নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও। অথবা, একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। অথবা, নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও। উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়। এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়। নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা: পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...
উদ্ভিদ ও প্রাণীর গঠনগত অঙ্গসংস্থান
প্রশ্ন:১
নীরস ফল ও রসাল ফল কাকে বলে ?
উত্তর:
যে ফল শুস্ক প্রকৃতির তাকে নীরস ফল এবং যে ফলের ফলত্বক রসালাে ও শাঁসালাে হয়, তাকে রসাল ফল বলে। ধান নীরস এবং আম রসাল ফল।
প্রশ্ন:২
বেলুন পদ্ধতিতে কীভাবে বীজ বিস্তার লাভ করে ?
উত্তর:
টেপারি, শিবঝুল প্রভৃতি ফলের বৃতি ফলটিকে সম্পূর্ণভাবে ঢেকে রাখে। বৃতি ও ফলের মধ্যবর্তী অংশ বায়ুপূর্ণ হওয়ায় ফলগুলি বেলুনের মতাে ভেসে স্থানান্তরিত হয়।
প্রশ্ন:৩
প্রকৃত ফল ও অপ্রকৃত ফল কাকে বলে ?
উত্তর:
ডিম্বাশয় কেবলমাত্র ফলে পরিণত হলে তাকে প্রকৃত ফল বলে। যেমন—আম, জাম ইত্যাদি। অপরপক্ষে যখন ডিম্বাশয় এবং ফুলের এক বা একাধিক স্তবক ফল গঠনে অংশ নেয়, তখন সেই প্রকার ফলকে অপ্রকৃত ফল বলে।
যেমন—আপেল, চালতা।
প্রশ্ন:৪
একবীজপত্রী, দ্বিবীজপত্রী ও বহুবীজপত্রী বীজ কাকে বলে ?
উত্তর:
👉যেসব বীজে একটিমাত্র বীজপত্র থাকে তাকে একবীজপত্রী বীজ বলে।
যেমন—ধান, গম।
👉যেসব বীজে দুটি বীজপত্র থাকে তাকে দ্বিবীজপত্রী বীজ বলে।
যেমন—মটর, ছােলা।
👉যেসব বীজে দুটির অধিক বীজপত্র থাকে তাকে বহুবীজপত্রী বীজ বলে।
যেমন—পাইন।
প্রশ্ন:৫
গুচ্ছিত ফল কাকে বলে ?
উত্তর:
একটি ফুলের মুক্তগর্ভপত্রী প্রতিটি ডিম্বাশয় থেকে একটি করে ফল যখন গুচ্ছাকারে উৎপন্ন হয়, তখন তাকে গুচ্ছিত ফল বলে।
যেমন—আতা, স্ট্রবেরি ইত্যাদি।
প্রশ্ন:৬
ধুনুচি পদ্ধতিতে কীভাবে বীজ বিস্তার লাভ করে ?
উত্তর:
পােস্ত, শেয়ালকাঁটা প্রভৃতি ফলের শীর্ষদেশে অবস্থিত ধুনুচির মতাে অসংখ্য ছিদ্র থাকে। পরিণত ফলগুলি থেকে বীজ ওই ছিদ্রপথে নির্গত হয়ে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রশ্ন:৭
যৌগিক ফল কাকে বলে ?
উত্তর:
যখন সমগ্র পুষ্পমঞ্জরি পরিবর্তিত হয়ে একটি ফলে পরিণত হয়, তখন তাকে যৌগিক ফল বলে। যেমন—কাঁঠাল, আনারস।
প্রশ্ন:৮
সস্যল ও অসস্যল বীজ কাকে বলে ?
উত্তর:
যেসব বীজে সস্য উপস্থিত তাকে সস্যল বীজ এবং যেসব বীজে সস্য থাকে না তাকে অসস্যল বীজ বলে। ভুট্টা, রেড়ি সস্যল বীজ; মটর, ছােলা অসস্যল বীজ।
প্রশ্ন:৯
বিদারী ও অবিদারী ফল কাকে বলে ?
উত্তর:
যে নীরস ফলগুলি ফেটে বীজগুলিকে বাইরে নিক্ষিপ্ত করে তাকে বিদারী ফল বলে এবং যে নীরস ফলগুলি ফাটে না, বীজ ফলের মধ্যেই অবস্থান করে তাকে অবিদারী ফল বলে। ঢ্যাঁড়শ বিদারী ফল; ধান, গম অবিদারী ফুল।
প্রশ্ন:১০
সরল ফল কাকে বলে ?
উত্তর:
একটি ফুলের এক বা একাধিক যুক্তগর্ভপত্ৰী ডিম্বাশয় থেকে উৎপন্ন একক ফলকে সরল ফল বলে।
যেমন—আম, মটর, ধান ইত্যাদি।
Comments
Post a Comment