Skip to main content

প্রস্তুতি শুরু করা যাক [খুব তাড়াতাড়ি আসছে]

WBSSC WBPSC WBPRB WBCS

সাম্প্রতিক পোস্ট

দশম শ্রেণী-ভৌতবিজ্ঞান-পরিবেশের জন্য ভাবনা-ভৌতবিজ্ঞান ও পরিবেশ-বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন

বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন। প্রতিটি প্রশ্নের চারটি করে বিকল্প উত্তর দেওয়া আছে। যেটি ঠিক সেটি লেখো: (প্রতিটি প্রশ্নের মান-1) UNIT 1. পরিবেশের জন্য ভাবনা 1.1  ভৌতবিজ্ঞান ও পরিবেশ Q1. গ্রিনহাউস গ্যাস হিসেবে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য কোন্ গ্যাসটির অবদান সবচেয়ে বেশি? (মাধ্যমিক ২০১৮) (a) N₂O (নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড) (b) CH4 (মিথেন) (c) CO₂ (কার্বন ডাই অক্সাইড) (d) H₂O বাম্প। Q 2. প্রদত্ত কোনটি ওজোন স্তরকে ক্ষয় করে না?  (মাধ্যমিক ২০২০) (a) NO (নাইট্রোজেন মনোক্সাইড) (b) N₂O (নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড) (c) CO₂ (কার্বন ডাই অক্সাইড) (d) CFC (ক্লোরোফ্লুরোকার্বন)

পশ্চিমবঙ্গের প্রধান শিক্ষা বোর্ডসমূহ [খুব তাড়াতাড়ি আসছে]

WBBPE WBBSE WBCHSE WBMSC

আঞ্চলিক ভূগোলের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর-ভারতের জলসেচ ব্যবস্থা ও কৃষিজ ফসল, সেট-২

ভারতের জলসেচ ব্যবস্থা ও কৃষিজ ফসল


প্রশ্ন:১
প্লাবন খাল কাকে বলে ?

উত্তর: 
বর্ষার সময় যে খাল প্লাবনের জলে পুষ্ট হয় তাকে প্লাবন খাল বলে। বর্ষাঋতুতে নদীতে জলস্ফীতি ঘটলে অতিরিক্ত জল খালের মাধ্যমে প্রবাহিত হয় যা সেচের কাজে ব্যবহৃত করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের হিজলী খাল, তামিলনাড়ুর কাবেরী বদ্বীপ খাল প্রভৃতি হল ভারতের কয়েকটি প্লাবন খালের উদাহরণ।


প্রশ্ন:২
দামােদর উপত্যকা পরিকল্পনার প্রধান উদ্দেশ্যগুলি কী কী ?

উত্তর: 
দামােদর উপত্যকা পরিকল্পনার প্রধান উদ্দেশ্যগুলি হল—
(i) বন্যা নিয়ন্ত্রণ, 
(ii) জলসেচ ব্যবস্থার উন্নতি, 
(iii) জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ও বণ্টন, 
(iv) নৌপরিবহণ, 
(v) উপত্যকার পার্শ্ববর্তী ভূমিক্ষয় রােধ ও বনভূমি সংরক্ষণ, 
(vi) মৎস্যচাষ, 
(vii) জলক্রীড়া ও আমােদ-প্রমােদ।


প্রশ্ন:৩
বহুমুখী নদী উন্নয়ন পরিকল্পনা কাকে বলে ? 

উত্তর: 
যে পরিকল্পনার মাধ্যমে নদীতে বাঁধ দিয়ে, নদীর জলকে কাজে লাগিয়ে জলসেচ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলবিদ্যুৎ উৎপাদন, জল পরিবহণ, ভূমিক্ষয় রােধ, মৎস্যচাষ প্রভৃতি একাধিক উদ্দেশ্য একই সঙ্গে সিদ্ধ হয় এবং নদী উপত্যকা অঞ্চলের সর্বাঙ্গীণ উন্নতি সাধিত হয় তাকে বহুমুখী নদী উন্নয়ন পরিকল্পনা বলে। 
যেমন—দামােদর উপত্যকা পরিকল্পনা, ভাকরা-নাঙ্গাল পরিকল্পনা প্রভৃতি।


প্রশ্ন:৪
ভারতের কোথায় কোথায় খাল পদ্ধতিতে জলসেচ করা হয় ?

