ভারতীয় সভ্যতার বিবর্তন - সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ( Evolution of Indian Civilization - Short Questions and Answers ) ১। প্রস্তরযুগ বলতে কী বোঝো? প্রস্তরযুগকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী? যে যুগে মানুষ পাথরের হাতিয়ার ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করত, সেই যুগকে প্রস্তরযুগ বলা হয়। প্রস্তরযুগকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যথা- (১) প্রাচীন প্রস্তরযুগ, (২) মধ্য প্রস্তরযুগ, (৩) নব্য প্রস্তরযুগ। ২। প্রাচীন প্রস্তরযুগ, মধ্য প্রস্তরযুগ ও নব্য প্রস্তরযুগের একটা করে বৈশিষ্ট্য দাও। প্রাচীন প্রস্তরযুগ: প্রাচীন প্রস্তরযুগে মানুষ ছিল খাদ্য-সংগ্রাহক। বলা যেতে পারে-Age of Food-gathering Man. মধ্য প্রস্তরযুগ: মধ্য প্রস্তরযুগে মানুষ খাদ্য-উৎপাদকে পরিণত হয়। এসময়কে বলা হয়-Age of Food-producing Man. নব্য প্রস্তরযুগ: এসময় মানুষ নগর সভ্যতার সাথে পরিচিত হয়। ধাতুর যুগ শুরু হয়। ঐতিহাসিক গর্ডন চাইল্ড এসময়কে বলেছেন-Age of Urban Culture.
ভারতে ঔপনিবেশিক অর্থনীতি ও তার ফলাফল
প্রশ্ন:১
পলাশির লুণ্ঠন কী ?
উত্তর:
পলাশির যুদ্ধে জয়লাভের পর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতের অর্থ ও সম্পদকে দু-হাত ভরে ভারত থেকে নিজের দেশ ইংল্যান্ডে পাচার করেছিল। বিদেশি ইংরেজরা সােনা, রুপাে বা কোনাে পণ্যসামগ্রীর বিনিময়ে এই সম্পদের নির্গমন ঘটায়নি, তাই এই ঘটনাকে অনেক ঐতিহাসিক লুণ্ঠন বলে উল্লেখ করেছেন। ব্রুকস্ অ্যাডামস আর্থিক নির্গমনের এই ঘটনাকে ‘পলাশির লুণ্ঠন’ বা ‘Plassey Plunder’ বলে অভিহিত করেছেন।
প্রশ্ন:২
চিরস্থায়ী ব্যবস্থা ও রায়তওয়ারী ব্যবস্থার মধ্যে একটি পার্থক্য লেখাে।
উত্তর:
চিরস্থায়ী ব্যবস্থা: জমিদারদের স্থায়ীভাবে এবং বংশানুক্রমে জমির বন্দোবস্ত দেওয়া হয়।
রায়তওয়ারী ব্যবস্থা: সাধারণত ২০ বা ৩০ বছরের জন্য জমির বন্দোবস্ত দেওয়া হয়।
প্রশ্ন:৩
‘পত্তনি প্রথা’ বলতে কী বােঝায় ?
উত্তর:
রাজস্ব আদায়ের সুবিধার জন্য জমিদার তাঁর বন্দোবস্ত নেওয়া জমিকে কয়েকটি ছােটো ছােটো অংশে ভাগ করে নির্দিষ্ট খাজনা প্রদানের শর্তে অন্যের কাছে বন্দোবস্ত দিতেন। এই ব্যবস্থাকে ‘পত্তনি প্রথা’ বলা হয়। বর্ধমানের জমিদার তেজচন্দ্র প্রথম পত্তনি প্রথা চালু করেন।
প্রশ্ন:৪
‘মহলওয়ারী বন্দোবস্ত’ বলতে কী বােঝায় ?
উত্তর:
কয়েকটি গ্রাম নিয়ে গঠিত একটি ‘মহল’-এর রাজস্ব একজন বা কয়েকজন ব্যক্তির সাহায্যে আদায়ের ব্যবস্থাকে ‘মহলওয়ারী বন্দোবস্ত’ বলা হত। ব্রিটিশ আমলে উত্তর-পশ্চিম ভারত ও মধ্য ভারতে এই ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল।
প্রশ্ন:৫
চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে বাংলার কৃষকদের কী দুরবস্থা হয়েছিল ?
উত্তর:
চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে বাংলার কৃষকরা জমিদারের কৃপার পাত্রে পরিণত হন। কৃষকদের ওপর আর্থিক শােষণ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে তারা অনাহারে দিন কাটাতে বাধ্য হয়।
প্রশ্ন:৬
‘ভাইয়াচারী বন্দোবস্ত’ বলতে কী বােঝায় ?
উত্তর:
গ্রামের একজন ব্যক্তির সাহায্যে প্রত্যেক চাষির কাছ থেকে পৃথকভাবে ধার্য রাজস্ব আদায় করাকে ‘ভাইয়াচারী’ ব্যবস্থা বুলা হয়। ব্রিটিশ আমলে পাঞ্জাবে এই ব্যবস্থা চালু ছিল।
প্রশ্ন:৭
‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ বলতে কী বােঝায় ?
উত্তর:
১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে লর্ড কর্নওয়ালিশ ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ প্রবর্তন করেন। এই ব্যবস্থায় নির্দিষ্ট খাজনার বিনিময়ে জমিদারগণ বংশানুক্রমে জমির মালিকানা ভােগ করত।
প্রশ্ন:৮
‘রায়তওয়ারী বন্দোবস্ত’ কী ?
উত্তর:
‘রায়ত বা চাষির কাছ থেকে সরাসরি খাজনা আদায়ের ব্যবস্থা ‘রায়তওয়ারী বন্দোবস্ত’ নামে পরিচিত। ব্রিটিশ আমলে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম ভারতে এই ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়েছিল।
প্রশ্ন:৯
চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের দুটি কুফল উল্লেখ করাে।
উত্তর:
চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের দুটি কুফল হল—
(১) অত্যাচারী মধ্যস্বত্বভােগী শ্রেণির উদ্ভব।
(২) কৃষকদের ওপর শােষণের মাত্রা বৃদ্ধি।
প্রশ্ন:১০
চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের দুটি সুফল লেখাে।
উত্তর:
চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের দুটি সুফল হল—
(১) জমিদাররা স্থায়ীভাবে জমি লাভ করায় সংস্কারমূলক কাজে মন দেন।
(২) চাষযােগ্য জমির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
🟌🟌🟌
🟌🟌🟌

Comments
Post a Comment