Skip to main content

সাম্প্রতিক পোস্ট

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।   অথবা,  একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।  অথবা,  নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও।             উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়।  এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়।  নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা:       পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...

আঞ্চলিক ভূগোলের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর-ভারতের জলসেচ ব্যবস্থা ও কৃষিজ ফসল, সেট-১

ভারতের জলসেচ ব্যবস্থা ও কৃষিজ ফসল


প্রশ্ন:১
খাদ্যশস্য কী ? উদাহরণ দাও।

উত্তর: 
প্রধানত পুষ্টির প্রয়ােজনে প্রধান খাদ্য হিসেবে গ্রহণের জন্য যেসব শস্য চাষ করা হয় তাদের খাদ্যশস্য বলে। 
যেমন—দানাশস্য (ধান, গম) প্রভৃতি।


প্রশ্ন:২
সবুজ বিপ্লব (Green Revolution) কী ?

উত্তর: 
স্বাধীনতার পর ভারতে প্রথম দুটি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় কৃষি উৎপাদন আশানুরূপ বৃদ্ধি পায়নি। ফলে দেশে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয় এবং খাদ্যশস্য বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এইজন্য তৃতীয় ও চতুর্থ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ভারতে কৃষির উন্নতির জন্য বিশেষ করে খাদ্যশস্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কতকগুলি কর্মসূচি (যা নিবিড় কৃষি জেলা কর্মসূচি নামে পরিচিত) গ্রহণ করা হয়। এই কর্মসূচি গ্রহণ করার ফলে ভারতে ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে (বিশেষ করে খাদ্যশস্য) যে অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটে তাকে সবুজ বিপ্লব বা কৃষি বিপ্লব বলে।


প্রশ্ন:৩
ধানের কয়েকটি উচ্চফলনশীল বীজের নাম লেখাে।

উত্তর: 
ধানের কয়েকটি উচ্চফলনশীল বীজ হল—
(i) আই আর-এইট (IR-8), 
(ii) তাইচুং-1, 
(iii) আই আর-টোয়েন্টি (IR - 20), 
(iv) বিজয়া, 
(v) পঙ্কজ, 
(vi) রত্না, 
(vii) আদিত্য, 
(viii) জয়া, 
(ix) গােবিন্দ প্রভৃতি।


প্রশ্ন:৪
সবুজ বিপ্লবের ফলাফলগুলি সংক্ষেপে উল্লেখ করাে।

উত্তর: 
ভারতে সবুজ বিপ্লবের ফলে—
(i) উত্তর-পশ্চিম ভারতে গম ও দক্ষিণ ভারতে ধানের উৎপাদন বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছিল। ১৯৫০-৫১ খ্রিস্টাব্দে ভারতে যেখানে মাত্র ২০৮ লক্ষ টন ধান ও ৬৫ লক্ষ টন গম উৎপাদন হয়েছিল সেখানে ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে সবুজ বিপ্লবের ফলে ধান ও গমের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে— ৪২৩ লক্ষ টন ও ২৩৯ লক্ষ টন। 
(ii) ভারতে কৃষকদের আর্থিক উন্নতি ঘটে। 
(iii) খাদ্যশস্যের আমদানি হ্রাস পায়। 
(iv) কৃষিনির্ভর শিল্পের উন্নতি ঘটে। 
(v) গ্রামের বেকারত্ব হ্রাস পায়। 
(vi) ভারতের জাতীয় আয় বৃদ্ধি পায় প্রভৃতি।


প্রশ্ন:৫
খারিফ শস্য কী ?

