Skip to main content

প্রস্তুতি শুরু করা যাক [খুব তাড়াতাড়ি আসছে]

WBSSC WBPSC WBPRB WBCS

সাম্প্রতিক পোস্ট

দশম শ্রেণী-ভৌতবিজ্ঞান-পরিবেশের জন্য ভাবনা-ভৌতবিজ্ঞান ও পরিবেশ-বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন

বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন। প্রতিটি প্রশ্নের চারটি করে বিকল্প উত্তর দেওয়া আছে। যেটি ঠিক সেটি লেখো: (প্রতিটি প্রশ্নের মান-1) UNIT 1. পরিবেশের জন্য ভাবনা 1.1  ভৌতবিজ্ঞান ও পরিবেশ Q1. গ্রিনহাউস গ্যাস হিসেবে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য কোন্ গ্যাসটির অবদান সবচেয়ে বেশি? (মাধ্যমিক ২০১৮) (a) N₂O (নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড) (b) CH4 (মিথেন) (c) CO₂ (কার্বন ডাই অক্সাইড) (d) H₂O বাম্প। Q 2. প্রদত্ত কোনটি ওজোন স্তরকে ক্ষয় করে না?  (মাধ্যমিক ২০২০) (a) NO (নাইট্রোজেন মনোক্সাইড) (b) N₂O (নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড) (c) CO₂ (কার্বন ডাই অক্সাইড) (d) CFC (ক্লোরোফ্লুরোকার্বন)

পশ্চিমবঙ্গের প্রধান শিক্ষা বোর্ডসমূহ [খুব তাড়াতাড়ি আসছে]

WBBPE WBBSE WBCHSE WBMSC

আঞ্চলিক ভূগোলের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর-ভারতের ভূপ্রকৃতি, নদনদী, জলবায়ু, স্বাভাবিক উদ্ভিদ ও মৃত্তিকা সেট-৩

ভারতের ভূপ্রকৃতি, নদনদী, জলবায়ু, স্বাভাবিক উদ্ভিদ ও মৃত্তিকা


প্রশ্ন:১
ভারতের একটি বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলের উদাহরণ দাও।

উত্তর: 
ভারতের একটি বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল হল—
(i) পশ্চিমঘাট পর্বতের পূর্বাংশ— দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আরবসাগরীয় শাখা পশ্চিমদিক থেকে প্রবাহিত হয়ে পশ্চিম উপকূলের পশ্চিমঘাট পর্বতমালায় বাধা পেয়ে পর্বতের পশ্চিম ঢালে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়। কিন্তু, এই বায়ু যখন পশ্চিমঘাট পর্বত অতিক্রম করে পর্বতের পূর্ব ঢালে পৌছায় তখন বায়ুতে জলীয়বাষ্পের অভাবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হ্রাস পায়, ও বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলের সৃষ্টি করে।


প্রশ্ন:২
বরদৈছিলা ও আম্রবৃষ্টি কাকে বলে ?

উত্তর: 
গ্রীষ্মকালে অধিক উষ্ণতাজনিত কারণে স্থান বিশেষে গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। এই নিম্নচাপকে কেন্দ্র করে ঝড়বৃষ্টি হয়। এই ধরনের প্রবল ঝড়বৃষ্টিকে অসমে বরদৈছিলা এবং দক্ষিণ ভারতে ‘আম্রবৃষ্টি’ বলে।


প্রশ্ন:৩
‘নরওয়েস্টার’ (Nor-Wester)  কী ?

উত্তর: 
গ্রীষ্মকালে পশ্চিমবঙ্গে যে ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয় তা উত্তর-পশ্চিমদিক (Nor-North, Wester-Western) থেকে আসে বলে এই ধরনের ঝড়কে ‘নরওয়েস্টার’ বলে। এর গতিবেগ ঘন্টায় ৬০-৮০ কিমি। এই কালবৈশাখী ঝড় পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া অসম, বাংলাদেশ প্রভৃতি অঞ্চলে মূলত গ্রীষ্মকালে বিকেলবেলায় ঘটে থাকে। এর ফলে স্থানীয় উষ্ণতা একলাফে ১০°-১৫° সেন্টিগ্রেড কমে যায়।


প্রশ্ন:৪
বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল কী ? উদাহরণ দাও।

