ভারতীয় সভ্যতার বিবর্তন - সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ( Evolution of Indian Civilization - Short Questions and Answers ) ১। প্রস্তরযুগ বলতে কী বোঝো? প্রস্তরযুগকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী? যে যুগে মানুষ পাথরের হাতিয়ার ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করত, সেই যুগকে প্রস্তরযুগ বলা হয়। প্রস্তরযুগকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যথা- (১) প্রাচীন প্রস্তরযুগ, (২) মধ্য প্রস্তরযুগ, (৩) নব্য প্রস্তরযুগ। ২। প্রাচীন প্রস্তরযুগ, মধ্য প্রস্তরযুগ ও নব্য প্রস্তরযুগের একটা করে বৈশিষ্ট্য দাও। প্রাচীন প্রস্তরযুগ: প্রাচীন প্রস্তরযুগে মানুষ ছিল খাদ্য-সংগ্রাহক। বলা যেতে পারে-Age of Food-gathering Man. মধ্য প্রস্তরযুগ: মধ্য প্রস্তরযুগে মানুষ খাদ্য-উৎপাদকে পরিণত হয়। এসময়কে বলা হয়-Age of Food-producing Man. নব্য প্রস্তরযুগ: এসময় মানুষ নগর সভ্যতার সাথে পরিচিত হয়। ধাতুর যুগ শুরু হয়। ঐতিহাসিক গর্ডন চাইল্ড এসময়কে বলেছেন-Age of Urban Culture.
জীববিদ্যা ও মানবকল্যান
প্রশ্ন:১
ড্রাগ আসক্তি নিয়ন্ত্রণের জন্য নেওয়া সরকারি প্রচেষ্টাগুলি সম্পর্কে লেখো।
উত্তর:
(i) মাদকসেবন আইনত নিষিদ্ধ করা। এ প্রসঙ্গে কড়া আইন প্রণয়ন বিশেষ প্রয়োজন।
(ii) মাদক দ্রব্য প্রস্তুতি ও তার বিলি ব্যবস্থাকে আইন করে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা প্রয়োজন।
(iii) প্রচার মাধ্যমে মাদকসেবনের কুপ্রভাবগুলি সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করা বিশেষভাবে জরুরি।
প্রশ্ন:২
ড্রাগ আসক্ত লোকের ড্রাগ বন্ধ করলে কী কী লক্ষণ দেখা যায় ?
উত্তর:
1. ক্ষুধামান্দ্যভাব,
2. অস্বস্তি ও হাই ওঠা,
3. চোখ দিয়ে জল পড়া,
4. জ্বর,
5. শীত শীত ভাব,
6. হাত পায়ে খিল ধরা,
7. কাঁপুনি ও তারারন্ধ্রের বৃদ্ধি,
8. দ্রুত শ্বাসক্রিয়া ও শ্বাসকষ্ট,
9. অনেক সময় অত্যধিক ঘুম দেখা যায়,
10. রক্তচাপ বৃদ্ধি ইত্যাদি।
প্রশ্ন:৩
অ্যালকোহলিজম কাকে বলে ? অ্যালকোহলিজমের শ্রেণিবিভাগ করো।
উত্তর:
মদ্যপানজনিত অবস্থাকে অ্যালকোহলিজম বলে।
অ্যালকোহলিজম মূলত পাঁচ প্রকারের।
যথা–
(i) আলফা অ্যালকোহলিজম,
( ii ) বিটা অ্যালকোহলিজম,
( iii ) গামা অ্যালকোহলিজম,
(iv) ডেল্টা অ্যালকোহলিজম
(v) এপসিলন অ্যালকোহলিজম।
প্রশ্ন:৪
প্রণোদিত প্রজনন বা হাইপোফাইজেশন কাকে বলে ?
উত্তর:
যে পদ্ধতিতে পরিণত স্ত্রী ও পুরুষমাছকে পিটুইটারি নির্যাস ইনজেক্ট করে তাদের জনন গ্রন্থিকে উদ্দীপিত করে বদ্ধ জলাশয়ে প্রজননে লিপ্ত করানো হয় এবং শুক্রাণু ও ডিম্বাণু নিঃসরণ করা হয় তাকে প্রণোদিত প্রজনন বা হাইপোফাইজেশন বলে।
প্রশ্ন:৫
সরাসরি রোগ বিস্তার বলতে কী বোঝো ? এটি কীভাবে ঘটে ?