উত্তর: 
যেসব শস্য গ্রীষ্মের শেষে বা বর্ষার শুরুতে চাষ আরম্ভ হয় এবং শীতের শুরুতে (হেমন্তকালে) শস্য তােলা হয় তাদের খারিফ শস্য বলে। 
যেমন—ধান, বাজরা, জোয়ার প্রভৃতি।এই সব ফসল বর্ষার জলে চাষ হয়ে থাকে।


প্রশ্ন:৬
সবুজ বিপ্লবের কয়েকটি প্রধান কর্মসূচি উল্লেখ করাে।

উত্তর: 
ভারত সরকার দ্বারা গৃহীত সবুজ বিপ্লবের কয়েকটি প্রধান কর্মসূচি হল—
(i) উচ্চফলনশীল ও সংকর জাতীয় বীজের ব্যবহার, 
(ii) পতিত জমির উদ্ধার, 
(iii) জলসেচের সুবন্দোবস্ত করা, 
(iv) পর্যাপ্ত কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের প্রয়ােগ, 
(v) বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষ-আবাদ, 
(vi) একফসলি জমিকে বহুফসলি জমিতে পরিণত করা, 
(vii) উৎপন্ন ফসল সংরক্ষণ ও ন্যায্য মূল্যে বিক্রয়ের ব্যবস্থা, 
(viii) গরিব কৃষকদের সুলভে ও কম সুদে ঋণ প্রদান ও 
(ix) কৃষিশিক্ষার প্রসার।


প্রশ্ন:৭
বাগিচা কৃষি কাকে বলে ?

উত্তর: 
ক্রান্তীয় ও উপক্ৰান্তীয় অঞ্চলে প্রাকৃতিক পরিবেশের উপযােগী কোনাে একটি ফসল আন্তর্জাতিক চাহিদার ওপর ভিত্তি করে বৈদেশিক মূলধন, দক্ষ শ্রমিক ও উন্নত শিল্প সংগঠনের দ্বারা বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে যখন চাষ করা হয় তখন সেই ফসল উৎপাদন পদ্ধতিকে বাগিচা কৃষি বলে। 
যেমন—চা, কফি, রবার প্রভৃতি হল কয়েকটি বাগিচা ফসল।


প্রশ্ন:৮
রবি শস্য কী ?

উত্তর: 
যেসব শস্য শীতের শুরুতে চাষ আরম্ভ হয় এবং গ্রীষ্মের শুরুতে (বসন্তকালে) ফসল তােলা হয় তাদের রবি শস্য বলে। 
যেমন—গম, যব, ছােলা, আলু প্রভৃতি। এইসব ফসল উৎপাদনের জন্য জলসেচের প্রয়োজন হয়।


প্রশ্ন:৯
গমের কয়েকটি উচ্চফলনশীল বীজের নাম লেখাে।

উত্তর: 
গমের কয়েকটি উচ্চফলনশীল বীজ হল—
(i) কল্যাণ সােনা, 
(ii) সােনা-227, 
(iii) শ্রাবতি, 
(iv) সােনালিকা–308, 
(v) সফেদ লারমা,
(vi) HDR-77/416, 
(vii) WH-416, 
(viii) HD-2501, 
(ix) রাজ-3077, 
(x) হীরা প্রভৃতি।


প্রশ্ন:১০
বাণিজ্যিক শস্য কী ? উদাহরণ দাও।

উত্তর: 
কেবলমাত্র বাণিজ্যের প্রয়ােজনে যেসব শস্য চাষ করা হয় তাদের বাণিজ্যিক শস্য বলে। বাণিজ্যিক শস্যকে প্রধানত তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যথা—
(i) তন্তুজ ফসল (তুলাে, পাট প্রভৃতি), 
(ii) তৈলবীজ (তিসি, সরিষা প্রভৃতি) এবং 
(iii) বাগিচা ফসল (রবার, সিঙ্কোনা প্রভৃতি)

Comments

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য

  ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য Sl. No. ঘূর্ণবাত প্রতীপ ঘূর্ণবাত 1 ঘূর্ণবাতের নিম্নচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর উচ্চচাপ বলয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের উচ্চচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর নিম্নচাপ বলয়। 2 নিম্নচাপ কেন্দ্রে বায়ু উষ্ণ, হালকা ও ঊর্ধ্বগামী হয়। উচ্চচাপ কেন্দ্রে বায়ু শীতল, ভারী ও নিম্নগামী হয়। 3 ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে, ফলে বিস্তীর্ণ অঞ্চল অল্প সময়ে প্রভাবিত হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে না। 4 ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে এবং বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘমুক্ত থাকে। বৃষ্টিপাত ও ঝড়-ঝঞ্ঝা ঘটে না। মাঝেমাঝে তুষারপাত ও কুয়াশার সৃষ্টি হয়৷ 5 ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে নিম্নচাপ বিরাজ করে। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে উচ্চচাপ বিরাজ করে। 6 চারিদিক থেকে ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রের দিকে বায়ু ছুটে আসে অর্থাৎ বায়ুপ্রবাহ কেন্দ্রমুখী। প্রতীপ ঘূর্ণবাতে কেন...

