Skip to main content

সাম্প্রতিক পোস্ট

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।   অথবা,  একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।  অথবা,  নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও।             উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়।  এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়।  নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা:       পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...

জীবনবিজ্ঞানের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর-জীববিদ্যা ও মানবকল্যান, সেট–২

জীববিদ্যা ও মানবকল্যান


প্রশ্ন:১
ড্রাগ আসক্তি নিয়ন্ত্রণের জন্য নেওয়া সরকারি প্রচেষ্টাগুলি সম্পর্কে লেখো।

উত্তর: 
(i) মাদকসেবন আইনত নিষিদ্ধ করা। এ প্রসঙ্গে কড়া আইন প্রণয়ন বিশেষ প্রয়োজন।
(ii) মাদক দ্রব্য প্রস্তুতি ও তার বিলি ব্যবস্থাকে আইন করে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা প্রয়োজন। 
(iii) প্রচার মাধ্যমে মাদকসেবনের কুপ্রভাবগুলি সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করা বিশেষভাবে জরুরি।


প্রশ্ন:২
ড্রাগ আসক্ত লোকের ড্রাগ বন্ধ করলে কী কী লক্ষণ দেখা যায় ?

উত্তর: 
1. ক্ষুধামান্দ্যভাব, 
2. অস্বস্তি ও হাই ওঠা, 
3. চোখ দিয়ে জল পড়া, 
4. জ্বর, 
5. শীত শীত ভাব, 
6. হাত পায়ে খিল ধরা, 
7. কাঁপুনি ও তারারন্ধ্রের বৃদ্ধি, 
8. দ্রুত শ্বাসক্রিয়া ও শ্বাসকষ্ট, 
9. অনেক সময় অত্যধিক ঘুম দেখা যায়, 
10. রক্তচাপ বৃদ্ধি ইত্যাদি।

প্রশ্ন:৩
অ্যালকোহলিজম কাকে বলে ? অ্যালকোহলিজমের শ্রেণিবিভাগ করো।

উত্তর: 
মদ্যপানজনিত অবস্থাকে অ্যালকোহলিজম বলে।
অ্যালকোহলিজম মূলত পাঁচ প্রকারের। 
যথা–
(i) আলফা অ্যালকোহলিজম, 
( ii ) বিটা অ্যালকোহলিজম, 
( iii ) গামা অ্যালকোহলিজম, 
(iv) ডেল্টা অ্যালকোহলিজম 
(v) এপসিলন অ্যালকোহলিজম।


প্রশ্ন:৪
প্রণোদিত প্রজনন বা হাইপোফাইজেশন কাকে বলে ?

উত্তর: 
যে পদ্ধতিতে পরিণত স্ত্রী ও পুরুষমাছকে পিটুইটারি নির্যাস ইনজেক্ট করে তাদের জনন গ্রন্থিকে উদ্দীপিত করে বদ্ধ জলাশয়ে প্রজননে লিপ্ত করানো হয় এবং শুক্রাণু ও ডিম্বাণু নিঃসরণ করা হয় তাকে প্রণোদিত প্রজনন বা হাইপোফাইজেশন বলে।


প্রশ্ন:৫
সরাসরি রোগ বিস্তার বলতে কী বোঝো ? এটি কীভাবে ঘটে ?

উত্তর: 
রোগজীবাণু যখন বাহক ব্যতিরেকে সরাসরি ব্যক্তির দেহে প্রবেশ করে, তখন এই পদ্ধতিকে সরাসরি রোগবিস্তার বলে।
সরাসরি রোগবিস্তার নিম্নলিখিতভাবে ঘটে থাকে— 
(i) আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শ থেকে, 
(ii) ড্রপলেট সংক্রমণ-এর মাধ্যমে, 
(iii) মাটির সংস্পর্শে, 
(iv) প্রাণীর কামড় দ্বারা, 
(v) প্লাসেন্টার মাধ্যমে।


প্রশ্ন:৬
পিটুইটারি নির্যাস কীভাবে ইনজেক্ট করা হয় ?

উত্তর: 
একটি সিরিঞ্জে পরিমাণমতো পিটুইটারি নির্যাস ভরে নিয়ে পরিণত পুরুষ ও স্ত্রী মাছকে জল থেকে তুলে স্পঞ্জের গদিতে শুইয়ে স্পর্শেন্দ্রিয় রেখা বাঁচিয়ে লেজের প্রশস্ত স্থানের কোনো একটি অংশে ছুঁচ ফুটিয়ে পিস্টন ঠেলে নির্যাসটি মাছের দেহে প্রবেশ করানো হয়।


প্রশ্ন:৭
ফিলাডেলফিয়া ক্রোমোজোম কাকে বলে ?

