Skip to main content

সাম্প্রতিক পোস্ট

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।   অথবা,  একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।  অথবা,  নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও।             উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়।  এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়।  নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা:       পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...

জীববিজ্ঞানের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর-মানব শারীরবিদ্যা, সেট-২৪

মানব শারীরবিদ্যা


প্রশ্ন:১
ডায়াবেটিস মেলিটাস ও ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস-এর মধ্যে দুটি পার্থক্য উল্লেখ করো। 

উত্তর: 
👉ডায়াবেটিস মেলিটাস–
(i) এটি ইনসুলিনের অভাবে হয়।
(ii) মূত্রের সঙ্গে গ্লুকোজ নির্গত হয়।
👉ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস–
(i) অ্যান্টিডাইইউরেটিক হরমােনের (ADH) অভাবে হয়। 
(ii) মূত্রের সঙ্গে গ্লুকোজ নির্গত হয় না।


প্রশ্ন:২
দীর্ঘকালস্থায়ী ডায়াবেটিসে আর্টারিওস্ক্লেরোসিস (arteriosclerosis) হয় কেন ?

উত্তর: 
ডায়াবেটিস রােগীদের যকৃতে দীর্ঘকাল ধরে ফ্যাটের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রবহমান রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে ধমনিগাত্রে কোলেস্টেরল জমতে শুরু করে। এটি পরিশেষে আর্টারিওস্ক্লেরোসিস সৃষ্টি করে।


প্রশ্ন:৩
টাইপ-I ডায়াবেটিসকে জুভেনাইল ডায়াবেটিস বলে কেন ?

উত্তর: 
টাইপ-I ডায়াবেটিস সাধারণত 14 বছর বয়স থেকে শুরু হয়। তাই টাইপ-I ডায়াবেটিসকে জুভেনাইল ডায়াবেটিস বলা হয়।


প্রশ্ন:৪
অ্যালডােস্টেরন হরমােনের উৎস ও শারীরবৃত্তীয় কাজ উল্লেখ করো।

উত্তর: 
উৎস–আলডােস্টেরন অ্যাড্রিনাল কর্টেক্সের জোনা গ্লোমেরুলােসা স্তর থেকে ক্ষরিত হয়।
শারীরবৃত্তীয় কাজ–
(i) অ্যালডােস্টেরন বৃক্কীয় নালি দ্বারা সােডিয়ামের পুনঃশোষণ ও পটাশিয়ামের রেচন বৃদ্ধি করে। 
(ii) বৃক্কীয় নালি দ্বারা সোডিয়ামের পুনঃশােষণের সময় সমতুল্য পরিমাণে জলের অসমােটিক শােষণ ঘটে। এর ফলে বহিঃকোশীয় তরলের আয়তন বেড়ে যায়। 
(iii) অ্যালডােস্টেরন ঘর্মগ্রন্থি ও লালাগ্রন্থির রেচননালি দ্বারা মারাত্মকভাবে NaCI-এর পুনঃশােষণ এবং পটাশিয়ামের নিঃসরণ ঘটায়। এর ফলে উষ্ণ আবহাওয়ায় ঘর্মগ্রন্থি দ্বারা দেহে লবণের সংরক্ষণ হয় এবং লালাগ্রন্থি দ্বারা অতিরিক্ত লালাক্ষরণের সময় লবণের অপচয় হ্রাস পায়।


প্রশ্ন:৫
টিটেনি রােগের লক্ষণগুলি উল্লেখ করাে।

উত্তর: 
ক্যালশিয়ামের মাত্রা হ্রাসের ফলে সোডিয়াম, পটাশিয়াম প্রভৃতি স্নায়ু-উদ্দীপক পদার্থের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এর ফলে স্নায়ুপেশির সক্রিয়তা বেড়ে যায়। এই অবস্থায় দেহপেশিগুলির মধ্যে শ্বাসতন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত পেশিগুলির খিঁচুনি পরিলক্ষিত হয়।
মানুষের টিটেনি বা ধনুষ্টংকার রােগের অন্যান্য লক্ষণগুলি হল—
(1) চোভসটেক-এর লক্ষণ (Chvostek's sign)—মুখমণ্ডলের পেশির দ্রুত সংকোচন ঘটে। 
(2) ট্রাউসিয়াস-এর (Trousseau's sign)—দেহের ঊর্ধ্বপ্রান্তের (upper extremity) পেশির খিঁচুনি হয়। এর ফলে হাতের কবজি ও বুড়াে আঙুল বেঁকে যায় এবং আঙুলের বিক্ষেপ ঘটে।


প্রশ্ন:৬
এপিনেফ্রিন ও নর-এপিনেফ্রিন হরমােনের উৎস কী ? এদের জরুরিকালীন হরমােন বলে কেন ?

