্তিষ্ক প্রদাহ, 
(x) মৃগীরােগ, 
(xi) স্নায়বিক দুর্বলতা, 
(xii) গুরুমস্তিষ্কের টিউমার, শােথ, রক্তক্ষরণ ইত্যাদি।


প্রশ্ন:৫
ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক কেন ?

উত্তর: 
ধূমপানের সময় বিড়ি বা সিগারেট থেকে যে ধোঁয়া নির্গত হয় তাতে নানারকম বিষাক্ত গ্যাস থাকে, যেমন—নাইট্রোজেন অক্সাইড, কার্বন ডাইঅক্সাইড, কার্বন মনােক্সাইড, অ্যাসিটোন, হাইড্রোজেন সায়ানাইড, বেনজোপাইরিন, অ্যাসিটালডিহাইড ইত্যাদি। এইসব দূষিত পদার্থযুক্ত ধোঁয়া দেহে প্রবেশ করলে নানারকম রােগ সৃষ্টি হয়। যেমন—ব্রংকাইটিস, এমফাইসিমা, হাঁপানি, শ্বাসনালি, ফুসফুস ও মূত্রাশয়ের ক্যানসার ইত্যাদি। তা ছাড়া রক্তচাপ বৃদ্ধি, হৃদ্‌গতি বৃদ্ধি, হার্ট অ্যাটাক প্রভৃতিও ঘটে।


প্রশ্ন:৬
ক্লেশদায়ক শ্বসন কী ?

উত্তর: 
স্বাভাবিক শ্বাসক্রিয়ায় অসুবিধা সৃষ্টি হলে সেই অবস্থাকে বলা হয় ক্লেশদায়ক শ্বসন (Dyspnoea)।


প্রশ্ন:৭
হাঁপানি কী ?

উত্তর: 
বিভিন্ন বহিস্থ এবং অভ্যন্তরীণ উদ্দীপনায় শ্বাসনালি ও ক্লোমশাখা জালের অতিসক্রিয়তার ফলে মাঝে মাঝে শ্বাসকষ্টজনিত টানের উদ্রেক এবং কোনাে কোনাে সময় ত্বকে অ্যালার্জিজনিত লাল রঙের স্ফীতি দেখা দিলে তাকে বলা হয় হাঁপানি।


প্রশ্ন:৮
ফুসফুসের ক্যানসারের লক্ষণগুলি কী কী ?

উত্তর: 
ফুসফুসের ক্যানসারের লক্ষণ—
(i) কাশি এবং তৎসহ কফ উদগিরণ, 
(ii) কাশির সঙ্গে রক্ত বের হওয়া,
(iii) ক্লেশদায়ক শ্বসন, 
(iv) বুকে ব্যথা, 
(v) গলার স্বরে কর্কশতা, 
(vi) ফুসফুসের সংক্রমণজনিত জ্বর, 
(vii) লসিকাগ্রন্থির স্ফীতি, 
(viii) মূত্রের সঙ্গে রক্ত নির্গত হওয়া, 
(ix) জন্ডিসের লক্ষণ।


প্রশ্ন:৯
ফুসফুসের ক্যানসার বলতে কী বােঝায় ?

উত্তর: 
ফুসফুসের বিভিন্ন কোশের অনিয়ন্ত্রিত বিভাজন এবং বিস্তার লাভের ফলে বিভিন্ন ফুসফুসীয় কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলে তাকে বলা হয় ফুসফুসের ক্যানসার।


প্রশ্ন:১০
যক্ষ্মা রােগে দেহের কোন্ কোন্ অঙ্গ আক্রান্ত হয় ?

উত্তর: 
যক্ষ্মা রােগে প্রধানত ফুসফুস সংক্রামিত হয়। তবে পরবর্তী পর্যায়ে দেহের অন্যান্য অঙ্গ, যথা–পরিপাকনালি, লসিকাগ্রন্থি, বৃক্ক ইত্যাদিও আক্রান্ত হতে পারে।

Comments

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

জাতীয়তাবাদের বিকাশে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান কী ?

          বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮–৯৪ খ্রি.) ছিলেন ঊনবিংশ শতকের অগ্রণী ঔপন্যাসিক ও প্রবন্ধকার। বঙ্কিমচন্দ্রের অধিকাংশ উপন্যাসের বিষয়বস্তু ছিল স্বদেশ ও দেশপ্রেম। বঙ্কিমচন্দ্রের সৃষ্টি ভারতীয় জাতীয়তাবোধের বিকাশে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিল। তাঁর ‘বন্দেমাতরম্’–মন্ত্র ছিল বিপ্লবীদের বীজমন্ত্র। অরবিন্দ ঘোষ তাই বঙ্কিমকে ‘জাতীয়তাবোধের ঋত্বিক’ বলেছেন।

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (১৮৭৮ খ্রি.)

