Skip to main content

প্রস্তুতি শুরু করা যাক [খুব তাড়াতাড়ি আসছে]

WBSSC WBPSC WBPRB WBCS

সাম্প্রতিক পোস্ট

হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীদের সামাজিক জীবনের বিস্তারিত পরিচয় (A detailed introduction to the social life of the inhabitants of the Harappan civilization)

🗿 হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীদের সামাজিক জীবনের বিস্তারিত পরিচয়           হরপ্পা সভ্যতা বা সিন্ধু সভ্যতার অধিবাসীদের সামাজিক জীবন সম্পর্কে জানার প্রধান উৎস হলো প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যের ফলে প্রাপ্ত নগর পরিকল্পনা, সমাধিক্ষেত্র, মৃৎপাত্র, মূর্তি, অলংকার এবং অন্যান্য নিদর্শনসমূহ। এই নিদর্শনের ভিত্তিতে সমাজবিজ্ঞানীরা হরপ্পা সমাজের নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি তুলে ধরেছেন:

পশ্চিমবঙ্গের প্রধান শিক্ষা বোর্ডসমূহ [খুব তাড়াতাড়ি আসছে]

WBBPE WBBSE WBCHSE WBMSC

[VSQ] পদার্থবিদ্যা(স্থিতি ও গতি, সরণ, দ্রুতি,বেগ ও ত্বরণ, নিউটনের গতিসূত্র, কার্য, ক্ষমতা ও শক্তি, সরল যন্ত্র, আলো এবং শব্দ) সেট–৩

পদার্থবিদ্যা(স্থিতি ও গতি, সরণ, দ্রুতি,বেগ ও ত্বরণ, নিউটনের গতিসূত্র, কার্য, ক্ষমতা ও শক্তি, সরল যন্ত্র, আলো এবং শব্দ)


প্রশ্ন:১
একটি আলোকরশ্মি সমতল দর্পণের সঙ্গে 90° কোণ উৎপন্ন করে আপতিত হয়। প্রতিফলন কোণ কত হবে ?

উত্তর: 
আলোকরশ্মি সমতল দর্পণের সঙ্গে 90° কোণ করে আপতিত হওয়ার অর্থ দর্পণের ওপর লম্বভাবে আপতিত হওয়া। এক্ষেত্রে আপতন কোণ 0°। অতএব, প্রতিফলন কোণও 0°।


প্রশ্ন:২
বিভিন্ন বস্তুকে আমরা কোন্ প্রতিফলনের জন্য দেখি ?

উত্তর: 
বিক্ষিপ্ত প্রতিফলনের জন্য আমরা বিভিন্ন বস্তুকে দেখতে পাই।


প্রশ্ন:৩
কোনো আলোকরশ্মি সমতল দর্পণে লম্বভাবে আপতিত হলে ওই রশ্মির চ্যুতিকোণ কত হবে ?

উত্তর: 
লম্ব আপতনের ক্ষেত্রে আপতন কোণ = 0°
∴ চ্যুতিকোণ = 180°–0° = 180°।

প্রশ্ন:৪
কোন্ প্রতিবিম্ব পর্দায় ধরা যায় না ?

উত্তর: 
অসৎ প্রতিবিম্ব পর্দায় ধরা যায় না।


প্রশ্ন:৫
আপতন কোণ 60° হলে প্রতিফলন কোণ কত হবে ?

উত্তর: 
যেহেতু, প্রতিফলন কোণ=আপতন কোণ; তাই প্রতিফলন কোণ= 60°।


প্রশ্ন:৬
কোন্ প্রতিফলনের জন্য প্রতিবিম্বের সৃষ্টি হয় ?

উত্তর: 
নিয়মিত প্রতিফলনের জন্য কোনো বস্তুর প্রতিবিম্বের সৃষ্টি হয়।


প্রশ্ন:৭
সমতল দর্পণে যে প্রতিবিম্ব দেখা যায় তা সৎ, না অসৎ ?

উত্তর: 
সমতল দর্পণে যে প্রতিবিম্ব দেখা যায় তা অসৎ।


প্রশ্ন:৮
সমতল দর্পণে কোনো আলোকরশ্মি 30° কোণে আপতিত হলে ওই রশ্মির চ্যুতিকোণ কত হবে ?

উত্তর: 
সমতল দর্পণে কোনো আলোকরশ্মি 30° কোণে আপতিত হলে চ্যুতিকোণ = 180° -2 x 30° = 180°–60° = 120°।


প্রশ্ন:৯
একটি আলোকরশ্মি প্রতিফলকের ওপর কত কোণে আপতিত হলে আপতিত ও প্রতিফলিত রশ্মি একে অপরের ওপর লম্ব হবে ?

