ভারতীয় সভ্যতার বিবর্তন - সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ( Evolution of Indian Civilization - Short Questions and Answers ) ১। প্রস্তরযুগ বলতে কী বোঝো? প্রস্তরযুগকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী? যে যুগে মানুষ পাথরের হাতিয়ার ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করত, সেই যুগকে প্রস্তরযুগ বলা হয়। প্রস্তরযুগকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যথা- (১) প্রাচীন প্রস্তরযুগ, (২) মধ্য প্রস্তরযুগ, (৩) নব্য প্রস্তরযুগ। ২। প্রাচীন প্রস্তরযুগ, মধ্য প্রস্তরযুগ ও নব্য প্রস্তরযুগের একটা করে বৈশিষ্ট্য দাও। প্রাচীন প্রস্তরযুগ: প্রাচীন প্রস্তরযুগে মানুষ ছিল খাদ্য-সংগ্রাহক। বলা যেতে পারে-Age of Food-gathering Man. মধ্য প্রস্তরযুগ: মধ্য প্রস্তরযুগে মানুষ খাদ্য-উৎপাদকে পরিণত হয়। এসময়কে বলা হয়-Age of Food-producing Man. নব্য প্রস্তরযুগ: এসময় মানুষ নগর সভ্যতার সাথে পরিচিত হয়। ধাতুর যুগ শুরু হয়। ঐতিহাসিক গর্ডন চাইল্ড এসময়কে বলেছেন-Age of Urban Culture.
বাস্তব্যবিদ্যা ও পরিবেশ
প্রশ্ন:১
পরিবেশ দূষণ কাকে বলে ?
উত্তর:
পরিবেশের অন্তর্গত বায়ু, জল, মাটি প্রভৃতির ভৌত, রাসায়নিক ও জৈবিক বৈশিষ্ট্যের যে অনভিপ্রেত পরিবর্তন কোন্ প্রজাতির জীবন বা কোনো সজীব অস্তিত্বকে বা প্রাকৃতিক সম্পদকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, তাকে পরিবেশ দূষণ বলে।
প্রশ্ন:২
তেজস্ক্রিয় দূষণ কাকে বলে ?
উত্তর:
প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম উপায়ে সৃষ্ট তেজস্ক্রিয় পদার্থের অবাধ ব্যবহার ও উৎপাদনের ফলে পরিবেশে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে যে দূষণ ঘটে, তাকে তেজস্ক্রিয় দূষণ বলে।
প্রশ্ন:৩
মৃত্তিকা দূষণ কাকে বলে ?
উত্তর:
পৃথিবীপৃষ্ঠে নানান অবাঞ্ছিত দূষক পদার্থ জমার ফলে যে অস্বাভাবিক অবস্থার সৃষ্টি হয়, যাতে মাটির জীবদের জীবনধারণ বিঘ্নিত হয়, তাকে মৃত্তিকা দূষণ বলে।
প্রশ্ন:৪
জলদূষণ কাকে বলে ?
উত্তর:
জলের সঙ্গে কোনো অবাঞ্ছিত দ্রব্য মেশার ফলে জলের ভৌত, রাসায়নিক ও জৈব বৈশিষ্ট্যসমূহ পরিবর্তিত হয় এবং তার ফলে জলজ প্রাণী, উদ্ভিদ ও মানুষেণ ক্ষতির আশঙ্কা থাকে, তাকে জলদূষণ বলে।
প্রশ্ন:৫
অম্লবৃষ্টি কী ?
উত্তর:
তুষার, শিশির বা বৃষ্টির জলের সঙ্গে মিশে বাতাসে ভাসমান সালফিউরিক অ্যাসিড, হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড, নাইট্রিক অ্যাসিড প্রভৃতি রাসায়নিক পদার্থ পৃথিবীর বুকে পতিত হওয়ার ঘটনাকে অম্লবৃষ্টি বলে।
প্রশ্ন:৬
শব্দদূষণ কাকে বলে ?
উত্তর:
মানুষের সক্ষমতার অতিরিক্ত সুরবর্জিত কর্কশ শব্দ যা মানবদেহের শারীরবৃত্তিয় স্বাভাবিক কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটায় এবং শরীর ও মনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে তাকে শব্দদূষণ বলে।
প্রশ্ন:৭
ধোঁয়াশা কাকে বলে ?
উত্তর:
বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক বাষ্প এবং ধোঁয়ার দ্বারা কুয়াশা যখন ভারী ও কালো হয়ে ভূ-পৃষ্ঠে নেমে আসে, তখন তাকে ধোঁয়াশা বলে।
প্রশ্ন:৮
লণ্ডন ধোঁয়াশা কী ?
উত্তর:
বায়ুর মধ্যে বেশি জলীয় বাষ্পের উপস্থিতিতে বায়ুতে ভাসমান কঠিন কণার গায়ে জলকণা এবং সালফার ডাইঅক্সাইড গ্যাস মিশে যে কণার সৃষ্টি করে তা বায়ুতে ভাসমান অবস্থায় থাকার ফলে যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করে তাকে লণ্ডন ধোঁয়াশা বলে।
প্রশ্ন:৯
বায়ুদূষণ কী ?
উত্তর:
বিভিন্ন প্রাকৃতিক কারণে বা মানষের সৃষ্ট কারণে উদ্ভুত অপ্রয়োজনীয় কণা ও গ্যাসীয় পদার্থের ঘনত্ব বায়ুতে স্বাভাবিক মাত্রায় থেকে হ্রাস বা বৃদ্ধি পেলে ঐ প্রকার বায়ুকে দূষিত বায়ু বলে এবং এই পদ্ধতিকে বায়ুদূষণ বলে।
প্রশ্ন:১০
ওজোন হোল কাকে বলে ?
উত্তর:
পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে 20-30km. উচ্চতায় স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরে অবস্থিত ওজোন স্তরের ওজোন অণু ক্ষয় হওয়ার ফলে যে গহ্বর সৃষ্টি হয়, তাকে ওজোন হোল বলে।
Comments
Post a Comment