Skip to main content

সাম্প্রতিক পোস্ট

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।   অথবা,  একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।  অথবা,  নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও।             উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়।  এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়।  নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা:       পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...

প্রাকৃতিক ভূগোলের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর-বায়ুমণ্ডল, সেট-৭

বায়ুমণ্ডল

প্রশ্ন:১
হ্যারিকেন কী ?

উত্তর: 

পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ সংলগ্ন ক্যারিবিয়ান সমুদ্রে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘হ্যারিকেন’ নামে পরিচিত। সমুদ্রের জলরাশি উষ্ণ হলে (২৭° বা তার বেশি) তার ওপর গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের সৃষ্টি হয় এবং ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি হয়। নিম্নচাপ কেন্দ্রের ব্যাস হয় ২০০-৬০০ কিমি এবং বাতাসের গতিবেগ হয় ঘণ্টায় প্রায় ১৫০-২০০ কিমি। হ্যারিকেন খুবই বিধ্বংসী ঝড়। এই ঝড়ের প্রভাবে মেক্সিকো ও পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জে প্রচুর পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি হয়। এর প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিপাতও ঘটে। তবে নিম্নচাপ কেন্দ্রের ঠিক মাঝখানে ১০-৫০ কিমি ব্যাসযুক্ত একটি শান্ত ও বৃষ্টিহীন অঞ্চল অবস্থান করে। অঞ্চলটিকে ‘ঝড়ের চোখ’ বলে।


প্রশ্ন:২
অধঃক্ষেপণ বলতে কী বোঝো ?

উত্তর: 

ঊর্ধ্বগামী জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু অতিরিক্ত শীতলতার সংস্পর্শে এলে ঘনীভূত হয় এবং জলকণা ও তুষারকণায় পরিণত হয়। এই ক্ষুদ্র জলকণা ও তুষারকণাগুলি ক্রমশ আয়তনে বড়াে ও ওজনে ভারী হলে মাধ্যাকর্ষণের টানে ভূপৃষ্ঠে নেমে আসে। সুতরাং, জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ুশীতল ও ঘনীভূত হয়ে, কঠিন বা তরল আকারে মাধ্যাকর্ষণের টানে ভূপৃষ্ঠে পতিত হলে তাকে একত্রে অধঃক্ষেপণ বলে। বৃষ্টিপাত, তুষারপাত, শিলাবৃষ্টি প্রভৃতি হল অধঃক্ষেপণের ভিন্ন ভিন্ন রূপ।


প্রশ্ন:৩
টর্নেডাে কী ?

উত্তর: 

স্পেনীয় শব্দ ‘টর্নেডাে’-র অর্থ ‘বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড় বৃষ্টি’। টর্নেডাে পৃথিবীর প্রবলতম ঝড়। যুক্তরাষ্ট্রের মেক্সিকো উপকূল ও মিসিসিপি নদী অববাহিকায় প্রবলতম ঝড় টর্নেডাে নামে পরিচিত। অতি অল্পস্থান জুড়ে অত্যন্ত শক্তিশালী নিম্নচাপ কেন্দ্রের সৃষ্টি হলে টর্নেডোর উৎপত্তি হয়। টর্নেডাের কেন্দ্রে ঘন কালাে মেঘ ফানেলের মতাে বা কালাে থামের মতাে আকৃতি ধারণ করে ভূমি থেকে ঊর্ধ্বাকাশে অবস্থান করে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের ব্যাস হয় ১০০-৫০০ কিমির মধ্যে। বাতাস কুণ্ডলী আকারে ঘুরতে ঘুরতে নিম্নচাপ কেন্দ্রে প্রবেশ করে এবং প্রায় ৪০ কিমি পর্যন্ত ওপরে ওঠে। এর স্থায়িত্ব মাত্র কয়েক মিনিট হলেও, বাতাসের বেগ ঘণ্টায় ৩০০-৫০০ কিমি পর্যন্ত হওয়ায় প্রবাহিত অঞ্চলকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে। এর প্রভাবে সমুদ্রে জলস্তম্ভের সৃষ্টি হয়।


প্রশ্ন:৪
আঁধি কী ?