উত্তর: 
এপিনেফ্রিন ও নর-এপিনেফ্রিন হরমােন দুটি অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির মেডালা অংশ থেকে ক্ষরিত হয়। স্বাভাবিক অবস্থায় এপিনেফ্রিন ও নর-এপিনেফ্রিন জীবনের পক্ষে অপরিহার্য নয়। তবে এই হরমােন দুটি জরুরিকালীন অবস্থায় দেহকে সেই অবস্থার মােকাবিলা করার উপযােগী করে তােলে। তাই এদের জরুরিকালীন হরমােন বলা হয়।


প্রশ্ন:৭
ডায়াবেটিস মেলিটাস-এর উল্লেখযােগ্য লক্ষণগুলি কী কী ?

উত্তর: 
(i) মূত্রে গ্লুকোজের উপস্থিতি, 
(ii) অতিরিক্ত মূত্র রেচন, 
(iii) অন্তঃকোশীয় ও বহিঃকোশী জলের স্বল্পতা এবং 
(iv) অতিরিক্ত তৃষ্ণা।


প্রশ্ন:৮
সােমাটোস্টেটিন-এর উৎস ও শারীরবৃত্তীয় কাজ উল্লেখ করাে।

উত্তর: 
উৎস–সােমাটোস্টেটিন হরমােনটি অগ্ন্যাশয়ের আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহ্যানস-এর ডেল্টা কোশ দ্বারা ক্ষরিত হয়।
শারীরবৃত্তীয় কাজ–
(i) সােমাটোস্টেটিন স্থানীয়ভাবে ক্রিয়া করে আইলেট অব ল্যাঙ্গারহ্যানস থেকে ইনসুলিন ও গ্লুকাগন উভয় হরমােনের ক্ষরণ হ্রাস করে। 
(ii) এটি পাকস্থলী, গ্রহণী ও পিত্তাশয়ের সঞ্চালন হ্রাস করে। 
(iii) সােমাটোস্টেটিন পাক-অন্ত্রীয় নালির ক্ষরণ এবং শােষণ উভয় প্রক্রিয়াতেই বাধা সৃষ্টি করে।


প্রশ্ন:৯
ডায়াবেটিস মেলিটাসে অতিরিক্ত তৃষ্ণা পায় কেন ?

উত্তর: 
ডায়াবেটিস মেলিটাসে অন্তঃকোশীয় ও বহিঃকোশীয় জলের স্বল্পতার জন্য অতিরিক্ত তৃষ্ণা পায়।


প্রশ্ন:১০
টাইপ-I ডায়াবেটিস কেন হয় ? এই রােগের উল্লেখযােগ্য লক্ষণগুলি কী কী ?

উত্তর: 
অগ্ন্যাশয়ের আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহানস-এর বিটা কোশগুলির কোনাে প্রকার ক্ষত বা রােগের ফলে ইনসুলিন ক্ষরণ বিঘ্নিত হলে টাইপ-I ডায়াবেটিস হয়।
তিনটি প্রধান লক্ষণের দ্বারা টাইপ-I ডায়াবেটিসের বহিঃপ্রকাশ ঘটে–
(i) রক্তে গ্লুকোজের উচ্চমাত্রা। 
(ii) শক্তি উৎপাদনের জন্য ফ্যাটের অত্যধিক ব্যবহার এবং যকৃতে অধিক কোলেস্টেরল সংশ্লেষ। 
(iii) দেহ প্রােটিনের হ্রাসপ্রাপ্তি।

Comments

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

ভরা কোটাল ও মরা কোটালের পার্থক্য

  ভরা কোটাল ও মরা কোটালের পার্থক্য Sl. No. ভরা কোটাল মরা কোটাল 1 চাঁদ, পৃথিবী ও সূর্য একই সরল রেখায় অবস্থান করলে চাঁদ ও সূর্যের মিলিত আকর্ষণ পৃথিবীর একই স্থানের উপর কার্যকরী হয়, ফলে ভরা কোটালের সৃষ্টি হয়। চাঁদ, পৃথিবী ও সূর্য সমকোণী অবস্থানে থাকলে পৃথিবীর উপর চাঁদ ও সূর্যের আকর্ষণ পরস্পর বিপরীত ও বিরোধী হয়, ফলে মরা কোটালের সৃষ্টি হয়। 2 মানবজীবনের উপর ভরা কোটালে (নদী-মোহানা, নৌ-চলাচল, মাছ আহরণ ইত্যাদি)-র প্রভাব বেশি। মানবজীবনের উপর মরা কোটালের প্রভাব কম। 3 ভরা কোটাল হয় অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে। মরা কোটাল হয় শুক্ল ও কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে। 4 ভরা কোটালের ক্ষেত্রে সাগর-মহাসাগরের জলতল সবচেয়ে বেশী স্ফীত হয়। মরা কোটালের ক্ষেত্রে সাগর-মহাসাগরের জলতলের স্ফীতি সবচেয়ে কম হয়। 5 অমাবস্যা তিথিতে পৃথিবীর একই পাশে একই সরলরেখায় চাঁদ ও সূর্য অবস্থান করে। পূর্ণিমা তিথিতে সূর্য ও চাঁদের মাঝে পৃথিবী একই সরলরেখায় অবস্থান করে। কৃষ্ণ ও শুক্ল পক্ষের অষ্টমীত...

