Skip to main content

সাম্প্রতিক পোস্ট

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।   অথবা,  একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।  অথবা,  নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও।             উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়।  এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়।  নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা:       পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...

জীববিজ্ঞানের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর-মানব শারীরবিদ্যা, সেট-২৪

মানব শারীরবিদ্যা


প্রশ্ন:১
ডায়াবেটিস মেলিটাস ও ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস-এর মধ্যে দুটি পার্থক্য উল্লেখ করো। 

উত্তর: 
👉ডায়াবেটিস মেলিটাস–
(i) এটি ইনসুলিনের অভাবে হয়।
(ii) মূত্রের সঙ্গে গ্লুকোজ নির্গত হয়।
👉ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস–
(i) অ্যান্টিডাইইউরেটিক হরমােনের (ADH) অভাবে হয়। 
(ii) মূত্রের সঙ্গে গ্লুকোজ নির্গত হয় না।


প্রশ্ন:২
দীর্ঘকালস্থায়ী ডায়াবেটিসে আর্টারিওস্ক্লেরোসিস (arteriosclerosis) হয় কেন ?

উত্তর: 
ডায়াবেটিস রােগীদের যকৃতে দীর্ঘকাল ধরে ফ্যাটের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রবহমান রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে ধমনিগাত্রে কোলেস্টেরল জমতে শুরু করে। এটি পরিশেষে আর্টারিওস্ক্লেরোসিস সৃষ্টি করে।


প্রশ্ন:৩
টাইপ-I ডায়াবেটিসকে জুভেনাইল ডায়াবেটিস বলে কেন ?

উত্তর: 
টাইপ-I ডায়াবেটিস সাধারণত 14 বছর বয়স থেকে শুরু হয়। তাই টাইপ-I ডায়াবেটিসকে জুভেনাইল ডায়াবেটিস বলা হয়।


প্রশ্ন:৪
অ্যালডােস্টেরন হরমােনের উৎস ও শারীরবৃত্তীয় কাজ উল্লেখ করো।

উত্তর: 
উৎস–আলডােস্টেরন অ্যাড্রিনাল কর্টেক্সের জোনা গ্লোমেরুলােসা স্তর থেকে ক্ষরিত হয়।
শারীরবৃত্তীয় কাজ–
(i) অ্যালডােস্টেরন বৃক্কীয় নালি দ্বারা সােডিয়ামের পুনঃশোষণ ও পটাশিয়ামের রেচন বৃদ্ধি করে। 
(ii) বৃক্কীয় নালি দ্বারা সোডিয়ামের পুনঃশােষণের সময় সমতুল্য পরিমাণে জলের অসমােটিক শােষণ ঘটে। এর ফলে বহিঃকোশীয় তরলের আয়তন বেড়ে যায়। 
(iii) অ্যালডােস্টেরন ঘর্মগ্রন্থি ও লালাগ্রন্থির রেচননালি দ্বারা মারাত্মকভাবে NaCI-এর পুনঃশােষণ এবং পটাশিয়ামের নিঃসরণ ঘটায়। এর ফলে উষ্ণ আবহাওয়ায় ঘর্মগ্রন্থি দ্বারা দেহে লবণের সংরক্ষণ হয় এবং লালাগ্রন্থি দ্বারা অতিরিক্ত লালাক্ষরণের সময় লবণের অপচয় হ্রাস পায়।


প্রশ্ন:৫
টিটেনি রােগের লক্ষণগুলি উল্লেখ করাে।

উত্তর: 
ক্যালশিয়ামের মাত্রা হ্রাসের ফলে সোডিয়াম, পটাশিয়াম প্রভৃতি স্নায়ু-উদ্দীপক পদার্থের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এর ফলে স্নায়ুপেশির সক্রিয়তা বেড়ে যায়। এই অবস্থায় দেহপেশিগুলির মধ্যে শ্বাসতন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত পেশিগুলির খিঁচুনি পরিলক্ষিত হয়।
মানুষের টিটেনি বা ধনুষ্টংকার রােগের অন্যান্য লক্ষণগুলি হল—
(1) চোভসটেক-এর লক্ষণ (Chvostek's sign)—মুখমণ্ডলের পেশির দ্রুত সংকোচন ঘটে। 
(2) ট্রাউসিয়াস-এর (Trousseau's sign)—দেহের ঊর্ধ্বপ্রান্তের (upper extremity) পেশির খিঁচুনি হয়। এর ফলে হাতের কবজি ও বুড়াে আঙুল বেঁকে যায় এবং আঙুলের বিক্ষেপ ঘটে।