উত্তর: 

‘আঁধি’ হল ধূলিঝড়। দীর্ঘ, শুষ্ক গ্রীষ্মকালে উত্তর-পশ্চিম ভারতে প্রায় ৭০-১০০ কিমি বেগে ধূলিঝড় সৃষ্টি হয়। ধূলিঝড়ে আকাশ যেন আঁধার হয়ে আসে, তাই এর এরূপ নাম।


প্রশ্ন:৫
আয়ন বায়ু কাকে বলে ?

উত্তর: 

উভয় গােলার্ধের ক্রান্তীয় উচ্চচাপবলয় থেকে নিরক্ষীয় নিম্নচাপবলয়ের দিকে যে নিয়ত বায়ু প্রবাহিত হয়, তাকে আয়ন বায়ু বলে। সাধারণত উভয় গােলার্ধে ৫°-১০° অক্ষরেখার মধ্যে আয়ন বায়ু প্রবাহিত হয়। ফেরেলের সূত্র অনুসারে, আয়ন বায়ু উত্তর গােলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গােলার্ধে বাম দিকে বেঁকে যথাক্রমে উত্তর-পূর্ব আয়ন বায়ু এবং দক্ষিণ-পূর্ব আয়ন বায়ুরূপে প্রবাহিত হয়।


প্রশ্ন:৬
পম্পেরাে কী ?

উত্তর: 

বসন্তকালে দক্ষিণ আমেরিকায় আন্দিজ পর্বতের পাদদেশ থেকে যে উষ্ণ ও শুষ্ক বায়ু আর্জেন্টিনার পম্পাস তৃণভূমির ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তাকে ‘পম্পেরাে’ বলে।


প্রশ্ন:৭
সাইক্লোন কী ?

উত্তর: 

বঙ্গোপসাগর, আরবসাগর ও ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় সাইক্লোন নামে পরিচিত। এই ঝড়ের প্রভাবে ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান ইত্যাদি দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বছরে দু-বার অর্থাৎ মে-জুন এবং অক্টোবর-নভেম্বর মাসে এই ঝড়ের সৃষ্টি হয়। উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে সমুদ্রের ওপর শক্তিশালী নিম্নচাপ কেন্দ্রের সৃষ্টি হলে সাইক্লোন ঝড়ের উৎপত্তি হয়। এর প্রভাবে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটে। সাইক্লোনের প্রভাবে উপকূল অঞ্চলে জলােচ্ছ্বাস ঘটে এবং ব্যাপক সম্পত্তি ও জীবনহানি ঘটে। আরবসাগর অপেক্ষা বঙ্গোপসাগরের উপর বেশি সংখ্যায় সাইক্লোন সৃষ্টি হয়। ভারতে—পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও অন্ধপ্রদেশ ব্যাপকভাবে সাইক্লোনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।


প্রশ্ন:৮
চিনুক কী ?

উত্তর: 

প্রধানত শীতকাল ও বসন্ত ঋতুর প্রথমে, উত্তর আমেরিকায় রকি পর্বতের পূর্ব ঢাল বরাবর অধঃগামী উষ্ণ ও শুষ্ক বায়ুর স্থানীয় নাম ‘চিনুক’। উষ্ণ চিনুক বায়ুর প্রভাবে পর্বতের পাদদেশে ও প্রেইরি অঞ্চলের জমা বরফ গলে যায়। তাই স্থানীয় রেড-ইন্ডিয়ানরা এই বায়ুর নাম দিয়েছে ‘চিনুক’—যার অর্থ ‘তুষার ভক্ষক’।


প্রশ্ন:৯
লু কী ?

উত্তর: 

গ্রীষ্মকালে দিনেরবেলা উত্তর-পশ্চিম ভারতে একপ্রকার উষ্ণ ও শুষ্ক বায়ু পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত হয়। এই বায়ু ‘লু’ নামে পরিচিত। এই বায়ুর উষ্ণতা ৪৫°-৫০° সেলসিয়াস-এর মধ্যে। আসলে, ‘লু’ একপ্রকার তাপপ্রবাহ। সন্ধ্যার পর এই বায়ুর তীব্রতা কমে।


প্রশ্ন:১০
টাইফুন কী ?