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন প্রবর্তন সাম্রাজ্যবাদী গভর্নর–জেনারেল লর্ড লিটন দেশীয় পত্রপত্রিকার কণ্ঠরোধ করার সিদ্ধান্ত নেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (Vernacular Press Act, 1878) জারি করেন। পটভূমি ঊনবিংশ শতকে দেশীয় সংবাদপত্রগুলিতে সরকারি কর্মচারীদের অন্যায় আচরণ, অর্থনৈতিক শোষণ, দেশীয় সম্পদের বহির্গমন, দেশীয় শিল্পের অবক্ষয় ইত্যাদি নানা বিষয় তুলে ধরা হয়। ইতিহাসবিদ এ.আর.দেশাইয়ের মতে, “ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিকাশে সংবাদপত্র হল এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম”।

ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য

  ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য Sl. No. ঘূর্ণবাত প্রতীপ ঘূর্ণবাত 1 ঘূর্ণবাতের নিম্নচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর উচ্চচাপ বলয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের উচ্চচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর নিম্নচাপ বলয়। 2 নিম্নচাপ কেন্দ্রে বায়ু উষ্ণ, হালকা ও ঊর্ধ্বগামী হয়। উচ্চচাপ কেন্দ্রে বায়ু শীতল, ভারী ও নিম্নগামী হয়। 3 ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে, ফলে বিস্তীর্ণ অঞ্চল অল্প সময়ে প্রভাবিত হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে না। 4 ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে এবং বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘমুক্ত থাকে। বৃষ্টিপাত ও ঝড়-ঝঞ্ঝা ঘটে না। মাঝেমাঝে তুষারপাত ও কুয়াশার সৃষ্টি হয়৷ 5 ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে নিম্নচাপ বিরাজ করে। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে উচ্চচাপ বিরাজ করে। 6 চারিদিক থেকে ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রের দিকে বায়ু ছুটে আসে অর্থাৎ বায়ুপ্রবাহ কেন্দ্রমুখী। প্রতীপ ঘূর্ণবাতে কেন...

জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যগুলি কী ছিল ?

জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যগুলি কী ছিল      ভারতীয় জাতীয় রাজনীতিতে জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল মূলত ভারতবাসীর আশা–আকাঙ্ক্ষা পূরণ ও ব্রিটিশবিরোধী ক্ষোভের হাত থেকে ব্রিটিশ শাসনকে রক্ষা করার জন্যই।  জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য (১) কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশন— উদ্দেশ্য ঘোষণা—বোম্বাইয়ের গোকুলদাস তেজপাল সংস্কৃত কলেজ হল জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে (১৮৮৫ খ্রি., ২৮ ডিসেম্বর) সভাপতির ভাষণে উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে চারটি মূল উদ্দেশ্যের কথা ঘোষণা করেছিলেন। এগুলি হল—   (i) ভাষাগত ও ধর্মীয় বৈচিত্রে ভরা ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের দেশপ্রেমীদের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও একাত্মতা গড়ে তোলা, (ii) সম্প্রীতির দ্বারা জাতি, ধর্ম, প্রাদেশিকতার তুচ্ছ সংকীর্ণতা দূর করে জাতীয় সংহতির পথ প্রশস্ত করা, (iii) শিক্ষিতদের সুচিন্তিত মতামত গ্রহণ করে সামাজিক ও অন্যান্য সমস্যা সমাধানের উপায় নির্ণয় করা, (iv) ভারতের রাজনৈতিক অগ্রগতির জন্য ভবিষ্যৎ কর্মসূচি গ্রহণ করা।

নদী উপত্যকা এবং হিমবাহ উপত্যকার মধ্যে পার্থক্য

  নদী উপত্যকা এবং হিমবাহ উপত্যকার মধ্যে পার্থক্য Sl. No. নদী উপত্যকা হিমবাহ উপত্যকা 1 মেরু প্রদেশের বরফাবৃত অঞ্চল এবং উষ্ণ ও শুষ্ক মরুভূমি অঞ্চল ছাড়া অন্যান্য অঞ্চলে নদী উপত্যকার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। কেবলমাত্র বরফে ঢাকা উঁচু পার্বত্য অঞ্চল এবং হিমশীতল মেরু অঞ্চলেই হিমবাহ উপত্যকার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। 2 পার্বত্য অঞ্চলে নদী উপত্যকা প্রধানত ইংরেজি ‘V’ অক্ষরের মতো হয়। হিমবাহ উপত্যকা ইংরেজি ‘U’ অক্ষরের মতো হয়। 3 পার্বত্য ও উচ্চ সমভূমি অঞ্চলে নদী স্রোতের গতিবেগ প্রবল হয়, নিম্নভূমিতে নদী স্রোতের গতি ধীরে ধীরে কমে আসে। বেশিরভাগ সময়েই হিমবাহ অত্যন্ত ধীরগতিতে প্রবাহিত হয়। 4 নদী উপত্যকা আঁকাবাঁকা পথে অগ্রসর হয়। হিমবাহ উপত্যকা সোজা পথে অগ্রসর হয়। 5 সাধারণত নদী উপত্যকার মোট দৈর্ঘ্য বেশি হয়। হিমবাহ উপত্যকার মোট দৈর্ঘ্য কম হয়। 6 নদীর সঞ্চয় কাজের ফলে নদী উপত্যকায় প্লাবনভূমি, স্বাভাবিক বাঁধ, বদ্বীপ প্রভৃতি ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়। ...