উত্তর: 
ক্রনিক গ্রানুলোসাইটিক লিউকেমিয়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তি বিশেষে 22 তম ক্রোমোজোমের দীর্ঘবাহু স্বাভাবিক ক্রোমোজোম অপেক্ষা ক্ষুদ্র হয়। এই অস্বাভাবিক ক্রোমোজোমকে ফিলাডেলফিয়া ক্রোমোজোম বলে।


প্রশ্ন:৮
অঙ্কোজিন ও টিউমার সাপ্রেসর জিন কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।

উত্তর: 
অঙ্কোজিন—
মিউটেশনের ফলে প্রোটোঅঙ্কোজিন যখন স্বাভাবিক কোশ বিভাজন তথা প্রোটিন সংশ্লেষণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে তখন, তা অঙ্কোজিনে পরিণত হয়। এর থেকে ক্যানসার কোশের আবির্ভাব হয়। 
উদাহরণ—ab1 অঙ্কোজিন লিউকেমিয়ার জন্য দায়ী।
টিউমার সাপ্রেসর জিন—
প্রাণীকোশে যে জিনগুলি টিউমার উৎপাদনে বাধা দেয়, তাদের টিউমার সাপ্রেসর জিন বলে। 
উদাহরণ—মানবদেহের পঞ্চম ক্রোমোজোমের জোড়ায় অবস্থিত APC।


প্রশ্ন:৯
পিটুইটারি নির্যাস কী বা কীভাবে পিটুইটারি নির্যাস তৈরি করা হয় ?

উত্তর: 
টাটকা সদ্যমৃত মাছের পিটুইটারি গ্রন্থি সংগ্রহ করে তাকে হোমোজেনাইজার মেশিনে পেশাই করে যে নির্যাস পাওয়া যায় তাকে পাতিত জলসহ সেন্ট্রিফিউজ টিউবে রেখে মিনিটে 2000 বার গতিতে পাঁচ মিনিট ঘোরানোর পর ওপরের যে স্বচ্ছ তরল শিশিতে গ্লিসারলসহ সংরক্ষণ করা হয় তাকে পিটুইটারি নির্যাস বলে।


প্রশ্ন:১০
নিম্নলিখিতগুলির দুটি করে উদাহরণ দাও।
(a) ওপিয়েট নারকোটিক,
(b) উত্তেজক,
(c) ভ্রম উৎপাদক দ্রব্য।

উত্তর: 
(a) ওপিয়েট নারকোটিক—(i) আফিম, (ii) মরফিন।
(b) উত্তেজক—(i) কোকেন, (ii) কেফিন।
(c) ভ্রম উৎপাদক দ্রব্য—(i) LSH, (ii) ভাং।


Comments

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য

  ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য Sl. No. ঘূর্ণবাত প্রতীপ ঘূর্ণবাত 1 ঘূর্ণবাতের নিম্নচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর উচ্চচাপ বলয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের উচ্চচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর নিম্নচাপ বলয়। 2 নিম্নচাপ কেন্দ্রে বায়ু উষ্ণ, হালকা ও ঊর্ধ্বগামী হয়। উচ্চচাপ কেন্দ্রে বায়ু শীতল, ভারী ও নিম্নগামী হয়। 3 ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে, ফলে বিস্তীর্ণ অঞ্চল অল্প সময়ে প্রভাবিত হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে না। 4 ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে এবং বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘমুক্ত থাকে। বৃষ্টিপাত ও ঝড়-ঝঞ্ঝা ঘটে না। মাঝেমাঝে তুষারপাত ও কুয়াশার সৃষ্টি হয়৷ 5 ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে নিম্নচাপ বিরাজ করে। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে উচ্চচাপ বিরাজ করে। 6 চারিদিক থেকে ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রের দিকে বায়ু ছুটে আসে অর্থাৎ বায়ুপ্রবাহ কেন্দ্রমুখী। প্রতীপ ঘূর্ণবাতে কেন...