জাতীয়তাবাদের বিকাশে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান কী ?

          বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮–৯৪ খ্রি.) ছিলেন ঊনবিংশ শতকের অগ্রণী ঔপন্যাসিক ও প্রবন্ধকার। বঙ্কিমচন্দ্রের অধিকাংশ উপন্যাসের বিষয়বস্তু ছিল স্বদেশ ও দেশপ্রেম। বঙ্কিমচন্দ্রের সৃষ্টি ভারতীয় জাতীয়তাবোধের বিকাশে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিল। তাঁর ‘বন্দেমাতরম্’–মন্ত্র ছিল বিপ্লবীদের বীজমন্ত্র। অরবিন্দ ঘোষ তাই বঙ্কিমকে ‘জাতীয়তাবোধের ঋত্বিক’ বলেছেন।

মানব জীবনের ওপর পর্বতের প্রভাব উল্লেখ করো।

মানব জীবনের ওপর পর্বতের প্রভাব উল্লেখ করো। সমুদ্র সমতল থেকে অন্তত ১০০০ মিটারের বেশি উঁচু ও বহুদূর বিস্তৃত শিলাময় স্তূপ যার ভূপ্রকৃতি অত্যন্ত বন্ধুর, ভূমির ঢাল বেশ খাড়া এবং গিরিশৃঙ্গ ও উপত্যকা বর্তমান তাকে পর্বত বলে৷ খাড়াভাবে দাঁড়িয়ে থাকা এই পর্বত মানুষের জীবনকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। মানবজীবনে পর্বতের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবগুলি হল—

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।

নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও।   অথবা,  একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।  অথবা,  নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও।             উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়।  এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়।  নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা:       পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (১৮৭৮ খ্রি.)

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন প্রবর্তন সাম্রাজ্যবাদী গভর্নর–জেনারেল লর্ড লিটন দেশীয় পত্রপত্রিকার কণ্ঠরোধ করার সিদ্ধান্ত নেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (Vernacular Press Act, 1878) জারি করেন। পটভূমি ঊনবিংশ শতকে দেশীয় সংবাদপত্রগুলিতে সরকারি কর্মচারীদের অন্যায় আচরণ, অর্থনৈতিক শোষণ, দেশীয় সম্পদের বহির্গমন, দেশীয় শিল্পের অবক্ষয় ইত্যাদি নানা বিষয় তুলে ধরা হয়। ইতিহাসবিদ এ.আর.দেশাইয়ের মতে, “ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিকাশে সংবাদপত্র হল এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম”।

স্থলবায়ু ও সমুদ্রবায়ুর মধ্যে পার্থক্য

  স্থলবায়ু ও সমুদ্রবায়ুর মধ্যে পার্থক্য Sl. No. স্থলবায়ু সমুদ্রবায়ু 1 স্থলবায়ু মূলত শীতল ও শুষ্ক প্রকৃতির হয়। সমুদ্রবায়ু মূলত উষ্ণ ও আর্দ্র প্রকৃতির হয়। 2 স্থলবায়ু প্রধানত রাত্রিবেলায় প্রবাহিত হয়। সমুদ্রবায়ু প্রধানত দিনেরবেলায় প্রবাহিত হয়। 3 সূর্যাস্তের পরবর্তী সময়ে এই বায়ুর প্রবাহ শুরু হয় ও রাত্রির শেষদিকে বায়ুপ্রবাহের বেগ বৃদ্ধি পায়। সূর্যোদয়ের পরবর্তী সময়ে এই বায়ুরপ্রবাহ শুরু হয় ও অপরাহ্নে বায়ুপ্রবাহে বেগ বৃদ্ধি পায়। 4 স্থলবায়ু উচ্চচাযুক্ত স্থলভাগ থেকে নিম্নচাপযুক্ত জলভাগের দিকে প্রবাহিত হয়। এই কারণে স্থলবায়ুকে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর সঙ্গে তুলনা করা হয়। সমুদ্রবায়ু উচ্চচাপযুক্ত সমুদ্র থেকে নিম্নচাপযুক্ত স্থলভাগের দিকে প্রবাহিত হয়। এই কারণে সমুদ্রবায়ুকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সঙ্গে তুলনা করা হয়। 5 স্থলভাগের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হবার দরুন বেগ তুলনামূলক কম হয়ে থাকে। উন্মুক্ত সমুদ্রের ওপর দিয়ে দীর্ঘপথ প্রবাহিত হ...

