Skip to main content

সাম্প্রতিক পোস্ট

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।   অথবা,  একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।  অথবা,  নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও।             উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়।  এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়।  নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা:       পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...

জীববিজ্ঞানের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর-মানব শারীরবিদ্যা, সেট-৩৮

মানব শারীরবিদ্যা


প্রশ্ন:১
বয়ঃসন্ধিকালের পরে অতিরিক্ত বৃদ্ধি হরমােন ক্ষরিত হলে কী কী লক্ষণ দেখা যায় ?

উত্তর: 
বয়ঃসন্ধিকালের পরে অর্থাৎ দেহের লম্বা অস্থিগুলির এপিফাইসিস তাদের স্যাফট-এর সঙ্গে মিশে যাওয়ার পরে যদি বৃদ্ধি হরমােন বেশি পরিমাণে ক্ষরিত হয় তবে অস্থিগুলি প্রস্থে বেড়ে যায় কিন্তু দৈর্ঘ্যে বাড়ে না। এই অবস্থাকে বলা হয় অ্যাক্রোমেগালি।
এই রােগের লক্ষণগুলি হল—
(i) হাত ও পায়ের অস্থিগুলির স্থূলতা বেড়ে যায়। 
(ii) করােটি, নাক, মাথার অগ্রভাগ (forehead) ইত্যাদি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। 
(iii) নীচের চোয়াল সামনের দিকে বেড়ে যায়। 
(iv) হাতের আঙুলের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য হাতের আকার প্রায় দ্বিগুণ হয়। 
(v) পায়ের আকার এমন বেড়ে যায় যে 14 নম্বর সাইজের জুতা পরতে হয়। 
(vi) সুপ্রাঅরবিটাল (Supraorbital) খাঁজের বৃদ্ধির জন্য মাথার অগ্রভাগ 1.5 ইঞ্চি বেড়ে যায়। 
(vii) কশেরুকার পরিবর্তন হয়, এর ফলে পিঠ সামনের দিকে সামান্য হলে যায়, একে বলা হয় কাইফোসিস (Kyphosis)।


প্রশ্ন:২
ক্রেটিনিজমের প্রধান লক্ষণগুলি উল্লেখ করাে।

উত্তর: 
ক্রেটিনিজমের উল্লেখযােগ্য লক্ষণগুলি হল—
(i) শিশুর মাথা তুলে রাখা, কথা বলা, দাঁড়ানাে, দন্তোদগম ইত্যাদি সবই বিলম্বিত হয়। 
(ii) ত্বক খসখসে, কর্কশ, স্থূল ও কোঁচকানাে হয় এবং ত্বকে লােম কম থাকে। 
(iii) মুখ থেকে অনবরত লালা নিঃসরণ হয় (dribbling of saliva) এবং পেট বড়ো হয়ে যায় (pot-bellied)। 
(iv) খিদে কমে যায় এবং পাক-অন্ত্ৰীয় নালির সঞ্চালন (gastro-intestinal motility) হ্রাস পায়। 
(v) মানসিক বিকাশ (mental development) সঠিক না হওয়ায় শিশু জড়বুদ্ধিসম্পন্ন হয় এবং মুখমণ্ডলে বােকা ভাব (idiotic appearance) লক্ষ করা যায়।


প্রশ্ন:৩
রক্তে ক্যালশিয়ামের মাত্রা হ্রাস পেলে কী ঘটে ?

উত্তর: 
রক্তে ক্যালশিয়ামের মাত্রা হ্রাস পেলে (স্বাভাবিক 9.4 মি গ্রাম/ডেসিলি থেকে 6 বা 7 মিগ্রাম/ডেসিলিটারে পৌঁছােলে) ধনুষ্টংকার বা টিটেনি রােগের লক্ষণগুলি প্রকাশ পায়।


প্রশ্ন:৪
ক্যালশিটোনিনের উৎস ও শারীরবৃত্তীয় কাজ লেখাে।

উত্তর: 
ক্যালশিটোনিন বা থাইরােক্যালশিটোনিন থাইরয়েড গ্রন্থির মাইটোকন্ড্রিয়া সমৃদ্ধ প্যারাফলিকুলার কোশ (C কোশ) দ্বারা ক্ষরিত হয়।
শারীরবৃত্তীয় কাজ—ক্যালশিটোনিন-এর প্রধান কাজ প্লাজমা ক্যালশিয়াম ও ফসফেটের মাত্রা হ্রাস করা। ক্যালশিটোনিন-এর প্রধান ক্রিয়াস্থল হল অস্থি এবং এটি অস্থি থেকে ক্যালশিয়াম নির্গমন প্রতিরােধ করে। এইভাবে এটি রক্তে ক্যালশিয়াম-এর মাত্রা হ্রাস করে। তা ছাড়া ক্যালশিটোনিন মূত্রের মাধ্যমে ক্যালশিয়াম-এর রেচন বৃদ্ধি করে এবং রক্তের ফসফেটের মাত্রাও হ্রাস করে থাকে।


প্রশ্ন:৫
দেহে আয়ােডিন বিপাকে থাইরক্সিনের ভূমিকা কী ?