প্রশ্ন:৬
এপিনেফ্রিন ও নর-এপিনেফ্রিন হরমােনের উৎস কী ? এদের জরুরিকালীন হরমােন বলে কেন ?

উত্তর: 
এপিনেফ্রিন ও নর-এপিনেফ্রিন হরমােন দুটি অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির মেডালা অংশ থেকে ক্ষরিত হয়। স্বাভাবিক অবস্থায় এপিনেফ্রিন ও নর-এপিনেফ্রিন জীবনের পক্ষে অপরিহার্য নয়। তবে এই হরমােন দুটি জরুরিকালীন অবস্থায় দেহকে সেই অবস্থার মােকাবিলা করার উপযােগী করে তােলে। তাই এদের জরুরিকালীন হরমােন বলা হয়।


প্রশ্ন:৭
ডায়াবেটিস মেলিটাস-এর উল্লেখযােগ্য লক্ষণগুলি কী কী ?

উত্তর: 
(i) মূত্রে গ্লুকোজের উপস্থিতি, 
(ii) অতিরিক্ত মূত্র রেচন, 
(iii) অন্তঃকোশীয় ও বহিঃকোশী জলের স্বল্পতা এবং 
(iv) অতিরিক্ত তৃষ্ণা।


প্রশ্ন:৮
সােমাটোস্টেটিন-এর উৎস ও শারীরবৃত্তীয় কাজ উল্লেখ করাে।

উত্তর: 
উৎস–সােমাটোস্টেটিন হরমােনটি অগ্ন্যাশয়ের আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহ্যানস-এর ডেল্টা কোশ দ্বারা ক্ষরিত হয়।
শারীরবৃত্তীয় কাজ–
(i) সােমাটোস্টেটিন স্থানীয়ভাবে ক্রিয়া করে আইলেট অব ল্যাঙ্গারহ্যানস থেকে ইনসুলিন ও গ্লুকাগন উভয় হরমােনের ক্ষরণ হ্রাস করে। 
(ii) এটি পাকস্থলী, গ্রহণী ও পিত্তাশয়ের সঞ্চালন হ্রাস করে। 
(iii) সােমাটোস্টেটিন পাক-অন্ত্রীয় নালির ক্ষরণ এবং শােষণ উভয় প্রক্রিয়াতেই বাধা সৃষ্টি করে।


প্রশ্ন:৯
ডায়াবেটিস মেলিটাসে অতিরিক্ত তৃষ্ণা পায় কেন ?

উত্তর: 
ডায়াবেটিস মেলিটাসে অন্তঃকোশীয় ও বহিঃকোশীয় জলের স্বল্পতার জন্য অতিরিক্ত তৃষ্ণা পায়।


প্রশ্ন:১০
টাইপ-I ডায়াবেটিস কেন হয় ? এই রােগের উল্লেখযােগ্য লক্ষণগুলি কী কী ?

উত্তর: 
অগ্ন্যাশয়ের আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহানস-এর বিটা কোশগুলির কোনাে প্রকার ক্ষত বা রােগের ফলে ইনসুলিন ক্ষরণ বিঘ্নিত হলে টাইপ-I ডায়াবেটিস হয়।
তিনটি প্রধান লক্ষণের দ্বারা টাইপ-I ডায়াবেটিসের বহিঃপ্রকাশ ঘটে–
(i) রক্তে গ্লুকোজের উচ্চমাত্রা। 
(ii) শক্তি উৎপাদনের জন্য ফ্যাটের অত্যধিক ব্যবহার এবং যকৃতে অধিক কোলেস্টেরল সংশ্লেষ। 
(iii) দেহ প্রােটিনের হ্রাসপ্রাপ্তি।

