ভারতীয় সভ্যতার বিবর্তন - সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ( Evolution of Indian Civilization - Short Questions and Answers ) ১। প্রস্তরযুগ বলতে কী বোঝো? প্রস্তরযুগকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী? যে যুগে মানুষ পাথরের হাতিয়ার ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করত, সেই যুগকে প্রস্তরযুগ বলা হয়। প্রস্তরযুগকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যথা- (১) প্রাচীন প্রস্তরযুগ, (২) মধ্য প্রস্তরযুগ, (৩) নব্য প্রস্তরযুগ। ২। প্রাচীন প্রস্তরযুগ, মধ্য প্রস্তরযুগ ও নব্য প্রস্তরযুগের একটা করে বৈশিষ্ট্য দাও। প্রাচীন প্রস্তরযুগ: প্রাচীন প্রস্তরযুগে মানুষ ছিল খাদ্য-সংগ্রাহক। বলা যেতে পারে-Age of Food-gathering Man. মধ্য প্রস্তরযুগ: মধ্য প্রস্তরযুগে মানুষ খাদ্য-উৎপাদকে পরিণত হয়। এসময়কে বলা হয়-Age of Food-producing Man. নব্য প্রস্তরযুগ: এসময় মানুষ নগর সভ্যতার সাথে পরিচিত হয়। ধাতুর যুগ শুরু হয়। ঐতিহাসিক গর্ডন চাইল্ড এসময়কে বলেছেন-Age of Urban Culture.
কোম্পানির শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিদ্রোহ
প্রশ্ন:১
১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের সময় ভারতের মােগল সম্রাট কে ছিলেন ? সেই সময়ে ভারতের গভর্নর-জেনারেল কে ছিলেন ?
উত্তর:
১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের সময় ভারতের মােগল সম্রাট ছিলেন দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ্। সেই সময়ে ভারতের গভর্নর-জেনারেল ছিলেন ক্যানিং।
প্রশ্ন:২
ব্রিটিশ শাসনের প্রথম শতকে দুটি উপজাতি বিদ্রোহের নাম করাে।
উত্তর:
কোল বিদ্রোহ (১৮৩২ খ্রি.),
সাঁওতাল বিদ্রোহ (১৮৫৫ খ্রি.)।
প্রশ্ন:৩
১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে সিপাহি বিদ্রোহের দুটি কারণ উল্লেখ করাে।
উত্তর:
১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে সিপাহি বিদ্রোহের দুটি কারণ হল—
(১) কোম্পানির নির্লজ্জ সাম্রাজ্যবাদী নীতি;
(২) এনফিল্ড রাইফেলের কার্তুজ ব্যবহার-সংক্রান্ত বিরােধ।
প্রশ্ন:৪
১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের ব্যর্থতার দুটি কারণ উল্লেখ করাে।
উত্তর:
১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের ব্যর্থতার দুটি কারণ—
(১) ভারতের সমস্ত অঞ্চলের সিপাহিরা ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে যােগ দেয়নি।
(২) বিদ্রোহী নেতৃবৃন্দের মধ্যে সংহতি ও পরিকল্পনার অভাব ছিল।
প্রশ্ন:৫
ফরাজি আন্দোলনের দুজন বিখ্যাত নেতার নাম করাে।
উত্তর:
ফরাজি আন্দোলনের দুজন বিখ্যাত নেতার নাম হল—
(১) হাজি শরিয়ৎউল্লাহ এবং তাঁর পুত্র
(২) মহম্মদ মহসিন বা দুদুমিঞা।
প্রশ্ন:৬
১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে মহাবিদ্রোহের ফল কী হয়েছিল ?
উত্তর:
১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের ফলে—
(১) ভারতে কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটেছিল।
(২) ভারত শাসন আইন (১৮৬১ খ্রি.) পাস করে ভাইসরয়ের আইন পরিষদে ভারতীয় সদস্য গ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
প্রশ্ন:৭
নানাসাহেব ও তাঁতিয়া তােপি বিখ্যাত কেন ?
উত্তর:
নানাসাহেব ছিলেন পেশােয়া দ্বিতীয় বাজীরাও-এর দত্তক পুত্র। ও কানপুরে সিপাহি বিদ্রোহের নেতা। তাঁতিয়া তােপি ছিলেন নানাসাহেবের বিশ্বস্ত অনুচর।
প্রশ্ন:৮
সিপাহি বিদ্রোহের প্রত্যক্ষ কারণ কী ছিল ?
উত্তর:
সিপাহিদের এনফিল্ড রাইফেলের কার্তুজের মােড়কটি দাঁত দিয়ে কেটে তা বন্দুকে ভরতে হত। রটে যায়, মােড়কে গােরু ও শূকরের চর্বি মাখানাে আছে। ফলে ধর্মনাশের ভয়ে সিপাহিরা বিদ্রোহ ঘােষণা করে।
প্রশ্ন:৯
রানি লক্ষ্মীবাঈ স্মরণীয় কেন ?
উত্তর:
ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাঈ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহে ইংরেজদের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ব্রিটিশ সরকার স্বত্ববিলােপ নীতি প্রয়ােগ করে ঝাঁসি দখল করতে চাইলে লক্ষ্মীবাঈ বিদ্রোহ ঘােষণা করেন।
প্রশ্ন:১০
সাঁওতাল বিদ্রোহের দুজন বিখ্যাত নেতার নাম করাে।
উত্তর:
সাঁওতাল বিদ্রোহের দুজন বিখ্যাত নেতা হলেন
(১) সিধু ও
(২) কানহু।
✸✸✸
✸✸✸

Comments
Post a Comment