ভারতীয় ইতিহাসে এবং জনজীবনে নদনদীর প্রভাব ভারত-একটি নদীমাতৃক দেশ। ভারতীয় সভ্যতার সূচনা ঘটে নদী-অববাহিকা অঞ্চল থেকে। ভারতীয় ইতিহাসের ওপরও সিন্ধু, গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, গোদাবরী, যমুনা প্রভৃতি নদনদীর যথেষ্ট প্রভাব বর্তমান। নদনদীগুলি ভারতের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিকে সিক্ত করেছে, পলি মৃত্তিকায় উর্বর করেছে, আর শস্য-শ্যামলা করে ভারতীয় কৃষি-অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে। অন্য দিকে নদী-উপকূলবর্তী অঞ্চলেই গড়ে উঠেছে জনপদ, নগর, বাণিজ্যকেন্দ্র বা তীর্থস্থান। (১) সভ্যতার বিকাশ: সিন্ধুনদের অববাহিকাতেই জন্ম নেয় পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন সভ্যতা। পঞ্চনদীর তীরে বিকাশ ঘটে বৈদিক সভ্যতার। পরবর্তীকালে গঙ্গা-অববাহিকা ধরে বৈদিক সভ্যতার বিকাশ ঘটে। সিন্ধু সভ্যতা: ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীনতম এবং অন্যতম উন্নত সভ্যতা সিন্ধু নদ এবং তার উপনদীগুলির তীরে গড়ে উঠেছিল। হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারোর মতো শহরগুলি নদীর উর্বর পলিমাটি এবং জল সরবরাহকে কাজে লাগিয়ে কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তুলেছিল। গঙ্গা সভ্যতা: গঙ্গা নদী এবং তার অববাহিকা বরাবর পরবর্তীকালে বৈদিক সভ্যতা, মহাজনপদ এ...
ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রসার (১৭৬৫-১৮৬৫)
প্রশ্ন:১
অমৃতসরের সন্ধি কবে, কাদের মধ্যে হয়েছিল ?
উত্তর:
১৮০৯ খ্রিস্টাব্দে অমৃতসরের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়। সন্ধিটি হয়েছিল রণজিৎ সিংহ ও ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে।
প্রশ্ন:২
স্বত্ববিলােপ নীতি বলতে কী বোঝায় ?
উত্তর:
লর্ড ডালহৌসি প্রবর্তিত স্বত্ববিলােপ নীতি বলতে বােঝায়, ইংরেজ আশ্রিত কোনাে দেশীয় রাজ্যের রাজার বংশধর না থাকলে রাজা মারা যাবার পর ওই রাজ্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত হয়ে যাবে। দত্তক পুত্রের উত্তরাধিকার স্বীকার করা হবে না বলে এই নীতিতে ঘােষণা করা হয়।
প্রশ্ন:৩
চতুর্থ ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধের ফল কী হয়েছিল ?
উত্তর:
চতুর্থ ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধের ফলে—
(১) টিপু সুলতানের মৃত্যু হয়েছিল।
(২) ইংরেজ প্রতিদ্বন্দ্বী মহীশূর রাজ্যের পতন ঘটেছিল।
প্রশ্ন:৪
‘অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি' বলতে কী বােঝ ?
উত্তর:
লর্ড ওয়েলেসলি দেশীয় রাজ্যগুলিকে কোম্পানির নিয়ন্ত্রণাধীনে এনে ভারতবর্ষে কোম্পানির সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য যে নীতি গ্রহণ করেন তা অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি নামে পরিচিত। এই নীতি অনুযায়ী দেশীয় রাজ্যগুলি নিজ ব্যয়ে স্বরাজ্যে একজন ইংরেজ প্রতিনিধি ও একদল ইংরেজ সৈন্য রাখার প্রতিশ্রুতি দেয়। বিনিময়ে কোম্পানি সংশ্লিষ্ট রাজ্যের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেয়।
প্রশ্ন:৫
সুরাটের সন্ধি কত খ্রিস্টাব্দে স্বাক্ষরিত হয় ? সন্ধিটি কাদের মধ্যে হয়েছিল ?
উত্তর:
১৭৭৫ খ্রিস্টাব্দে সুরাটের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
সন্ধিটি হয়েছিল পেশােয়া রঘুনাথ রাও ও বােম্বাই-এর ইংরেজ কোম্পানির মধ্যে।
প্রশ্ন:৬
অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি কী ছিল ? এই নীতি কে প্রয়ােগ করেন ?
উত্তর:
দেশীয় রাজ্যগুলি নিজ ব্যয়ে স্বরাজ্যে একজন ইংরেজ প্রতিনিধি ও একদল ইংরেজ সৈন্য রাখার অঙ্গীকার করলে, বিনিময়ে কোম্পানি সংশ্লিষ্ট রাজ্যের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেয়। এই ব্যবস্থা অধীনতামূলক মিত্ৰতা নীতি নামে পরিচিত। এই নীতির প্রয়ােগ করেন লর্ড ওয়েলেসলি।
প্রশ্ন:৭
কোন ভারতীয় শাসক লর্ড ওয়েলেসলির অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি প্রথম গ্রহণ করেছিলেন এবং কোন বছর তা গ্রহণ করেন ?
উত্তর:
হায়দ্রাবাদের নিজাম সর্বপ্রথম অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি গ্রহণ করেন। ১৭৯৮ খ্রিস্টাব্দে নিজাম এই চুক্তিতে আবদ্ধ হন।
প্রশ্ন:৮
রণজিৎ সিংহ কে ছিলেন ?
উত্তর:
পাঞ্জাবের সুকারচুকিয়া মিসলের প্রধান ছিলেন রণজিৎ সিংহ। তিনি শতদ্রু নদীর উত্তর অঞ্চল অধিকার করে এক অখিল শিখ সাম্রাজ্য গঠনের পরিকল্পনা করেছিলেন।
প্রশ্ন:৯
‘অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি’র প্রবর্তক কে ? কোন ভারতীয় শাসক এই নীতি সর্বপ্রথম গ্রহণ করেন ?
উত্তর:
‘অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি’র প্রবর্তক লর্ড ওয়েলেসলি। হায়দ্রাবাদের নিজাম সর্বপ্রথম অধীনতামূলক মিত্র নীতি গ্রহণ করেন।
প্রশ্ন:১০
মহীশূর রাজ্যের পতনের দুটি কারণ উল্লেখ করাে।
উত্তর:
মহীশূর রাজ্যের পতনের দুটি কারণ হল—
(১) মহীশূরের সৈন্যবাহিনীর তুলনায় ইংরেজ বাহিনী অনেক বেশি দক্ষ ও সুশৃঙ্খল ছিল।
(২) টিপু সুলতান আশানুরূপ অন্য শক্তির সাহায্য পাননি।

Comments
Post a Comment