ভারতীয় সভ্যতার বিবর্তন - সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ( Evolution of Indian Civilization - Short Questions and Answers ) ১। প্রস্তরযুগ বলতে কী বোঝো? প্রস্তরযুগকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী? যে যুগে মানুষ পাথরের হাতিয়ার ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করত, সেই যুগকে প্রস্তরযুগ বলা হয়। প্রস্তরযুগকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যথা- (১) প্রাচীন প্রস্তরযুগ, (২) মধ্য প্রস্তরযুগ, (৩) নব্য প্রস্তরযুগ। ২। প্রাচীন প্রস্তরযুগ, মধ্য প্রস্তরযুগ ও নব্য প্রস্তরযুগের একটা করে বৈশিষ্ট্য দাও। প্রাচীন প্রস্তরযুগ: প্রাচীন প্রস্তরযুগে মানুষ ছিল খাদ্য-সংগ্রাহক। বলা যেতে পারে-Age of Food-gathering Man. মধ্য প্রস্তরযুগ: মধ্য প্রস্তরযুগে মানুষ খাদ্য-উৎপাদকে পরিণত হয়। এসময়কে বলা হয়-Age of Food-producing Man. নব্য প্রস্তরযুগ: এসময় মানুষ নগর সভ্যতার সাথে পরিচিত হয়। ধাতুর যুগ শুরু হয়। ঐতিহাসিক গর্ডন চাইল্ড এসময়কে বলেছেন-Age of Urban Culture.
পদার্থবিদ্যা (তাপ, প্রবাহী তড়িৎ ও তড়িৎচুম্বকত্ব, আধুনিক পদার্থবিদ্যা)
প্রশ্ন:১
α-রশ্মি ও γ-রশ্মির মধ্যে মূল পার্থক্য কী ?
উত্তর:
α-রশ্মি 2 একক ধনাত্মক আধানবিশিষ্ট অতিক্ষুদ্র কণার স্রোত। γ-রশ্মি হল ক্ষুদ্র তরঙ্গদৈর্ঘ্য বিশিষ্ট তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ। এই রশ্মি ভর ও আধানবিহীন।
প্রশ্ন:২
X-রশ্মি ও γ-রশ্মির মধ্যে বৈসাদৃশ্য কী ?
উত্তর:
(a) X-রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য অপেক্ষা γ-রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য কম।
(b) X-রশ্মির অপেক্ষা γ-রশ্মির ভেদনক্ষমতা বেশি।
(c) পদার্থকে উচ্চ গতিবেগসম্পন্ন ইলেকট্রন দ্বারা আঘাত করলে X-রশ্মি নির্গত হয়। কিন্তু γ-রশ্মি নির্গত হয় পদার্থের স্বতঃস্ফূর্তভাবে তেজস্ক্রিয় বিভাজনের সময়।
প্রশ্ন:৩
α, β ও γ রশ্মির মধ্যে ভেদনক্ষমতার তুলনামূলক আলোচনা করো।
উত্তর:
γ-রশ্মির ভেদনক্ষমতা > β-রশ্মির ভেদনক্ষমতা > α-রশ্মির ভেদনক্ষমতা।
প্রশ্ন:৪
নিউক্লিয় বিভাজন কীভাবে ধ্বংসের কাজে ব্যবহৃত হয় ?
উত্তর:
নিউক্লিয় বিভাজন প্রক্রিয়া পরমাণু বোমা তৈরিতে কাজে লাগানো হয়। পরমাণু বোমা ধ্বংসের প্রতীক। বর্তমানে নিউক্লিয় সংযোজন বিক্রিয়া দ্বারা হাইড্রোজেন বোমা তৈরি করা হয়েছে, যা পরমাণু বোমার চেয়ে অনেক গুণ বেশি ধ্বংসাত্মক।
প্রশ্ন:৫
তেজস্ক্রিয় রশ্মিগুলির মধ্যে কার ভেদন ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি ?
উত্তর:
তেজস্ক্রিয় রশ্মিগুলির মধ্যে γ-রশ্মির ভেদন ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি।
প্রশ্ন:৬
তেজস্ক্রিয় দূষণের দুটি উৎসের উল্লেখ করো।
উত্তর:
পারমাণবিক শক্তিকেন্দ্রে জমা তেজস্ক্রিয় বর্জ্যপদার্থ এবং শিল্প ও চিকিৎসাক্ষেত্রে ব্যবহৃত তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ তেজস্ক্রিয় দূষণের উৎস।
প্রশ্ন:৭
α, β ও γ রশ্মির মধ্যে আয়নন ক্ষমতার তুলনামূলক আলোচনা করো।
উত্তর:
α-রশ্মির আয়নন ক্ষমতা > β-রশ্মির আয়নন ক্ষমতা > γ-রশ্মির আয়নন ক্ষমতা।
প্রশ্ন:৮
X-রশ্মি অপেক্ষা γ-রশ্মির মধ্যে কার ভেদনক্ষমতা বেশি ?
উত্তর:
X-রশ্মি অপেক্ষা γ-রশ্মির ভেদনক্ষমতা প্রায় 100 গুণ বেশি।
প্রশ্ন:৯
X-রশ্মি ও γ-রশ্মির মধ্যে সাদৃশ্য কী ?
উত্তর:
(a) X-রশ্মি ও γ-রশ্মি উভয়েই তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ।
(b) উভয়েরই কোনো ভর ও আধান নেই ।
(c) উভয়ের বেগ আলোর গতিবেগের সমান। শূন্য মাধ্যমে এই বেগ 3×10¹⁰ cm.s-¹।
(d) উভয়েই তড়িৎক্ষেত্র ও চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা বিক্ষিপ্ত হয় না।
(e) উভয়েই ফোটোগ্রাফিক প্লেটকে নষ্ট করে, গ্যাসের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় গ্যাসকে আয়নিত করে এবং কয়েকটি বিশেষ পদার্থে তৈরি পর্দায় আপতিত হলে প্রতিপ্রভা সৃষ্টি করে।
প্রশ্ন:১০
তেজস্ক্রিয় রশ্মিগুলির মধ্যে কার আয়নন ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি ?
উত্তর:
তেজস্ক্রিয় রশ্মিগুলির মধ্যে α-রশ্মির আয়নন ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি।
Comments
Post a Comment