কোম্পানির শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিদ্রোহ
প্রশ্ন:১
মহারাজ নন্দকুমারের ফাঁসি কেন হয়েছিল ?
উত্তর:
মহারাজ নন্দকুমার গােপনে ফরাসি সরকারের সঙ্গে যােগাযােগ করেন এবং ইংরেজ কোম্পানির শাসনের বিরুদ্ধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেন। এই অপরাধে মহারাজ নন্দকুমারের ফাঁসি হয়েছিল।
প্রশ্ন:২
ভারতে ওয়াহাবি আন্দোলনের প্রাণপুরুষ কে ছিলেন ? তাঁর সুবিখ্যাত বাণী কী ছিল ?
উত্তর:
উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলির স্যার সৈয়দ আহমদ ছিলেন ভারতের ওয়াহাবি আন্দোলনের প্রাণপুরুষ।
তাঁর সুবিখ্যাত বাণী ছিল, “পবিত্র কোরানে ফিরে যাও”।
প্রশ্ন:৩
তিতুমিরের আসল নাম কী ? তিতুমির যে দুর্গটি নির্মাণ করেন সেটির নাম কী ?
উত্তর:
তিতুমিরের আসল নাম ছিল মির নিসার আলি।
তিতুমির নির্মিত দুর্গটি ‘বাঁশের কেল্লা’ নামে পরিচিত ছিল।
প্রশ্ন:৪
সন্ন্যাসী বিদ্রোহের একজন নেতার নাম লেখাে। কোন্ বাংলা উপন্যাসে এই বিদ্রোহের উল্লেখ আছে ?
উত্তর:
সন্ন্যাসী বিদ্রোহের একজন নেতা হলেন ভবানী পাঠক। সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসে সন্ন্যাসী বিদ্রোহের প্রথম উল্লেখ মেলে।
প্রশ্ন:৫
ফরাজি শব্দের অর্থ কী ? কে ফরাজি আন্দোলন শুরু করেন ?
উত্তর:
ফরাজি শব্দের অর্থ হল ‘ইসলাম-নির্দিষ্ট বাধ্যতামূলক কর্তব্য’।
ফরাজি আন্দোলন শুরু করেন হাজি শরিয়ৎউল্লাহ।
প্রশ্ন:৬
সিপাহি বিদ্রোহ প্রথম কোথায় ঘটে ? এই বিদ্রোহের প্রথম নায়ক কে ?
উত্তর:
সিপাহি বিদ্রোহ প্রথম ঘটে অবিভক্ত বাংলার ব্যারাকপুরে।
এই বিদ্রোহের প্রথম নায়ক ছিলেন শহিদ মঙ্গল পান্ডে।
প্রশ্ন:৭
সিপাহি বিদ্রোহের সূচনা কোথায় হয় ? এই বিদ্রোহে কে নেতৃত্ব দেন ?
উত্তর:
কলকাতার কাছে ব্যারাকপুরের সেনানিবাসে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৯ মার্চ সিপাহি বিদ্রোহের সূচনা ঘটে।
এই বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেন ব্যারাকপুরের সেনানিবাসের বিদ্রোহী সিপাহি মঙ্গল পান্ডে।
প্রশ্ন:৮
নানাসাহেব কে ছিলেন ? তাঁর আসল নাম কী ?
উত্তর:
পেশােয়া দ্বিতীয় বাজীরাওয়ের দত্তক পুত্র তথা সিপাহি বিদ্রোহের এক অন্যতম নেতা ছিলেন নানাসাহেব।
তাঁর আসল নাম ধুন্দুপন্থ।
প্রশ্ন:৯
কোথায় ও কাদের নেতৃত্বে পাইক বিদ্রোহের সূচনা ঘটে ?
উত্তর:
উড়িষ্যা রাজ্যের খুরদা জেলার কর্মচ্যুত সেনাপতি বিদ্যাধর মহাপাত্রের নেতৃত্বে পাইকগণ এই বিদ্রোহের (১৮১৭ খ্রি.) সূচনা করেন।
প্রশ্ন:১০
দুদুমিঞা কে ? তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত কেন ?
উত্তর:
ফরাজি আন্দোলনের প্রাণপুরুষ হাজি শরিয়ৎউল্লাহর পুত্র মহম্মদ মহসিন ইতিহাসে দুদুমিঞা নামে পরিচিত।
দুদুমিঞাই এই আন্দোলনকে ধর্মীয় থেকে রাজনৈতিক রূপ দেন।
Comments
Post a Comment