উত্তর: 
উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, বিহার, রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, কেরল, তামিলনাড়ু প্রভৃতি রাজ্যে খাল পদ্ধতির মাধ্যমে জলসেচ করা হয়।


প্রশ্ন:৫
জলসেচ কী ?

উত্তর: 
কোনাে নির্দিষ্ট জমিতে সুষ্ঠুভাবে অধিক পরিমাণে ফসল উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন কৃত্রিম পদ্ধতিতে প্রয়ােজনমতাে জল সরবরাহকে জলসেচ বলা হয়।


প্রশ্ন:৬
খালের মাধ্যমে জলসেচের দুটি সুবিধা ও অসুবিধা উল্লেখ করাে।

উত্তর: 
👉খালের মাধ্যমে জলসেচের দুটি সুবিধা হল—
(i) খালের সাহায্যে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে জলসেচ করা সম্ভব। 
(ii) খালের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণ পলি কৃষিজমিতে জমা হয়। ফলে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়।
👉খালের মাধ্যমে জলসেচের দুটি অসুবিধা হল—
(i) বর্ষার সময় খালে জলস্ফীতি ঘটলে পার্শ্ববর্তী অঞ্চল প্লাবিত হয়। 
(ii) খালের মাধ্যমে জমিতে অতিরিক্ত জল ব্যবহারের ফলে মাটিতে লবণতার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।


প্রশ্ন:৭
নিত্যবহ খাল কাকে বলে ?

উত্তর: 
বরফগলা জলে পুষ্ট নদী থেকে বা কৃত্রিম জলাশয় থেকে কাটা খালকে নিত্যবহ খাল বলে। এই খালগুলিতে সারা বছর জল থাকে বলে বছরের সবসময় এই খালের মাধ্যমে জলসেচ করা যায়। উত্তরপ্রদেশের উচ্চগঙ্গা খাল, আগ্রা খাল, পশ্চিমবঙ্গের ইডেন খাল প্রভৃতি হল ভারতের কয়েকটি নিত্যবহ খালের উদাহরণ।


প্রশ্ন:৮
পুকুর বা জলাশয়ের মাধ্যমে জলসেচের প্রধান দুটি সুবিধা ও অসুবিধা উল্লেখ করাে।

উত্তর: 
👉পুকুর বা জলাশয়ের মাধ্যমে জলসেচের প্রধান দুটি সুবিধা হল—
(i) যেসব স্থানে মাটি খুঁড়ে কূপ বা নলকূপ খনন করা সম্ভব নয় সেসব স্থানে পুকুর বা জলাশয়ের মাধ্যমে জলসেচ করা সুবিধাজনক, 
(ii) ভূভাগ অপ্রবেশ্য শিলা দ্বারা গঠিত হলে বৃষ্টির জল ভূগর্ভে প্রবেশ করতে পারে না ফলে পুকুর বা জলাশয়ে সারাবছর জল ধরে রাখা সম্ভব হয়।
👉পুকুর বা জলাশয়ের মাধ্যমে জলসেচের প্রধান দুটি অসুবিধা হল—
(i) পুকুর বা জলাশয় নির্মাণ করতে প্রচুর চাষযােগ্য জমি নষ্ট হয়। 
(ii) গ্রীষ্মকালে অনাবৃষ্টির সময় জলাশয়ে জলের পরিমাণ খুব কমে যায় এবং বর্ষাকালে অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে জলাশয়ের বাঁধ ভেঙে যাবার আশঙ্কা থাকে।


প্রশ্ন:৯
ভারতের কোথায় কোথায় কূপ পদ্ধতিতে জলসেচ করা হয় ?