উত্তর: 
আর্দ্র জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু পর্বতের যে ঢালে এসে বাধাপ্রাপ্ত হয় সেই ঢালে প্রচুর শৈলােৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত ঘটে। কিন্তু, ওই বায়ু যখন পর্বত অতিক্রম করে পর্বতের বিপরীত ঢালে (অনুবাত ঢালে) এসে পৌছায় তখন বায়ুতে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ কমে যায়। এ ছাড়া বায়ু পর্বতের ঢাল বরাবর উপর থেকে নীচের দিকে নামার সময় বায়ুর উষ্ণতা বৃদ্ধি পায় এবং বায়ুর জলীয়বাষ্প ধারণ করার ক্ষমতা বেড়ে যায়। ফলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হ্রাস পায়।পর্বতের বিপরীত বা অনুবাত ঢালে এইরকম কম বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলকে বৃষ্টিচছায় (Rain Shadow) অঞ্চল বলে। যেমন—পশ্চিমঘাট পর্বতের পূর্ব ঢাল ভারতের একটি বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল।


প্রশ্ন:৫
‘আঁধি’ ও ‘লু’ কী ?

উত্তর: 
গ্রীষ্মকালে উত্তর-পশ্চিম ভারতে বিশেষ করে পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় যে ধূলিঝড় প্রবাহিত হয় তাকে ‘আঁধি’ বলে। গ্রীষ্মকালে দুপুরে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব ভারতে (বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশ, রাজদ্বান ও বিহার ) হঠং করে উষ্ণতা বৃদ্ধি পেলে উষ্ণ বায়ুপ্রবাহ প্রবাহিত হয়। এই ধরনের বায়ুপ্রবাহকে ‘লু’ বলে।


প্রশ্ন:৬
‘Cherry Blossoms’ ?

উত্তর: 
গ্রীষ্মকালে স্থানীয় গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টির ফলে দক্ষিণ ভারতে যে ঝড়বৃষ্টি হয়, তার প্রভাবে কর্ণাটকের কফি চাষের বিশেষ উপকার হয় বলে, এই ধরনের বৃষ্টিপাতকে কর্ণাটকে ‘Cherry Blossoms’ বলে।


প্রশ্ন:৭
পশ্চিমবঙ্গের একটি খরাপ্রবণ অঞ্চলের নাম করাে।

উত্তর: 
বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলার অন্তর্গত পশ্চিমের ক্ষয়প্রাপ্ত মালভূমি হল পশ্চিমবঙ্গের একটি প্রধান খরাপ্রবণ অঞ্চল।


প্রশ্ন:৮
ভারতের কোন্ কোন্ অঞ্চলে বছরে দুবার বৃষ্টিপাত সংঘটিত হয় ?

উত্তর: 
ভারতে প্রধানত দুটি অঞ্চলে বছরে দুবার বৃষ্টিপাত সংঘটিত হয়—(i) করমণ্ডল উপকূল— দক্ষিণ ভারতের করমণ্ডল উপকূলে বর্ষাকালে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এবং শীতের প্রারম্ভে শরৎকালে প্রত্যাবর্তন মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত সংঘটিত হয়। (ii) উত্তর-পশ্চিম ভারত—উত্তর-পশ্চিম ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি প্রভৃতি রাজ্যে বর্ষাকালে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এবং শীতকালে পশ্চিমা-ঝঞ্ঝার প্রভাবে বৃষ্টিপাত সংঘটিত হয়।


প্রশ্ন:৯
ভারতের উপকূলবর্তী অঞ্চলে জলবায়ুর প্রকৃতি কেমন ?

উত্তর: 
ভারতের উপকূলের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে জলবায়ু সমভাবাপন্ন অর্থাৎ, শীত ও গ্রীষ্মের মধ্যে তাপমাত্রার পার্থক্য কম। যেমন—মুম্বই।


প্রশ্ন:১০
প্রত্যাবর্তনকারী দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু কী ?