উত্তর:
রোগজীবাণু যখন বাহক ব্যতিরেকে সরাসরি ব্যক্তির দেহে প্রবেশ করে, তখন এই পদ্ধতিকে সরাসরি রোগবিস্তার বলে।
সরাসরি রোগবিস্তার নিম্নলিখিতভাবে ঘটে থাকে—
(i) আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শ থেকে,
(ii) ড্রপলেট সংক্রমণ-এর মাধ্যমে,
(iii) মাটির সংস্পর্শে,
(iv) প্রাণীর কামড় দ্বারা,
(v) প্লাসেন্টার মাধ্যমে।
প্রশ্ন:৬
পিটুইটারি নির্যাস কীভাবে ইনজেক্ট করা হয় ?
উত্তর:
একটি সিরিঞ্জে পরিমাণমতো পিটুইটারি নির্যাস ভরে নিয়ে পরিণত পুরুষ ও স্ত্রী মাছকে জল থেকে তুলে স্পঞ্জের গদিতে শুইয়ে স্পর্শেন্দ্রিয় রেখা বাঁচিয়ে লেজের প্রশস্ত স্থানের কোনো একটি অংশে ছুঁচ ফুটিয়ে পিস্টন ঠেলে নির্যাসটি মাছের দেহে প্রবেশ করানো হয়।
প্রশ্ন:৭
ফিলাডেলফিয়া ক্রোমোজোম কাকে বলে ?
উত্তর:
ক্রনিক গ্রানুলোসাইটিক লিউকেমিয়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তি বিশেষে 22 তম ক্রোমোজোমের দীর্ঘবাহু স্বাভাবিক ক্রোমোজোম অপেক্ষা ক্ষুদ্র হয়। এই অস্বাভাবিক ক্রোমোজোমকে ফিলাডেলফিয়া ক্রোমোজোম বলে।
প্রশ্ন:৮
অঙ্কোজিন ও টিউমার সাপ্রেসর জিন কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।
উত্তর:
অঙ্কোজিন—
মিউটেশনের ফলে প্রোটোঅঙ্কোজিন যখন স্বাভাবিক কোশ বিভাজন তথা প্রোটিন সংশ্লেষণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে তখন, তা অঙ্কোজিনে পরিণত হয়। এর থেকে ক্যানসার কোশের আবির্ভাব হয়।
উদাহরণ—ab1 অঙ্কোজিন লিউকেমিয়ার জন্য দায়ী।
টিউমার সাপ্রেসর জিন—
প্রাণীকোশে যে জিনগুলি টিউমার উৎপাদনে বাধা দেয়, তাদের টিউমার সাপ্রেসর জিন বলে।
উদাহরণ—মানবদেহের পঞ্চম ক্রোমোজোমের জোড়ায় অবস্থিত APC।
প্রশ্ন:৯
পিটুইটারি নির্যাস কী বা কীভাবে পিটুইটারি নির্যাস তৈরি করা হয় ?
উত্তর:
টাটকা সদ্যমৃত মাছের পিটুইটারি গ্রন্থি সংগ্রহ করে তাকে হোমোজেনাইজার মেশিনে পেশাই করে যে নির্যাস পাওয়া যায় তাকে পাতিত জলসহ সেন্ট্রিফিউজ টিউবে রেখে মিনিটে 2000 বার গতিতে পাঁচ মিনিট ঘোরানোর পর ওপরের যে স্বচ্ছ তরল শিশিতে গ্লিসারলসহ সংরক্ষণ করা হয় তাকে পিটুইটারি নির্যাস বলে।
প্রশ্ন:১০
নিম্নলিখিতগুলির দুটি করে উদাহরণ দাও।
(a) ওপিয়েট নারকোটিক,
(b) উত্তেজক,
(c) ভ্রম উৎপাদক দ্রব্য।
উত্তর:
(a) ওপিয়েট নারকোটিক—(i) আফিম, (ii) মরফিন।
(b) উত্তেজক—(i) কোকেন, (ii) কেফিন।
(c) ভ্রম উৎপাদক দ্রব্য—(i) LSH, (ii) ভাং।
Comments
Post a Comment