Comments

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য

  ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য Sl. No. ঘূর্ণবাত প্রতীপ ঘূর্ণবাত 1 ঘূর্ণবাতের নিম্নচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর উচ্চচাপ বলয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের উচ্চচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর নিম্নচাপ বলয়। 2 নিম্নচাপ কেন্দ্রে বায়ু উষ্ণ, হালকা ও ঊর্ধ্বগামী হয়। উচ্চচাপ কেন্দ্রে বায়ু শীতল, ভারী ও নিম্নগামী হয়। 3 ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে, ফলে বিস্তীর্ণ অঞ্চল অল্প সময়ে প্রভাবিত হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে না। 4 ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে এবং বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘমুক্ত থাকে। বৃষ্টিপাত ও ঝড়-ঝঞ্ঝা ঘটে না। মাঝেমাঝে তুষারপাত ও কুয়াশার সৃষ্টি হয়৷ 5 ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে নিম্নচাপ বিরাজ করে। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে উচ্চচাপ বিরাজ করে। 6 চারিদিক থেকে ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রের দিকে বায়ু ছুটে আসে অর্থাৎ বায়ুপ্রবাহ কেন্দ্রমুখী। প্রতীপ ঘূর্ণবাতে কেন...

মানব জীবনের ওপর পর্বতের প্রভাব উল্লেখ করো।

মানব জীবনের ওপর পর্বতের প্রভাব উল্লেখ করো। সমুদ্র সমতল থেকে অন্তত ১০০০ মিটারের বেশি উঁচু ও বহুদূর বিস্তৃত শিলাময় স্তূপ যার ভূপ্রকৃতি অত্যন্ত বন্ধুর, ভূমির ঢাল বেশ খাড়া এবং গিরিশৃঙ্গ ও উপত্যকা বর্তমান তাকে পর্বত বলে৷ খাড়াভাবে দাঁড়িয়ে থাকা এই পর্বত মানুষের জীবনকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। মানবজীবনে পর্বতের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবগুলি হল—

স্থলবায়ু ও সমুদ্রবায়ুর মধ্যে পার্থক্য

  স্থলবায়ু ও সমুদ্রবায়ুর মধ্যে পার্থক্য Sl. No. স্থলবায়ু সমুদ্রবায়ু 1 স্থলবায়ু মূলত শীতল ও শুষ্ক প্রকৃতির হয়। সমুদ্রবায়ু মূলত উষ্ণ ও আর্দ্র প্রকৃতির হয়। 2 স্থলবায়ু প্রধানত রাত্রিবেলায় প্রবাহিত হয়। সমুদ্রবায়ু প্রধানত দিনেরবেলায় প্রবাহিত হয়। 3 সূর্যাস্তের পরবর্তী সময়ে এই বায়ুর প্রবাহ শুরু হয় ও রাত্রির শেষদিকে বায়ুপ্রবাহের বেগ বৃদ্ধি পায়। সূর্যোদয়ের পরবর্তী সময়ে এই বায়ুরপ্রবাহ শুরু হয় ও অপরাহ্নে বায়ুপ্রবাহে বেগ বৃদ্ধি পায়। 4 স্থলবায়ু উচ্চচাযুক্ত স্থলভাগ থেকে নিম্নচাপযুক্ত জলভাগের দিকে প্রবাহিত হয়। এই কারণে স্থলবায়ুকে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর সঙ্গে তুলনা করা হয়। সমুদ্রবায়ু উচ্চচাপযুক্ত সমুদ্র থেকে নিম্নচাপযুক্ত স্থলভাগের দিকে প্রবাহিত হয়। এই কারণে সমুদ্রবায়ুকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সঙ্গে তুলনা করা হয়। 5 স্থলভাগের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হবার দরুন বেগ তুলনামূলক কম হয়ে থাকে। উন্মুক্ত সমুদ্রের ওপর দিয়ে দীর্ঘপথ প্রবাহিত হ...