উত্তর: 
একটি আলোকরশ্মি প্রতিফলকের ওপর 45° কোণে আপতিত হলে আপতিত রশ্মি এবং প্রতিফলিত রশ্মি পরস্পরের ওপর লম্ব হবে।


প্রশ্ন:১০
কোনো আলোকরশ্মি সমতল দর্পণের সঙ্গে 30° কোণে আপতিত হলে প্রতিফলন কোণ কত হবে ?

উত্তর: 
সমতল দর্পণের সঙ্গে 30° কোণে আপতিত রশ্মির আপতন কোণ=90°–30°= 60°। সুতরাং, প্রতিফলন কোণ=60°।


Comments

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (১৮৭৮ খ্রি.)

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন প্রবর্তন সাম্রাজ্যবাদী গভর্নর–জেনারেল লর্ড লিটন দেশীয় পত্রপত্রিকার কণ্ঠরোধ করার সিদ্ধান্ত নেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (Vernacular Press Act, 1878) জারি করেন। পটভূমি ঊনবিংশ শতকে দেশীয় সংবাদপত্রগুলিতে সরকারি কর্মচারীদের অন্যায় আচরণ, অর্থনৈতিক শোষণ, দেশীয় সম্পদের বহির্গমন, দেশীয় শিল্পের অবক্ষয় ইত্যাদি নানা বিষয় তুলে ধরা হয়। ইতিহাসবিদ এ.আর.দেশাইয়ের মতে, “ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিকাশে সংবাদপত্র হল এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম”।

ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য

  ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য Sl. No. ঘূর্ণবাত প্রতীপ ঘূর্ণবাত 1 ঘূর্ণবাতের নিম্নচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর উচ্চচাপ বলয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের উচ্চচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর নিম্নচাপ বলয়। 2 নিম্নচাপ কেন্দ্রে বায়ু উষ্ণ, হালকা ও ঊর্ধ্বগামী হয়। উচ্চচাপ কেন্দ্রে বায়ু শীতল, ভারী ও নিম্নগামী হয়। 3 ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে, ফলে বিস্তীর্ণ অঞ্চল অল্প সময়ে প্রভাবিত হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে না। 4 ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে এবং বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘমুক্ত থাকে। বৃষ্টিপাত ও ঝড়-ঝঞ্ঝা ঘটে না। মাঝেমাঝে তুষারপাত ও কুয়াশার সৃষ্টি হয়৷ 5 ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে নিম্নচাপ বিরাজ করে। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে উচ্চচাপ বিরাজ করে। 6 চারিদিক থেকে ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রের দিকে বায়ু ছুটে আসে অর্থাৎ বায়ুপ্রবাহ কেন্দ্রমুখী। প্রতীপ ঘূর্ণবাতে কেন...

কেউ জলে ডুবে গেলে তার প্রাথমিক চিকিৎসা

  কেউ জলে ডুবে গেলে তার প্রাথমিক চিকিৎসা       জলের আর এক নাম জীবন, কিন্তু মাঝে মাঝে এই জলই আমাদের প্রাণনাশের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নৌকাডুবি, লঞ্চডুবি, জলের ঘূর্ণিতে পড়া, সাঁতার কাটতে গিয়ে কোনো সমস্যা হলে, বন্যা, চোরাবালি ইত্যাদি কারণে জলে ডোবার ঘটনা ঘটে থাকে।   

ভরা কোটাল ও মরা কোটালের পার্থক্য

  ভরা কোটাল ও মরা কোটালের পার্থক্য Sl. No. ভরা কোটাল মরা কোটাল 1 চাঁদ, পৃথিবী ও সূর্য একই সরল রেখায় অবস্থান করলে চাঁদ ও সূর্যের মিলিত আকর্ষণ পৃথিবীর একই স্থানের উপর কার্যকরী হয়, ফলে ভরা কোটালের সৃষ্টি হয়। চাঁদ, পৃথিবী ও সূর্য সমকোণী অবস্থানে থাকলে পৃথিবীর উপর চাঁদ ও সূর্যের আকর্ষণ পরস্পর বিপরীত ও বিরোধী হয়, ফলে মরা কোটালের সৃষ্টি হয়। 2 মানবজীবনের উপর ভরা কোটালে (নদী-মোহানা, নৌ-চলাচল, মাছ আহরণ ইত্যাদি)-র প্রভাব বেশি। মানবজীবনের উপর মরা কোটালের প্রভাব কম। 3 ভরা কোটাল হয় অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে। মরা কোটাল হয় শুক্ল ও কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে। 4 ভরা কোটালের ক্ষেত্রে সাগর-মহাসাগরের জলতল সবচেয়ে বেশী স্ফীত হয়। মরা কোটালের ক্ষেত্রে সাগর-মহাসাগরের জলতলের স্ফীতি সবচেয়ে কম হয়। 5 অমাবস্যা তিথিতে পৃথিবীর একই পাশে একই সরলরেখায় চাঁদ ও সূর্য অবস্থান করে। পূর্ণিমা তিথিতে সূর্য ও চাঁদের মাঝে পৃথিবী একই সরলরেখায় অবস্থান করে। কৃষ্ণ ও শুক্ল পক্ষের অষ্টমীত...