উত্তর: 
সূর্যের দক্ষিণায়নের ফলে উত্তর-পশ্চিম ভারতের নিম্নচাপ কেন্দ্রটি ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ে এবং উষ্ণতা হ্রাস পাওয়ায় সেখানে উচ্চচাপ কেন্দ্রের সৃষ্টি হয়। এই উচ্চচাপ কেন্দ্র থেকে নির্গত শীতল বায়ু (উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু) দক্ষিণে অগ্রসর হয়ে দুর্বল দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুকে পশ্চাদপসরণ করতে বাধ্য করে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর এই পশ্চাদপসরণকে প্রত্যাবর্তনকারী দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বলে।

Comments

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (১৮৭৮ খ্রি.)

দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন প্রবর্তন সাম্রাজ্যবাদী গভর্নর–জেনারেল লর্ড লিটন দেশীয় পত্রপত্রিকার কণ্ঠরোধ করার সিদ্ধান্ত নেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন (Vernacular Press Act, 1878) জারি করেন। পটভূমি ঊনবিংশ শতকে দেশীয় সংবাদপত্রগুলিতে সরকারি কর্মচারীদের অন্যায় আচরণ, অর্থনৈতিক শোষণ, দেশীয় সম্পদের বহির্গমন, দেশীয় শিল্পের অবক্ষয় ইত্যাদি নানা বিষয় তুলে ধরা হয়। ইতিহাসবিদ এ.আর.দেশাইয়ের মতে, “ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিকাশে সংবাদপত্র হল এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম”।

ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য

  ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘর্ণবাত-এর পার্থক্য Sl. No. ঘূর্ণবাত প্রতীপ ঘূর্ণবাত 1 ঘূর্ণবাতের নিম্নচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর উচ্চচাপ বলয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের উচ্চচাপ কেন্দ্রের চারিদিকে থাকে বায়ুর নিম্নচাপ বলয়। 2 নিম্নচাপ কেন্দ্রে বায়ু উষ্ণ, হালকা ও ঊর্ধ্বগামী হয়। উচ্চচাপ কেন্দ্রে বায়ু শীতল, ভারী ও নিম্নগামী হয়। 3 ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে, ফলে বিস্তীর্ণ অঞ্চল অল্প সময়ে প্রভাবিত হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে না। 4 ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে এবং বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হয়। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের প্রভাবে আকাশ মেঘমুক্ত থাকে। বৃষ্টিপাত ও ঝড়-ঝঞ্ঝা ঘটে না। মাঝেমাঝে তুষারপাত ও কুয়াশার সৃষ্টি হয়৷ 5 ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে নিম্নচাপ বিরাজ করে। প্রতীপ ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে উচ্চচাপ বিরাজ করে। 6 চারিদিক থেকে ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রের দিকে বায়ু ছুটে আসে অর্থাৎ বায়ুপ্রবাহ কেন্দ্রমুখী। প্রতীপ ঘূর্ণবাতে কেন...

জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যগুলি কী ছিল ?

জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যগুলি কী ছিল      ভারতীয় জাতীয় রাজনীতিতে জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল মূলত ভারতবাসীর আশা–আকাঙ্ক্ষা পূরণ ও ব্রিটিশবিরোধী ক্ষোভের হাত থেকে ব্রিটিশ শাসনকে রক্ষা করার জন্যই।  জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য (১) কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশন— উদ্দেশ্য ঘোষণা—বোম্বাইয়ের গোকুলদাস তেজপাল সংস্কৃত কলেজ হল জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে (১৮৮৫ খ্রি., ২৮ ডিসেম্বর) সভাপতির ভাষণে উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে চারটি মূল উদ্দেশ্যের কথা ঘোষণা করেছিলেন। এগুলি হল—   (i) ভাষাগত ও ধর্মীয় বৈচিত্রে ভরা ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের দেশপ্রেমীদের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও একাত্মতা গড়ে তোলা, (ii) সম্প্রীতির দ্বারা জাতি, ধর্ম, প্রাদেশিকতার তুচ্ছ সংকীর্ণতা দূর করে জাতীয় সংহতির পথ প্রশস্ত করা, (iii) শিক্ষিতদের সুচিন্তিত মতামত গ্রহণ করে সামাজিক ও অন্যান্য সমস্যা সমাধানের উপায় নির্ণয় করা, (iv) ভারতের রাজনৈতিক অগ্রগতির জন্য ভবিষ্যৎ কর্মসূচি গ্রহণ করা।

রামমোহন রায়কে কেন ‘ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ’ মনে করা হয় ?

ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ রাজা রামমোহন রায়ই প্রথম আধুনিক যুক্তিবাদী মনন ও ধর্মনিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কুসংস্কারমুক্ত সমাজ গঠন ও সংস্কারমুক্ত ধর্মপ্রচারের কথা বলেন। এ ছাড়া পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রতি তাঁর সমর্থন ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে তাঁর রাজনৈতিক বিচার–বিশ্লেষণ তাঁকে ‘প্রথম আধুনিক মানুষ’ অভিধায় ভূষিত করেছে। এ প্রসঙ্গে রামমোহন রায়ের মৃত্যুশতবর্ষে (১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দের ১৮ ফেব্রুয়ারি), রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এক ইংরেজি প্রবন্ধে লিখেছিলেন, “রামমোহন তাঁর আমলের বিশ্বের সমস্ত মানুষের মধ্যে ছিলেন একমাত্র ব্যক্তি, যিনি সম্পূর্ণরূপে আধুনিক যুগের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরেছিলেন”।  রামমোহন রায়–ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ    (১) সমাজসংস্কারের প্রথম উদ্যোগের জন্য—  ‘সতীদাহ’ প্রথা রোধের লক্ষ্যে রামমোহন রায় সমাজের বিশিষ্ট নাগরিকদের স্বাক্ষর সংবলিত এক আবেদনপত্র বড়োলাট উইলিয়াম বেন্টিঙ্কের কাছে পাঠান। বেন্টিঙ্ক রামমোহনের আবেদনে সাড়া দিয়ে ১৭ নং রেগুলেশন (Regulation–XVII) জারি করে সতীদাহ প্রথা রদ করেন। এ ছাড়াও তিনি বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, কৌলীন্য প্রথা, জাতিভেদ প্রথা, কন্যাপণ, গঙ্গাসাগ...

ষাঁড়াষাঁড়ি বান

ষাঁড়াষাঁড়ি বান              বর্ষাকালে স্বাভাবিক কারণেই নদীতে জলের পরিমাণ ও বেগ বেশি থাকে। এই সময় জোয়ারের জল নদীর    মোহানায় প্রবেশ করলে জোয়ার ও নদীস্রোত—এই বিপরীতমুখী দুই স্রোতের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এর ফলে নদীর জল প্রবল শব্দ সহকারে প্রচণ্ড স্ফীত হয়ে ওঠে।  

নদী উপত্যকা এবং হিমবাহ উপত্যকার মধ্যে পার্থক্য

  নদী উপত্যকা এবং হিমবাহ উপত্যকার মধ্যে পার্থক্য Sl. No. নদী উপত্যকা হিমবাহ উপত্যকা 1 মেরু প্রদেশের বরফাবৃত অঞ্চল এবং উষ্ণ ও শুষ্ক মরুভূমি অঞ্চল ছাড়া অন্যান্য অঞ্চলে নদী উপত্যকার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। কেবলমাত্র বরফে ঢাকা উঁচু পার্বত্য অঞ্চল এবং হিমশীতল মেরু অঞ্চলেই হিমবাহ উপত্যকার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। 2 পার্বত্য অঞ্চলে নদী উপত্যকা প্রধানত ইংরেজি ‘V’ অক্ষরের মতো হয়। হিমবাহ উপত্যকা ইংরেজি ‘U’ অক্ষরের মতো হয়। 3 পার্বত্য ও উচ্চ সমভূমি অঞ্চলে নদী স্রোতের গতিবেগ প্রবল হয়, নিম্নভূমিতে নদী স্রোতের গতি ধীরে ধীরে কমে আসে। বেশিরভাগ সময়েই হিমবাহ অত্যন্ত ধীরগতিতে প্রবাহিত হয়। 4 নদী উপত্যকা আঁকাবাঁকা পথে অগ্রসর হয়। হিমবাহ উপত্যকা সোজা পথে অগ্রসর হয়। 5 সাধারণত নদী উপত্যকার মোট দৈর্ঘ্য বেশি হয়। হিমবাহ উপত্যকার মোট দৈর্ঘ্য কম হয়। 6 নদীর সঞ্চয় কাজের ফলে নদী উপত্যকায় প্লাবনভূমি, স্বাভাবিক বাঁধ, বদ্বীপ প্রভৃতি ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়। ...