উত্তর: 

চিন-জাপান থেকে ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জ হয়ে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চলে সৃষ্ট বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় টাইফুন নামে পরিচিত। অক্টোবর-নভেম্বর মাসে চিন সাগরের ওপর গভীর ও শক্তিশালী নিম্নচাপ কেন্দ্রের সৃষ্টি হওয়ায় টাইফুন-এর সৃষ্টি হয়। বায়ু প্রবল গতিতে কুণ্ডলী আকারে ঘুরতে ঘুরতে নিম্নচাপ কেন্দ্রে প্রবেশ করে এবং ১৩-১৪ কিমি পর্যন্ত ওপরে উঠে পড়ে। ঝড়ের গতিবেগ থাকে ঘণ্টায় প্রায় ২০০ কিমির মতাে। এর প্রভাবে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। ঝড়ের স্থায়িত্ব অল্প হলেও, ঘূর্ণিঝড় শীতল স্থলভাগের দিকে তীব্রগতিতে আছড়ে পড়ার ফলে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

   



 

Comments

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

[MCQ]রোম, মিশর এবং ভারতের দাস অর্থনীতি ও ক্রীতদাস প্রথা। সামন্ততান্ত্রিক অর্থনীতি, বানিজ্য।।সেট-৩

 রোম, মিশর এবং ভারতের দাস অর্থনীতি ও ক্রীতদাস প্রথা।।সামন্ততান্ত্রিক অর্থনীতি, বানিজ্য   প্রশ্ন:১ রােমের ক্রীতদাস প্রথার অন্যতম ফল ছিল— (a) সেখানকার কৃষি উৎপাদন হ্রাস (b) সেখানকার খনিজ উৎপাদন হ্রাস (c) সেখানকার শিল্পোৎপাদন হ্রাস (d) সেখানকার সামরিক দক্ষতা হ্রাস

নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন

নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন আইন প্রবর্তনের কারণ ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে জাতীয়তাবাদী নাটক রচনা করে ব্রিটিশের শোষণ ও অপশাসনের বিরুদ্ধে জনমত সংগঠিত করার কাজ শুরু হয়। অমৃতলাল বসুর ‘চা–কর দর্পণ’, দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ নাটকে অত্যাচারী শ্বেতাঙ্গ সাহেবদের মুখোশ খুলে দেওয়া হয়। অমৃতলাল বসু ও উপেন্দ্রনাথ দাস ‘হনুমান চরিত’ নামক প্রহসন নাটকে ইংরেজের প্রতি ব্যঙ্গবিদ্রুপ প্রকাশ করেন। গ্রামেগঞ্জে ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাব সৃষ্টির কাজে নাটকগুলি সাফল্য পায়। সরকার দমনমূলক আইন জারি করে দেশাত্মবোধক নাটকের প্রচার বন্ধ করে দিতে উদ্যত হয়।

[MCQ]রাজনীতির বিবর্তন - শাসনতান্ত্রিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক ধারণা।।সেট ৬

রাজনীতির বিবর্তন - শাসনতান্ত্রিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক ধারণা ⮞ ⮞ ⮞ ⮞ প্রশ্ন:১ রামায়ণে কয়টি জনপদের উল্লেখ আছে ? (a) ১৬ টি (b) ১৮ টি (c) ২৫ টি (d) ২৭ টি

[MCQ]রোম, মিশর এবং ভারতের দাস অর্থনীতি ও ক্রীতদাস প্রথা। সামন্ততান্ত্রিক অর্থনীতি, বানিজ্য।।সেট-৭

 রোম, মিশর এবং ভারতের দাস অর্থনীতি ও ক্রীতদাস প্রথা।।সামন্ততান্ত্রিক অর্থনীতি, বানিজ্য প্রশ্ন:১ রােমের ক্রীতদাসদের প্রধান কাজকর্ম ছিল— (a) নিজের পুঁজি বিনিয়ােগ করে ব্যাবসা করা (b) যুদ্ধবন্দিদের ক্রয় করা (c) প্রভুর সঙ্গে অংশীদারিত্বের ব্যাবসা করা (d) প্রভূর জমিতে চাষবাস করা