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (১৮৭৮ খ্রি.)

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন প্রবর্তন সাম্রাজ্যবাদী গভর্নর–জেনারেল লর্ড লিটন দেশীয় পত্রপত্রিকার কণ্ঠরোধ করার সিদ্ধান্ত নেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (Vernacular Press Act, 1878) জারি করেন। পটভূমি ঊনবিংশ শতকে দেশীয় সংবাদপত্রগুলিতে সরকারি কর্মচারীদের অন্যায় আচরণ, অর্থনৈতিক শোষণ, দেশীয় সম্পদের বহির্গমন, দেশীয় শিল্পের অবক্ষয় ইত্যাদি নানা বিষয় তুলে ধরা হয়। ইতিহাসবিদ এ.আর.দেশাইয়ের মতে, “ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিকাশে সংবাদপত্র হল এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম”।

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।   অথবা,  একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।  অথবা,  নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও।             উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়।  এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়।  নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা:       পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...

ষাঁড়াষাঁড়ি বান

ষাঁড়াষাঁড়ি বান              বর্ষাকালে স্বাভাবিক কারণেই নদীতে জলের পরিমাণ ও বেগ বেশি থাকে। এই সময় জোয়ারের জল নদীর    মোহানায় প্রবেশ করলে জোয়ার ও নদীস্রোত—এই বিপরীতমুখী দুই স্রোতের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এর ফলে নদীর জল প্রবল শব্দ সহকারে প্রচণ্ড স্ফীত হয়ে ওঠে।  

পলল ব্যজনী বা পলল শঙ্কু

পলল ব্যজনী বা পলল শঙ্কু                     পর্বত্য অঞ্চল থেকে সমভূমিতে প্রবেশ করলে নদীর গতিপথের ঢাল হ্রাস পায়। ফলে নদীর ক্ষমতাও কমে যায়। উচ্চপ্রবাহের ক্ষয়িত পদার্থসমূহ (শিলাখণ্ড, নুড়ি, কাঁকর, বালি) সমভূমিতে প্রবেশের মুখে পর্বতের পাদদেশে সঞ্চিত হয়ে শঙ্কু আকৃতির ভূমিরূপ গঠন করে। একে পলিশঙ্কু বলে। দেখতে হাত পাখার মতো হয় বলে একে পলল পাখা বা পলল ব্যজনীও বলে। 

গ্রস্ত উপত্যকা

গ্রস্ত উপত্যকা দুটি চ্যুতির মধ্যবর্তী অংশ বসে গেলে যে অবনমিত অঞ্চলের সৃষ্টি হয়, তাকে গ্রস্ত উপত্যকা বলে। এছাড়া, মহীভাবক আলোড়নের ফলে ভূপৃষ্ঠে সংকোচন ও প্রসারণ বলের সৃষ্টি হয়। যার ফলে ভূপৃষ্ঠের কঠিন শিলায় ফাটলের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীকালে পুনরায় ভূ-আন্দোলন ঘটলে বা ভূ-আলোড়নের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে ফাটল রেখা বরাবর শিলার একটি অংশ অপর অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, একে চ্যুতি বলে। সংনমন বল বৃদ্ধি পেলে দুটি চ্যুতির মাঝের অংশ খাড়াভাবে নীচে বসে যায়। অবনমিত, ওই অংশকে বলে গ্রস্ত উপত্যকা। 

স্প্রিং তুলা ও সাধারণ তুলার মধ্যে পার্থক্য কী ?