উত্তর: 
উত্তর-পূর্ব ভারতের পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটকের নদী উপত্যকার পলিগঠিত অঞ্চলে কূপ পদ্ধতিতে জলসেচ করা হয়।


প্রশ্ন:১০
কূপ ও নলকূপের সাহায্যে জলসেচের প্রধান দুটি সুবিধা ও অসুবিধা উল্লেখ করো।

উত্তর: 
👉কূপ ও নলকূপের সাহায্যে জলসেচের প্রধান দুটি সুবিধা হল—
(i) সারা বছর ধরে সবসময় সেচের জল পাওয়া যেতে পারে। 
(ii) অল্প মূলধন বিনিয়ােগ করে জলসেচ করা যায় যা ক্ষুদ্র ও ছােটো চাষিদের পক্ষে সুবিধাজনক।
👉কূপ ও নলকূপের সাহায্যে জলসেচের প্রধান দুটি অসুবিধা হল—
(i) অত্যধিক জল তােলার জন্য ভৌম জলস্তর নীচে নেমে যায়। 
(ii) কূপের জলে লবণের ভাগ বেশি থাকে বলে মাটির উর্বরতা শক্তি হ্রাস পায়।


Comments

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (১৮৭৮ খ্রি.)

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন প্রবর্তন সাম্রাজ্যবাদী গভর্নর–জেনারেল লর্ড লিটন দেশীয় পত্রপত্রিকার কণ্ঠরোধ করার সিদ্ধান্ত নেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (Vernacular Press Act, 1878) জারি করেন। পটভূমি ঊনবিংশ শতকে দেশীয় সংবাদপত্রগুলিতে সরকারি কর্মচারীদের অন্যায় আচরণ, অর্থনৈতিক শোষণ, দেশীয় সম্পদের বহির্গমন, দেশীয় শিল্পের অবক্ষয় ইত্যাদি নানা বিষয় তুলে ধরা হয়। ইতিহাসবিদ এ.আর.দেশাইয়ের মতে, “ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিকাশে সংবাদপত্র হল এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম”।

ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য

  ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য Sl. No. ঘূর্ণবাত প্রতীপ ঘূর্ণবাত 1 ঘূর্ণবাতের নিম্নচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর উচ্চচাপ বলয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের উচ্চচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর নিম্নচাপ বলয়। 2 নিম্নচাপ কেন্দ্রে বায়ু উষ্ণ, হালকা ও ঊর্ধ্বগামী হয়। উচ্চচাপ কেন্দ্রে বায়ু শীতল, ভারী ও নিম্নগামী হয়। 3 ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে, ফলে বিস্তীর্ণ অঞ্চল অল্প সময়ে প্রভাবিত হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে না। 4 ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে এবং বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘমুক্ত থাকে। বৃষ্টিপাত ও ঝড়-ঝঞ্ঝা ঘটে না। মাঝেমাঝে তুষারপাত ও কুয়াশার সৃষ্টি হয়৷ 5 ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে নিম্নচাপ বিরাজ করে। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে উচ্চচাপ বিরাজ করে। 6 চারিদিক থেকে ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রের দিকে বায়ু ছুটে আসে অর্থাৎ বায়ুপ্রবাহ কেন্দ্রমুখী। প্রতীপ ঘূর্ণবাতে কেন...

জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যগুলি কী ছিল ?

জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যগুলি কী ছিল      ভারতীয় জাতীয় রাজনীতিতে জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল মূলত ভারতবাসীর আশা–আকাঙ্ক্ষা পূরণ ও ব্রিটিশবিরোধী ক্ষোভের হাত থেকে ব্রিটিশ শাসনকে রক্ষা করার জন্যই।  জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য (১) কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশন— উদ্দেশ্য ঘোষণা—বোম্বাইয়ের গোকুলদাস তেজপাল সংস্কৃত কলেজ হল জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে (১৮৮৫ খ্রি., ২৮ ডিসেম্বর) সভাপতির ভাষণে উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে চারটি মূল উদ্দেশ্যের কথা ঘোষণা করেছিলেন। এগুলি হল—   (i) ভাষাগত ও ধর্মীয় বৈচিত্রে ভরা ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের দেশপ্রেমীদের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও একাত্মতা গড়ে তোলা, (ii) সম্প্রীতির দ্বারা জাতি, ধর্ম, প্রাদেশিকতার তুচ্ছ সংকীর্ণতা দূর করে জাতীয় সংহতির পথ প্রশস্ত করা, (iii) শিক্ষিতদের সুচিন্তিত মতামত গ্রহণ করে সামাজিক ও অন্যান্য সমস্যা সমাধানের উপায় নির্ণয় করা, (iv) ভারতের রাজনৈতিক অগ্রগতির জন্য ভবিষ্যৎ কর্মসূচি গ্রহণ করা।

রামমোহন রায়কে কেন ‘ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ’ মনে করা হয় ?

ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ রাজা রামমোহন রায়ই প্রথম আধুনিক যুক্তিবাদী মনন ও ধর্মনিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কুসংস্কারমুক্ত সমাজ গঠন ও সংস্কারমুক্ত ধর্মপ্রচারের কথা বলেন। এ ছাড়া পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রতি তাঁর সমর্থন ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে তাঁর রাজনৈতিক বিচার–বিশ্লেষণ তাঁকে ‘প্রথম আধুনিক মানুষ’ অভিধায় ভূষিত করেছে। এ প্রসঙ্গে রামমোহন রায়ের মৃত্যুশতবর্ষে (১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দের ১৮ ফেব্রুয়ারি), রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এক ইংরেজি প্রবন্ধে লিখেছিলেন, “রামমোহন তাঁর আমলের বিশ্বের সমস্ত মানুষের মধ্যে ছিলেন একমাত্র ব্যক্তি, যিনি সম্পূর্ণরূপে আধুনিক যুগের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরেছিলেন”।  রামমোহন রায়–ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ    (১) সমাজসংস্কারের প্রথম উদ্যোগের জন্য—  ‘সতীদাহ’ প্রথা রোধের লক্ষ্যে রামমোহন রায় সমাজের বিশিষ্ট নাগরিকদের স্বাক্ষর সংবলিত এক আবেদনপত্র বড়োলাট উইলিয়াম বেন্টিঙ্কের কাছে পাঠান। বেন্টিঙ্ক রামমোহনের আবেদনে সাড়া দিয়ে ১৭ নং রেগুলেশন (Regulation–XVII) জারি করে সতীদাহ প্রথা রদ করেন। এ ছাড়াও তিনি বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, কৌলীন্য প্রথা, জাতিভেদ প্রথা, কন্যাপণ, গঙ্গাসাগ...

ষাঁড়াষাঁড়ি বান

ষাঁড়াষাঁড়ি বান              বর্ষাকালে স্বাভাবিক কারণেই নদীতে জলের পরিমাণ ও বেগ বেশি থাকে। এই সময় জোয়ারের জল নদীর    মোহানায় প্রবেশ করলে জোয়ার ও নদীস্রোত—এই বিপরীতমুখী দুই স্রোতের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এর ফলে নদীর জল প্রবল শব্দ সহকারে প্রচণ্ড স্ফীত হয়ে ওঠে।  

নদী উপত্যকা এবং হিমবাহ উপত্যকার মধ্যে পার্থক্য

  নদী উপত্যকা এবং হিমবাহ উপত্যকার মধ্যে পার্থক্য Sl. No. নদী উপত্যকা হিমবাহ উপত্যকা 1 মেরু প্রদেশের বরফাবৃত অঞ্চল এবং উষ্ণ ও শুষ্ক মরুভূমি অঞ্চল ছাড়া অন্যান্য অঞ্চলে নদী উপত্যকার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। কেবলমাত্র বরফে ঢাকা উঁচু পার্বত্য অঞ্চল এবং হিমশীতল মেরু অঞ্চলেই হিমবাহ উপত্যকার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। 2 পার্বত্য অঞ্চলে নদী উপত্যকা প্রধানত ইংরেজি ‘V’ অক্ষরের মতো হয়। হিমবাহ উপত্যকা ইংরেজি ‘U’ অক্ষরের মতো হয়। 3 পার্বত্য ও উচ্চ সমভূমি অঞ্চলে নদী স্রোতের গতিবেগ প্রবল হয়, নিম্নভূমিতে নদী স্রোতের গতি ধীরে ধীরে কমে আসে। বেশিরভাগ সময়েই হিমবাহ অত্যন্ত ধীরগতিতে প্রবাহিত হয়। 4 নদী উপত্যকা আঁকাবাঁকা পথে অগ্রসর হয়। হিমবাহ উপত্যকা সোজা পথে অগ্রসর হয়। 5 সাধারণত নদী উপত্যকার মোট দৈর্ঘ্য বেশি হয়। হিমবাহ উপত্যকার মোট দৈর্ঘ্য কম হয়। 6 নদীর সঞ্চয় কাজের ফলে নদী উপত্যকায় প্লাবনভূমি, স্বাভাবিক বাঁধ, বদ্বীপ প্রভৃতি ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়। ...