মানব জীবনের ওপর পর্বতের প্রভাব উল্লেখ করো।

মানব জীবনের ওপর পর্বতের প্রভাব উল্লেখ করো। সমুদ্র সমতল থেকে অন্তত ১০০০ মিটারের বেশি উঁচু ও বহুদূর বিস্তৃত শিলাময় স্তূপ যার ভূপ্রকৃতি অত্যন্ত বন্ধুর, ভূমির ঢাল বেশ খাড়া এবং গিরিশৃঙ্গ ও উপত্যকা বর্তমান তাকে পর্বত বলে৷ খাড়াভাবে দাঁড়িয়ে থাকা এই পর্বত মানুষের জীবনকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। মানবজীবনে পর্বতের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবগুলি হল—

স্থলবায়ু ও সমুদ্রবায়ুর মধ্যে পার্থক্য

  স্থলবায়ু ও সমুদ্রবায়ুর মধ্যে পার্থক্য Sl. No. স্থলবায়ু সমুদ্রবায়ু 1 স্থলবায়ু মূলত শীতল ও শুষ্ক প্রকৃতির হয়। সমুদ্রবায়ু মূলত উষ্ণ ও আর্দ্র প্রকৃতির হয়। 2 স্থলবায়ু প্রধানত রাত্রিবেলায় প্রবাহিত হয়। সমুদ্রবায়ু প্রধানত দিনেরবেলায় প্রবাহিত হয়। 3 সূর্যাস্তের পরবর্তী সময়ে এই বায়ুর প্রবাহ শুরু হয় ও রাত্রির শেষদিকে বায়ুপ্রবাহের বেগ বৃদ্ধি পায়। সূর্যোদয়ের পরবর্তী সময়ে এই বায়ুরপ্রবাহ শুরু হয় ও অপরাহ্নে বায়ুপ্রবাহে বেগ বৃদ্ধি পায়। 4 স্থলবায়ু উচ্চচাযুক্ত স্থলভাগ থেকে নিম্নচাপযুক্ত জলভাগের দিকে প্রবাহিত হয়। এই কারণে স্থলবায়ুকে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর সঙ্গে তুলনা করা হয়। সমুদ্রবায়ু উচ্চচাপযুক্ত সমুদ্র থেকে নিম্নচাপযুক্ত স্থলভাগের দিকে প্রবাহিত হয়। এই কারণে সমুদ্রবায়ুকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সঙ্গে তুলনা করা হয়। 5 স্থলভাগের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হবার দরুন বেগ তুলনামূলক কম হয়ে থাকে। উন্মুক্ত সমুদ্রের ওপর দিয়ে দীর্ঘপথ প্রবাহিত হ...

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।   অথবা,  একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।  অথবা,  নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও।             উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়।  এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়।  নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা:       পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...

মহীখাত

মহীখাত        জে.হল, জে.ডি.ডানা ও কোবার প্রথম মহীখাত বা Geosyncline ধারণার অবতারণা করেন। তাঁদের মতে, পৃথিবীর আদি ভূভাগ দ্বারা বেষ্টিত ভূপৃষ্ঠের সংকীর্ণ, অবনমিত ও অগভীর সমুদ্রখাত হল মহীখাত। অর্থাৎ, ভূতাত্ত্বিকদের মতে, এখন যেসব জায়গায় ভঙ্গিল পর্বতগুলো অবস্থান করছে, অতি প্রাচীনকালে সেখানে ছিল বিস্তীর্ণ অবনত অঞ্চল— ভূতাত্ত্বিকগণের ভাষায় যার নাম মহীখাত বা অগভীর সমুদ্র।

গ্রস্ত উপত্যকা

গ্রস্ত উপত্যকা দুটি চ্যুতির মধ্যবর্তী অংশ বসে গেলে যে অবনমিত অঞ্চলের সৃষ্টি হয়, তাকে গ্রস্ত উপত্যকা বলে। এছাড়া, মহীভাবক আলোড়নের ফলে ভূপৃষ্ঠে সংকোচন ও প্রসারণ বলের সৃষ্টি হয়। যার ফলে ভূপৃষ্ঠের কঠিন শিলায় ফাটলের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীকালে পুনরায় ভূ-আন্দোলন ঘটলে বা ভূ-আলোড়নের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে ফাটল রেখা বরাবর শিলার একটি অংশ অপর অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, একে চ্যুতি বলে। সংনমন বল বৃদ্ধি পেলে দুটি চ্যুতির মাঝের অংশ খাড়াভাবে নীচে বসে যায়। অবনমিত, ওই অংশকে বলে গ্রস্ত উপত্যকা। 

নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন

নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন আইন প্রবর্তনের কারণ ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে জাতীয়তাবাদী নাটক রচনা করে ব্রিটিশের শোষণ ও অপশাসনের বিরুদ্ধে জনমত সংগঠিত করার কাজ শুরু হয়। অমৃতলাল বসুর ‘চা–কর দর্পণ’, দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ নাটকে অত্যাচারী শ্বেতাঙ্গ সাহেবদের মুখোশ খুলে দেওয়া হয়। অমৃতলাল বসু ও উপেন্দ্রনাথ দাস ‘হনুমান চরিত’ নামক প্রহসন নাটকে ইংরেজের প্রতি ব্যঙ্গবিদ্রুপ প্রকাশ করেন। গ্রামেগঞ্জে ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাব সৃষ্টির কাজে নাটকগুলি সাফল্য পায়। সরকার দমনমূলক আইন জারি করে দেশাত্মবোধক নাটকের প্রচার বন্ধ করে দিতে উদ্যত হয়।

আবহবিকার ও ক্ষয়ীভবন মধ্যে পার্থক্য

  আবহবিকার ও ক্ষয়ীভবন মধ্যে পার্থক্য Sl. No. আবহবিকার ক্ষয়ীভবন 1 আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান যেমন—উষ্ণতা, বৃষ্টিপাত, জলীয় বাষ্প, তুষারপাত ও বিভিন্ন গ্যাসীয় উপাদান দ্বার শিলাসমূহের চূর্ণবিচূর্ণ হওয়া বা বিয়োজনকে আবহবিকার বলে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তি, যেমন—নদী, বায়ু, হিমবাহ, ইত্যাদি দ্বারা আবহবিকারপ্রাপ্ত চূর্ণবিচূর্ণ শিলাসমূহের অপসারণকে ক্ষয়ীভবন বলে। 2 আবহবিকারের ফলে মূল শিলার বৈশিষ্ট্যের (গঠন, আকৃতি, খনিজের আণবিক সজ্জা প্রভৃতি) পরিবর্তন ঘটে । ক্ষয়ীভবনের ফলে ভূমিরূপের পরিবর্তন সাধিত হয়। কিন্তু মূল শিলার বৈশিষ্ট্যের কোনো পরিবর্তন সাধন হয় না। 3 আবহবিকার কোনোভাবে ক্ষয়ীভবনের ওপর নির্ভরশীল নয়। ক্ষয়ীভবন সম্পূর্ণরূপে আবহবিকারের ওপর নির্ভরশীল। আবহবিকার প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হলে ক্ষয়ীভবন প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে না। 4 আবহবিকারের ফলে চূর্ণবিচূর্ণ শিলাসমূহ শিলাস্তর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মূল শিলাস্তরের ওপরেই অবস্থান করে। ক্ষয়ীভবনের ফলে আবহবিকার প্রাপ্ত শিলাচূর্ণ স্থানান্তরি...

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (১৮৭৮ খ্রি.)

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন প্রবর্তন সাম্রাজ্যবাদী গভর্নর–জেনারেল লর্ড লিটন দেশীয় পত্রপত্রিকার কণ্ঠরোধ করার সিদ্ধান্ত নেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (Vernacular Press Act, 1878) জারি করেন। পটভূমি ঊনবিংশ শতকে দেশীয় সংবাদপত্রগুলিতে সরকারি কর্মচারীদের অন্যায় আচরণ, অর্থনৈতিক শোষণ, দেশীয় সম্পদের বহির্গমন, দেশীয় শিল্পের অবক্ষয় ইত্যাদি নানা বিষয় তুলে ধরা হয়। ইতিহাসবিদ এ.আর.দেশাইয়ের মতে, “ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিকাশে সংবাদপত্র হল এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম”।

সমপ্রায় ভূমি

সমপ্রায় ভূমি             অনুচ্চ পার্বত্যভূমি কিংবা প্রাচীন মালভূমি ও উচ্চভূমি বিভিন্ন সূর্যের তাপ, নদী, বায়ু, হিমবাহ প্রভৃতি প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাবে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষয় পেতে পেতে এক সময় উঁচু-নীচু ঢেউ খেলানো ‘প্রায় সমতলভূমিতে’ পরিণত হয়, এদের সমপ্রায় ভূমি বলে।