আবহবিকার ও ক্ষয়ীভবন মধ্যে পার্থক্য

  আবহবিকার ও ক্ষয়ীভবন মধ্যে পার্থক্য Sl. No. আবহবিকার ক্ষয়ীভবন 1 আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান যেমন—উষ্ণতা, বৃষ্টিপাত, জলীয় বাষ্প, তুষারপাত ও বিভিন্ন গ্যাসীয় উপাদান দ্বার শিলাসমূহের চূর্ণবিচূর্ণ হওয়া বা বিয়োজনকে আবহবিকার বলে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তি, যেমন—নদী, বায়ু, হিমবাহ, ইত্যাদি দ্বারা আবহবিকারপ্রাপ্ত চূর্ণবিচূর্ণ শিলাসমূহের অপসারণকে ক্ষয়ীভবন বলে। 2 আবহবিকারের ফলে মূল শিলার বৈশিষ্ট্যের (গঠন, আকৃতি, খনিজের আণবিক সজ্জা প্রভৃতি) পরিবর্তন ঘটে । ক্ষয়ীভবনের ফলে ভূমিরূপের পরিবর্তন সাধিত হয়। কিন্তু মূল শিলার বৈশিষ্ট্যের কোনো পরিবর্তন সাধন হয় না। 3 আবহবিকার কোনোভাবে ক্ষয়ীভবনের ওপর নির্ভরশীল নয়। ক্ষয়ীভবন সম্পূর্ণরূপে আবহবিকারের ওপর নির্ভরশীল। আবহবিকার প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হলে ক্ষয়ীভবন প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে না। 4 আবহবিকারের ফলে চূর্ণবিচূর্ণ শিলাসমূহ শিলাস্তর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মূল শিলাস্তরের ওপরেই অবস্থান করে। ক্ষয়ীভবনের ফলে আবহবিকার প্রাপ্ত শিলাচূর্ণ স্থানান্তরি...

পলল ব্যজনী বা পলল শঙ্কু

পলল ব্যজনী বা পলল শঙ্কু                     পর্বত্য অঞ্চল থেকে সমভূমিতে প্রবেশ করলে নদীর গতিপথের ঢাল হ্রাস পায়। ফলে নদীর ক্ষমতাও কমে যায়। উচ্চপ্রবাহের ক্ষয়িত পদার্থসমূহ (শিলাখণ্ড, নুড়ি, কাঁকর, বালি) সমভূমিতে প্রবেশের মুখে পর্বতের পাদদেশে সঞ্চিত হয়ে শঙ্কু আকৃতির ভূমিরূপ গঠন করে। একে পলিশঙ্কু বলে। দেখতে হাত পাখার মতো হয় বলে একে পলল পাখা বা পলল ব্যজনীও বলে। 

নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন

নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন আইন প্রবর্তনের কারণ ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে জাতীয়তাবাদী নাটক রচনা করে ব্রিটিশের শোষণ ও অপশাসনের বিরুদ্ধে জনমত সংগঠিত করার কাজ শুরু হয়। অমৃতলাল বসুর ‘চা–কর দর্পণ’, দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ নাটকে অত্যাচারী শ্বেতাঙ্গ সাহেবদের মুখোশ খুলে দেওয়া হয়। অমৃতলাল বসু ও উপেন্দ্রনাথ দাস ‘হনুমান চরিত’ নামক প্রহসন নাটকে ইংরেজের প্রতি ব্যঙ্গবিদ্রুপ প্রকাশ করেন। গ্রামেগঞ্জে ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাব সৃষ্টির কাজে নাটকগুলি সাফল্য পায়। সরকার দমনমূলক আইন জারি করে দেশাত্মবোধক নাটকের প্রচার বন্ধ করে দিতে উদ্যত হয়।

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের চিরস্মরণীয় কিছু উক্তি

          বিংশ শতাব্দীর বাংলা মননে কাজী নজরুল ইসলামের মর্যাদা ও গুরুত্ব অপরিসীম। অগ্নিবীণা হাতে তার প্রবেশ, ধূমকেতুর মতো তার প্রকাশ। যেমন লেখাতে বিদ্রোহী, তেমনই জীবনে – কাজেই "বিদ্রোহী কবি"

ষাঁড়াষাঁড়ি বান

ষাঁড়াষাঁড়ি বান              বর্ষাকালে স্বাভাবিক কারণেই নদীতে জলের পরিমাণ ও বেগ বেশি থাকে। এই সময় জোয়ারের জল নদীর    মোহানায় প্রবেশ করলে জোয়ার ও নদীস্রোত—এই বিপরীতমুখী দুই স্রোতের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এর ফলে নদীর জল প্রবল শব্দ সহকারে প্রচণ্ড স্ফীত হয়ে ওঠে।