বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য ভারত-ইতিহাসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য এক মহাদেশের সারাংশ (Epitome of the World) ভারতবর্ষ শুধুমাত্র একটি দেশ নয়, এটি একটি উপ-মহাদেশের সমতুল্য। প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য, নৃতাত্ত্বিক ভিন্নতা এবং সাংস্কৃতিক বিপুলতা সত্ত্বেও এই ভূখণ্ডের হাজার বছরের ইতিহাসে যে "অন্তর্নিহিত মৌলিক ঐক্য" ( Fundamental Unity ) বারবার প্রকাশিত হয়েছে, তা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। ঐতিহাসিক ভিনসেন্ট স্মিথ এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যকে যথার্থই " India offers unity in diversity " বা "বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য" বলে আখ্যা দিয়েছেন। যুগে যুগে বিভিন্ন জাতি, ধর্ম ও ভাষাভাষী মানুষের মিলনকেন্দ্র হওয়ায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতবর্ষকে "মহামানবের সাগরতীর" নামে অভিহিত করেছেন। ভারতবর্ষের বৈচিত্র্যের স্বরূপ (The Nature of Diversity) ভারতের বৈচিত্র্যকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়: ক) প্রাকৃতিক বা ভৌগোলিক বৈচিত্র্য: ভূ-প্রকৃতি: উত্...
গর্জনশীল চল্লিশা
পশ্চিমা বায়ু সাধারণত উভয় গোলার্ধে ৩৫°–৬০° অক্ষরেখার মধ্যে প্রবাহিত হয়। দক্ষিণ গোলার্ধে ৪০°–৬০° অক্ষরেখার মধ্যে স্থলভাগ প্রায় নেই। ভূপৃষ্ঠের সঙ্গে ঘর্ষণজনিত বাধা কম হওয়ায় পশ্চিমা বায়ু এই অঞ্চলে জলভাগের ওপর দিয়ে বাধাহীনভাবে প্রবল বেগে প্রবাহিত হয়। এরূপ প্রবল বেগের জন্যই দক্ষিণ গোলার্ধে পশ্চিমা বায়ুকে ‘প্রবল পশ্চিমা বায়ু’ বলে। ৪০°–৬০° দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে বিস্তৃত জলভাগের ওপর দিয়ে উত্তর-পশ্চিম পশ্চিমাবায়ু সারা বছর ধরে বাধাহীনভাবে, প্রবলবেগে এবং সশব্দে প্রায় সোজা পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়। এইজন্য ৪০°–৬০° দক্ষিণ অক্ষাংশকে গর্জনশীল চল্লিশা বলে।
Comments
Post a Comment