স্তূপ পর্বত

স্তূপ পর্বত             ভূ-আলোড়নজনিত প্রসারণ বলের প্রভাবে পাশাপাশি অবস্থিত দুটি ফাটলের মধ্যবর্তী অংশ চাপের ফলে বিচ্যুত হয়ে ওপরে উঠে যায় বা দুটি ফাটলের মধ্যবর্তী অংশ চাপের ফলে নীচে বসে যায় তখন অপেক্ষাকৃত উঁচু অংশকে স্তূপ পর্বত বলে। প্রবল ভূ-আলোড়নের ফলে ভূত্বকের বিভিন্ন অংশে চাপের পার্থক্য ঘটে। ফলে শিলায় টান ও সংনমনের সৃষ্টি হয়। টান ও সংনমনের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে শিলায় ফাটলের সৃষ্টি হয় এবং ফাটলরেখা বরাবর শিলার এক অংশ অপর অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। একে চ্যুতি বলে। সংনমন বল বৃদ্ধি পেলে দুটি উল্লম্ব চ্যুতির মাঝের অংশটি নীচে বসে গেলে দু-পাশ ওপরে উঠে আসে। আবার মাঝের অংশটি ওপরে উঠে গেলে দু-পাশ নীচে বসে যায়। তখন ওপরে উঠে আসা অংশকে স্তূপ পর্বত বলে।

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।   অথবা,  একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।  অথবা,  নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও।             উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়।  এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়।  নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা:       পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...

গ্রস্ত উপত্যকা

গ্রস্ত উপত্যকা দুটি চ্যুতির মধ্যবর্তী অংশ বসে গেলে যে অবনমিত অঞ্চলের সৃষ্টি হয়, তাকে গ্রস্ত উপত্যকা বলে। এছাড়া, মহীভাবক আলোড়নের ফলে ভূপৃষ্ঠে সংকোচন ও প্রসারণ বলের সৃষ্টি হয়। যার ফলে ভূপৃষ্ঠের কঠিন শিলায় ফাটলের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীকালে পুনরায় ভূ-আন্দোলন ঘটলে বা ভূ-আলোড়নের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে ফাটল রেখা বরাবর শিলার একটি অংশ অপর অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, একে চ্যুতি বলে। সংনমন বল বৃদ্ধি পেলে দুটি চ্যুতির মাঝের অংশ খাড়াভাবে নীচে বসে যায়। অবনমিত, ওই অংশকে বলে গ্রস্ত উপত্যকা। 

মহীখাত

মহীখাত        জে.হল, জে.ডি.ডানা ও কোবার প্রথম মহীখাত বা Geosyncline ধারণার অবতারণা করেন। তাঁদের মতে, পৃথিবীর আদি ভূভাগ দ্বারা বেষ্টিত ভূপৃষ্ঠের সংকীর্ণ, অবনমিত ও অগভীর সমুদ্রখাত হল মহীখাত। অর্থাৎ, ভূতাত্ত্বিকদের মতে, এখন যেসব জায়গায় ভঙ্গিল পর্বতগুলো অবস্থান করছে, অতি প্রাচীনকালে সেখানে ছিল বিস্তীর্ণ অবনত অঞ্চল— ভূতাত্ত্বিকগণের ভাষায় যার নাম মহীখাত বা অগভীর সমুদ্র।

নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন

নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন আইন প্রবর্তনের কারণ ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে জাতীয়তাবাদী নাটক রচনা করে ব্রিটিশের শোষণ ও অপশাসনের বিরুদ্ধে জনমত সংগঠিত করার কাজ শুরু হয়। অমৃতলাল বসুর ‘চা–কর দর্পণ’, দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ নাটকে অত্যাচারী শ্বেতাঙ্গ সাহেবদের মুখোশ খুলে দেওয়া হয়। অমৃতলাল বসু ও উপেন্দ্রনাথ দাস ‘হনুমান চরিত’ নামক প্রহসন নাটকে ইংরেজের প্রতি ব্যঙ্গবিদ্রুপ প্রকাশ করেন। গ্রামেগঞ্জে ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাব সৃষ্টির কাজে নাটকগুলি সাফল্য পায়। সরকার দমনমূলক আইন জারি করে দেশাত্মবোধক নাটকের প্রচার বন্ধ করে দিতে উদ্যত হয়।

