প্রাচীন ভারত ও ভৌগোলিক প্রেক্ষাপট (Ancient India and Geographical Context) - প্রশ্নোত্তর ১। ভারতবর্ষকে কে নৃতত্ত্বের যাদুঘর আখ্যা দিয়েছেন? উঃ। ভিনসেন্ট স্মিথ ভারতবর্ষকে 'নৃতত্ত্বের যাদুঘর' বলে আখ্যা দিয়েছেন। ২। দ্রাবিড় সভ্যতা ভারতের কোথায় প্রথম গড়ে ওঠে? উঃ। দ্রাবিড় সভ্যতা প্রথম গড়ে ওঠে দক্ষিণ ভারতে। ৩। 'নাডিক' নামে কারা পরিচিত? উঃ। আর্যরা 'নার্ডিক' নামে পরিচিত। ৪। ভারতের প্রচীনতম লিপি কোনটি? উঃ। ভারতের প্রাচীনতম লিপি হল সিন্ধু লিপি।
সমুদ্রস্রোত ও সমুদ্রতরঙ্গের পার্থক্য কী ?
সমুদ্রপৃষ্ঠে জলরাশির দুই প্রকার আলোড়ন আমরা দেখি—সমুদ্রস্রোত ও সমুদ্রতরঙ্গ। এই দুই প্রকার আলোড়নের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। যেমন—
(১) সমুদ্রতরঙ্গ কখনো-কখনো উত্তাল রূপ নেয়। উপকূল অঞ্চলে ভূমিরূপের পরিবর্তনে তরঙ্গের ভূমিকা যথেষ্ট। কিন্তু, সমুদ্রস্রোেত উপকূল অঞ্চলে ভূমিরূপের পরিবর্তনে সরাসরি অংশ নেয় না। যদিও, অনেক ক্ষেত্রে প্রবল স্রোত মোহানায় বদ্বীপ গঠনে বাধা দেয় এবং অগভীর সমুদ্রে মগ্নচড়া সৃষ্টি করে থাকে।
(২) সমুদ্রতরঙ্গ হল সেই প্রকার আলোড়ন যেখানে সমুদ্রপৃষ্ঠ লম্বভাবে শুধু ওঠানামা করে। অর্থাৎ, যেখানকার জল সেখানেই থাকে, স্থানান্তরিত হয় না। কিন্তু, সমুদ্রস্রোতে একস্থানের জলরাশি অনুভূমিকভাবে অন্যত্র প্রবাহিত হয়। সুতরাং, সমুদ্রতরঙ্গকে বস্তুর চলন এবং সমুদ্রস্রোতকে বস্তুর গমনের সঙ্গে তুলনা করা যায়।
(৩) সমুদ্রতরঙ্গ আমরা দেখতে পাই, বুঝতে পারি, যদিও জলবায়ু বা মানুষের জীবনে তরঙ্গের প্রভাব কম। কিন্তু, সমুদ্রস্রোতের প্রবাহ বোঝা যায় না, যদিও জলবায়ু বা মানুষের অর্থনৈতিক জীবনে সমুদ্রস্রোতের প্রভাব অত্যন্ত ব্যাপক।
Comments
Post a Comment