উত্তর: 
থাইরক্সিন প্লাজমা থেকে অজৈব আয়ােডিনের শােষণে, আয়ােডাইডের আয়ােডিনে জারিত হতে এবং মনােআয়ােডােটাইরােসিন (MIT) ও ডাইআয়ােডােটাইরােসিন (DIT) গঠনে সাহায্য করে।


প্রশ্ন:৬
খাদ্যে আয়ােডিনের অভাবজনিত লক্ষণ কী ?

উত্তর: 
পৃথিবীর কোনাে কোনাে অঞ্চলের (যেমন—আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের হ্রদ অঞ্চল) মাটিতে আয়ােডিন অপর্যাপ্ত থাকায় সেইসব অঞ্চলের খাদ্যসামগ্রীতে আয়ােডিন কম থাকে। তাই সেখানকার লােকদের থাইরয়েড গ্রন্থি মারাত্মকভাবে বড়াে হয়ে যায়। আয়ােডিনের অভাবে থাইরয়েড গ্রন্থির বৃদ্ধিজনিত এই অবস্থাকে বলা হয় আঞ্চলিক গলগণ্ড (endemic goitre)।


প্রশ্ন:৭
গ্রেভস রােগ (Grave's disease) বা স্ফীতনেত্র গলগন্ড (exophthalmic goitre) কেন হয় ?

উত্তর: 
থাইরয়েড স্টিমুলেটিং ইমিউনােগ্লোবিউলিন (TSI)-এর ক্রিয়ায় থাইরয়েড গ্রন্থির অতি সক্রিয়তায় এবং থাইরয়েড গ্রন্থিতে টিউমার সৃষ্টি হলে থাইরয়েড হরমােনের ক্ষরণ মারাত্মকভাবে বেড়ে যায়। এর ফলে থাইরয়েড গ্রন্থির আকার বৃদ্ধি পায় (নােডিউলার প্রকৃতির বৃদ্ধি)। তা ছাড়া অক্ষিগােলকের বহিঃস্ফীতি লক্ষ করা যায়। এই অবস্থাকে বলা হয় গ্রেভস রােগ বা স্ফীতনেত্র গলগণ্ড (exophthalmic goitre)।


প্রশ্ন:৮
মিক্সিডিমার প্রধান কয়েকটি লক্ষণ উল্লেখ করাে।

উত্তর: 
মিক্সিডিমার লক্ষণগুলি হল—
(i) অবসাদ এবং তন্দ্রাচ্ছন্নভাব, দিনে 12 থেকে 14 ঘণ্টা ঘুম। 
(ii) BMR মারাত্মকভাবে হ্রাস পায়। 
(iii) চূড়ান্ত পেশি নিষ্ক্রিয়তা দেখা যায়। 
(iv) হৃৎস্পন্দন হার ও হার্দ-উৎপাদ হ্রাস পায়। 
(v) রক্তের আয়তন হ্রাস পায় এবং কোনাে কোনাে ক্ষেত্রে দেহের ওজন বেড়ে যায়। 
(vi) চুলের বৃদ্ধি কমে যায় এবং ত্বক খসখসে হয়। 
(vii) মানসিক অবসাদ ও কোষ্ঠকাঠিন্য পরিলক্ষিত হয়। 
(viii) মুখমণ্ডল ফুলে যায়। 
(ix) রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়; এর ফলে অ্যাথেরােস্ক্লেরােসিস (atherosclerosis) ও আর্টারিওস্ক্লেরােসিস (arteriosclerosis) হয়।


প্রশ্ন:৯
থাইরয়েড গ্রন্থির স্বল্প সক্রিয়তা (Hypothyroidism) জনিত অস্বাভাবিক অবস্থা কী ?

উত্তর: 
থাইরয়েড গ্রন্থির স্বল্প সক্রিয়তায় শিশুদের ক্রেটিনিজম (Cretinism) ও বয়স্কদের মিক্সিডিমা (Myxoedema) রােগ হয়।
ক্রেটিনিজম জন্মগত থাইরয়েড গ্রন্থির অনুপস্থিতি (Congenital lack of thyroid gland), থাইরয়েড গ্রন্থির হরমােন ক্ষরণে ব্যর্থতা অথবা খাদ্যে আয়ােডিনের অভাবের ফলে হয়ে থাকে। অপরপক্ষে, মিক্সিডিমা বয়স্কদের থাইরয়েড গ্রন্থির স্বল্প সক্রিয়তার জন্য হয়ে থাকে।


প্রশ্ন:১০
যৌনক্রিয়ায় থাইরয়েড হরমােনের প্রভাব কী ?

