নদীর উচ্চপ্রবাহে ক্ষয়কার্যের ফলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তার বর্ণনা দাও। অথবা, একটি আদর্শ নদীর বিভিন্ন ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। অথবা, নদীপ্রবাহের যে-কোনও একটি অংশে নদীর কার্যের বিবরণ দাও। উচ্চপ্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয় করা। এর সঙ্গে বহন ও অতি সামান্য পরিমান সঞ্চয়কার্য ও করে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে এই অংশে নদীপথের ঢাল খুব বেশি হয়, ফলে নদীর স্রোতও খুব বেশি হয়। স্বভাবতই পার্বত্য অঞ্চলে নদী তার প্রবল জলস্রোতের সাহায্যে কঠিন পাথর বা শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়জাত পদার্থ ও প্রস্তরখণ্ডকে সবেগে বহনও করে। উচ্চ প্রবাহে নদীর এই ক্ষয়কার্য প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা সম্পন্ন হয়। এই প্রক্রিয়া গুলি হলো - অবঘর্ষ ক্ষয়, ঘর্ষণ ক্ষয়, জলপ্রবাহ ক্ষয় ও দ্রবণ ক্ষয়। নদীর ক্ষয়কাজের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, যেমন: (১) ইংরেজি "।" এবং "V" অক্ষরের মতো নদী উপত্যকা: পার্বত্য গতিপথের প্রথম অবস্থায় প্রবল বেগে নদী তার গতিপথের ...
জাতীয় আন্দোলনের প্রথম যুগ
প্রশ্ন:১
বিংশ শতকের প্রথম পর্বে যে নেতৃবৃন্দকে ‘চরমপন্থী ত্রয়ী’ বলা হত, তাঁদের নাম কী ?
বিংশ শতকের প্রথম পর্বে যে নেতৃবৃন্দকে ‘চরমপন্থী ত্রয়ী’ বলা হত, তাঁদের নাম কী ?
উত্তর:
বিংশ শতাব্দীর প্রথম পর্বে যে নেতৃবৃন্দকে ‘চরমপন্থী ত্রয়ী’ বলা হত তাঁরা হলেন -
⮞বালগঙ্গাধর তিলক (১৮৫৬-১৯২০ খ্রিস্টাব্দ),
⮞বিপিনচন্দ্র পাল (১৮৫৮-১৯৩২ খ্রিস্টাব্দ) এবং
⮞লালা লাজপত রায় (১৮৬৫-১৯২৮ খ্রিস্টাব্দ)।
তাঁদের একত্রে লাল-বাল-পাল বলে অভিহিত করা হত।
প্রশ্ন:২
নরমপন্থীদের শাসনতান্ত্রিক সংস্কার নিয়ে যে-কোনাে দুটি দাবি উল্লেখ করাে।
উত্তর:
নরমপন্থীদের শাসনতান্ত্রিক দুটি দাবি ছিল—
(১) ভারত সচিবের দপ্তরের পরিবর্তে কমন্স সভায় একটি স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠন।
(২) শাসনবিভাগ ও বিচারবিভাগের পৃথকীকরণ এবং জুরিব্যবস্থার সম্প্রসারণ।
প্রশ্ন:৩
কংগ্রেসের প্রথম যুগের ‘আবেদন-নিবেদন’ নীতি কী ?
উত্তর:
নরমপন্থীরা ব্রিটিশের বিভিন্ন নীতির সমালােচনা করার পাশাপাশি সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য যে আপস মীমাংসা নীতি মেনে চলেন তা কংগ্রেসের প্রথম যুগের আবেদন-নিবেদন নীতি নামে পরিচিত।
প্রশ্ন:৪
রাওলাট আইন কার নাম অনুসারে প্রবর্তিত হয় ? এই আইনের বিরুদ্ধে ভারতীয়রা প্রতিবাদী হয়ে উঠেছিল কেন ?
উত্তর:
‘রাওলাট আইন’ স্যার সিডনি রাওলাটের নামে প্রবর্তিত হয়।
এই আইনের দ্বারা ব্রিটিশবিরােধী কাজে লিপ্ত সন্দেহে কোনাে ব্যক্তিকে বিনা পরােয়ানায় বা বিনা বিচারে আটক রাখার ব্যবস্থা করা হলে ভারতবাসী প্রতিবাদী হয়ে উঠেছিল।
এই আইনের দ্বারা ব্রিটিশবিরােধী কাজে লিপ্ত সন্দেহে কোনাে ব্যক্তিকে বিনা পরােয়ানায় বা বিনা বিচারে আটক রাখার ব্যবস্থা করা হলে ভারতবাসী প্রতিবাদী হয়ে উঠেছিল।
প্রশ্ন:৫
কংগ্রেসের ‘নরমপন্থী’ ও ‘চরমপন্থী’ কাদের বলা হত ?
উত্তর:
আবেদন-নিবেদনের মাধ্যমে অধিকার আদায়ের পক্ষপাতী কংগ্রেসের আদিপর্বের নেতৃবৃন্দকে নরমপন্থী বলা হত। অপরপক্ষে যারা সক্রিয় আন্দোলনের মাধ্যমে অধিকার আদায়ের পক্ষপাতী ছিলেন তাঁদের চরমপন্থী বলা হত।
প্রশ্ন:৬
দুজন চরমপন্থী ও দুজন নরমপন্থী নেতার নাম করাে।
উত্তর:
দুজন চরমপন্থী নেতার নাম বালগঙ্গাধর তিলক ও লালা লাজপত রায়।
দুজন নরমপন্থী নেতার নাম সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও আনন্দমােহন বসু।
প্রশ্ন:৭
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নরমপন্থী ও চরমপন্থী গােষ্ঠীর মতবিরােধের প্রধান কারণ উল্লেখ করাে।
উত্তর:
নরমপন্থীরা ব্রিটিশের কাছে আবেদন-নিবেদন নীতির মাধ্যমে দেশবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে চাইলেও চরমপন্থীগণ আত্মনির্ভরশীল হয়ে পূর্ণ স্বরাজলাভে বিশ্বাসী ছিলেন।
প্রশ্ন:৮
জাতীয় কংগ্রেসের সুরাট বিভাজনের মূল গুরুত্ব কী ?
উত্তর:
সুরাট অধিবেশনে নরমপন্থী ও চরমপন্থীদের মতবিরােধ চরমে উঠলে চরমপন্থীরা অধিবেশন বয়কট করে এবং কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে যায়। এর ফলে কংগ্রেস দুর্বল হয়ে পড়ে।
প্রশ্ন:৯
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা কবে হয় ? জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম সভাপতি কে ছিলেন ?
উত্তর:
১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা হয়।জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম সভাপতি ছিলেন উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রশ্ন:১০
‘অস্ত্র আইন’ কবে পাস হয় ? এই আইনটি কী ?
উত্তর:
লর্ড লিটন ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে অস্ত্র আইন পাস করান। মহাবিদ্রোহের পরে ভারতবাসীকে নিরস্ত্র রাখার লক্ষ্যে এই আইনে বলা হয় ব্রিটিশ সরকারের অনুমতি ছাড়া ভারতীয়রা নিজেদের কাছে অস্ত্র রাখতে পারবেন না।
✹✹✹
✹✹✹
Comments
Post a Comment