নদী উপত্যকা এবং হিমবাহ উপত্যকার মধ্যে পার্থক্য

  নদী উপত্যকা এবং হিমবাহ উপত্যকার মধ্যে পার্থক্য Sl. No. নদী উপত্যকা হিমবাহ উপত্যকা 1 মেরু প্রদেশের বরফাবৃত অঞ্চল এবং উষ্ণ ও শুষ্ক মরুভূমি অঞ্চল ছাড়া অন্যান্য অঞ্চলে নদী উপত্যকার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। কেবলমাত্র বরফে ঢাকা উঁচু পার্বত্য অঞ্চল এবং হিমশীতল মেরু অঞ্চলেই হিমবাহ উপত্যকার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। 2 পার্বত্য অঞ্চলে নদী উপত্যকা প্রধানত ইংরেজি ‘V’ অক্ষরের মতো হয়। হিমবাহ উপত্যকা ইংরেজি ‘U’ অক্ষরের মতো হয়। 3 পার্বত্য ও উচ্চ সমভূমি অঞ্চলে নদী স্রোতের গতিবেগ প্রবল হয়, নিম্নভূমিতে নদী স্রোতের গতি ধীরে ধীরে কমে আসে। বেশিরভাগ সময়েই হিমবাহ অত্যন্ত ধীরগতিতে প্রবাহিত হয়। 4 নদী উপত্যকা আঁকাবাঁকা পথে অগ্রসর হয়। হিমবাহ উপত্যকা সোজা পথে অগ্রসর হয়। 5 সাধারণত নদী উপত্যকার মোট দৈর্ঘ্য বেশি হয়। হিমবাহ উপত্যকার মোট দৈর্ঘ্য কম হয়। 6 নদীর সঞ্চয় কাজের ফলে নদী উপত্যকায় প্লাবনভূমি, স্বাভাবিক বাঁধ, বদ্বীপ প্রভৃতি ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়। ...

রামমোহন রায়কে কেন ‘ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ’ মনে করা হয় ?

ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ রাজা রামমোহন রায়ই প্রথম আধুনিক যুক্তিবাদী মনন ও ধর্মনিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কুসংস্কারমুক্ত সমাজ গঠন ও সংস্কারমুক্ত ধর্মপ্রচারের কথা বলেন। এ ছাড়া পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রতি তাঁর সমর্থন ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে তাঁর রাজনৈতিক বিচার–বিশ্লেষণ তাঁকে ‘প্রথম আধুনিক মানুষ’ অভিধায় ভূষিত করেছে। এ প্রসঙ্গে রামমোহন রায়ের মৃত্যুশতবর্ষে (১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দের ১৮ ফেব্রুয়ারি), রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এক ইংরেজি প্রবন্ধে লিখেছিলেন, “রামমোহন তাঁর আমলের বিশ্বের সমস্ত মানুষের মধ্যে ছিলেন একমাত্র ব্যক্তি, যিনি সম্পূর্ণরূপে আধুনিক যুগের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরেছিলেন”।  রামমোহন রায়–ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ    (১) সমাজসংস্কারের প্রথম উদ্যোগের জন্য—  ‘সতীদাহ’ প্রথা রোধের লক্ষ্যে রামমোহন রায় সমাজের বিশিষ্ট নাগরিকদের স্বাক্ষর সংবলিত এক আবেদনপত্র বড়োলাট উইলিয়াম বেন্টিঙ্কের কাছে পাঠান। বেন্টিঙ্ক রামমোহনের আবেদনে সাড়া দিয়ে ১৭ নং রেগুলেশন (Regulation–XVII) জারি করে সতীদাহ প্রথা রদ করেন। এ ছাড়াও তিনি বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, কৌলীন্য প্রথা, জাতিভেদ প্রথা, কন্যাপণ, গঙ্গাসাগ...

জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যগুলি কী ছিল ?

জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যগুলি কী ছিল      ভারতীয় জাতীয় রাজনীতিতে জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল মূলত ভারতবাসীর আশা–আকাঙ্ক্ষা পূরণ ও ব্রিটিশবিরোধী ক্ষোভের হাত থেকে ব্রিটিশ শাসনকে রক্ষা করার জন্যই।  জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য (১) কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশন— উদ্দেশ্য ঘোষণা—বোম্বাইয়ের গোকুলদাস তেজপাল সংস্কৃত কলেজ হল জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে (১৮৮৫ খ্রি., ২৮ ডিসেম্বর) সভাপতির ভাষণে উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে চারটি মূল উদ্দেশ্যের কথা ঘোষণা করেছিলেন। এগুলি হল—   (i) ভাষাগত ও ধর্মীয় বৈচিত্রে ভরা ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের দেশপ্রেমীদের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও একাত্মতা গড়ে তোলা, (ii) সম্প্রীতির দ্বারা জাতি, ধর্ম, প্রাদেশিকতার তুচ্ছ সংকীর্ণতা দূর করে জাতীয় সংহতির পথ প্রশস্ত করা, (iii) শিক্ষিতদের সুচিন্তিত মতামত গ্রহণ করে সামাজিক ও অন্যান্য সমস্যা সমাধানের উপায় নির্ণয় করা, (iv) ভারতের রাজনৈতিক অগ্রগতির জন্য ভবিষ্যৎ কর্মসূচি গ্রহণ করা।

মানব জীবনের ওপর পর্বতের প্রভাব উল্লেখ করো।

মানব জীবনের ওপর পর্বতের প্রভাব উল্লেখ করো।           সমুদ্র সমতল থেকে অন্তত ১০০০ মিটারের বেশি উঁচু ও বহুদূর বিস্তৃত শিলাময় স্তূপ যার ভূপ্রকৃতি অত্যন্ত বন্ধুর, ভূমির ঢাল বেশ খাড়া এবং গিরিশৃঙ্গ ও উপত্যকা বর্তমান তাকে পর্বত বলে৷ খাড়াভাবে দাঁড়িয়ে থাকা এই পর্বত মানুষের জীবনকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। মানবজীবনে পর্বতের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবগুলি হল—

মেঘালয় মালভূমি

মেঘালয় মালভূমি                 উত্তর-পূর্ব ভারতের মেঘালয় রাজ্যে মেঘালয় মালভূমি অবস্থিত। মেঘালয় মালভূমি পূর্ব-পশ্চিমে প্রায় ২৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং উত্তর-দক্ষিণে প্রায় ১০০ কিলোমিটার প্রশস্ত। এই মালভূমি অঞ্চলের আয়তন প্রায় ২২৫০০ বর্গকিলোমিটার। মেঘালয় প্রদেশে অবস্থিত গারো, খাসি, জয়ন্তিয়া ও মিকির পাহাড়ি অঞ্চল নিয়ে গঠিত মেঘালয় মালভূমিটি হল দাক্ষিণাত্য মালভূমির একটি বিচ্ছিন্ন অংশ। ক্রমাগত ভূ-আন্দোলন ও চ্যুতির ফলে ছোটোনাগপুর ও মেঘালয় মালভূমি দুটি পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দূরে সরে যায়। মধ্যবর্তী অংশ গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের পলি দ্বারা ভরাট হওয়ায় মেঘালয় মালভূমিটি বর্তমানে দাক্ষিণাত্যের মালভূমি থেকে বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করছে। এই মালভূমির গড় উচ্চতা ৬০০-১,৬০০ মিটার।

বার্খান

বার্খান             বায়ুর সঞ্চয়কাজের ফলে যেসব ভূমিরূপ গড়ে ওঠে তাদের মধ্যে বালিয়াড়ি বিশেষ উল্লেখযোগ্য।বালিয়াড়ির অন্যতম একটি বিশেষ শ্রেণি হল বাৰ্খান বা তির্যক বালিয়াড়ি। ‘বাৰ্খান’একটি তুর্কি শব্দ, এর অর্থ হল ‘কিরঘিজ স্টেপস্’ অঞ্চলের বালিয়াড়ি। উষ্ণ মরুভূমি অঞ্চলে বায়ুপ্রবাহের পথে আড়াআড়িভাবে গঠিত বালির স্তূপ বা বালিয়াড়িকে বাৰ্খান বলা হয়।