উত্তর: 
স্বাভাবিক যৌনক্রিয়ার জন্য দেহে থাইরয়েড হরমােনের স্বাভাবিক মাত্রা থাকা প্রয়ােজন। পুরুষের দেহে থাইরয়েড হরমােনের স্বল্পতা কাম (libido) হ্রাস করে এবং স্বল্প থাইরয়েড ক্রিয়াসম্পন্ন মহিলাদেরও কাম প্রবণতা কম থাকে।

Comments

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য

  ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য Sl. No. ঘূর্ণবাত প্রতীপ ঘূর্ণবাত 1 ঘূর্ণবাতের নিম্নচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর উচ্চচাপ বলয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের উচ্চচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর নিম্নচাপ বলয়। 2 নিম্নচাপ কেন্দ্রে বায়ু উষ্ণ, হালকা ও ঊর্ধ্বগামী হয়। উচ্চচাপ কেন্দ্রে বায়ু শীতল, ভারী ও নিম্নগামী হয়। 3 ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে, ফলে বিস্তীর্ণ অঞ্চল অল্প সময়ে প্রভাবিত হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে না। 4 ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে এবং বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘমুক্ত থাকে। বৃষ্টিপাত ও ঝড়-ঝঞ্ঝা ঘটে না। মাঝেমাঝে তুষারপাত ও কুয়াশার সৃষ্টি হয়৷ 5 ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে নিম্নচাপ বিরাজ করে। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে উচ্চচাপ বিরাজ করে। 6 চারিদিক থেকে ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রের দিকে বায়ু ছুটে আসে অর্থাৎ বায়ুপ্রবাহ কেন্দ্রমুখী। প্রতীপ ঘূর্ণবাতে কেন...

মানব জীবনের ওপর পর্বতের প্রভাব উল্লেখ করো।

মানব জীবনের ওপর পর্বতের প্রভাব উল্লেখ করো। সমুদ্র সমতল থেকে অন্তত ১০০০ মিটারের বেশি উঁচু ও বহুদূর বিস্তৃত শিলাময় স্তূপ যার ভূপ্রকৃতি অত্যন্ত বন্ধুর, ভূমির ঢাল বেশ খাড়া এবং গিরিশৃঙ্গ ও উপত্যকা বর্তমান তাকে পর্বত বলে৷ খাড়াভাবে দাঁড়িয়ে থাকা এই পর্বত মানুষের জীবনকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। মানবজীবনে পর্বতের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবগুলি হল—

জাতীয়তাবাদের বিকাশে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান কী ?

          বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮–৯৪ খ্রি.) ছিলেন ঊনবিংশ শতকের অগ্রণী ঔপন্যাসিক ও প্রবন্ধকার। বঙ্কিমচন্দ্রের অধিকাংশ উপন্যাসের বিষয়বস্তু ছিল স্বদেশ ও দেশপ্রেম। বঙ্কিমচন্দ্রের সৃষ্টি ভারতীয় জাতীয়তাবোধের বিকাশে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিল। তাঁর ‘বন্দেমাতরম্’–মন্ত্র ছিল বিপ্লবীদের বীজমন্ত্র। অরবিন্দ ঘোষ তাই বঙ্কিমকে ‘জাতীয়তাবোধের ঋত্বিক’ বলেছেন।

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।   অথবা,  একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।  অথবা,  নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও।             উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়।  এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়।  নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা:       পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (১৮৭৮ খ্রি.)

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন প্রবর্তন সাম্রাজ্যবাদী গভর্নর–জেনারেল লর্ড লিটন দেশীয় পত্রপত্রিকার কণ্ঠরোধ করার সিদ্ধান্ত নেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (Vernacular Press Act, 1878) জারি করেন। পটভূমি ঊনবিংশ শতকে দেশীয় সংবাদপত্রগুলিতে সরকারি কর্মচারীদের অন্যায় আচরণ, অর্থনৈতিক শোষণ, দেশীয় সম্পদের বহির্গমন, দেশীয় শিল্পের অবক্ষয় ইত্যাদি নানা বিষয় তুলে ধরা হয়। ইতিহাসবিদ এ.আর.দেশাইয়ের মতে, “ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিকাশে সংবাদপত্র হল এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম”।