স্প্রিং তুলা ও সাধারণ তুলার মধ্যে পার্থক্য - স্প্রিং তুলা সাধারণ তুলা 1. স্প্রিং তুলা দিয়ে বস্তুর ভার বা ওজন মাপা হয়। 1. সাধারণ তুলায় বস্তুর ভর মাপা হয়। 2. খুব ভারী বস্তুর ওজন মাপা যায় না। 2. ভারী বস্তুর ভর মাপা যায়। 3. স্প্রিং তুলায় একটি বস্তুর ওজনের পাঠ বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন হয়। 3. সাধারণ তুলায় একটি বস্তুর ভরের ক্ষেত্রে সব স্থানে একই পাঠ পাওয়া যায়। 4. স্প্রিং তুলা যে স্থানে অংশাঙ্কিত হয় শুধু সেই স্থানে সঠিক পাঠ দেয়। 4. সাধারণ তুলা সব স্থানে সঠিক পাঠ দেয়। 5. স্প্রিং তুলার কার্যনীতি পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের জন্য স্প্রিং-এর দৈর্ঘ্য বৃদ্ধির ওপর নির্ভরশীল। 5. সাধারণ তুলা প্রথম শ্রেণির লিভারের নীতি অনুযায়ী কাজ করে।

নদী উপত্যকা এবং হিমবাহ উপত্যকার মধ্যে পার্থক্য

  নদী উপত্যকা এবং হিমবাহ উপত্যকার মধ্যে পার্থক্য Sl. No. নদী উপত্যকা হিমবাহ উপত্যকা 1 মেরু প্রদেশের বরফাবৃত অঞ্চল এবং উষ্ণ ও শুষ্ক মরুভূমি অঞ্চল ছাড়া অন্যান্য অঞ্চলে নদী উপত্যকার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। কেবলমাত্র বরফে ঢাকা উঁচু পার্বত্য অঞ্চল এবং হিমশীতল মেরু অঞ্চলেই হিমবাহ উপত্যকার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। 2 পার্বত্য অঞ্চলে নদী উপত্যকা প্রধানত ইংরেজি ‘V’ অক্ষরের মতো হয়। হিমবাহ উপত্যকা ইংরেজি ‘U’ অক্ষরের মতো হয়। 3 পার্বত্য ও উচ্চ সমভূমি অঞ্চলে নদী স্রোতের গতিবেগ প্রবল হয়, নিম্নভূমিতে নদী স্রোতের গতি ধীরে ধীরে কমে আসে। বেশিরভাগ সময়েই হিমবাহ অত্যন্ত ধীরগতিতে প্রবাহিত হয়। 4 নদী উপত্যকা আঁকাবাঁকা পথে অগ্রসর হয়। হিমবাহ উপত্যকা সোজা পথে অগ্রসর হয়। 5 সাধারণত নদী উপত্যকার মোট দৈর্ঘ্য বেশি হয়। হিমবাহ উপত্যকার মোট দৈর্ঘ্য কম হয়। 6 নদীর সঞ্চয় কাজের ফলে নদী উপত্যকায় প্লাবনভূমি, স্বাভাবিক বাঁধ, বদ্বীপ প্রভৃতি ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়। ...

মানব জীবনের ওপর পর্বতের প্রভাব উল্লেখ করো।

মানব জীবনের ওপর পর্বতের প্রভাব উল্লেখ করো। সমুদ্র সমতল থেকে অন্তত ১০০০ মিটারের বেশি উঁচু ও বহুদূর বিস্তৃত শিলাময় স্তূপ যার ভূপ্রকৃতি অত্যন্ত বন্ধুর, ভূমির ঢাল বেশ খাড়া এবং গিরিশৃঙ্গ ও উপত্যকা বর্তমান তাকে পর্বত বলে৷ খাড়াভাবে দাঁড়িয়ে থাকা এই পর্বত মানুষের জীবনকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। মানবজীবনে পর্বতের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবগুলি হল—

ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য

  ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য Sl. No. ঘূর্ণবাত প্রতীপ ঘূর্ণবাত 1 ঘূর্ণবাতের নিম্নচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর উচ্চচাপ বলয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের উচ্চচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর নিম্নচাপ বলয়। 2 নিম্নচাপ কেন্দ্রে বায়ু উষ্ণ, হালকা ও ঊর্ধ্বগামী হয়। উচ্চচাপ কেন্দ্রে বায়ু শীতল, ভারী ও নিম্নগামী হয়। 3 ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে, ফলে বিস্তীর্ণ অঞ্চল অল্প সময়ে প্রভাবিত হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে না। 4 ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে এবং বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘমুক্ত থাকে। বৃষ্টিপাত ও ঝড়-ঝঞ্ঝা ঘটে না। মাঝেমাঝে তুষারপাত ও কুয়াশার সৃষ্টি হয়৷ 5 ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে নিম্নচাপ বিরাজ করে। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে উচ্চচাপ বিরাজ করে। 6 চারিদিক থেকে ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রের দিকে বায়ু ছুটে আসে অর্থাৎ বায়ুপ্রবাহ কেন্দ্রমুখী। প্রতীপ ঘূর্ণবাতে কেন...