ইতিহাসের উপাদান বলতে কী বোঝো? প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান কী? প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় লিপির গুরুত্ব আলোচনা করো। ১. ইতিহাসের উপাদান (Definition of Historical Sources) অতীতের কোনো ঘটনা বা বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য বা প্রমাণ যেসব উৎস থেকে পাওয়া যায়, তাদের ইতিহাসের উপাদান বলা হয়। ঐতিহাসিকরা যেসব সাক্ষ্য-প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে এবং যুক্তিনিষ্ঠ বিচার-বিশ্লেষণ করে ইতিহাস রচনা করেন, সেই ভিত্তিগুলিই হলো উপাদান। ২. প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান (Archaeological Sources) প্রাচীন মানুষের ব্যবহৃত দ্রব্যাদি, ধ্বংসাবশেষ বা মাটির নিচে চাপা পড়ে থাকা যেসব নিদর্শনের বিজ্ঞানসম্মত খননকার্যের ফলে প্রাপ্ত তথ্যাদি ইতিহাস রচনায় সাহায্য করে, তাদের প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান বলা হয়। উদাহরণ: (ক) লিপি বা লেখ, (খ) মুদ্রা, (গ) স্থাপত্য ও ভাস্কর্য, (ঘ) ধ্বংসাবশেষ (যেমন—হরপ্পা, মহেঞ্জোদারো)। ৩. প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় লিপির গুরুত্ব প্রাচীন ভারতের ইতিহাস পুনর্গঠনে প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানগুলির মধ্যে লিপি বা লেখ (Inscriptions) হলো...
ভারতে ঔপনিবেশিক অর্থনীতি ও তার ফলাফল
প্রশ্ন:১‘দশসালা বন্দোবস্ত’ কবে কে প্রবর্তন করেন ?
উত্তর:
১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দে লর্ড কর্নওয়ালিশ দশসালা বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন।
প্রশ্ন:২
ইউরােপে ধনতন্ত্র বিকাশের দুটি কারণ লেখো।
উত্তর:
প্রশ্ন:২
ইউরােপে ধনতন্ত্র বিকাশের দুটি কারণ লেখো।
উত্তর:
ইউরােপে ধনতন্ত্র বিকাশের দুটি কারণ হল—
(১) ইউরােপের মধ্যে প্রথমে ইংল্যান্ডে পরে ফ্রান্স, রাশিয়া, জার্মানিতে শিল্পবিপ্লবের সংঘটন।
(২) ইউরােপের বিভিন্ন দেশ যেমন—ইংল্যান্ড, ফ্রান্স প্রভৃতি দেশ কর্তৃক বিভিন্ন দেশে উপনিবেশ স্থাপন।
প্রশ্ন:৩
‘অবশিল্পায়ন’ কাকে বলে ?
উত্তর:
প্রশ্ন:৩
‘অবশিল্পায়ন’ কাকে বলে ?
উত্তর:
অবশিল্পায়নের সংজ্ঞা নিয়ে মতভেদ থাকলেও মােটামুটিভাবে বলা যায়—অষ্টাদশ শতকের মধ্যভাগে ব্রিটিশের অবাধ বাণিজ্য ও অসম শিল্পনীতির জন্য ভারতের চিরাচরিত ও ঐহিত্যশালী কুটিরশিল্পের যে ধ্বংসসাধন ঘটে তা ‘অবশিল্পায়ন’ নামে পরিচিত।
প্রশ্ন:৪
আমনি কমিশনের কাজ কী ?
উত্তর:
প্রশ্ন:৪
আমনি কমিশনের কাজ কী ?
