বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন। প্রতিটি প্রশ্নের চারটি করে বিকল্প উত্তর দেওয়া আছে। যেটি ঠিক সেটি লেখো: (প্রতিটি প্রশ্নের মান-1) UNIT 1. পরিবেশের জন্য ভাবনা 1.1 ভৌতবিজ্ঞান ও পরিবেশ Q1. গ্রিনহাউস গ্যাস হিসেবে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য কোন্ গ্যাসটির অবদান সবচেয়ে বেশি? (মাধ্যমিক ২০১৮) (a) N₂O (নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড) (b) CH4 (মিথেন) (c) CO₂ (কার্বন ডাই অক্সাইড) (d) H₂O বাম্প। Q 2. প্রদত্ত কোনটি ওজোন স্তরকে ক্ষয় করে না? (মাধ্যমিক ২০২০) (a) NO (নাইট্রোজেন মনোক্সাইড) (b) N₂O (নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড) (c) CO₂ (কার্বন ডাই অক্সাইড) (d) CFC (ক্লোরোফ্লুরোকার্বন)
নদী হিমবাহ ও বায়ুর কাজ
প্রশ্ন:১
হিমরেখা কাকে বলে ?
হিমরেখা কাকে বলে ?
উত্তর:
ভূপৃষ্ঠে যে সীমারেখার ঊর্ধ্বে সর্বদা বরফ জমে থাকে এবং যে সীমারেখার নীচে বরফ গলে যায় তাকে হিমরেখা বলে। ভূবিজ্ঞানী মঙ্খাউস-এর মতে, ‘সর্বদা বরফাচ্ছাদিত অঞ্চলের নিম্নতম প্রান্তকে হিমরেখা বলে।’
প্রশ্ন:২
প্যাটারনস্টার হ্রদ কাকে বলে ?
প্রশ্ন:২
প্যাটারনস্টার হ্রদ কাকে বলে ?
উত্তর:
উপত্যকা হিমবাহের দ্বারা অসম ক্ষয়ের ফলে অনেকসময় পার্বত্য ঢালে সিঁড়ির মতাে ধাপের সৃষ্টি হয়। ধাপগুলির ঢাল পর্বতের পাদদেশের দিকে না হয়ে পর্বতচূড়ার দিকে হলে, ধাপগুলিতে বরফগলা জল জমে উল্লম্বভাবে সারিবদ্ধ হ্রদের সৃষ্টি করে। এরূপ সারিবদ্ধ হ্রদকেই প্যাটারনস্টার হ্রদ বলে।
প্রশ্ন:৩
প্রশ্ন:৩
পৃথিবীর বৃহত্তম ও গভীরতম গিরিখাতের নাম করাে।
উত্তর:
পৃথিবীর বৃহত্তম গিরিখাত হল কলােরাডাে নদীর গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন এবং গভীরতম গিরিখাত হল পেরুর কল্কা নদীর গিরিখাত।
প্রশ্ন:৪
হিমানী সম্প্রপাত বলতে কী বােঝাে ?
প্রশ্ন:৪
হিমানী সম্প্রপাত বলতে কী বােঝাে ?
উত্তর:
উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে উপত্যকা হিমবাহ খাড়া ঢাল বরাবর প্রবাহিত হলে, হিমবাহের সম্মুখভাগ মূল হিমবাহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে, মাধ্যাকর্ষণের টানে প্রবল গতিতে নীচে এসে পড়ে। খণ্ডিত হিমবাহের বিধ্বংসী পতনকেই হিমানী সম্প্রপাত বলে।
প্রশ্ন:৫
ক্যানিয়ন কী ?
প্রশ্ন:৫
ক্যানিয়ন কী ?
উত্তর:
শুষ্ক মরু বা মরুপ্রায় অঞ্চলের সংকীর্ণ ও গভীর গিরিখাতকে ক্যানিয়ন বলে। উদাহরণ—ক্যালিফোর্নিয়ার মরু অঞ্চলে কলােরাডাে নদীর গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন।
প্রশ্ন:৬
হিমশৈল কী ?
প্রশ্ন:৬
হিমশৈল কী ?
উত্তর:
উচ্চ অক্ষাংশে মহাদেশীয় হিমবাহগুলির প্রান্তভাগ জলের ঊর্ধ্বচাপ, সমুদ্রস্রোত ও বায়ুপ্রবাহের ফলে মূল হিমবাহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সমুদ্রের জলে ভাসতে ভাসতে স্রোতের অনুকূলে এগিয়ে চলে। এরূপ সমুদ্রে ভাসমান ও চলমান বরফের স্তূপকেই হিমশৈল বলে।
প্রশ্ন:৭
সিরাক কাকে বলে ?
প্রশ্ন:৭
সিরাক কাকে বলে ?
উত্তর:
তুষারপাতের ফলে হিমবাহের প্রবাহপথে অনেকসময় গভীর খাদের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীকালে অবশিষ্ট বরফ ওই খাদের পাশে জমা হয়ে উঁচু চূড়ার মতাে অবস্থান করে। স্তূপাকৃতি ওই অংশকে সিরাক বলে।
প্রশ্ন:৮
হিমবাহের সংজ্ঞা দাও।
প্রশ্ন:৮
হিমবাহের সংজ্ঞা দাও।
উত্তর:
নির্দিষ্ট খাত বা উপত্যকা বরাবর ভূমির ঢাল অনুসারে, মাধ্যাকর্ষণ বলের প্রভাবে খুব ধীরগতিতে চলমান বরফের স্তূপকে হিমবাহ বলে। হিমবাহ বিজ্ঞানী ফ্লিন্ট-এর মতে, ‘হিমবাহ হল এক বিশাল আকৃতির বরফের স্তূপ—যা প্রধানত তুষার জমার ফলে সৃষ্টি হয়ে বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে অবস্থান করছে এবং গতিশীল অবস্থায় রয়েছে বা কোনাে এক সময়ে গতিশীল ছিল।
প্রশ্ন:৯
হিমযুগ বলতে কী বােঝাে ?
প্রশ্ন:৯
হিমযুগ বলতে কী বােঝাে ?
উত্তর:
হিমযুগ হল বিশেষ একটি ভূতাত্ত্বিক সময়, যখন বিভিন্ন কারণে (সৌরবিকিরণের পরিমাণ হ্রাস, বায়ুমণ্ডলে CO2-এর পরিমাণ হ্রাস বা বায়ুমণ্ডলে ধূলিকণার পরিমাণ হ্রাস) সমগ্র পৃথিবীর অধিকাংশ স্থান বরফে আচ্ছাদিত থাকে। দুটি হিমযুগের মধ্যবর্তী সময়কে অন্তর্বর্তী হিমযুগ বলে।
প্রশ্ন:১০
দোয়াব কাকে বলে ?
প্রশ্ন:১০
দোয়াব কাকে বলে ?
উত্তর:
দুটি নদীর মধ্যবর্তী উঁচু অঞ্চলকে দোয়াব বলে। অর্থাৎ, দুটি প্রধান নদী বা একটি প্রধান নদী ও তার উপনদী পাশাপাশি প্রবাহিত হলে তাদের মধ্যবর্তী স্থানে পলি সঞ্চিত হয়ে যে উচ্চ ভূমিরূপের সৃষ্টি হয় তাকে দোয়াব বলে।

Comments
Post a Comment