[MCQ]ইতিহাসের প্রাকৃতিক উপাদান, প্রকৃতি, কাঠামো, ঐতিহ্য এবং যুগ বিভাজন।।সেট-১

ইতিহাসের প্রাকৃতিক উপাদান, প্রকৃতি, কাঠামো, ঐতিহ্য এবং যুগ বিভাজন ➤ ➤ ➤ ➤ প্রশ্ন:১ ডাইনােসর জাতীয় বৃহদাকার প্রাণীর আবির্ভাব ঘটেছিল— (a) প্রায়-ঐতিহাসিক যুগে (b) প্রাগৈতিহাসিক যুগে (c) ঐতিহাসিক যুগে (d) আধুনিক যুগে

[MCQ]রাষ্ট্রের প্রকৃতি-ভারত ও ইউরোপীয় প্রসঙ্গ।।সেট-১

রাষ্ট্রের প্রকৃতি-ভারত ও ইউরোপীয় প্রসঙ্গ ⮞ ⮞ ⮞ ⮞ প্রশ্ন:১ সিসেরাের রাষ্ট্রচিন্তায় এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল— (a) যুক্তি (b) স্বাধীনতা (c) সাম্য (d) ন্যায়

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (১৮৭৮ খ্রি.)

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন প্রবর্তন সাম্রাজ্যবাদী গভর্নর–জেনারেল লর্ড লিটন দেশীয় পত্রপত্রিকার কণ্ঠরোধ করার সিদ্ধান্ত নেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (Vernacular Press Act, 1878) জারি করেন। পটভূমি ঊনবিংশ শতকে দেশীয় সংবাদপত্রগুলিতে সরকারি কর্মচারীদের অন্যায় আচরণ, অর্থনৈতিক শোষণ, দেশীয় সম্পদের বহির্গমন, দেশীয় শিল্পের অবক্ষয় ইত্যাদি নানা বিষয় তুলে ধরা হয়। ইতিহাসবিদ এ.আর.দেশাইয়ের মতে, “ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিকাশে সংবাদপত্র হল এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম”।

হিমানী সম্প্ৰপাত

হিমানী সম্প্ৰপাত           পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে পার্বত্য অঞ্চলে তুষারক্ষেত্রের জমাট বাঁধা বরফ অত্যন্ত ধীরগতিতে পর্বতের ঢাল বেয়ে নীচের দিকে নেমে আসতে থাকে। সময় সময় পাহাড়ের ঢালে চলমান এইরকম হিমবাহ থেকে বিশাল বরফের স্তূপ ভেঙে বিপুলবেগে নীচের দিকে পড়তে দেখা যায়, একে হিমানী সম্প্রপাত বলে।  

প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা

প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা ‘মেখলা’ শব্দের মানে হল ‘কোমর বন্ধনী’। অসংখ্য আগ্নেয়গিরি মেখলা বা কোমর বন্ধনীর আকারে কোনো বিস্তীর্ণ অঞ্চলে যখন অবস্থান করে, তখন তাকে ‘আগ্নেয় মেখলা’ বলা হয়। ভূবিজ্ঞানীর মতে, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশীয় পাতের সঙ্গে ও এশীয় মহাদেশীয় পাতের সঙ্গে প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাতের ক্রমাগত সংঘর্ষের ফলে পাত সীমায় ফাটল বরাবর অগ্ন্যুৎপাত ঘটে থাকে এবং আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি হয়। 

[MCQ]আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ।।সেট-৫

আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক  সভ্যতাসমূহ ⮞ ⮞ ⮞ ⮞ প্রশ্ন:১ পৃথিবীতে সর্বপ্রথম কৃষিকাজের প্রমাণ পাওয়া যায়— (a) ইরাকে (b) মিশরে (c) ভারতে (d) চিনে