উত্তর:
কৃষিজমির উর্বরতা অনুযায়ী রাজস্বের হার নির্ধারণ, রাজস্ব আদায় করা, কৃষকদের উন্নতির লক্ষ্যে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ প্রভৃতি ছিল আমিনি কমিশনের কাজ।
প্রশ্ন:৫
দেশীয় শিল্পের অবনতির দুটি কারণ উল্লেখ করাে।
উত্তর:
প্রশ্ন:৫
দেশীয় শিল্পের অবনতির দুটি কারণ উল্লেখ করাে।
উত্তর:
দেশীয় শিল্পের অবনতির দুটি কারণ—
(১) ইংল্যান্ডে শিল্পবিপ্লব ঘটার ফলে ভারতীয় দ্রব্য এক অসম প্রতিযােগিতার সম্মুখীন হয় এবং ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যায়।
(২) ভারতীয় শিল্প ও শিল্পজাত দ্রব্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও অধিক শুল্ক আরােপের ফলে দেশীয় শিল্পের অবনতি ঘটে।
প্রশ্ন:৬
আমিনি কমিশন কী ?
উত্তর:
প্রশ্ন:৬
আমিনি কমিশন কী ?
উত্তর:
১৭৭৬ খ্রিস্টাব্দে ওয়ারেন হেস্টিংস বাংলার ভূমি বন্দোবস্ত ও ভূমি রাজস্ব সম্পর্কে বিস্তারিত অনুসন্ধানের লক্ষ্যে যে কমিশন গঠন করেন তা আমিনি কমিশন নামে পরিচিত।
প্রশ্ন:৭
‘আর্থিক নিষ্ক্রমণ’ কী ?
উত্তর:
প্রশ্ন:৭
‘আর্থিক নিষ্ক্রমণ’ কী ?
উত্তর:
পলাশির যুদ্ধের পর থেকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও তার উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা ভারত থেকে যে প্রচুর পরিমাণে অর্থ ও সম্পদ ইংল্যান্ডে পাচার করে তা সম্পদের নির্গমন তত্ত্ব বা ‘আর্থিক নিষ্ক্রমণ’ নামে পরিচিত।
প্রশ্ন:৮
১৮১৩ ও ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দ গুরুত্বপূর্ণ কেন ?
উত্তর:
প্রশ্ন:৮
১৮১৩ ও ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দ গুরুত্বপূর্ণ কেন ?
উত্তর:
১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের সনদ আইনে কোম্পানির একচেটিয়া বাণিজ্যের অবসান ঘটে এবং ‘অবাধ বাণিজ্য’ নীতি চালু হয়।
১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দের সনদ আইনে ব্রিটিশ নাগরিকরা ভারতে বসবাস ও জমি কেনার অধিকার লাভ করে।
প্রশ্ন:৯
দাদন কী ?
উত্তর:
১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দের সনদ আইনে ব্রিটিশ নাগরিকরা ভারতে বসবাস ও জমি কেনার অধিকার লাভ করে।
প্রশ্ন:৯
দাদন কী ?
উত্তর:
পলাশির যুদ্ধের পর থেকেই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তাঁতিদের অর্থ অগ্রিম দিত। কোম্পানির অগ্রিম অর্থ গ্রহণ করায় তাঁতিরা শুধুমাত্র ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ছাড়া আর অন্য কোথাও উৎপন্ন দ্রব্য বিক্রি করতে পারত না। তারা উৎপন্ন বস্ত্র অল্পমূল্যে কোম্পানিকে বিক্রি করতে বাধ্য থাকত। একেই ‘দাদন’ প্রথা বলে।
প্রশ্ন:১০
‘একসালা’ বন্দোবস্ত কী ?
উত্তর:
প্রশ্ন:১০
‘একসালা’ বন্দোবস্ত কী ?
উত্তর:
সঠিক রাজস্ব আদায়ের জন্য বার্ষিক নিলামের মাধ্যমে ওয়ারেন হেস্টিংস ইজারাদারদের জমি বন্দোবস্ত দিতেন (১৭৭৭ খ্রি.)। এই ব্যবস্থা একসালা বন্দোবস্ত নামে পরিচিত।
🟌🟌🟌
🟌🟌🟌
🟌🟌🟌

Comments
Post a Comment