ভঙ্গিল পর্বতের বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো।

ভঙ্গিল পর্বতের বৈশিষ্ট্যগুলি হল— (১) বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে কোমল পাললিক শিলায় ঢেউ-এর মতো ভাঁজ পড়ে ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি হয়। (২) প্রধানত সমুদ্রগর্ভ থেকে সৃষ্টি হয় বলে ভঙ্গিল পর্বতে জীবাশ্ম দেখা যায়। (৩) ভঙ্গিল পর্বতগুলি সাধারণত পাললিক শিলায় গঠিত হলেও অনেক সময় ভঙ্গিল পর্বতে আগ্নেয় এবং রূপান্তরিত শিলার সহাবস্থান চোখে পড়ে (কারণ—ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টির সময় শিলাস্তরে ফাটল সৃষ্টি হলে, সেই ফাটল দিয়ে ভূগর্ভের ম্যাগমা লাভারূপে ভূপৃষ্ঠে বেরিয়ে আসে যা ধীরে ধীরে জমাট বেঁধে আগ্নেয় শিলার সৃষ্টি করে। এর পর কালক্রমে প্রচণ্ড চাপ ও তাপের ফলে আগ্নেয় শিলা ও পাললিক শিলা রূপান্তরিত শিলায় পরিণত হয়)

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের চিরস্মরণীয় কিছু উক্তি

          বিংশ শতাব্দীর বাংলা মননে কাজী নজরুল ইসলামের মর্যাদা ও গুরুত্ব অপরিসীম। অগ্নিবীণা হাতে তার প্রবেশ, ধূমকেতুর মতো তার প্রকাশ। যেমন লেখাতে বিদ্রোহী, তেমনই জীবনে – কাজেই "বিদ্রোহী কবি"

মানব জীবনের ওপর মালভূমির প্রভাব আলোচনা করো

মানুষের জীবনধারণ ও জীবিকা অর্জনের ক্ষেত্রে মালভূমি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন—  (১) মালভূমি সাধারণত স্বাভাবিক উদ্ভিদে সমৃদ্ধ হয়। যেমন—ছোটোনাগপুর মালভূমিতে প্রচুর শাল ও সেগুন গাছ জন্মে থাকে। (২) কোনোকোনো মালভূমির কঠিন শিলার ওপর উর্বর মৃত্তিকার আবরণ থাকলে সেই অঞ্চল কৃষিকার্যে উন্নতি লাভ করে। যেমন—ভারতের কৃষ্ণমৃত্তিকা অঞ্চল। (৩) মালভূমি অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি বন্ধুর এবং ভূভাগ কঠিন শিলা দ্বারা গঠিত বলে চাষ-আবাদ, রাস্তাঘাট ও শিল্পস্থাপনে প্রতিকূল পরিবেশের সৃষ্টি করে।

পর্বতবেষ্টিত মালভূমি

পর্বতবেষ্টিত মালভূমি      ভূমিকম্পের ফলে ভঙ্গিল পর্বতশ্রেণি সৃষ্টি হওয়ার সময় দুটি সমান্তরাল পর্বতশ্রেণির মধ্যবর্তী অপেক্ষাকৃত নীচু স্থানগুলি কিছুটা উঁচু ও খাড়া ঢালযুক্ত হয়ে মালভূমির আকৃতি নেয় । চারদিকে পর্বতবেষ্টিত হওয়ায় এই সব মালভূমিগুলিকে পর্বতবেষ্টিত মালভূমি বলে।