ভরা কোটাল ও মরা কোটালের পার্থক্য

  ভরা কোটাল ও মরা কোটালের পার্থক্য Sl. No. ভরা কোটাল মরা কোটাল 1 চাঁদ, পৃথিবী ও সূর্য একই সরল রেখায় অবস্থান করলে চাঁদ ও সূর্যের মিলিত আকর্ষণ পৃথিবীর একই স্থানের উপর কার্যকরী হয়, ফলে ভরা কোটালের সৃষ্টি হয়। চাঁদ, পৃথিবী ও সূর্য সমকোণী অবস্থানে থাকলে পৃথিবীর উপর চাঁদ ও সূর্যের আকর্ষণ পরস্পর বিপরীত ও বিরোধী হয়, ফলে মরা কোটালের সৃষ্টি হয়। 2 মানবজীবনের উপর ভরা কোটালে (নদী-মোহানা, নৌ-চলাচল, মাছ আহরণ ইত্যাদি)-র প্রভাব বেশি। মানবজীবনের উপর মরা কোটালের প্রভাব কম। 3 ভরা কোটাল হয় অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে। মরা কোটাল হয় শুক্ল ও কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে। 4 ভরা কোটালের ক্ষেত্রে সাগর-মহাসাগরের জলতল সবচেয়ে বেশী স্ফীত হয়। মরা কোটালের ক্ষেত্রে সাগর-মহাসাগরের জলতলের স্ফীতি সবচেয়ে কম হয়। 5 অমাবস্যা তিথিতে পৃথিবীর একই পাশে একই সরলরেখায় চাঁদ ও সূর্য অবস্থান করে। পূর্ণিমা তিথিতে সূর্য ও চাঁদের মাঝে পৃথিবী একই সরলরেখায় অবস্থান করে। কৃষ্ণ ও শুক্ল পক্ষের অষ্টমীত...

নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন

নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন আইন প্রবর্তনের কারণ ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে জাতীয়তাবাদী নাটক রচনা করে ব্রিটিশের শোষণ ও অপশাসনের বিরুদ্ধে জনমত সংগঠিত করার কাজ শুরু হয়। অমৃতলাল বসুর ‘চা–কর দর্পণ’, দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ নাটকে অত্যাচারী শ্বেতাঙ্গ সাহেবদের মুখোশ খুলে দেওয়া হয়। অমৃতলাল বসু ও উপেন্দ্রনাথ দাস ‘হনুমান চরিত’ নামক প্রহসন নাটকে ইংরেজের প্রতি ব্যঙ্গবিদ্রুপ প্রকাশ করেন। গ্রামেগঞ্জে ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাব সৃষ্টির কাজে নাটকগুলি সাফল্য পায়। সরকার দমনমূলক আইন জারি করে দেশাত্মবোধক নাটকের প্রচার বন্ধ করে দিতে উদ্যত হয়।

বার্খান

বার্খান             বায়ুর সঞ্চয়কাজের ফলে যেসব ভূমিরূপ গড়ে ওঠে তাদের মধ্যে বালিয়াড়ি বিশেষ উল্লেখযোগ্য।বালিয়াড়ির অন্যতম একটি বিশেষ শ্রেণি হল বাৰ্খান বা তির্যক বালিয়াড়ি। ‘বাৰ্খান’একটি তুর্কি শব্দ, এর অর্থ হল ‘কিরঘিজ স্টেপস্’ অঞ্চলের বালিয়াড়ি। উষ্ণ মরুভূমি অঞ্চলে বায়ুপ্রবাহের পথে আড়াআড়িভাবে গঠিত বালির স্তূপ বা বালিয়াড়িকে বাৰ্খান বলা হয়।

কেউ জলে ডুবে গেলে তার প্রাথমিক চিকিৎসা

  কেউ জলে ডুবে গেলে তার প্রাথমিক চিকিৎসা       জলের আর এক নাম জীবন, কিন্তু মাঝে মাঝে এই জলই আমাদের প্রাণনাশের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নৌকাডুবি, লঞ্চডুবি, জলের ঘূর্ণিতে পড়া, সাঁতার কাটতে গিয়ে কোনো সমস্যা হলে, বন্যা, চোরাবালি ইত্যাদি কারণে জলে ডোবার ঘটনা ঘটে থাকে।