মানব জীবনের ওপর মালভূমির প্রভাব আলোচনা করো

মানুষের জীবনধারণ ও জীবিকা অর্জনের ক্ষেত্রে মালভূমি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন—  (১) মালভূমি সাধারণত স্বাভাবিক উদ্ভিদে সমৃদ্ধ হয়। যেমন—ছোটোনাগপুর মালভূমিতে প্রচুর শাল ও সেগুন গাছ জন্মে থাকে। (২) কোনোকোনো মালভূমির কঠিন শিলার ওপর উর্বর মৃত্তিকার আবরণ থাকলে সেই অঞ্চল কৃষিকার্যে উন্নতি লাভ করে। যেমন—ভারতের কৃষ্ণমৃত্তিকা অঞ্চল। (৩) মালভূমি অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি বন্ধুর এবং ভূভাগ কঠিন শিলা দ্বারা গঠিত বলে চাষ-আবাদ, রাস্তাঘাট ও শিল্পস্থাপনে প্রতিকূল পরিবেশের সৃষ্টি করে।

নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন

নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন আইন প্রবর্তনের কারণ ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে জাতীয়তাবাদী নাটক রচনা করে ব্রিটিশের শোষণ ও অপশাসনের বিরুদ্ধে জনমত সংগঠিত করার কাজ শুরু হয়। অমৃতলাল বসুর ‘চা–কর দর্পণ’, দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ নাটকে অত্যাচারী শ্বেতাঙ্গ সাহেবদের মুখোশ খুলে দেওয়া হয়। অমৃতলাল বসু ও উপেন্দ্রনাথ দাস ‘হনুমান চরিত’ নামক প্রহসন নাটকে ইংরেজের প্রতি ব্যঙ্গবিদ্রুপ প্রকাশ করেন। গ্রামেগঞ্জে ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাব সৃষ্টির কাজে নাটকগুলি সাফল্য পায়। সরকার দমনমূলক আইন জারি করে দেশাত্মবোধক নাটকের প্রচার বন্ধ করে দিতে উদ্যত হয়।

[MCQ]Environment।।Man & Environment।।মানুষ ও পরিবেশ।।সেট ১

মানুষ ও পরিবেশ ➤ প্রশ্ন:১ W.T.O. সম্পূর্ণ নাম হলাে— (a) World Transport Organization. (b) World Tobacco Organization. (c) World Trade Organization.

স্থলবায়ু ও সমুদ্রবায়ুর মধ্যে পার্থক্য

  স্থলবায়ু ও সমুদ্রবায়ুর মধ্যে পার্থক্য Sl. No. স্থলবায়ু সমুদ্রবায়ু 1 স্থলবায়ু মূলত শীতল ও শুষ্ক প্রকৃতির হয়। সমুদ্রবায়ু মূলত উষ্ণ ও আর্দ্র প্রকৃতির হয়। 2 স্থলবায়ু প্রধানত রাত্রিবেলায় প্রবাহিত হয়। সমুদ্রবায়ু প্রধানত দিনেরবেলায় প্রবাহিত হয়। 3 সূর্যাস্তের পরবর্তী সময়ে এই বায়ুর প্রবাহ শুরু হয় ও রাত্রির শেষদিকে বায়ুপ্রবাহের বেগ বৃদ্ধি পায়। সূর্যোদয়ের পরবর্তী সময়ে এই বায়ুরপ্রবাহ শুরু হয় ও অপরাহ্নে বায়ুপ্রবাহে বেগ বৃদ্ধি পায়। 4 স্থলবায়ু উচ্চচাযুক্ত স্থলভাগ থেকে নিম্নচাপযুক্ত জলভাগের দিকে প্রবাহিত হয়। এই কারণে স্থলবায়ুকে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর সঙ্গে তুলনা করা হয়। সমুদ্রবায়ু উচ্চচাপযুক্ত সমুদ্র থেকে নিম্নচাপযুক্ত স্থলভাগের দিকে প্রবাহিত হয়। এই কারণে সমুদ্রবায়ুকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সঙ্গে তুলনা করা হয়। 5 স্থলভাগের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হবার দরুন বেগ তুলনামূলক কম হয়ে থাকে। উন্মুক্ত সমুদ্রের ওপর দিয়ে দীর্ঘপথ প্রবাহিত হ...

মহীখাত

মহীখাত        জে.হল, জে.ডি.ডানা ও কোবার প্রথম মহীখাত বা Geosyncline ধারণার অবতারণা করেন। তাঁদের মতে, পৃথিবীর আদি ভূভাগ দ্বারা বেষ্টিত ভূপৃষ্ঠের সংকীর্ণ, অবনমিত ও অগভীর সমুদ্রখাত হল মহীখাত। অর্থাৎ, ভূতাত্ত্বিকদের মতে, এখন যেসব জায়গায় ভঙ্গিল পর্বতগুলো অবস্থান করছে, অতি প্রাচীনকালে সেখানে ছিল বিস্তীর্ণ অবনত অঞ্চল— ভূতাত্ত্বিকগণের ভাষায় যার নাম মহীখাত বা অগভীর সমুদ্র।