ভরা কোটাল ও মরা কোটালের পার্থক্য

  ভরা কোটাল ও মরা কোটালের পার্থক্য Sl. No. ভরা কোটাল মরা কোটাল 1 চাঁদ, পৃথিবী ও সূর্য একই সরল রেখায় অবস্থান করলে চাঁদ ও সূর্যের মিলিত আকর্ষণ পৃথিবীর একই স্থানের উপর কার্যকরী হয়, ফলে ভরা কোটালের সৃষ্টি হয়। চাঁদ, পৃথিবী ও সূর্য সমকোণী অবস্থানে থাকলে পৃথিবীর উপর চাঁদ ও সূর্যের আকর্ষণ পরস্পর বিপরীত ও বিরোধী হয়, ফলে মরা কোটালের সৃষ্টি হয়। 2 মানবজীবনের উপর ভরা কোটালে (নদী-মোহানা, নৌ-চলাচল, মাছ আহরণ ইত্যাদি)-র প্রভাব বেশি। মানবজীবনের উপর মরা কোটালের প্রভাব কম। 3 ভরা কোটাল হয় অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে। মরা কোটাল হয় শুক্ল ও কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে। 4 ভরা কোটালের ক্ষেত্রে সাগর-মহাসাগরের জলতল সবচেয়ে বেশী স্ফীত হয়। মরা কোটালের ক্ষেত্রে সাগর-মহাসাগরের জলতলের স্ফীতি সবচেয়ে কম হয়। 5 অমাবস্যা তিথিতে পৃথিবীর একই পাশে একই সরলরেখায় চাঁদ ও সূর্য অবস্থান করে। পূর্ণিমা তিথিতে সূর্য ও চাঁদের মাঝে পৃথিবী একই সরলরেখায় অবস্থান করে। কৃষ্ণ ও শুক্ল পক্ষের অষ্টমীত...

নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন

নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন আইন প্রবর্তনের কারণ ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে জাতীয়তাবাদী নাটক রচনা করে ব্রিটিশের শোষণ ও অপশাসনের বিরুদ্ধে জনমত সংগঠিত করার কাজ শুরু হয়। অমৃতলাল বসুর ‘চা–কর দর্পণ’, দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ নাটকে অত্যাচারী শ্বেতাঙ্গ সাহেবদের মুখোশ খুলে দেওয়া হয়। অমৃতলাল বসু ও উপেন্দ্রনাথ দাস ‘হনুমান চরিত’ নামক প্রহসন নাটকে ইংরেজের প্রতি ব্যঙ্গবিদ্রুপ প্রকাশ করেন। গ্রামেগঞ্জে ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাব সৃষ্টির কাজে নাটকগুলি সাফল্য পায়। সরকার দমনমূলক আইন জারি করে দেশাত্মবোধক নাটকের প্রচার বন্ধ করে দিতে উদ্যত হয়।

বার্খান

বার্খান             বায়ুর সঞ্চয়কাজের ফলে যেসব ভূমিরূপ গড়ে ওঠে তাদের মধ্যে বালিয়াড়ি বিশেষ উল্লেখযোগ্য।বালিয়াড়ির অন্যতম একটি বিশেষ শ্রেণি হল বাৰ্খান বা তির্যক বালিয়াড়ি। ‘বাৰ্খান’একটি তুর্কি শব্দ, এর অর্থ হল ‘কিরঘিজ স্টেপস্’ অঞ্চলের বালিয়াড়ি। উষ্ণ মরুভূমি অঞ্চলে বায়ুপ্রবাহের পথে আড়াআড়িভাবে গঠিত বালির স্তূপ বা বালিয়াড়িকে বাৰ্খান বলা হয়।

কেউ জলে ডুবে গেলে তার প্রাথমিক চিকিৎসা

  কেউ জলে ডুবে গেলে তার প্রাথমিক চিকিৎসা       জলের আর এক নাম জীবন, কিন্তু মাঝে মাঝে এই জলই আমাদের প্রাণনাশের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নৌকাডুবি, লঞ্চডুবি, জলের ঘূর্ণিতে পড়া, সাঁতার কাটতে গিয়ে কোনো সমস্যা হলে, বন্যা, চোরাবালি ইত্যাদি কারণে জলে ডোবার ঘটনা ঘটে থাকে।