আবহবিকার ও ক্ষয়ীভবন মধ্যে পার্থক্য

  আবহবিকার ও ক্ষয়ীভবন মধ্যে পার্থক্য Sl. No. আবহবিকার ক্ষয়ীভবন 1 আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান যেমন—উষ্ণতা, বৃষ্টিপাত, জলীয় বাষ্প, তুষারপাত ও বিভিন্ন গ্যাসীয় উপাদান দ্বার শিলাসমূহের চূর্ণবিচূর্ণ হওয়া বা বিয়োজনকে আবহবিকার বলে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তি, যেমন—নদী, বায়ু, হিমবাহ, ইত্যাদি দ্বারা আবহবিকারপ্রাপ্ত চূর্ণবিচূর্ণ শিলাসমূহের অপসারণকে ক্ষয়ীভবন বলে। 2 আবহবিকারের ফলে মূল শিলার বৈশিষ্ট্যের (গঠন, আকৃতি, খনিজের আণবিক সজ্জা প্রভৃতি) পরিবর্তন ঘটে । ক্ষয়ীভবনের ফলে ভূমিরূপের পরিবর্তন সাধিত হয়। কিন্তু মূল শিলার বৈশিষ্ট্যের কোনো পরিবর্তন সাধন হয় না। 3 আবহবিকার কোনোভাবে ক্ষয়ীভবনের ওপর নির্ভরশীল নয়। ক্ষয়ীভবন সম্পূর্ণরূপে আবহবিকারের ওপর নির্ভরশীল। আবহবিকার প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হলে ক্ষয়ীভবন প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে না। 4 আবহবিকারের ফলে চূর্ণবিচূর্ণ শিলাসমূহ শিলাস্তর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মূল শিলাস্তরের ওপরেই অবস্থান করে। ক্ষয়ীভবনের ফলে আবহবিকার প্রাপ্ত শিলাচূর্ণ স্থানান্তরি...

ভরা কোটাল ও মরা কোটালের পার্থক্য

  ভরা কোটাল ও মরা কোটালের পার্থক্য Sl. No. ভরা কোটাল মরা কোটাল 1 চাঁদ, পৃথিবী ও সূর্য একই সরল রেখায় অবস্থান করলে চাঁদ ও সূর্যের মিলিত আকর্ষণ পৃথিবীর একই স্থানের উপর কার্যকরী হয়, ফলে ভরা কোটালের সৃষ্টি হয়। চাঁদ, পৃথিবী ও সূর্য সমকোণী অবস্থানে থাকলে পৃথিবীর উপর চাঁদ ও সূর্যের আকর্ষণ পরস্পর বিপরীত ও বিরোধী হয়, ফলে মরা কোটালের সৃষ্টি হয়। 2 মানবজীবনের উপর ভরা কোটালে (নদী-মোহানা, নৌ-চলাচল, মাছ আহরণ ইত্যাদি)-র প্রভাব বেশি। মানবজীবনের উপর মরা কোটালের প্রভাব কম। 3 ভরা কোটাল হয় অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে। মরা কোটাল হয় শুক্ল ও কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে। 4 ভরা কোটালের ক্ষেত্রে সাগর-মহাসাগরের জলতল সবচেয়ে বেশী স্ফীত হয়। মরা কোটালের ক্ষেত্রে সাগর-মহাসাগরের জলতলের স্ফীতি সবচেয়ে কম হয়। 5 অমাবস্যা তিথিতে পৃথিবীর একই পাশে একই সরলরেখায় চাঁদ ও সূর্য অবস্থান করে। পূর্ণিমা তিথিতে সূর্য ও চাঁদের মাঝে পৃথিবী একই সরলরেখায় অবস্থান করে। কৃষ্ণ ও শুক্ল পক্ষের অষ্টমীত...